চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিট প্রকল্প একনেকে অনুমোদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিট প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিট প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট বার্ন ইউনিট প্রকল্প একনেক অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রায় ২৮৫ কোটি টাকার এই প্রকল্পে চীন সরকার অনুদান হিসেবে দেবে ১৭৯ কোটি ৮৩ লাখ ১৯ হাজার ৬শ টাকা। বাকি ১০৪ কোটি ৯৩ লাখ ৩১ হাজার ৯৫৫ টাকা দেবে সরকার। প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত পর্যালোচনা ও টেন্ডারসহ যাবতীয় কাজ শেষ করে আগামী আগস্ট মাসে কাজ শুরু করার আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চলতি বছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) নবম সভা এই প্রকল্প পাস হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের জন্য নতুন নাম নির্বাচন করতে উন্নয়ন সহযোগীর সাথে আলোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন।

প্রকল্প আনুমোদনের বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান।

তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় চীনের অর্থায়নে ১৫০ বেডের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। আমি প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ তার এই সিদ্ধান্তে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবার মান এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে। ধন্যবাদ জানাই দেশের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারীর কর্নধার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনকে, যিনি গত একযুগেরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রামে একটি পূর্নাঙ্গ বার্ন হাসপাতাল করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী ও হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

শামীম আহসান বলেন, প্রায় ২৮৪ কোটি ৭৬ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৫ টাকার এই প্রকল্পে চীন সরকার অনুদান হিসেবে দেবে ১৭৯ কোটি ৮৩ লাখ ১৯ হাজার ৬শ টাকা। বাকি ১০৪ কোটি ৯৩ লাখ ৩১ হাজার ৯৫৫ টাকা দেবে সরকার। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীন থেকে আমদানিতে ট্যাক্স ভ্যাট বাবদ ৭০ কোটি টাকাসহ সংযোগ রাস্তা, সীমানা প্রাচীর, বৈদুতিক সংযোগ, দুটি এ্যাম্বুলেন্স, কেমিক্যাল রিএজেন্ট ও আনসারএর খরচ ধরা হয়েছে।

তারা আজ জানিয়েছে, চীনা কতৃপক্ষ শীঘ্রই ডিজাইন রিভিউ ফাইনাল করবেন। এরপর তারা টেন্ডারের মাধ্যমে নির্মান কাজের যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে আগামী আগস্ট মাসে কাজ শুরু করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

নির্মাণ কাজ শেষ হলে দেড়শ রোগী একসঙ্গে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। ১০টি আইসিইউ বেড, ১০টি পুরুষ ও ১০টি মহিলা এবং ৫টি শিশু এইচডিইউ বেড থাকবে। এই প্রকল্পে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ অপারেশন থিয়েটার থাকছে জানান হাসপাতাল পরিচালক।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৭ মে চীনা প্রতিনিধি দল কর্তৃক চট্টগ্রাম বার্ন ইউনিটের স্থান নির্বাচন করা হয়। ২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের সরকারের মধ্যে প্রাথমিক নকশা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একই বছরের ৩০ মার্চ প্রকল্প বাস্তবায়ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ হাজার ৬৩০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে ৯ হাজার বর্গমিটার ফ্লোর স্পেসে বিভিন্ন বিভাগসহ ১০ শয্যার আইসিইউ এবং ২৫ শয্যার এইচডিইউ ও তিনটি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটারসহ ৬ তলা ভবন বিশিষ্ট ১৫০ শয্যার বার্ন ইউনিট নির্মিত হবে।

   

মাধবদীতে সিজারের পর নারীর মৃত্যু, অবহেলার অভিযোগ পরিবারের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর মাধবদীতে সিটি (প্রা.) হাসপাতালে প্রসবকালীন অস্ত্রোপচারের পর ছনিয়া আক্তার (২০) নামের এক নারীর মৃত্যর ঘটনা ঘটেছে। স্বজনদের দাবি, চিকিৎসকের অবহেলায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) রাত ১১টার দিকে মাধবদীর বথুয়াদী গ্রামের ইয়ামিনের স্ত্রী ছনিয়া আক্তারের প্রসব ব্যথা শুরু হলে মাধবদী সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ছেলে সন্তান জন্মদানের পর রোগীর মৃত্যু হয়।

