রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বিক্ষোভ করেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা।
সোমবার (২০ মে) সকাল ৯টা ২০ থেকে ১০টা ২০ পর্যন্ত রামপুরা বেটার লাইফ হাসপাতাল ও আবুল হোটেলের সামনে জড়ো হয়ে প্রায় আড়াই’শ চালক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেন অটোরিকশাচালকরা।
বিক্ষোভ থেকে তারা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিয়েছেন। এসময় রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে অবশ্য পুলিশের আশ্বাসে চালকরা রাস্তা ছেড়ে চলে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এবিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, সকালে তারা রাস্তায় বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন। আমরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তা সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা রাস্তা ছেড়ে চলে যায়।”
কোন আশ্বাসে তারা রাস্তা ছেড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশ তাদের রিকশা আটকায়, রেকার দেয় এসব অভিযোগ তুলেছিলেন তারা৷ আমরা বলেছি ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে কথা বলে আমরা এসব সমস্যার সমাধান করে দেব। তখন তারা সড়ক ছেড়ে চলে যায়৷’
আবুল হোলেটের সামনে বিক্ষোভরত চালকরা অভিযোগ করেন, আমরা রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হতে পারি না৷ পুলিশ ধরে, টাকা নেয় আবার মাঝে মাঝে ব্যাটারি খুলে রাখে, রিকশা ভেঙে দেয়। এইজন্য আমরা মূল সড়কে উঠি না। ভেতরের রাস্তা বা গলিতে রিকশা চালাই৷ এখন পুলিশ গলিতে গিয়ে রিকশা ধরে। আমরা তাহলে কীভাবে চলব। এভাবে তো জীবন চলে না। এটার একটা বিহিত হওয়া দরকার। এই সময় সমবেত অন্য চালকরা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন।
সোমবার বেলা ১১টা থেকে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক আছে বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশ ট্রাফিক বিভাগের রামপুরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের এক ঘণ্টার বেশি সময় সড়কে ছিলেন। পরে তারা পুলিশের আশ্বাসে উঠে যায়৷ তখন রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকলেও তারা উঠে যাওয়ার পর রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেছে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এ দিকে রামপুরা থেকে আন্দোলনরত রিকশা চালকরা খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় গিয়ে জড়ো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া। তিনি বলেন, ‘কিছু অটোরিকশা চালক খিলগাঁও রেলগেটে জড়ো হয়েছে। আমরা সতর্ক আছি। বড় কিছু ঘটে নি।’