জনস্বাস্থ্যের ‘রাঘব বোয়াল’ মশিউর, টেন্ডার দিতে ব্যাংকের মাধ্যমে ঘুষ নিয়েও প্রতারণার অভিযোগ



অভিজিত রায় কৌশিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জনস্বাস্থ্যের ‘রাঘব বোয়াল’ মশিউর, টেন্ডার দিতে ব্যাংকের মাধ্যমে ঘুষ নিয়েও প্রতারণার অভিযোগ

জনস্বাস্থ্যের ‘রাঘব বোয়াল’ মশিউর, টেন্ডার দিতে ব্যাংকের মাধ্যমে ঘুষ নিয়েও প্রতারণার অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

# টেন্ডার নিতে জমা দিতে হয় ব্যাংকে ঘুষ পরিশোধের স্লিপ

# হাওর প্রকল্পে কাজ না করে টাকা উত্তোলন

# ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জামালপুরে বাড়ি নির্মাণ

# স্টাফ ও ঠিকাদারদের সাথে গালিগালাজ, প্রাণনাশের হুমকি

নেত্রকোনা জেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মশিউর রহমান। যার দাপটে তটস্থ নেত্রকোনা জেলায় অবস্থিত সরকারি এই দফতরটি। টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে তার বিরুদ্ধে রয়েছে এন্তার অভিযোগ।

কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ, টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে ঘুষ নেওয়াসহ অফিস স্টাফ ও ঠিকাদারদের সাথে অশালীন আচরণ ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জামালপুরে বাড়ি নির্মাণ করছেন বলেও অভিযোগ ওঠেছে। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান। তার বিরুদ্ধে কেউ চক্রান্ত করছে বলে দাবি তার।

এক অভিযোগকারীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার মদন ও খালিয়াকুরী উপজেলার ৩০টি ওয়াশব্লক মেরামত কাজের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বুয়েট শাখার সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঘুষ বাবদ ৩ লাখ টাকা নেন তিনি। টাকা নিয়েও কাজ না দিলে সেই টাকা ফেরত চাইলে তার উপর চড়াও হন তিনি। চিফ ইঞ্জিনিয়ার বরাবর অভিযোগ দিলে মশিউর দম্ভ করে বলেন, যা খুশি কর, ওইসব চিফ ইঞ্জিনিয়ার আমার কিছুই করতে পারবে না।

এছাড়াও কলমাকান্দাতে হাওর প্রকল্পের ৫০টি নলকূপ বসানোর কাজ না করেই বিল উত্তোলন করাসহ ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জামালপুরে বাড়ি নির্মাণ করা ও বিভিন্ন কারণে স্টাফ এবং ঠিকাদারদের সাথে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল ও প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোনা জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই অভিযোগ ভুয়া। যে অভিযোগ করেছে ওই নামের কাউকে আমি চিনিও না, জানিও না।

ব্যাংকের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে যে টাকা দেওয়া হয়েছে তার রশিদ অভিযোগপত্রে সংযুক্ত রয়েছে, আপনি যদি তাকে না চেনেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টে অপরিচিত কেউ কেন এত টাকা দিলো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই টাকাটা আমার স্টাফ জমা দিয়েছে। সেখানে একটা সাক্ষর আছে, সেটা আমার হিসাব সহকারীর। যদি সেই ঠিকাদার জমা দিতো, তাহলে তো তার সাক্ষর থাকতো। আমার হিসাব সহকারীর সাক্ষরতো আর থাকতো না।

আপনার হিসাব সহকারী বা আপনার অফিসের স্টাফ যদি টাকা জমা দেয়, তাহলে সেই টাকা জমার রশিদ কীভাবে অন্য কারো হাতে গেল, এমন প্রশ্নের জবাবে মশিউর বলেন, এটাতো আমি জানি না। এটা আমারও প্রশ্ন। কারণ ওই স্লিপটা আমার কাছেও আছে। 

