সাতক্ষীরায় সাপের কামড়ে সাত বছরের শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাপের কামড়ে শারাফাত হোসেন সিফাত নামে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া (ক্লাব মোড়) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সিফাত সাতক্ষীরা শহরের শাহিন আলমের ছেলে। তবে, বাবা-মায়ের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় সিফাত এবং তার মা আটুলিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া (ক্লাব মোড়) এলাকায় তার নানা মোস্তফা মোল্লার বাড়িতে থাকতেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মা তাকে হাঁস-মুরগি ঘরে উঠেছে কিনা দেখতে বললে সে তা দেখতে যায়। এসময় মুরগির ঘরের পাশের চালা (গর্ত) থেকে একটি সাপ এসে তাকে দংশন করে। প্রথমে স্থানীয় ওঝার মাধ্যমে তাকে গ্রাম্য চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাত ৮টার দিকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

ইউপি সদস্য মো. রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার সকালে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে।

   

সিলেটে পিকআপের ধাক্কায় গ্যাসফিল্ড কর্মকর্তা নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের জৈন্তাপুরে (সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে) পিকআপের ধাক্কায় সিলেট গ্যাসফিল্ডসের কর্মকর্তা মইনুল হোসেন আয়ানী (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার চিকনাগুলের উমনপুরে নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মইনুল হোসেন উমনপুর গ্রামের ঈসা মেম্বারের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুরে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম।

তিনি জানান, মোটরসাইকেল করে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস'র উপ-ব্যবস্থাপক মঈনুল হোসেন বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে সিলেট নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পর রাত একটার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। ফলে মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। রাত তিনটার দিকে তামাবিল হাইওয়ে ও জৈন্তাপুর থানা পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন স্থানীয়রা ।

;

মুখ থুবড়ে পড়া ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে তৎপর ইসি



জাহিদ রাকিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুখ থুবড়ে পড়া ভোটের মাঠে আলোচিত সমালোচিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে তৎপর হয়েছে নির্বাচন কমিশন ইসি।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অর্থসংকটে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করতে পারেনি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। তারপর প্রকল্পের মেয়াদ ও অর্থসংকটে ইভিএমে ভোট গ্রহণে অনিশ্চয়তায় পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। কারণ চলমান ইভিএম প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে চলতি অর্থবছরের জুন মাসেই। এই প্রকল্পে নতুন অর্থবছরের জন্য সরকার নতুন করে বরাদ্দ না দিলেও প্রকল্পের অবশিষ্ট ১১৬ কেটি টাকা এবং সংগ্রহে থাকা সচল ইভিএমগুলো নিয়েই আপাতত কার্যক্রম চালিয়ে নিতে নতুন পরিকল্পনা সাজিয়েছে ইসি।

২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনের আগে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয় করে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন। সেসময় এই প্রকল্পের জন্য সরকার বরাদ্দ দেয় ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। ১০ বছর মেয়াদি ক্রয়কৃত সেই ইভিএমগুলোর মধ্যে অব্যবস্থাপনা আর অযত্নের কারণে তিন বছর পরই অকেজো হতে শুরু করে। ইসি সংরক্ষণে থাকা বেশির ভাগ (১ লাখ ৫ হাজার) ইভিএম বর্তমানে অকেজো হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। বাকি ৪৫ হাজার ইভিএম ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়। আর পাঁচ বছরের মাথার প্রকল্পের কার্যক্রমই বন্ধ হওয়ার পথে।

ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, বর্তমানে ইসিতে দেড় লাখ পিস ইভিএম রয়েছে। তারমধ্য শতভাগ ভালো রয়েছে ৪৫ হাজার। নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে এক লাখ ৫ হাজার টি। চলতি অর্থবছরের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। মেয়াদ বাড়াতে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবনায় সরকারের অনুমতি না মিললে এই প্রকল্পের কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।

প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে এই প্রকল্প পরিচালক বলেন, ইসি এখন মেয়াদ বাড়ানোর জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটা আরও কিছুদিন অন্তত দু’মাস আগে নিতে পারলে আরও ভালো হতো। এই প্রকল্পের মেয়াদ বাকি আছে আর মাত্র ১৬ দিন। আর প্রকল্পের মেয়াদ শুধু বাড়ানোর অনুমতির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান পেলে কার্যক্রম চালিয়ে নিতে অসুবিধা হবে না। সচল থাকা ৪৫ হাজার ইভিএম দিয়ে উপজেলা নির্বাচনের মতো আগামীতে স্থানীয় সরকারের বাকি নির্বাচনগুলো চালিয়ে নেওয়া যাবে। আর অকেজো অবস্থায় ১ লাখ ৫ হাজার ইভিএমগুলোও মেরামতযোগ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্ভব হলে সেগুলোকে মেরামত করার ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

এই বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বার্তা২৪. কমকে বলেন, ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এই লক্ষ্য প্রস্তাবিত নতুন প্রকল্পে ব্যয় না বাড়িয়ে অবশিষ্ট অর্থ দিয়ে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি দেওয়া হবে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লে অকেজো অবস্থায় থাকা ইভিএমগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। তবে নতুন করে ইভিএম কেনা হবেনা।

