কেএনএফের ফারুকপাড়া সভাপতি র্যাবের হাতে গ্রেফতার
বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় বান্দরবান সদরের ফারুকপাড়া কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বমকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বুধবার (৮ মে) বিকেলে বান্দরবান সদরের ফারুকপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সানজু খুম বম একই এলাকার বাসিন্দা মুন হেয় বমের ছেলে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, র্যাব-১৫, সিপিসি-৩ বান্দরবান ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৮ মে বিকেলে বান্দরবান সদরের ফারুকপাড়ায় অভিযান চালায়। সানজু খুম বমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি কেএনএফের অন্যতম সদস্য এবং বান্দরবান সদরের ফারুকপাড়া কেএনএফের সভাপতি। তিনি রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র-গুলি লুট ও ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণের ঘটনায় জড়িত। এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থানরত অন্যান্য কেএনএফ সদস্যদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তিনি কেএনএফের রসদ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, র্যাব সানজু খুম বমকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। এসময় আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হক আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এপর্যন্ত মোট ৮৪ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৮৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জন নারী রয়েছেন।
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত রুমাতে পাঁচটি ও থানচিতে চারটিসহ মোট ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।