চার ঘণ্টা পর ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেল দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে ইঞ্জিন বিকল হওয়া দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন প্রায় চার ঘণ্টা পর ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে ক্রুটি দেখা দেয়। পরে রাত ১০টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে বিকল্প ইঞ্জিন এসে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের পুলিশ ফাড়ির আইসি উপ-পরিদর্শক (এসআই) কার্তিক চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে গফরগাঁও স্টেশনে পৌঁছালে ইঞ্জিন বিকল হয়। ট্রেনটি গফরগাঁও স্টেশনের এক নম্বর লাইনে দাঁড় করিয়ে দুই নম্বর লাইন দিয়ে ঢাকা ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল সচল রাখা হয়। পরে রাত ১০ টায় ময়মনসিংহ থেকে বিকল্প ইঞ্জিন এসে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এদিকে, বিকল ইঞ্জিন ময়মনসিংহ নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

   

কোম্পানীগঞ্জে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে স্বামী জহিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।

নিহত ফারজানা আক্তার (২২) সুবর্ণচর উপজেলার চরবৈশাখী গ্রামের বসির উল্যার মেয়ে।

শুকবার (১৪ জুন) দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চরকলমি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতের বাবা বসির উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, ৫-৬ বছর আগে চরকলমি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বড় ছেলে জহিরুল ইসলামের সাথে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। জহির স্থানীয় বাজারে স্টিলের আলমারির ব্যবসা করেন। ব্যবসার সুবাদে তার দোকানে আসা একাধিক নারী গ্রাহকের সাথে সে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফারজানা স্বামীর মোবাইলে একটি মেয়ের সাথে তার যৌথ ছবি দেখতে পান। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে স্বামী ফারজানাকে মারধর করে।

নিহতের বড় ভাই খবির উদ্দিন বলেন, জহিরের একাধিক পরকীয়ার ঘটনা তারা সমাধান করেছেন। গতকালও তারা বিষয়টি সামাধানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি আমাদেরকে জানানোর কারণে স্বামীসহ পরিবারের অপরাপর সদস্যরা তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজায়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুস সুলতান বলেন, স্বামী অন্যত্র এক নারীর সাথে পরকীয়া করত। স্বামীর মোবাইলে এসব ছবি দেখে ফেলে স্ত্রী। ওই ঘটনার জের ধরে স্বামী স্ত্রীকে চড়-থাপ্পড় দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

কলাপাড়ায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার, ৩ লাখ টাকার মাছ জব্দ



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের দায়ে ৩ জেলেকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। একইসঙ্গে দুটি ফিশিং বোট এবং ৩ লাখ টাকার সামুদ্রিক মাছ জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে আন্ধারমানিক নদী সংলগ্ন সমুদ্র মোহনা থেকে তাদের আটক করা হয়।

নিজামপুর কোস্ট গার্ডের তথ্য মতে, 'অভয়াশ্রম রক্ষা অভিযান-২০২৪' উপলক্ষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আন্ধারমানিক নদী সংলগ্ন সমুদ্র মোহনায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। পরবর্তীতে কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা, উপজেলা মেরিন ফিশারি কর্মকর্তা মো. আশিক আহমেদের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জব্দ করা মাছগুলো এতিমখানা ও দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়। আটককৃত জেলেদের ২১ হাজার টাকা জরিমানা করে বোটসহ মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের বিসিজি স্টেশন নিজামপুরের কন্টিজেন্ট কমান্ডার আবু রাশেদ সুমন বলেন, উপজেলার মহিপুর থানাধীন নিজামপুর, হাজিপুর, ফাতরারবন, নতুনবাজার এবং তৎসংলগ্ন এলাকা গুলোতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৩ হাজার কেজি সামুদ্রিক সোনাপাতা মাছ জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা।

অবৈধভাবে মাছ শিকার করা জেলেদের হুঁশিয়ারি করে তিনি আরো বলেন, সমুদ্রসম্পদ রক্ষায় আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি। এই ৬৫ দিন অবরোধ সঠিকভাবে পালন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। সমুদ্রের সুনীল অর্থনীতি সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কোস্ট গার্ডের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

;

কামারশালার শব্দ ঐতিহ্যের সুর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির ঈদ মানেই খুশির ঈদ। আর কামারদের জন্য এটি কঠোর পরিশ্রমের সময়। তাদের শালায় লোহা পেটানোর টুংটাং শব্দ আমাদের মনে করিয়ে দেয় আসছে সেই বিশেষ দিন। এই শব্দ আমাদের গ্রামীণ জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা আমাদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রতীক। কামারশালার শব্দে আমাদের মনে খুশির সুর বেজে ওঠে এবং কোরবানির ঈদের আগমনী বার্তা আমাদের হৃদয়ে এনে দেয় আনন্দের অনুভূতি।

