খুলনায় ভোক্তার অভিযান, জরিমানা আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনায় জহুরুল হক হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন বয়রা এলাকার জহুরুল হক হাসপাতালকে মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট সংরক্ষণ, ব্যবহার ও প্রতিশ্রুত সেবা প্রদান না করা এবং ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে সেবা বিক্রয় করার অপরাধে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় খুলনা খালিশপুর থানাধীন বয়রা এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে। এসময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী, চাল, ঔষধ, ডাব, তরমুজ, বিদেশি ফল, ডিম, ডায়াগনস্টিক, হসপিটাল ও ফ্যানের বাজার দর ও ক্রয় ভাউচার যাচাই করে এবং সকল ব্যবসায়ীকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা প্রদান করে।

তদারকিকালে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্য নিলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন।

খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম এর নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী, ক্যাব খুলনার সদস্য, আনসার ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

   

গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে সেগুন কাঠ জব্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে সেগুন কাঠ জব্দ

গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে সেগুন কাঠ জব্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদফতরের (এনএসআই) অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ৫ হাজার ১০০ পিস সেগুন গাছের গুঁড়ি।

রোববার (১৯ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হাটহাজারীর রংগীপাড়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলা এনএসআই সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ১০০ পিস সেগুন গাছের গুঁড়ি পাওয়া যায়। তবে, কাঠের মালিক দাবিদার কাউকে পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহরাজ শারমিন, এনএসআই এর প্রতিনিধি দল, বনবিভাগের কর্মকর্তাসহ হাটহাজারী থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হোন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, সরকারি ক্রয়াদেশের বাইরে অধিকাংশ গাছের গুঁড়ির রাখার প্রমাণ পাওয়া যায়। কিছু গাছের গুঁড়ির মার্কিং নম্বর থাকলেও অধিকাংশ গুঁড়িতে কোনও মার্কিং নম্বর ছিলো। মালিক না পাওয়ায় আমরা এই সব জব্দ করেছি। পরে জব্দ করা কাঠের গুঁড়িগুলোর বিষয়ে অজ্ঞাতনামা হিসেবে নিয়মিত মামলা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

;

২৭ মে সারা দেশে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি অটোরিকশাচালকদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান নীতিমালা চূড়ান্ত ও কার্যকর করে ইজিবাইক, অটোরিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের দ্রুত নিবন্ধন, লাইসেন্স প্রদান ও রুট পারমিটসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের নেতারা। দাবি আদায় না হলে আগামী ২৭ মে থেকে সারাদেশে লাগাতার কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

সোমবার (২০ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতারা। এর আগে কয়েকশ অটোরিকশাচালক মিছিল নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন।

ঢাকা মহানগরে ইজিবাইক, অটোরিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, বিআরটিএ এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে সংগঠনটির নেতারা বলেন, কেন এই সিদ্ধান্ত? কার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত? ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহন ঢাকা মহানগরের প্রধান সড়কে চলাচল করে না। এটা মূলত অলি গলিতে চলে।

তারা বলেন, এক জরিপে দেখা গেছে, ঢাকা মহানগরের প্রায় ৬০ ভাগ মানুষ এই ধরনের যানবাহনে চলাচল করে। মাত্র ৬ ভাগ যাত্রী নিয়ে ঢাকা মহানগরের প্রায় ৮০ ভাগ রাস্তা দখল করে যানজট সৃষ্টি করে প্রাইভেট গাড়ি। তারপরেও কেন এই বাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা। এই বাহনের সাথে চালক, মালিক, মহাজন, গ্যারেজ মালিক, চার্জিং ব্যবসায়ী, শ্রমিক মেস পরিচালনাকারী ও মোটর-রিকশা পার্টস, ব্যাটারিসহ সারাদেশে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ জড়িত। ঢাকা মহানগরে এ সংখ্যা আনুমানিক ৫ লাখের ওপরে। বিকল্প ব্যবস্থা না করে রাস্তা থেকে উচ্ছেদ করে এ গণপরিবহন বন্ধ করা হলে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহকারী লাখ লাখ মানুষের ও তাদের পরিবারের দায়-দায়িত্ব কে নেবে?

