কৃষকরা ধান কাটার কারণে ভোট কম পড়েছে: ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সদ্য অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোট পড়ার বেশ কয়েকটি কারণ জানিয়েছে। তারমধ্য বড় কারণ বৃষ্টি ও হাওড় এলাকায় কৃষকরা ধান কাটার কারণে ভোট কম পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

এই কমিশনারের ব্যাখ্যায় মোটা দাগে পাঁচ কারণে ভোট কম পড়েছে। এগুলোর মধ্যে বৈরি আবহাওয়া, বিএনপি ভোটে অংশ না নেওয়া, জনপ্রিয় প্রার্থীর অভাব, ধান কাটার মৌসুম এবং সাধারণ ছুটি থাকায় শ্রমিকরা নিজ এলাকায় চলে যাওয়ায় ভোট কম পড়েছে।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ধান কাটার মৌসুম বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে বোরো ধান যেসব এলাকায় আছে, এটা আমাদের আগেই মাঠ প্রশাসন থেকে বলেছে, যে ধান কাটার মৌসুমের জন্য ভোট কম পড়তে পারে। ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। আবার একটি বড় দল রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণ না করায় ভোট কম হয়েছে। শহর এলাকার ছুটি থাকলে শ্রমিকরা বাড়ি চলে যায়। গাজীপুরে কিন্তু ভোট কম পড়েছে। শুধু ধান কাটা না, নানা কারণে ভোট কম পড়েছে। আরো কোনো কারণ থাকলে তা গবেষকরা বলতে পারেন।

এছাড়া প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ওপরও ভোট পড়ার হার নির্ভর করে। এই নির্বাচনের ৭৩ শতাংশ ভোট পড়েছে এমন এলাকাও আছে। আাবার ১৭ শতাংশও ভোট পড়েছে এমন উপজেলাও আছে।

সিল মারার সংস্কৃতি থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসবেন এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, রাজনীতি তো সংস্কৃতির অংশ। তাই এনিয়ে বুদ্ধিজীবিদের সঙ্গে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। যারা গবেষণা করেন তাদের সঙ্গে বসতে হবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, গতকালের নির্বাচনে আমাদের কড়া বার্তা ছিল যে নির্বাচনে কোনোভাবে অনিয়ম হওয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশন চেয়েছে জন্য হয়েছে এটা বলা যাবে না, সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। ছোটখাটো ত্রুটি হতেই পারে, সেই ত্রুটিকে বড় করে দেখার কোনো কারণ নেই। যারা জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। একজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকেও জেল, একজনকে মামলা দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা খুব অ্যাক্টিভলি কাজ করেছেন।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। সরকার পরিবর্তন হবে না এই নির্বাচনে। তাই দলগুলোকে ভোটের আসার জন্য আমরা আলোচনায় ডাকিনি। এই নির্বাচনে সংলাপ করার কোনো দরকার নেই। তবে সকল দল আসলে ভোট পড়ার হার আরো বেশি হতো।

প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ২২টি উপজেলায় ইভিএমে ভোট হয়েছে, সেখানে ভোট পড়ার হার ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ। আর ব্যালট পেপারে হয়েছে ১১৭টি উপজেলায় ভোট হয়েছে।

   

খাবারে রাসায়নিক ব্যবহারে ইহকাল পরকাল নষ্ট হচ্ছে: বিভাগীয় কমিশনার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, খাবারে রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে এক দিকে যেমন পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে অপর দিকে যে ব্যবহার করছে তার ইহকাল পরকাল সবই নষ্ট হচ্ছে। এ থেকে আমাদের সকলকে বিরত থাকতে হবে|

সোমবার (২০ মে) রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ে বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)-এর এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পৃথিবীতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সময় এবং মানুষের সেবা করা। সব ধর্মেই এর গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা সেবা করতে গিয়ে অনেক সময় অধিক মুনাফার আশায় মানুষকে ওজন বা পরিমাপে কম দেই, যেটা চরম অপরাধ। মানুষ অনেক কষ্ট করে টাকা উপার্জন করে। সেই কষ্টের টাকা আমরা কোনোভাবেই বিনষ্ট হতে দিবো না।

