ভর্তুকি মূল্যে সাড়ে ২১ লাখ মেট্রিক টন সার সরবরাহ করা হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ সংসদে জানিয়েছেন, জমির উর্বরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নন-ইউরিয়া সারের সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সাড়ে ২১ লাখ মেট্রিক টন সার সরবরাহ করা হয়েছে।
বিএডিসি (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন) ভর্তুকি মূল্যে এ সার সরবরাহ করেছে।
রোববার (৫ মে) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ভোলা-২ আসনের আলী আজমের এক প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ এ তথ্য জানান।
এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
সংসদ অধিবেশনে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প ও উদ্ধুদ্ধকরণের মাধ্যমে কৃষকেরা জৈবসার ভার্মি কম্পোষ্ট, হিপ কম্পোষ্ট, কুইক কম্পোষ্ট সার প্রস্তুত করে মাটিতে ব্যবহার করে আসছেন। এর ফলে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জমির উর্বরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নন-ইউরিয়া সারের সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিএডিসি ৪ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিক টন টিএসপি, ৭ দশমিক ৪২ লাখ মেট্রিক টন এমওপি এবং ৯ দশমিক ৭৬ লাখ মেট্রিক টন ডিএপি সার ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করেছে।
কৃষিমন্ত্রী এ সময় আরো জানান, এসআরডিআই-এর ২৪টি স্থায়ী গবেষণাগারের মাধ্যমে জমির মাটি, সার, পানি ও গাছের নমুনার রাসায়নিক বিশ্লেষণ ও সুপারিশ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জমির উর্বরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এসআরডিআই কর্তৃক ১০টি ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষাগারের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ১শ ১২টি উপজেলায় মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সুষম সার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে অবস্থান করে কৃষকদের মাটির নমুনা পরীক্ষা করে ফসলের জন্য সার সুপারিশ করা হয়।
তিনি বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে অম্লীয় মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই ফসল উৎপাদন ও মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য ‘Climate Smart Agriculture’ (ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার) প্রযুক্তি ব্যবহার নামে একটি কর্মসূচি চলমান। এ কর্মসূচিটি অম্লীয় মাটির ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
এছাড়া লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনা ও গবেষণা কেন্দ্র, বটিয়াঘাটা, খুলনা কেন্দ্রে উপকূলীয় এলাকার লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনা, লবণাক্ততা প্রশমণ এবং ফসলের উপযোগিতা বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান আছে।
মৃত্তিকা সংরক্ষণ ও পানি বিভাজিকা কেন্দ্র, বান্দরবানের মাধ্যমে পাহাড়ে ভূমি ক্ষয় ব্যবস্থাপনা ও পানি বিভাজিকা নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ কেন্দ্রের মাধ্যমে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি দিয়ে পাহাড়ে ভূমি ক্ষয় রোধ করে ফসল উৎপাদন এবং মাটির উর্বরতা সংরক্ষিত হচ্ছে।