ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন দেশের আণবিক গবেষণার পথিকৃৎ: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া তাঁর সমগ্র জীবনে মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশ, জাতি ও জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।

তিনি বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া ক্ষমতার অনেক কাছাকাছি থেকেও কখনো ক্ষমতার দাপট না দেখিয়ে বরং খুব সাদামাটা একটা জীবন কাটাতেই পছন্দ করতেন। এটাই ছিল তাঁর জীবনের অন্যতম বড় একটি দিক। মেধাবী এই মানুষটি নীরবে, নিভৃতে নিরলসভাবে গবেষণায় থেকে দেশের উন্নয়নের জন্য আমৃত্যু কাজ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, অসাধারণ মেধার অধিকারী ছিলেন তিনি; যার প্রতিফলন ঘটে তাঁর শিক্ষা ও কর্ম জীবনে। তিনি ছিলেন দেশের আণবিক গবেষণার পথিকৃৎ। পরমাণু গবেষণায় তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন এবং বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে দক্ষতা ও সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর গবেষণা কর্মের পরিধি ছিলো অত্যন্ত ব্যাপক।

তিনি বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। ষাটের দশকে তিনি ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

মন্ত্রী বলেন, তাঁর ( ড. ওয়াজেদ মিয়া) দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে আদর্শ শিক্ষা দিয়ে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। যার প্রমাণ আমরা পাচ্ছি। পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্নের আলোতে আলোকিত হচ্ছে সমগ্র বাংলাদেশ। আর কন্যা সমাজের অবহেলিত প্রতিবন্ধী ও পিছিয়ে পড়া নারীদের নিয়ে কাজ করে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত। তিনি ক্ষমতার কাছে অবস্থান করলেও ড. ওয়াজেদ ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ ও নিভৃতচারী একজন সহজ-সরল মানুষ

বঙ্গবন্ধু একাডেমির সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সহ সভাপতি তালুকদার সরোয়ার হোসেন, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. নুরুন নবী বক্তৃতা করেন।

   

ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর জব্দ খাবার গেল এতিমখানায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
জব্দ খাবার গেল এতিমখানায়

জব্দ খাবার গেল এতিমখানায়

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর পক্ষে চা শ্রমিকদের মাঝে খাবার বিতরণের অপরাধে এক ব্যক্তিকে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় জব্দ করা খাবারগুলো এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

সোমবার (২০ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের রাঙ্গাপানি চা বাগান এলাকায় নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের অপরাধে তাকে এ সাজা দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন।

জানা গেছে, এদিন বেলা ১১টার দিকে ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের রাঙ্গাপানি চা বাগান এলাকায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের দ্বারা আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকল্পে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

এ সময় নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর পক্ষে চা বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করার অপরাধে প্রদীপ কুমার নাথ ওরফে প্রকাশ লক্ষণ বাবুকে নির্বাচন আচরণ বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ১৭ ভঙ্গের অপরাধে একই বিধিমালার ৩২ বিধি অনুসারে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

এছাড়া জব্দকৃত প্রায় ৩০০ পিস কলা ও ৩০০ পিস বনরুটি ফটিকছড়ি উপজেলার আল জামিয়াতুল কোরআনীয়া তালিমুদ্দিন মাদরাসা ও এতিমখানার শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।

;

প্রবাসির স্বর্ণ ছিনতাই, সেই বরখাস্ত পুলিশ উপপরিদর্শক রিমান্ডে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস এলাকা থেকে এক সৌদি প্রবাসির ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগী শহীদুল ইসলাম জাহেদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২০মে) বিকেলে চট্টগ্রামের মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমাণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, খুলশি থানীর সদ্য বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম এবং তার সহযোগী নগরের বাকলিয়া থানার রাহাত্তার পুলের কেবি আমান আলী সড়কের বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম জাহেদ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (প্রশিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দীন।

