সরকারের বিরোধিতা করা বিএনপির স্বভাব: নানক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সরকারের বিরোধিতা করা বিএনপির স্বভাব: নানক

সরকারের বিরোধিতা করা বিএনপির স্বভাব: নানক

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের বিরোধিতা করা বিএনপির স্বভাব বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) মোহাম্মদপুর টাউন হলে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা ও মিলাদ-দোয়ায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি সরকারের বিরোধিতা করতে করতে তাদের নিজের খাসলতে পরিণত হয়েছে। যতদিন না তারা এটি থেকে বের হতে না পারবেন, লন্ডনে থাকা তারেক জিয়াকে পরিত্যাগ করতে না পারবেন ততদিন তারা রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত নিতেই থাকবেন।

বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের এ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, আজকে যারা বড় বড় কথা বলেন, ঘুম থেকে উঠেই আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। শেখ হাসিনার শাসনামলের চেয়ে কোন আমল ভাল ছিল এটা আমার মঈন খানদের (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানকে) প্রতি প্রশ্ন।

১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের সেই ভয়াবহ ঘটনার পর তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে জার্মানির ফ্রাংকফুটে বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের সঙ্গে দেখা হয়। সেখানে তারা সেই সরকারের প্রতি তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনকে অনাস্থা জানাতে বললেও সেই প্রতিবাদটুকু বা অনাস্থা জানাতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি।

এসময় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতিচারণ করে পাটমন্ত্রী বলেন, রাজনীতির সুবাধে আমি ওয়াজেদ মিয়ার একজন অত্যন্ত স্নেহ ধন্য মানুষ ছিলাম। তার সঙ্গে অনেক স্মৃতি কথা রয়েছে। স্নেহ ধন্য মানুষ হিসেবে আমি গর্বিত তার শেষ যাত্রায় মরদেহের সঙ্গে সঙ্গী ছিলাম। আমি অনেক কথা জানি। তিনি আমাদের কাছে নিবৃত্ত জ্ঞানী, পন্ডিত ও সুধীজন ছিলেন।

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়াকে ক্ষমতার মোহ কখনোই স্পর্শ করতে পারেনি মন্তব্য করে নানক বলেন, তার মধ্যে কোন আত্ম-অহমিকা ছিল না। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে কারাভোগও করেন।

স্বরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ও পাঠাগার পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নূরুন নবী ভোলা।

স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন চেয়ারম্যান ড. মো: শৌকত আকবর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোঃ-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমসিএইচ-সার্ভিসেস) ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান সিদ্দীকী প্রমুখ।

   

কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং শুরু করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরতে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং শুরু করতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২০ মে) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বিকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাজার মনিটরিংয়ে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাজার মনিটরিংয়ে জোরালোভাবে নজর দিতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, কিছু পণ্যে বাজারে জোগানের সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং শুরু করার জন্য বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন।

;

টিকাদানে ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম চালু করল চসিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
টিকাদানে ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম চালু করল চসিক

টিকাদানে ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম চালু করল চসিক

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশুদের টিকাদানের ইপিআই কার্যক্রমকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে রূপান্তরের মাধ্যমে এক বছরের নিচে সকল শিশুকে চিহ্নিত করা এবং আরও নিখুঁতভাবে অধিকতর কভারেজের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষে টিকাদান কার্যক্রমে ই-ট্র্যাকার চালু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

সোমবার (২০ মে) নগরীর পেনিনসুলা হোটেলের ডালিয়া হলে ইউনিসেফের সহায়তায় এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, ইমিউনাইজেশন ই-ট্র্যাকারের মতো একটি আধুনিক প্রযুক্তি বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রমে সংযোজন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। ইতোমধ্যে ভেকসিন হিরো'র স্বীকৃতি এনে দিয়েছে বাংলাদেশের টিকাদান কার্যক্রমের সাফল্য। ই-ট্র্যাকার চালুর মূল উদ্দেশ্য নগরীতে টিকা না পাওয়া বা কম পাওয়া এবং ভাসমান শিশুদের খুঁজে বের করে টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা। আমরা টীকাদানকে শতভাগ নিশ্চিত করতে চাই।

'চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ইপিআই কার্যক্রম অধিকতর জোরদারকরণের লক্ষ্যে SMART HEALTH BD এ্যাপ-এর মাধ্যমে ইপিআই E-Tracker এর কার্যক্রম ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া ২০ এপ্রিল থেকে GIS-Based Online Microplanning & Reporting ইপিআই কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এ কার্যক্রমে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৩ হাজার শিশুকে SMART HEALTH BD এ্যাপ-এর মাধ্যমে নিবন্ধন করা হয়েছে। আজ এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হল।'