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর ঠিকাদার হাজী আব্দুল ওহাবের লিখিত ‘নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান এর নগদ টাকা নিয়ে কাজ না দেওয়া প্রসঙ্গে অভিযোগ (প্রমাণক সংযুক্ত)’ অভিযোগে বলা হয়, ‘আপনার নিকট নিবেদন এই যে, আমি নেত্রকোনা জেলার একজন ৩য় সারির ঠিকাদার। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ছোট ও মাঝারি মানের কাজে অংশগ্রহণ করি। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, নেত্রকোনার নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মশিউর রহমান এর কাছে কাজের কথা বললে তিনি মদন ও খালিয়াকুরী উপজেলার ৩০টি ওয়াশব্লক মেরামত কাজের প্রাক্কলন দেখিয়ে বলেন, এই কাজটি আপনাকে দিবো আপনি প্রস্তুতি নেন, ই-জিপি ( E-GP) সিস্টেমে কিভাবে কাজ দিবেন এইটা বললে তিনি বলেন ম্যানুয়াল টেন্ডার করে কোটেশন করবো।, আপনি কাজটি করতে চাইলে আমাকে ৩ লাখ টাকা দিতে হবে, তিনি আমাকে সোনালী ব্যাংক, বুয়েট শাখার একটি হিসাব নম্বর ৪৪০৪০৩৪১৬৬১২৪, দেন। ওই ঠিকানায় টাকা প্রেরণপূর্বক মূল স্লিপ তাকে দিতে বলেন। কথা অনুযায়ী গত ৩ এপ্রিল তারিখে সোনালী ব্যাংক নেত্রকোনা শাখায় গিয়ে টাকা জমা প্রদান করি এবং মূল স্লিপ উনাকে জমা দিয়ে ওয়ার্কঅর্ডার দিতে বলি।’

অভিযোগে হাজী আব্দুল ওহাব আরও লেখেন, ‘উনি (মশিউর) ৮ তারিখে দেখা করতে বলেন। ৮ তারিখে উনার কাছে গেলে উনি বলেন, এখন একটু সমস্যা হইতেছে মাস দুয়েক দেরি করেন। আমার অনেক কষ্টের টাকা আমি ফেরত চাইলে আমার উপর তেড়ে আসেন এবং আমাকে বলেন যা খুশি কর ওইসব চিফ ইঞ্জিনিয়ার আমার কিছুই করতে পারবে না। তৎক্ষণাৎ চিফ ইঞ্জিনিয়ার স্যারকে কল দিলে উনি ফোন কেটে দেন। আমি ঠিকাদার শফিক ভাইয়ের সাথে আলাপ করলে তিনি সচিব বরাবর অভিযোগ দিতে বলেন। শফিক ভাই আরও বলেন হাওর প্রকল্পের অনেক অনিয়ম করেন তিনি, কলমাকান্দা উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার উনার খাস লোক এবং একই এলাকার, কলমাকান্দাতে হাওর প্রকল্পের ৫০টি নলকূপ বসানোর কাজ না করেই বিল উত্তোলন করেছেন, আরও জানতে পারি ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি জামালপুরে বাড়ি নির্মাণ করতেছেন। তিনি ভীষণ ধরনের বদমেজাজি, অফিস স্টাফদের সাথে এবং ঠিকাদারদের সাথে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মারার হুমকি দেন, শুনেছি।’

তিনি অভিযোগপত্রে আরও বলেন, ‘নেত্রকোনা জনস্বাস্থ্যের প্রকৌশলী মশিউর বুয়েটের ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। দপ্তরে অভিযোগ দিলে কোনো কাজ হয় না, তাই বাধ্য হয়েই আপনার বরাবর আবেদন করলাম। প্রমাণক হিসেবে উনার নিজ হিসাব নম্বরে তিন লাখ টাকা জমাদানের ব্যাংক স্লিপ এর ফটোকপি সংযুক্ত করিলাম। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আকুল আবেদন জানাইতেছি।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো.আব্দুল আউয়াল বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি এসব অভিযোগের বিষয়ে জানি না। আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে বিষয়টি দেখব।