;

কুড়িগ্রামে দুস্থদের বরাদ্দের সরকারি চাল জব্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে ঈদ উপলক্ষে দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কর্মসূচীর বিপুল পরিমাণ সরকারি চাল জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বাজারের ৫ টি গোডাউন সদৃশ দোকানঘর থেকে এসব চাল জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর আহমেদ।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) লুৎফর রহমান এবং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আতাউর রহমান মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সরকারি সিলযুক্ত পাটের বস্তা এবং প্লাস্টিকের বস্তায় রাখা প্রায় ২৭৯ বস্তা চাল জব্দ করা হলেও চালের পরিমাণ নিশ্চিত করতে পারেননি এই দুই কর্মকর্তা।

জব্দ চালের একটি সিজার লিস্ট এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। ইউপি সচিব আতাউর রহমান মন্ডল, ট্যাগ অফিসার আবুল হোসেন এবং মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য শাহ আলম স্বাক্ষরিত ওই তালিকায় দেখা গেছে দোকানঘর হতে জব্দকৃত ১২২ বস্তা চাল পরিষদের স্টোরে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরও দুটি দোকানঘরে ১৫৭ বস্তা চাল সিলগালা করে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পরিষদ চত্বরে চাল বিতরণে ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন অফিসার আবুল হোসেন জানান, পরিষদে চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন না। ট্যাগ অফিসার পরিষদে পৌঁছার আগেই চাল বিতরণ শুরু করে মাসুদ নামে এক যুবক। একটি ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা কয়েক বস্তা চাল আটক করে। খবর পেয়ে ইউএনও ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাজারে অভিযান চালান। এসময় বাজারের গোডাউন সদৃশ কয়েকটি দোকানের তালা ভেঙে ভেতর থেকে দুই শতাধিক বস্তা সরকারি চাল জব্দ করা হয়।

ট্যাগ অফিসার বলেন, ‘যে চালগুলো উদ্ধার হয়েছে সেগুলো কিছু সরকারি বস্তায় এবং কিছু প্লাস্টিকের বস্তায় ছিল। সেখান থেকে ১২২ বস্তা চাল উদ্ধার করে পরিষদের স্টোরে নেওয়া হয়েছে। আরও কিছু চালের বস্তা দোকানঘরে সিলগালা করে রাখা হয়েছে। তবে তার পরিমাণ আমার জানা নেই।’

৪ নং ওয়ার্ড সদস্য শাহ আলম বলেন, ‘মোট ২৭৯ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন (কারেন্ট) এবং সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আনু মিলে ভিজিএফ কর্মসূচীর এসব চাল বিতরণ করেছেন। আজ চেয়াম্যান উপস্থিত ছিলেন না। তার চাচাতো ভাই মাসুদ চাল বিতরণ করছিলেন।’

দোকানঘরে থাকা চাল উদ্ধারে সহায়তা করায় সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আনু ও তার ভাই রুহুল পরিষদের ভেতর তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করে এই ইউপি সদস্য বলেন, ‘আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল জব্দের বিষয়ে জানতে মোহনগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন (কারেন্ট) এর নাম্বারে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে ইউএনও তানভীর আহমেদকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। মামলা হবে। যে বা যারাই জড়িত থাক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

;

চোরাই চিনি ছিনতাইকালে ছাত্রলীগ কর্মীসহ আটক ৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম,সিলেট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে ৭ বস্তা চোরাই চিনি ছিনতাইকালে ৫ ছাত্রলীগ কর্মীসহ ৭ জনকে আটক করেছে বিমানবন্দর থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাত সাড়ে ১০টায় সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের অ্যাডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ডের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা থেকে সাত বস্তা চোরাই চিনি অঅটোরিকশা (সিএনজি) সিলেট নগরীতে নিয়ে আসছিল দুই চোরাকারবারি। এসময় বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত চিনি ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার পথে বিমানবন্দর থানাধীন টহল পুলিশ ৫ জনকে আটক করে। এসময় সাত বস্তা চিনি উদ্ধারসহ ওই দুই চোরাকারবারিকেও আটক করা হয়।

আটককৃতদের মধ্যে ছিনতাইকারীরা হলেন- সিলেট নগরীর চৌকিদেখী এলাকার মাহমুদ আহমদের ছেলে ফাহাদ আহমদ (৩৮), খাসদবির এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ইসতিয়াক আহমদ রাজু (৩০), চৌকিদেখি এলাকার ইসমাইল আলীর ছেলে খুরশেদ আলম (৩৭), কোতয়োলী থানা এলাকার মো. তোফায়েলের ছেলে মো. লিটন (২৯) ও ছাতক উপজেলার নরা ইসলামপুর গ্রামের ইসকন্দর আলীর ছেলে জুয়েল আহমদ (২৯)। তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।

এছাড়াও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার রাজাপুর খাগাইল গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে লায়েক (১৯) ও একই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে রাসেল (১৮) নামে দুজন আটক হয়েছেন। তারা দুজনেই চোরাকারবারি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার(ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

তিনি জানান, আটককৃত সাতজনের মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আটককৃতরা বর্তমানে থানা হাজতে আছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। কাল সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।

;