রাত পোহালেই ১৩৯ উপজেলায় ভোট, ইসির যত প্রস্তুতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

ইসি সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। এই ধাপে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন করে মোট ২৮ জন প্রার্থী ইতোমধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিজয়ী হয়েছেন।

ইসি জানায়, বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাঁচ উপজেলার তিন পদে সবাই নির্বাচিত হয়েছে। তাই ওই পাঁচ উপজেলায় নির্বাচনের প্রয়োজন হবে না। উপজেলাগুলো হলো- নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা ,বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলা, ফেনী জেলার পরশুরাম ও মাদারীপুর জেলার শিবচর। যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবনের তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রেখেছে ইসি।

ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা

গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ও সাধারণ কেন্দ্র বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইসি। সেই হিসেবে সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ বা ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ বা ২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবেন।

উপকূলীয় এলাকার দ্বীপাঞ্চলে কোস্টগার্ড মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। ভোটারদের নিরাপত্তায় পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি'র ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোট গ্রহণের আগের দুই দিন, ভোট গ্রহণের দিন ও ভোট গ্রহণের পরের দুইদিন মোট পাঁচদিন নিয়োজিত থাকবেন।

ইসি জানায়, ভোটারের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে ১৪ হাজার ৬১০ জন বিজিবি সদস্য, ৪১ হাজার ৫৩০ জন পুলিশ এবং পুলিশের ১১ হাজার ৮৮৩ জন ভ্রাম্যমাণ টিম রয়েছে। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স ও অন্যান্য দায়িত্বে রয়েছে পুলিশের ২৯ হাজার ২২০ জন সদস্য। অন্যদিকে র‌্যাবের দুই হাজার ৬৪৮ জন ও আনসারের এক লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।

এদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ৪০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন ১৩৯ জন।

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যবস্থা

নির্বাচনের দিন ভোট হওয়া উপজেলাগুলোতে যান চলাচলে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই অনুযায়ী, আজ রাত ১২টা থেকে আগামীকাল বুধবার অর্থাৎ ভোট গ্রহণের দিন রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত বোটসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট গ্রহণের তিন দিন পূর্ব পর্যন্ত আচরণ বিধি প্রতিপালন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও প্রতিরোধে প্রতি উপজেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোট গ্রহণের তিনদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ভোট গ্রহণের দুইদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের দুইদিন পর পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

মোট ভোট কেন্দ্র

প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ এবং ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল জানান, দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচনের সুযোগ থাকলেও দলীয় মনোনয়ন না থাকায় স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন প্রার্থীরা। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। স্থানীয় সরকারের ভোট হওয়ায় মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু অ্যাকশন নিয়েছি।

সিইসি জানান, মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি প্রতিদিনই সব সময় খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। এটা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচনটা যেন অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেনো ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং সেখানে যেন অনিয়ম না হয়-সে বার্তাটি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে কিছু উপজেলায় তফসিল ঘোষণার মামলা জটিলতা ও বৈধ প্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে জানিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

এদিকে ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ৮ মে ভোট অনুষ্ঠিত হবে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

   

উপকূলবাসীর নির্ঘুম রাত ফুরাচ্ছে, বাঁশখালীতে হচ্ছে বেড়িবাঁধ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ সদস্য হয়েই মুজিবুর রহমান ঘোষণা দিয়েছিলেন আগামী তিন বছর বাঁশখালীবাসীর জন্য কাজ করে যেতে চান। এই সময়ে জনসমাবেশে অতিথি হয়ে না যাওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, যদি মনে হয় কাজ করেছেন তখন তিনি নিজ থেকেই জনসম্মুখে আসবেন, কথা বলবেন। শুধু মুখে নয়, উপজেলায় চষে বেড়িয়ে নানা কাজ করে যাচ্ছিলেন।

তবে সোমবার (২৮ মে) মুজিবুর রহমানের 'কাজ করার' অন্যতম বড় পদক্ষেপের সাক্ষী হলো চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার মানুষ। বাঁশখালীবাসীর উপকূলের মানুষের প্রাণের দাবী ছিল-টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ। অবশেষে তাঁর প্রচেষ্টায় মিলল বাঁশখালীর বেড়িবাঁধ প্রকল্পের জন্য ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প। একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্প।