হুমায়ূন কবীর বলেন, ফল পরিপক্ক হওয়ার আগে নামিয়ে ফেলে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করে বাজারজাত করা হচ্ছে। এতে মানুষের চরম ক্ষতি হচ্ছে। এটা বিএসটিআই বা প্রশাসনের পক্ষে একাই নির্মূল করা সম্ভব নয়। আপনাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আপনাদের বাড়ির আশেপাশে যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে তবে আমাদের জানান, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এছাড়া অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন অভিযোগ সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন বিভাগীয় কমিশনার।

বিএসটিআই’র উপপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মুনীম ফেরদৌস, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এণ্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এণ্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আরিফুল ইসলাম নাহিদসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

ছেলেকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে দেখে মায়ের বিষপান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় নিজ সন্তানকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে দেখে তাহমিনা আক্তার (৫১) নামের এক মা বিষপানে আত্নহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন।

রবিবার (১৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডস্থ মধ্যম মিরেরখীল মাইজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, স্থানীয় কৃষক দিদারুল আলমের মানসিক ভারসাম্যহীন পুত্র মো. তারেক (২২) রবিবার সন্ধ্যার দিকে নিজ ঘরের বিমের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে নিজ সন্তানকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে দেখে মা তাহমিনা আক্তার নিজেও বিষপান করে আত্নহত্যার চেষ্টা চালান।

এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে থাকা তারেককে নামিয়ে নেন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তারেককে মৃত ঘোষণা করেন এবং তার মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

প্রতিবেশী সমাজসেবক ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শুক্কুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তারেক ছেলেটি একটি দোকানে সেলসম্যানের কাজ করতো। সে মানসিক ভারসাম্যহীন। এর আগেও একবার সে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলো।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ছেলের মৃত্যু হয়। আর বিষপান করা মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

হাটহাজারী মডের থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে এলে কিভাবে কি হয়েছে তা জানা সম্ভব হবে।

;

বাজেট অধিবেশন বসছে ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশন বসছে আগামী ৫ জুন; যে অধিবেশনে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের সূচি রয়েছে।

এদিন বিকাল ৫টায় সংসদের বৈঠক বসবে। আর আগামী ৯ জুন বাজেট পেশ করা হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।

সোমবার (২০ মে) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখার যুগ্মসচিব কর্মকর্তা মো. তারিক মাহমুদ এই তথ্য জানিয়েছে।

সংসদ সচিবালয় এরইমধ্যে বাজেট অধিবেশনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

;

ঘুরে ঘুরে শিশু অপহরণ, মুক্তিপণ না দিলেই বিক্রি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে শিশু অপহরণ করতেন সুমাইয়া (৪৫)।এরপর ওই শিশুদের অভিভাবকদের কাছে দাবি করা হতো মোটা অংকের মুক্তিপণ।পরিবার মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হলে শিশুদের বিক্রি করে দিতেন।

সম্প্রতি রাজধানীর বাড্ডা থেকে মরিয়ম নামের দুই বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সুমাইয়া। সোমবার (২০ মে) ডিএমপির বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শনিবার সকাল ১১টার দিকে শিশু মরিয়মকে অপহরণ করেন শিশু বিক্রি চক্রের মূলহোতা সুমাইয়া। পরবর্তীতে শিশুটিকে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে টেলিফোনের মাধ্যমে ভিকটিমের পরিবারের কাছে মুক্তিপণের জন্য টাকা দাবি করলে বাড্ডা থানায় লিখিত অভিযোগ করে শিশুটির পরিবার। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে আসামি সুমাইয়ার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে বাড্ডা থানার এসআই সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, শাহ আলম খলিফা, এএসআই রুহুল আমিন ও নারী পুলিশ সাথী আক্তারের সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল দ্রুত সময়ের মধ্যে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলা থেকে সুমাইয়াকে গ্রেফতার করে এবং মরিয়মকে উদ্ধার করে।

গ্রেফতার সুমাইয়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে শিশুদের অপহরণ করে বিক্রি করেন বলে স্বীকার করেছেন সুমাইয়া।

বাড্ডা জোনের এসি রাজন কুমার সাহা বলেন, বর্তমানে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ও আধুনিক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত। তাই যে কোনো ধরনের অপরাধ চক্রকে খুঁজে বের করে রহস্য উৎঘাটন করার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি। একই সঙ্গে এ ধরনের চক্রের থেকে সতর্ক থাকতে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহবানও জানান তিনি।

;