তিনি বলেন, গতকাল সৌদি প্রবাসী আবদুল খালেক থেকে ১৬ ভরি র্স্বণ ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেফতার বরখাস্তকৃত এসআই আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগী শহীদুল ইসলাম জাহেদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, রোববার সকালের দিকে সৌদিপ্রবাসী আবদুল খালেক চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরছিলেন। তাঁকে বহনকারী গাড়ি নগরীর খুলশী থানার টাইগারপাস এলাকায় পৌঁছালে তার গতি রোধ করেন এসআই আমিনুল ইসলাম। দুই সহযোগিকে নিয়ে ওই এসআই প্রবাসী আবদুল খালেকের কাছ থেকে ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেন। এরপর ওই গাড়িসহ প্রবাসীকে নিয়ে নগরের কয়েকটি জায়গায় ঘোরেন।

একপর্যায়ে দুপুর সোয়ার দুইটার দিকে দিকে আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের দুই নম্বর গেট অংশে নিয়ে প্রবাসীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিতে চেষ্টা করেন এসআই আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা। গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার সময় প্রবাসী আবদুল খালেক পুলিশ কর্মকর্তার কাপড় ধরে রাখেন। কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়। এরই মধ্যে সেখানে লোকজন ভিড় জমান। খবর পেয়ে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এসআই আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগী শহীদুলকে গ্রেফতার করে খুলশী থানায় হস্তান্তর করে। এবং দ্বিতীয় সহযোগী পালিয়ে যান। এ ঘটনায় প্রবাসী আবদুল খালেক বাদী হয়ে নগরের খুলশী থানায় মামলা করেন।

এদিকে গ্রেফতাররের পরপর ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ (সিএমপি)।

;

গাড়িতে সরকারি লোগো সাঁটিয়ে ইয়াবা পাচার, গ্রেফতার ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আত্মসমর্পণকৃত ইয়াবা কারবারি আবদুল আমিন (৪০) কে ৭ লাখ ইয়াবাসহ কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ হতে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব -১৫। এসময় তার ৩ সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২০ মে) দিবাগত রাতে সরকারি লোগো সাঁটিয়ে বিলাসবহুল (এসইউভি) পাজেরো গাড়িতে করে ইয়াবাগুলো কক্সবাজার পাচারকালে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়ন সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভের পাটুয়ারটেক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় গাড়ির পেছনের সাইডে রাখা ৭ লাখ ইয়াবা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইয়াবার বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকারও অধিক বলে জানা গেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুখ্যাত মাদক কারবারি ইয়াবা সম্রাট ও পার্শ্ববর্তী দেশ হতে মাদক চোরাকারবারীর অন্যতম হোতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আত্মসমর্পণকৃত ইয়াবা কারবারি আবদুল আমিন (৪০), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু সৈয়দ এর পুত্র মো: আবদুল্লাহ (৩৫), তার ভগ্নিপতি নুরুল আবসার (২৮) ও জাফর আলম (২৬)।

শনিবার র‍্যাব-১৫ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানায় র‍্যাব-১৫ এর উপ অধিনায়ক মেজর শরিফুল আহসান।

তিনি আরো জানান, আটক আবদুল্লাহর বাবা আবু সৈয়দের মালিকানাধীন বিলাসবহুল গাড়িটিতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এর লোগো লাগানো ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতেই ইয়াবা কারবারিরা এই পন্থা অবলম্বন করেছিল বলে জানায় র‍্যাব।

র‍্যাব আরো জানায়, মিয়ানমার থেকে ইয়াবাগুলো বাংলাদেশ সরবরাহ করছিল মিয়ানমারের বাসিন্দা বার্মাইয়া সিরাজ। এই বার্মায়া সিরাজের মাধ্যমেই বেশীর ভাগ ইয়াবা টেকনাফ সিমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন বাংলাদেশের মাদক কারবারিরা।

;

ব্যাটারিচালিত রিকশা নির্দিষ্ট এলাকায় চালানোর ব্যবস্থার নির্দেশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ঢাকার নির্দিষ্ট এলাকায় চালানোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২০ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভায় বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন -২০২৪ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন আইনে সিইসির বেতন ১০৫০০০ এবং অন্যান্য কমিশনারদের বেতন ৯৫০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগে সিইসির বেতন বলা ছিল আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন পাবেন। এখন একই সমান রাখা হয়েছে, তবে অংক নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব।

বিশেষ ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হবে। বৈশাখী ভাতা, নিয়ামক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা আগের মতোই থাকছে। আগে ইংরেজিতে ছিল এখন বাংলাতে হবে বলে জানান তিনি।

;