শহর কিংবা গ্রামে, কামারদের ব্যস্ততাে এ সময়ে তুঙ্গে থাকে। প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে কোরবানি পশুর প্রস্তুতি শুরু হয়। ঈদের আগে কামাররা সারাদিন ব্যস্ত থাকে ছুরি, চাপাতি এবং অন্যান্য ধারালো যন্ত্রপাতি তৈরিতে। তাদের হাতের কাজের নিপুণতা ঈদের আনন্দে একটি নতুন মাত্রা যোগ করে। কামারশালার এই শব্দ কেবল একটি সুর নয়, এটি ঐতিহ্যের বহিঃপ্রকাশ। গ্রামবাংলার চিরাচরিত এই দৃশ্য আমাদের শিকড়ের সাথে গভীরভাবে যুক্ত। কোরবানির পশু জবাই করার জন্য প্রয়োজনীয় ধারালো সরঞ্জাম তৈরির কাজ যেন কামারদের উৎসবের প্রস্তুতি। ছোট ছোট শিশুদের চোখে মুখে খুশির ঝিলিক, তারা দেখে কীভাবে কামাররা কঠোর পরিশ্রম করে। এভাবে কামারদের পরিশ্রম ও দক্ষতা আমাদের মনে করিয়ে দেয় তাদের গুরুত্ব।

যদিও শহরে এখন আর তেমন একটা কামালশালা চোখে পড়ে না। কিন্তু খুলনা মহানগরীর নতুন বাজার এলাকায় গেলে কানে ভেসে আসে সেই চিরায়িত কামালশালার টুংটাং শব্দ। শব্দ ধরে একটুি সামনে এগুলেই সেই শব্দের সাথে যুক্ত হয় কামারের হাপর টানার ফস ফস শব্দ। দু’দিন পর কোরবানির ঈদ তাইতো একবিন্দু বিরাম দেয়ার জো নেই তাদের। বাঁ পায়ের আঙুলে হাপরের দঁড়ি আর এক হাতে সাড়াশি ধরে অন্য হাতে লোহাকে বস মানাতে পেটাচ্ছেন কামার রিপন শীল। কথা হয় তার সাথে।

তিনি জানান, সারা বছর তেমন কাজের চাপ থাকে না। তবে এই সময়ে এসে বিশ্রাম নিতে পারি না। এটাই আমদের মূল মৌসুম। তাই খেয়ে না খেয়ে কাজ করতে হয়। দুদিন পর আমার আমাদের হাত খালি হয়ে যাবে। এবার যথেষ্ট কাজ রয়েছে। বেশির ভাগ মানুষ চাপাতি, ছুরি, বটিতে পাইন দিচ্ছে। নতুন করে তৈরির কাজ আছে বেশ।

কামারশালার পাশেই দাঁড়িয়ে দেখছেন ওই এলাকার মো. মনোয়ার হোসেন লাভলু। তিনি জানান, আমার চাপাতি, ছুরিসহ কোরবানির পশু জবাইয়ের সকল সরঞ্জামাদী রয়েছে। এবার শুধু সেগুলোকে পাইন দিয়ে শান দিতে হবে। তাই কামারের কাছে আসলাম। এসে দেখি, অনেক ভিড়। আমি প্রায় ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে ওদের কাজ দেখছি। ভালই লাগছে। তবে আমার কাজ ওরা বিকালে দেবে। এখন পেরে উঠবে না।

খুলনা মহানগরীর মধ্যে নতুন বাজার, টুটপাড়া জোড়াকল বাজার, লবনচরা বউ বাজার, শেখ পাড়া তেঁতুলতলার মোড়, গল্লামারি, সোনাডাঙ্গা বউ বাজার, মিস্ত্রি পাড়া, খালিশপুর, দৌলতপুরে ছোট বড় কামারশালা রয়েছে। আর এসব কামালশালায় আকার, ধরণ এবং মান ভেদে চাপাতি, ছুরি, বটির দামের তারতাম্য রয়েছে। এসব জায়গায় ৮০০ টাকা থেকে ২৫শ টাকার চাপাতি রয়েছে।এছাড়া ১শ থেকে ৩শ টাকার ছুরি ও বটি রয়েছে।

;

সড়কে চাপ থাকলেও যানজট হবে এমন অবস্থা নেই: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ যাত্রায় সড়কে চাপ থাকবেই তবে রাস্তার জন্য যানজট হবে এমন অবস্থা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন চাপ আছে, তবে যানজট যেটা বলে সেটা নেই। সড়কে চাপ থাকবেই তবে রাস্তার জন্য যানজট হবে এমন অবস্থা নেই। বাংলাদেশে সর্বকালের সবচেয়ে ভাল সড়ক এখন শেখ হাসনা সরকারের সময় হয়েছে। কোরবানির সময় পশুবাহী গাড়ি ও পশুর হাট যানজট বাড়িয়ে দেয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ঈদ যাত্রা স্বস্তিকর হয়েছে। গত ঈদ উল ফিতরে স্বস্তির সঙ্গে ঈদমুখী মানুষ স্বস্তি পেয়েছেন। ফিরতি যাত্রায় এক্সিডেন্ট ও ক্যাজুয়ালটি হয়েছিলো। আমরা এবার আরও বেশি মনোযোগী হচ্ছি ঈদের আগের মতই যেনো ঈদের পরেক হওয়া যায়।

পরশুর হাট যত্রতত্র বসিয়ে জনদুর্ভোগ যেনো বাড়ানো না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এখন বৃষ্টি হবার পূর্বাভাস পাচ্ছি, বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ এড়ানো কঠিন। এইবার কি হয় বলতে পারি না।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।

;