তিনি বলেন, তবে আমার মনে হয় না আসলে বিষয়টা এমন। অনেকতো দুষ্টবুদ্ধির লোক আছে না? ব্যাংকের স্লিপের বিষয়টা শুনেছিলাম। তবে তার মানে এই না যে, এই টাকাটা সে ওখান থেকে নিয়েছে। যারা ঘুষ নেয়, আমার যেটা মনে হয় তারা ব্যাংকের মাধ্যমে ঘুষ নেয় না। 

   

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনেই আজকের এই বীজ বুনন: ইবি উপাচার্য



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনেই আমাদের আজকের এই বীজ বুনন’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।

রবিবার (১৯ মে) পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ১০২ নম্বর কক্ষে ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভাইস চ্যান্সেলর এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, এই প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য হলো আমাদের স্টুডেন্ট এবং ফ্রেশারদের পাওয়ারফুল করে তোলা। তারা যেনো নিজেরা এমন স্কিল এবং নলেজ অর্জন করে নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এই প্রোগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো নিজেকে কর্মক্ষম করে তোলা। আমরা কিছু শিখে যে তোতাপাখি হবো তা নয়, শিখে সাথে সাথে কর্মক্ষম হবো এবং কোনো প্রফেশনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবো। এইজন্য আমাদের অবশ্যই চর্চা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যুবকরা যেনো কর্মক্ষম হয় এবং জাতির পিতার সোনার বাংলা গঠনে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই আয়োজন। আমাদের স্বপ্নের বাংলা, সংস্কারের বাংলা, উন্নয়নের বাংলা, ডিজিটাল বাংলা এবং ৪১ এর পারফেক্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলা যেখানে প্রতিটা মানুষ হবে প্রোডাক্টিভ। তাছাড়া আমাদের অন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। আর এইটা কমানোর জন্য একাডেমিকের সাথে ইন্ডাস্ট্রি যুক্ত করে দিয়ে উস্কিয়ে দিতে হবে। এতে একজন মানুষ নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিতে পারবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনেই আমাদের আজকের এই বীজ বুনন। এখানে এই নলেজ, মোটিভেশান এবং এমন মনোভাব তৈরি করে প্র‍্যাক্টিসে নিয়োজিত করা যাতে করে আমাদের পাশাপাশি আমাদের পরিবার এবং দেশ সমৃদ্ধ হতে পারবে। পড়াশোনা করে আমরা অকেজো, অলস বা বোবা থাকবো না। নিজেকে বাজারের জন্য যোগ্য করে তুলতে হবে। এইজন্য দরকার আমাদের তিনটি জিনিস। টিচিং, ট্রেইনিং এবং টেকনোলজি। এই তিনে মিলে সমন্বয় তৈরি করতে পারলেই কেবল টিকে থেকে নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।

সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু এ অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি ডিভিশনের ইডিজিই (এনহেন্সিং ডিজিটাল গাভার্ণমেন্ট এন্ড ইকোনমি) প্রজেক্টের পরিচালক এবং যুগ্ম-সচিব মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মোঃ ফারুকুজ্জামান খান এবং ইডিজিই প্রজেক্টের স্মার্ট লিডারশীপ একাডেমির স্পেশালিস্ট ড. মোঃ মাজহারুল হক।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ রবিউল হকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সফট বিডি লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আতিকুল ইসলাম খান স্পেশালিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালনায় ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান সোহান এবং নাবিলা আনজুম নিশু।

;

গাজীপুরে ডুয়েট শিক্ষকদের মৌন মিছিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন কাঠামোয় সার্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে কালো ব্যাজ ধারণ ও মৌন মিছিল করেছেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

রোববার (১৯ মে) সকাল ১১টায় গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এর প্রধানে ফটকে অবস্থান নিয়ে শিক্ষকরা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

এসময় বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম।

বক্তারা বলেন, সার্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন আমাদের বিরুদ্ধে আমলাদের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এখানে প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, তা না মেনে তারা বেতন স্কেলে হাত দিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