মুজিবুর রহমান তাঁর ফেসবুক পেজে বিষয়টি তুলে ধরতেই বাঁশখালীর মানুষেরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন।

ফেসবুক পোস্টে মুজিবুর রহমান উল্লেখ করেন, 'আমি সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বেশ কয়েকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রকল্পটি সরকারের উচ্চপর্যায়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করি। বাঁশখালীর পাশ্ববর্তী উপজেলা আনোয়ারার সন্তান অর্থ-প্রতিমন্ত্রী প্রকল্পটি অনুমোদনে শুরু থেকেই সক্রিয় হন। তিনি প্রকল্পটি যাতে দ্রুত অনুমোদন পায় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনেন। এই বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হলে আনোয়ারা-বাঁশখালী উপকূল হবে নতুন অর্থনৈতিক হাব, ইনশাআল্লাহ।'

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, আনোয়ারা ও বাঁশখালী অংশের জন্য প্রায় ৮৭৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে যার ৬০০ কোটি টাকা বাঁশখালী অংশের জন্য।

এই ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর বলেন, বাঁশখালী-আনোয়ারা টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় নেওয়া ৮৭৪ কোটি টাকার প্রকল্পটি অনুমোদন হয়েছে। এ প্রকল্পে প্রায় পৌনে ৬০০ কোটি টাকার কাজ হবে বাঁশখালীতে। বাকি কাজ হবে আনোয়ারা উপকূলে। প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য অর্থ প্রতিমন্ত্রী ও বাঁশখালীর সংসদ সদস্য অত্যন্ত আন্তরিক ছিলেন। প্রকল্পটি উপকূলের বেড়িবাঁধ রক্ষায় কার্যকর হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে লবন, মৎস্য ও কৃষি চাষে আমূল পরিবর্তন ঘটবে।

পশ্চিম বাঁশখালীর বঙ্গোপসাগর লাগোয়া মানুষের প্রাণের দাবী ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ। কেননা বেড়িবাঁধের কারনেই ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারান। ঘূর্ণিঝড় আয়লা, সিডর, কোমেন, রোয়ানুর কবলে পড়ে প্লাবিত হয়ে শত শত একর ফসলী জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে। চলতি বছর সমুদ্রের পাশের ব্যাপক এলাকা চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।

বহুদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও তাঁদের বেড়িবাঁধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছিল না কোনোভাবেই। ২৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাঁধটি সাগরের বুকে হারিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন।

স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল তখন বেড়িবাঁধ নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে ব্লক তৈরি, লুটপাট ও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল। ফলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয় ঢিলেঢালাভাবে। অপরিকল্পিত নকশা প্রনয়ণ ও যেনতেনভাবে বেড়িবাঁধ নির্মানের কারনে সেটি একবছরের মাথায় হারিয়ে যাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বাঁশখালী উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে সাড়ে ৭ বছর আগে ২৫১ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছিল বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ২০১৫ সালের ১৯ মে প্রকল্পটি একনেকে পাস হওয়ার পর বঙ্গোপসাগর ও সাঙ্গু নদীর পাড়ে ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই বাঁধ নির্মাণে কয়েক দফা সময় ও ব্যয় বেড়ে হয়েছিল ২৯৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের আওতায় এতে ৬ দশমিক ২ কিলোমিটার বাঁধের ঢাল সংরক্ষণ, ভাঙন রোধ ও পুনরাকৃতিকরণ, ৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ এবং ৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার বাঁধ পুনরাকৃতিকরণ করার কথা রয়েছে। ২০২২ সালে প্রকল্পের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়। কিন্তু খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরসুল ও প্রেমাশিয়া এলাকার মধ্যবর্তী দুটি স্থানে বেড়িবাঁধ ধসে গিয়ে বেড়িবাঁধের বেশিরভাগ অংশ সাগরে মিলিয়ে যায়। সিসি ব্লক বেষ্টিত বাঁধের যেটুকু ঠিকে আছে তাতে বিশালাকার ফাটল সৃষ্টি হয়ে নিচের দিকে ক্রমশ দেবে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের আগে পরে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে উপকূলবাসীর। এরই মধ্যে এল টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রকল্প পাসের খবর। এখন উপকূলের লাখো মানুৃষের একটাই দাবি-টেকসইভাবে দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ বাস্তবায়ন করা হোক।