তারা বলেন, ২ টনের একটি এসিতে ৬ ঘণ্টায় ১৬ ইউনিট বিদ্যুৎ লাগে অথচ একটা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের ব্যাটারি চার্জে ৩.৫-৪ ইউনিট বিদ্যুৎ লাগে। অর্থাৎ, ২ টনের এসিতে ১-২ জন মানুষের ঠান্ডা হওয়াটা জরুরি না সমপরিমাণ বিদ্যুতে ৪ জন মানুষের আত্মকর্মসংস্থান ও ২০ জন মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা, কোনটা জরুরি? আর অপচয়ের তো কোন সুযোগই নেই বরং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর ভাষায়, বিদ্যুৎ ব্যবহারে তাদের রিটার্ন বেশি। কারণ তাদের বিদ্যুৎ বিল আবাসিক বিল থেকে অনেক বেশি। এরা বিদ্যুৎ চুরিও করে না। দেশের প্রায় ৩৭ শতাংশ বিদ্যুৎ এমনিতেই ব্যবহারের অভাবে অলস পড়ে থাকে, যার জন্য সরকারকে ক্যাপাসিটি চার্জ গুনতে হয়।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ সড়ক পরিবহন মন্ত্রী, বিআরটিএ ও ঢাকা মহানগরের দুই মেয়রের ঘোষণার পর মিরপুর, লালবাগ, গেন্ডারিয়া, শ্যামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রিকশা আটক, ব্যাটারি খুলে নেওয়া, ডাম্পিং ও চালক-মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের হয়রানির এবং মিরপুর এলাকায় আন্দোলনরত রিকশা শ্রমিকদের ওপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিকল্প ব্যবস্থা না করে মন্ত্রী, বিআরটিএ ও মেয়রদের এই অযৌক্তিক, গণবিরোধী, ও লাখ লাখ মানুষকে কর্মহীন করে বেকারের মিছিল দীর্ঘ করার অগণতান্ত্রিক ও তুঘলকি সিদ্ধান্ত বাতিলের জোর দাবি জানান। অন্যথায় এই লাখ লাখ কর্মহীন ও বেকার চালকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে রাজপথে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেন। একইসাথে সংগ্রাম পরিষদ থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান নীতিমালা চূড়ান্ত ও কার্যকর করে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের দ্রুত নিবন্ধন, লাইসেন্স ও রুট পারমিটসহ সংগ্রাম পরিষদ ঘোষিত ৭ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের সভাপতিত্ব করেন সংগ্রাম পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার সহ-সভাপতি জালাল আহমেদ। সঞ্চালনা করেন অর্থ সম্পাদক রোখসানা আফরোজ আশা। আরও বক্তব্য রাখেন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, অর্থ সম্পাদক জুলফিকার আলী, সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, রাহাত আহমেদ, এস এম কাদির, ঢাকা মহানগর এর যুগ্ম সম্পাদক দাউদ আলী মামুন, সদস্য সেকান্দার আলী, আবদুস সালামসহ অনেকে।

;

অটোরিকশাচালকদের তাণ্ডব: চার মামলায় আসামি ২৫০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে গতকাল রোববার (১৯ মে) মিরপুরে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন অটোরিকশা চালকরা। প্রতিবাদের আন্দোলন রূপ নেয় সংঘর্ষে। দফায় দফায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, পুলিশ বক্সে আগুন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

এসব অভিযোগে আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকদের বিরুদ্ধে তিন থানায় চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি অটোরিকশা চালকদের।

পল্লবী থানায় দুটি, কামরুল থানায় একটি ও মিরপুর মডেল থানায় একটি পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা।

তিনি বলেন, গতকাল রোববার (১৯ মে) দিবাগত রাতে মিরপুরের পল্লবী থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। একটি মামলা পল্লবী থানা পুলিশ ও আরেকটি মামলা পল্লবী ট্রাফিক জোন থেকে দায়ের করা হয়।

অন্যদিকে কাফরুল থানা ও মিরপুর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়েছে। গতকাল দিনভর আন্দোলন অবরোধের নামে পুলিশের কাজে বাধা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ, নাশকতা ও পুলিশের ওপরে হামলার ঘটনায় এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এসব মামলায় চার থানায় পৃথক অভিযানে ৩৭ জন অটোরিকশা চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান ডিসি।

ডিসি জসীম বলেন, গতকাল দুপুরের পর থেকে রাজধানীর কালশী এলাকায় তাণ্ডব চালায় অটোরিকশা চালকরা। তারা রাস্তাসহ কালশী ফ্লাইওভার অবরোধ করে রাখে। এক পর্যায়ে তারা বিকেলের দিকে কালশীর রাস্তা অবরোধ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তারা বিভিন্ন পরিবহনের একাধিক বাসে ভাঙচুর করেন। এছাড়া সর্বশেষ কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকরা।

যে বা যারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও নাশকতার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

পল্লবী থানায় দায়ের করা দুটি মামলার নথি দেখা গেছে, পল্লবী থানার পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার বাদী এসআই মোহাম্মদ আলী। দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী জনতাবন্ধে দাঙ্গা সৃষ্টি, সরকারী কর্তব্য কাজে বাঁধাদানসহ পুলিশের ওপর আক্রমণ ও অপরাধমূলক বল প্রয়োগে সাধারণ ও গুরুতর জখম, ভাঙচুর করে জানমালের ক্ষতিসাধন, বিস্ফোরক দ্রব্যের বিস্ফোরণ ঘটানো এবং বিস্ফোরক দ্রব্য হেফাজতে রাখা ও সহায়তা করার অপরাধ। মামলায় ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।