পরিবার ও এলাকাবাসী হাসপাতালের অবহেলায় মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন। সোমবার (২০ মে) বেলা ১১টা পর্যন্ত বিষয়টি সমাধানের জন্য হাসপাতালেই লাশ পড়েছিল। পরে ভোক্তভোগী পরিবারকে ম্যানেজ করতে চেষ্টা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে মৃত ছনিয়ার স্বামী মো. ইয়ামিন বলেন, সিজার করার পর রোগী অসুস্থ হয়ে যায়। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডাক্তার আনার কথা বললেও ডাক্তার আসেনি। অন্য হাসপাতালে নেওয়ার কথা বললেও তারা রোগী নিতে দেয়নি।

রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে মাধবদী সিটি হাসপাতালের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন জানান, রাত ১১টায় রোগী ভর্তি হয়। রাত ১২টার সময় ডা. শের ই মোস্তফা সিজার করলে ছেলে বাচ্চার জন্ম হয়। পরে রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তার সুমন কুমার নাথ চিকিৎসা করেন। এসময় অন্য কোনো ডাক্তার ছিল না। রোগী ভোর ৫টায় মৃত্যুবরণ করেন।

হাসপাতালের নিয়মিত ডিউটি ডাক্তার সুমন কুমার নাথ বলেন, রোগীর অবস্থা তিনদিন যাবতই খারাপ ছিল। রাতে যখন নিয়ে আসে তখন আমরা বলেছিলাম রোগীর অবস্থা ভালো নয়। রোগী ও বাচ্চা দুইজনই মারা যেতে পারে। আমরা সিজার করতে পারব না। পরে রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনদের কথায় আমরা সিজার করি।

;

চেস্টার সিটির ডেপুটি মেয়র হলেন সিলেটের শিরিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যের চেস্টার সিটির ডেপুটি মেয়র হয়েছেন শিরিন আক্তার। তিনি বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর এবার ডেপুটি মেয়র হলেন।

রোববার (১৯মে) অফিস হলে ডেপুটি মেয়র হিসেবে তাকে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়।

শিরিন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার উত্তর ধর্মদা গ্রামের শাহ হুশিয়ার উল্ল্যা ও পারভীন আক্তার দম্পতির দ্বিতীয় মেয়ে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিরিন আক্তারের চাচা শাহ বাবুল উল্ল্যাহ।

২০২৩ সালের ৪ মে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে লেবার পার্টি থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ‘চেস্টার সিটির আপটন’ এলাকা থেকে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

প্রথমবারের মতো কাউন্সিলার বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই চেস্টার সিটি কাউন্সিলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন শিরিন।

জানা যায়, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিরিন আক্তারের জন্ম যুক্তরাজ্যে হলেও ছোট বেলায় তিনি বিশ্বনাথের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই বছর লেখাপড়া করেন। পরে বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান এবং সেখানে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

বর্তমানে তিনি সেখানে বিভিন্ন সামজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া শিরিন আক্তারের নির্বাচনী প্রচারণায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাততি রেজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপসহ বাঙালি কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী অংশ নিয়েছিলেন।

শিরিন আক্তার যুক্তরাজ্যে ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় বাঙালি কমিউনিটির পাশাপাশি নিজ জন্মভূমি বিশ্বনাথ তথা সিলেটে থাকা আত্মীয় স্বজনদের মধ্যেও আনন্দের বন্যা বইছে।

এব্যাপারে শিরিন আক্তারের বাবা শাহ হুশিয়ার উল্ল্যা বলেন, চেস্টার সিটির ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আমার মেয়ে ডেপুটি মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছে। এই আনন্দ মুখে বলে প্রকাশ করতে পারবো না। এতে শুধু সিলেটের নয়, বাংলাদেশের সুনামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে শিরিন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। আশা করি আগামীতে তার কর্ম দক্ষতা দিয়ে দেশ ও জন্মভূমির মানুষের জন্য কাজ করবে।

;

