বিদেশি প্রভুদের কথায় বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিদেশি প্রভুদের কথায় বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে৷ তাদের উদ্দেশ্য একটাই অগণতান্ত্রিক পন্থায় তারা ক্ষমতায় আসতে চায়৷ পেছনের দরজা দিয়ে বিকল্প রাস্তায় তারা ক্ষমতায় আসতে চায়৷

সোমবার (৬ মে) প্রেসক্লাবে শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টারের ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে 'গণতন্ত্র ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি৷ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না৷ গুম, খুনের রাজনীতি জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন৷ তারাই বলে এই দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার নেই৷

তিনি বলেন, বিএনপি এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা বুঝতে পেরেছিল যে গাজীপুরে তাদের অবস্থা দিন দিন খুবই নাজুক হয়ে যাচ্ছে৷ এজন্যই আহসান্ উল্লাহ্ মাস্টারকে একটা ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগে সম্মেলন থেকে হত্যা করা হয়েছিল৷ আর আজকে হত্যাকারীরা বলে এই দেশে গণতন্ত্র নেই৷ আমাদের নেতাদের প্রকাশ্যে হত্যা করেছে তারা৷

তিনি বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের একটাই দোষ ছিল যে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করেছেন৷ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিষ্ঠা করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন৷ সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় রাজপথে তাকে পেটানো হয়েছিল৷ এর ধারাবাহিকতায় তাকে হত্যা করা হয়েছিল৷

শহীদ আহসান্ উল্লাহ্ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদের সভাপতি আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক মো. আতাউর রহমানের সঞ্চালণায় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাংবাদিক অধিকার ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
 
   

রামগঞ্জে বসতঘর চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ চাঙ্গিরগাও গ্রামে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বসতঘর চাপা পড়ে নিস্পা নামের ৭ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন শিশুটির নানি হোসনেয়ারা বেগম (৬৫)।

সোমবার (২৭ মে) দুপুর আড়াইটায় উপজেলার ৫ নম্বর চন্ডিপুর ইউনিয়নে দক্ষিণ চাঙ্গিরগাঁও গ্রামের দেবুর বাড়ির পাশে গরুর ব্যাপারি ছাকায়েত উল্যার বাড়ির লুৎফর রহমানের বসতঘরটি ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ভেঙ্গে পড়ে। এসময় ঘরের ভিতরে থাকা হোসনেয়ারা বেগম (৬৫) ও নাতনি নিস্পু (৭) ভেঙে যাওয়া ঘরের নিচে চাপা পড়ে।

প্রতিবেশীরা ঘরের নিচে চাপা পড়া হোসনেয়ারা ও নিস্পুকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার নিস্পুকে মৃত ঘোষণা করে।

এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়েছে।

;

স্বামীর ছুরিকাঘাতে বউ-শাশুড়ি খুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জয়পুরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর ছুরিকাঘাতে বউ ও শাশুড়ি খুন হয়েছেন।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরে উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের হললিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, সোনামুখী ইউনিয়নের হলহলিয়া গ্রামের সোলায়মান আলী আকন্দের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৫২) ও তার মেয়ে মিতু (৩৪)। আহত ছেলের নাম নিরব (২১)।

স্থানীয়রা জানায়, আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের হলহলিয়া গ্রামে স্বামী-স্ত্রীর কলহের সময় শাশুড়ি ও শ্যালক এগিয়ে আসলে ক্ষুব্ধ জামাই তার স্ত্রী, শাশুড়ি ও শ্যালককে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাশুড়িকে মৃত ঘোষণা করে।

স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যায়। আহত শ্যালককে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ঘাতক রুবেল হোসেন পলাতক রয়েছেন।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন হোসেন জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘাতক রুবেল হোসেন পলাতক রয়েছে।

;

কেএনএফ'র আরও ৩ সদস্য গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় রোয়াংছড়ি উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্দেহে আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) তিন সদস্য হলেন জোহান বম (৪৫), লাল হোম লিওন বম (৩৭) এবং লাল রাম লিয়ান বম (৩৮)। তারা সবাই রোয়াংছড়ি উপজেলার পাইক্ষ্যং পাড়ার বাসিন্দা।