মামলায় উল্লেখিত অপরাধ কাজের জড়িত থাকা অভিযোগে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০০০ থেকে ১২০০ জনকে।

অন্যদিকে একই থানায় ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিম এর পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার বাদি সার্জেন্ট মিন্টু চন্দ্র দে। অন্য মামলার ন্যায় এই মামলাতেও একই অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতি হয়েছে ৫ লাখ টাকা। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে।

পল্লবী থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, পল্লবী থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় ১৫ অটোরিকশা চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখিত ও অজ্ঞাত পলাতক আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মিরপুর মডেল থানার ওসি মুন্সির সাব্বির আহমেদ বলেন, দায়ের করা মামলা এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধার সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

কাফরুল থানার ওসি ফারুকুল আলম জানান, কাফরুল থানায় দায়ের করা মামলায় ৬০০/৭০০ জন অজ্ঞাতকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার ১২ জন। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা, ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অন্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত।

এ দিকে বেলা ১১টা থেকে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেও কোনো অটোরিকশার দেখা মেলে নি। তবে পায়ের রিকশা ও অন্যান্য যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চললাম করছে।

;

এনআইডি সংশোধনে ভোগান্তি কমাতে গণ শুনানি করবে ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে জনসাধারণের ভোগান্তি কমাতে ও দ্রুত নিষ্পত্তিতে তৃণমূলে গণশুনানি করবে নির্বাচন কমিশন ইসি। এসময় সংশোধনের জন্য আবেদনকারীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সপ্তাহে একদিন উপজেলা, জেলা, আঞ্চলিক অফিসে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

সংস্থাটির এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন) মো. ফরহাদ হোসেন নির্দেশনাটি ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

ইসির নির্দেশনা জানানো হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন সংশোধন সেবা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাগণদের ক্ষমতায়ন করা হয়। এতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ তার আওতাভুক্ত আবেদনসমূহের সংযুক্ত দলিলাদি যাচাই-বাছাইকরণ এবং প্রয়োজন অনুসারে তদন্ত করে আবেদনসমূহ নিষ্পত্তি (অনুমোদন/আংশিক অনুমোদন/বাতিল) করবেন।

এই অবস্থায়, মে মাসের মাসিক সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে মাঠ পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে এক অথবা দুই দিন শুনানি গ্রহণ করে অনিষ্পন্ন আবেদনসমূহ নিষ্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হলো। সেই সঙ্গে পত্র প্রাপ্তির তিন কার্য দিবসের মধ্যে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকতা ও তার আওতাধীন সকল সিনিয়র জেলা/জেলা এবং উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসসমূহে সপ্তাহে কোন একদিন বা দুই দিন শুনানি গ্রহণ করবেন তার সমন্বিত তথ্য পাঠাতে হবে।

ইসি সূত্রে যায়, এনআইডি সংশোধনের জন্য নানা উদ্যোগের পরও সংশোধন নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের ভোগান্তি যেন কাটছেনা। এক একটা আবেদন নিষ্পত্তিতে লেগে যাচ্ছে মাসের মাসের পর। ফলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) টেবিলে পড়ে আছে সাড়ে পাঁচ লাখ অনিষ্পন্ন আবেদন।

ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, আবেদন আসার পর সেগুলোর জটিলতা অনুযায়ী ক, খ, গ ও ঘ; এই চারটি ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়। এজন্য ১০টি নির্বাচনি অঞ্চলের জন্য ১০ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। এক্ষেত্রে কোনো আবেদন কোনো ক্যাটাগরিতে ফেলতে দেরি হলে সেটি নিয়ে কোনো কাজই করা হয় না। এরপর ক্যাটাগরিতে ফেললেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবার নানা অজুহাতে সেগুলোর পরবর্তী কার্যক্রমে হাত দেয় না। তদন্ত করতেও দেরি করা হয়। মূলত এসব কারণে এনআইডি সংশোধন আবেদন নিষ্পত্তিতে মাসের পর মাস লেগে যায়। কোনো কোনো আবেদন বছরের পর বছর পড়ে থাকার নজিরও আছে।

বর্তমানে ইসির কাছে সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় পড়ে আছে। এগুলোর মধ্যে 'ক' ক্যাটাগরিতে এক লাখ ৩০ হাজার ৪২৬টি, 'খ' ক্যাটাগরিতে দুই লাখ ৫১টি, 'গ' ক্যাটাগরিতে দুই লাখ চার হাজার ২৫৫ টি ও 'ঘ' ক্যাটাগরিতে সাত হাজার ৬৬৫টি আবেদন পড়ে আছে। এছাড়া নয় হাজার ১১৫টি আবেদন এখনো ক্যাটাগরি করা হয়নি। সব মিলিয়ে পাঁচ লাখ ৫১ হাজার ৫১২টি আবেদন নিষ্পত্তি হয়নি।

;