;

রংপুর বিভাগের তিন জেলা থেকে ১১ চাঁদাবাজ আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুর বিভাগের তিন জেলা থেকে ১১ চাঁদাবাজ আটক

রংপুর বিভাগের তিন জেলা থেকে ১১ চাঁদাবাজ আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

পণ্যবাহী যানবাহন থেকে চাঁদাবাজির সময় র‌্যাব-১৩ রংপুর সদর দপ্তরের সদস্যরা গতকাল শনিবার (১৮ মে) রাতে রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলায় অভিযান চালিয়ে ১১ চাঁদাবাজকে আটক করা করেছে।

রোববার (১৯ মে ) দুপুরে র‌্যাব-১৩ উপ-পরিচালক (মিডিয়া) স্কোয়াড্রন লীডার মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের বিভিন্ন সড়কে পণ্যবাহী যানবাহন থেকে অবৈধভাবে বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদা উত্তোলন করে আসছিল একদল চাঁদাবাজ। তারা লাঠিসোটা দেখিয়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহন থামিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চালকদের কাজ থেকে চাঁদা আদায় করতো। এসব সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় অভিযানে নামে র‌্যাব-১৩।

এরই ধারাবাহিকতায় রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলায় অভিযান চালিয়ে ১১ জন চাঁদাবাজকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, রংপুরের হারাগাছ এলাকার মাসুদ আহমেদ, রংপুর নগরীর বৈরাগী পাড়ার দিপক সরকার পার্বতীপুর এলাকার জালাল মিয়া, আশরতপুর মাছুয়া পাড়া এলাকার পলাশ চন্দ্র রায়, মিঠাপুকুর উপজেলার চুহুড় এলাকার মিলন মিয়া, কুড়িগ্রাম জেলা শহরের চৌধুরীপাড়া এলাকার জাবেদ, শাহাবুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, ইব্রাহিম আলী, নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলা থেকে শাহআলম ও গোলাম মোস্তফাকে আটক করা হয়।

র‌্যাব জানায়, সড়ক ও মহাসড়কে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ভিত্তিহীন বললেন মাশরাফি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্তুজা বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগটিকে অস্বীকার ও ভিত্তিহীন দাবি করে মাশরাফি বলেন, এটা অনেকটা মিডিয়া অ্যাটেনশন পাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতার অংশ ছাড়া কিছুই না।

শনিবার (১৮ মে) বিকেলে নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল মাহমুদ তুফান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নড়াইলের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন তোফায়েল মাহমুদ তুফান।

অভিযোগে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের কোনো মন্ত্রী, হুইপ বা সংসদ সদস্য তার নির্বাচনী এলাকার কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। কিন্তু নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্তুজা নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ভূঁইয়ার পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী আচরণবিধির প্রকাশ্য লঙ্ঘনের শামিল।

এদিকে রোববার সকালে অভিযোগের বিষয়ে নাকচ করে জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি নড়াইলে অবস্থান করাকালীন শুধু নিহত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিকদার মোস্তফা কামালের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে লোহাগড়ায় গিয়েছিলাম। এছাড়া কোনো কারণেই বাড়ির বাইরে কোথাও কোনো নেতাকর্মী বা লোকজনের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করিনি, কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া তো অনেক দূরের ব্যাপার।

তিনি আরও বলেন, আমি নিশ্চিত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ দিতে পারবেন না ওই প্রার্থী। রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। ওই প্রার্থীর অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে। প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ করব। এটা অনেকটা মিডিয়া অ্যাটেনশন পাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতার অংশ ছাড়া কিছুই না।

নড়াইল সদর উপজেলা ও লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তবে অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ অভিযোগকারী দেননি। তাকে প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে। প্রমাণ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ২য় ধাপে নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে। এখানে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সদর উপজেলায় মোট ভোটার দুই লাখ ৪১ হাজার ৭৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২০ হাজার ১২৯ ও নারী ১ লাখ ২১ হাজার ৬৩০ জন।

;