;

পটুয়াখালীতে তিন জনের মৃত্যু, দুর্ভোগে সাড়ে তিন লাখ মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রেমাল'র তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়েছে পটুয়াখালী সহ উপকূলীয় এলাকা। উপকূলের জনপদের গ্রাম গুলোতে শুধুই ধ্বংসের ছাপ। আতংক যেন পিছু ছাড়ছেনা উপকূলবাসীর। রেমাল'র আঘাতে ৩ জনের প্রাণহানি সহ দুর্গত সাড়ে তিনলাখ মানুষ। প্রাথমিক তথ্যমতে জেলায় প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

জ্বলোচ্ছাসের তাণ্ডবে বেড়িবাঁধ ভেঙে খন্ড-বিখন্ড। নদীপাড়ের দুর্গত এসব পরিবারের যেন কান্নার শেষ নেই। দূর্যোগের পর থেকে অনেকের রান্নার চুলাও জ্বলেনি। উপকূলের ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষের জীবন যাত্রা সচলে কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা সংস্থা।


ঘূর্ণিঝড়ে জেলায় মোট তিনজনের প্রাণহানিসহ উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জনজীবনের দুর্ভোগের সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ, মৎস্য, কৃষি, শিক্ষা, সড়ক, বিদ্যুত খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করেন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ জানান ঘূর্ণিঝড়ে তিন উপজেলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিন লাখ ৩৮ হাজার মানুষ। এছাড়া জেলায় ৬ হাজার ৮২টি ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত ও ৩১ হাজার ৬৯৪টি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।


জেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে ৭ হাজার ৫৪০ হেক্টর কৃষি জমির ক্ষতি হিয়েছে৷ মৎস্য খাতের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকার। বেরিবাধ বিশ কোটি, বনাঞ্চল ৭ কোটি ২৩ লাখ, ৩ কোটি ৬ লাখ টাকার গভীর নলকূপ ও ৮ কোটি টাকার স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণে অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সফরে আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

;

বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিনে ভোটগ্রহণ স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৬০নং জিনজিরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) নির্বাচন কমিশনের (পরিচালক-২) এর উপসচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈরি আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপে অনুষ্ঠেয় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৬০নং জিনজিরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সকল পদের ভোটগ্রহণ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সদয় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

এতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুসারে পদ্ধতিগতভাবে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে স্থানীয়ভাবে গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার ও অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সেন্টমার্টিনের একমাত্র ভোট কেন্দ্র সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৬০নং জিনজিরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে মোট ভোটার রয়েছে ৩৭১৩ জন। যার মধ্যে পুরুষ ১৮ শ' ৫৮ জন এবং নারী ভোটার ১৮ শ' ৫৫ জন।

;

দেশের মাটিতে পা রাখলেন হিমালয়ের দুই শৃঙ্গ জয়ী বাবর আলী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এক অভিযানে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট ও চতুর্থ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ লোৎসের চূড়া জয়ের অনন্য রেকর্ড গড়ে দেশের মাটিতে পা রেখেছেন চট্টগ্রামের সন্তান ডা. বাবর আলী।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত সোয়া ৯টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি অবতরণ করেন।

বিকেল সাড়ে ৫টায় আসার কথা থাকলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নেপাল থেকে দেশে ফিরতে দেরি হয় ডা. বাবর আলীর।

অভিযানের সমন্বয়ক ফারহান জামান বলেন, বাবর আলীর মা-বাবা এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের আবদার রক্ষার্থে আমরা ৩ জুনের পরিবর্তে আজই তাকে দেশে ফিরিয়ে এনেছি।

এর আগে গত ২১ মে (মঙ্গলবার) নেপালের স্থানীয় সময় ভোর ৫ টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৬টা ৫ মিনিট) বাবর আলী লোৎসে চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছেন।

এর দুইদিন আগে ১৯ মে (রোববার) সকালে ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় পৌঁছান বাবর। এর মধ্য দিয়ে ১১ বছর পর বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আবার কোনো বাংলাদেশির পা পড়ে।

তার আগে ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি এভারেস্ট জয় করেন। তারা হলেন- মুসা ইব্রাহিম, এম এ মুহিত (দুবার), নিশাত মজুমদার, ওয়াসফিয়া নাজরীন ও মো. খালেদ হোসাইন।

;