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রধান মায়া ভেন্ডেন্যান্ট, ইউনিসেফ চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান ফিল্ড অফিসার মাধুরী ব্যানার্জী, চসিকের স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা। প্রেজেন্টেশন স্থাপন করেন ইউনিসেফ এর হেলথ্ স্পেসালিস্ট ডা. রিয়াদ মাহমুদ।

উপস্থিত ছিলেন-চসিকের প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর ছালেহ্ আহম্মদ চৌধুরী, সলিম উল্লাহ বাচ্চু, নাজমুল হক ডিউক, মো. ইসমাইল, সফিউল আজিম, আবদুস সালাম মাসুম, নুরুল আমিন, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, জাফরুল হায়দার চৌধুরী সবুজ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর তসলিমা বেগম নুরজাহান।

;

বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক চালু, পুরস্কার কোটি টাকা ও স্বর্ণপদক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদান রাখাসহ বিভিন্ন অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক চালু করেছে সরকার। প্রতি ২ বছর পর একজন ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। পদক পাওয়া ব্যক্তি ১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা) পাবেন। এছাড়া তাকে ৫০ গ্রাম ওজনের (চার ভরির বেশি) ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ পদক দেওয়া হবে।

সোমবার (২০ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে একথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভায় বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

মাহবুব হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুব রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীতিমালা করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করেন। তারই আলোকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা-২০২৪ (খসড়া) প্রস্তুত করা হয়। ২০ মে বৈঠকে খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা, যুদ্ধ নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ ও অবদান রাখা, দ্বন্দ্ব সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখা, টেকসই সামাজিক পরিবেশগত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন- পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, কোন দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান বা সেই দেশের সংসদ সদস্যরা প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি যত দূতাবাস রয়েছে সেই দূতাবাসের প্রধানরা বা আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা পুরস্কারের জন্য নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশন বা দূতাবাসের প্রধানরাও প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন। জাতিসংঘের কোনও সংস্থা প্রধানও নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। তবে কোনও ব্যক্তি নিজে পুরস্কারের জন্য দাবি জানাতে পারবেন না। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে (১৭ মার্চ) পুরস্কারের নাম ঘোষণা করা হবে, আর নিকটতম সময়ে পুরস্কার হস্তান্তর করা হবে।

১৯৭৩ সালের ২৩ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয় জুলিও কুরি পদক। সেই পদক প্রাপ্তির ৫২তম বার্ষিকী হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে পান শান্তি পদক জোলিও কুরি।

;

রংপুরে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৩ সদস্যের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তিন সদস্যকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাদেরকে পৃথক পৃথক মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এসময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে রংপুর সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের গ্রুপ প্রধান নগরের কেরানীপাড়ার জাহিদ হাসান ওরফে আবু জায়েদ আল আনসার, মোবারক আলম ও শাহ আলম।

তাদের মধ্যে জাহিদকে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড ও ছয় হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড এবং মোবারক ও শাহ আলমকে চার বছর করে কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৪ মে রাতে র‌্যাব-১৩ এর একটি দল রংপুর নগরের কেরানীপাড়ার আব্দুল্লাহর ছেলে জাহিদ হাসান ওরফে আবু জায়েদ আল আনসারের বাড়িতে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কয়েকজন সদস্য নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য একত্রিত হয়েছেন বলে জানতে পান। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে জাহিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই সময় জাহিদ আটক হলেও অন্য সদস্যরা পালিয়ে যান। অভিযানে র‌্যাব জাহিদের বাড়িতে থাকা বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত গান পাউডার, মোটরসাইকেলের বল বিয়ারিং, পুরাতন ক্যাপাসিটর, স্কচটেপ, ইলেক্ট্রিক তার, ব্যাটারি ও মোবাইল সেট জব্দ করে। সেই সঙ্গে জাহিদের মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বোমা তৈরির পদ্ধতি, অপরাধ সংগঠনের পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টা সংক্রান্ত নানা তথ্যাবলি পায় র‌্যাব।

এ ঘটনায় র‌্যাব জাহিদ ও তার সহযোগীদের আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে পলাতক আসামি মোবারক আলম ও শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে তাদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সোমবার এ রায় দেন বিচারক।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রুহুল আমিন তালুকদার।

;