অসময়ে ভাঙছে নদী, আতঙ্কে পদ্মা পারের মানুষ
হঠাৎ করে অসময়ে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় দেখা গিয়েছে নদী ভাঙন। বেশি ভাঙনের কবলে পড়েছে ৬ নম্বর ফেরী ঘাট এলাকা। অসময়ে নতুন করে ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে নদীপারের মানুষ। গত এক সপ্তাহে ভাঙনে প্রায় ৫০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। পদ্মা নদীর ভাঙনের শিকার পদ্মা পারের মানুষগুলো আগের থেকেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে ভাঙন শুরু হলেও ভাঙন প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআইডব্লিউটিএ) বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছে।
এরই মধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদী ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করা হবে। কোথায় কোথায় আগে জিও ব্যাগ ফেলতে হবে তা নির্ধারণ করা হচ্ছে। সেই মোতাবেক কাজ চলবে।
ভাঙন এলাকাতে গিয়ে দেখা যায়, অসময়ের ভাঙনের কবলে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দৌলতদিয়া ৬ নং ঘাট এলাকা। ভাঙনরোধে বিআইডব্লিউটিএ এর সহযোগিতায় ট্রলার থেকে বালু ভর্তি করে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলছে শ্রমিকরা।
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক ভাঙনের কবলে পড়ে রাজবাড়ীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া পদ্মা পাড়ের হাজারো মানুষ। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন তারা। পাকা স্থাপনা, বসত বাড়ি, কৃষি আবাদী জমিসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। হুমকির মুখে রয়েছে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ।
ভাঙনরোধে প্রতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করলেও তা নিয়ে ভুক্তভোগীদের রয়েছে নানা অভিযোগ। দায়সারা কাজ করে সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাট করছে একটি অসাধু সরকারি কর্মকর্তাদের চক্র বলে দাবি করেন পদ্মা পারের মানুষ। নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী উদ্যোগ গ্রহণ করার জোড় দাবি জানান তারা।