ভারত থেকে ২০০ বগি কিনতে রেলওয়ের চুক্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০০টি আধুনিক যাত্রীবাহী কোচ কিনতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আরআইটিইএস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে।

সোমবার (২০ মে) রাজধানীর রেলওয়ে ভবনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, ভারতীয় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব করপোরেশন মিচেল ক্রেজা ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, আমাদের ক্যারেজের খুব সমস্যা। এই মূহুর্তে আপনারা (ভারতীয়) যে ক্যারেজ দিচ্ছেন এর জন্য ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, চুক্তিতে ক্যারেজ কবে দেওয়া হবে সেই সময় উল্লেখ নেই। সময় উল্লেখ থাকলে আমাদের সুবিধা হবে। আমরা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে পারবো। আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি দুই সেট ক্যারেজ দেওয়া যায় তবে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। বাকিগুলো শিডিউল করে নিলে হবে।

মন্ত্রী বলেন, রেলের কর্মকর্তারা স্লো। এটা আমার জন্য দুঃখজনক। তারা ভাবে এটা ৫ থেকে ৬ মাস লাগবে। আমাদের আরও বগি লাগবে।

রেলসচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণাঞ্চলে রেলের সংযোগ স্থাপন হয়েছে। এতে করে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর যোগাযোগ বাড়ছে। এরফলে এসব প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ রেল যোগাযোগকে ত্বরান্বিত করবে।

মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেলের লক্ষ্য হচ্ছে যোগাযোগ পরিধি বাড়ানো, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল সংযোগ স্থাপন করা, যাত্রীসেবা দেওয়া। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা অনেকাংশে সম্ভাব হবে।

জানা যায়, প্রকল্পের সময় ১ জুলাই ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২৬। বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) অর্থায়নে প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ২৯৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৯ টাকা (ডলার ১১৬ টাকা ৭১ পয়সা)। এতে করে প্রতিটি বগির দাম আসে ৬ কোটি ৪৯ টাকা। এটি দিবে ইআইবি যা ম্যাটিরিয়াল চার্জ। এরপর দেশে বগি আসার পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সেটি খালাস বাবদ আরও ৩৫ শতাংশ টাকা দিতে হবে। এই অর্থ দিবে বাংলাদেশ সরকার যা প্রায় ৩০৩ কোটি টাকা।

চুক্তি অনুযায়ী সবধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ২০ মাসের পর থেকে বগি দেওয়া শুরু হবে, যা চলবে ৩৬ মাস পর্যন্ত। অর্থ্যাৎ ১৬ মাসের মধ্যে রেলওয়ে এই বগিগুলো পাবে।

রেলওয়ে বলছে, বগিগুলো হবে স্টেইনলেস স্টিলের, দ্রুতগতি সম্পন্ন, বগির ছাদে এসি থাকবে, অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতি ও পরিবেশবান্ধব হবে। এই বগিগুলো পরবর্তীতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

প্রকল্পের উদ্দেশ হিসেবে বলা হয়েছে, ক্যারেজের প্রাপ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে যাত্রীদের আধুনিক, নিরাপদ ও আরামদায়ক সেবা প্রদান, যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন রুটে রেল পরিচালনা, পুরোনো ও আয়ুষ্কাল শেষ হওয়া যাত্রী ক্যারেজগুলো প্রতিস্থাপন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা।

রেলওয়ে নিজস্ব নথিতে স্বীকার করে বলেছে, সারাদেশে রেলের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়লেও যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে রয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প দ্রুততার সাথে শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে।

রেলওয়ে আশা করছে, এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশে রেলপথে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। তবে এ প্রকল্প দুটি পরিপূর্ণভাবে শেষ হলে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাত্রী বহনের সুবিধার্থে সাহায্য করবে।

;

বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক দেবে সরকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক দেবে সরকার। শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদান রাখাসহ বিভিন্ন অবদানের জন্য প্রতি ২ বছর পর একজন ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।

সোমবার (২০ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

পদক পাওয়া ব্যক্তি ১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা পাবেন। এছাড়া তিনি ৫০ গ্রাম ওজনের (চার ভরির বেশি) ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ পদক পাবেন।

এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা-২০২৪ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

;