সোমবার (২৭ মে ) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের পুলিশি পাহারায় রোয়াংছড়ি সদর থেকে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে রোববার বিকেলে তাদের রোয়াংছড়ি সদর থেকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রোয়াংছড়ি থানায় দায়ের করা মামলায় তিনজনকে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইসুমা সুলতানা গ্রেপ্তার তিনজন কেএনএফ সদস্যকে শুনানি শেষে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এপর্যন্ত মোট ৮৯ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৯০ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন নারী রয়েছেন। যৌথ বাহিনীর টহলের ওপর হামলা করতে গিয়ে কেএনএফের মোট ১৩ জন নিহত হয়েছে।

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত রুমা থানায় ১৩ টি ও থানচি থানায় চারটি, বান্দরবান সদর থানায় একটি এবং রোয়াংছড়ি থানায় তিনটি সহ সর্বমোট ২১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

;

প্রাকৃতিক দূর্যোগে খাদ্য নিরাপত্তায় জোর দিয়েছে ফ্রেন্ডশিপ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease
ঝড়, বন্যা, খরার মত নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে চরাঞ্চলে বাসিন্দাদের টিকিয়ে রাখতে খাদ্য নিরাপত্তায় জোর দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। 
সোমবার (২৭ মে) কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মিলনায়তনে আয়োজিত 'খাদ্য নিরাপত্তায় জনগনের নিজস্ব উদ্ভাবনমূলক কার্যক্রমে ফ্রেন্ডশিপ এর সহায়তা'  শীর্ষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 
'খাদ্য নিরাপত্তায় জনগনের নিজস্ব উদ্ভাবনমূলক কার্যক্রমে ফ্রেন্ডশিপ এর সহায়তা' নিয়ে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় উঠে আসে প্রান্তিক মানুষের খাদ্য নিরাপত্তায় নিজস্ব উদ্ভাবনী বিভিন্ন কৌশল।
সভায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা দুর্গত বাসিন্দাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দেন মোঃ বরমান হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)। তিনি আশা করেন, সুবিধা বঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠির খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টি সহায়তা হতে পারে দারিদ্র বিমোচনের এক উপায়।
চরাঞ্চলে ফ্রেন্ডশিপের খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচী সম্পর্কে বর্ণনা দেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক আহমেদ তৌফিকুর রহমান। তিনি জানান, সুবিধা বঞ্চিত চরের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে দুই দশক আগে কাজ শুরু করেন ফ্রেন্ডশিপ প্রতিষ্ঠাতা রুনা খান। তাঁর মূল্য উদ্দেশ্য এসব বঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। এ ধারাবাহিকতায় মৌসুমী বন্যা এবং বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষতির শিকার, এমন মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা এ কর্মসূচীর লক্ষ্য। 
ফ্রেন্ডশিপ লুক্সেমবার্গ এবং লুক্সেবার্গ এইড এন্ড ডেভেলপমেন্ট-এর অর্থায়নে যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের চরে চলছে এ কর্মসূচী। প্রাথমিকভাবে এ উদ্যোগের অগ্রাধিকার হচ্ছে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার বন্যা আক্রান্ত বাসিন্দাদের খাদ্য নিরপত্তা ও পুষ্টির ব্যবস্থা বিস্তৃত করা।
মত বিনিময় সভায় যোগ দেন, কুড়িগ্রাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, কুড়িগ্রাম জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, গরীব প্রতিবেশির জন্য সামর্থ্যবানদের রাখা এক মুঠ খাদ্য হতে পারে অনেক সমস্যার সমাধান। এজন্য টেকসই খাদ্য উৎপাদনে উঠান বাগানের কলাকৌশল রপ্ত করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সক্ষমতা বিস্তৃত করার তাগিদ দেন তারা।
এছাড়াও কুড়িগ্রাম জেলায় ফ্রেন্ডশিপের ভাসমান হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধি করার কথাও জানায় সংস্থাটি। ববর্তমানে কুড়িগ্রামে একটি ভাসমান হাসপাতাল আছে ফ্রেন্ডশিপের। দ্রুত আরও একটি ভাসমান হাসপাতাল যোগ করার প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক আহমেদ তৌফিকুর রহমান।
;