মেহেরপুরে রসুন ও কাঁচা মরিচের দর লাগামহীন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মেহেরপুরে রসুন ও কাঁচা মরিচের দর লাগামহীন

মেহেরপুরে রসুন ও কাঁচা মরিচের দর লাগামহীন

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরে লাগামহীন হয়ে পড়েছে রসুন ও কাঁচা মরিচের দাম। গেল এক সপ্তাহে রসুন কেজিতে ৪৫ টাকা এবং কাঁচা মরিচে বেড়েছে ৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে স্থীতিশীল রয়েছে পেঁয়াজসহ অন্যান্য কাঁচা পণ্যের দর।

শুক্রবার জেলার পাইকারী আড়তগুলোতে প্রতি কেজি রসুন ২১০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। খুচরা পর্যায়ে যা কেজিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে আরও ২৫-৪০ টাকা পর্যন্ত। রসুন ও কাঁচা মরিচের জোগান কম থাকায় দর বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। সংকট দূর করতে রসুন আমদানীর দাবি করেন তারা।

গাংনী কাঁচা বাজারের আড়তদার সাহাদুল ইসলাম বলেন, এখনই রসুন আমদানি করতে হবে। তা না হলে ব্যবসায়ীদের ঘাড়ে সিন্ডিকেট করার বদনাম আসবে। দেশে যে পরিমাণ রসুন আছে তাতে চাহিদা পূরণ হবে না। সামনে কোরবানির ঈদে আরও বেড়ে যাবে।
এদিকে রসুন ও কাঁচা মরিচের দর বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস শুরু হয়েছে ভোক্তা পর্যায়ে। ক্রেতার আর ভোক্তাদের মাঝে বিরাজ করছে অসন্তোষ।

জানা গেছে, আষাঢ় মাস থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত মেহেরপুর জেলার মরিচ পাওয়া যায়। এ মরিচ জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। বাকি সময় উত্তরবঙ্গ থেকে আসা মরিচ জেলার চাহিদা পূরণ করে।

   

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সমন্বিত প্রচেষ্টা নিন: জাতিসংঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন, সে দেশের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাত নিরসন ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এবং অন্যান্য অংশীদারদেরকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে জোর আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে জাতিসংঘ সদর দফতরে সাধারণ পরিষদের সভাপতি, মিয়ানমার বিষয়ে মহাসচিবের বিশেষ দূত, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার এবং জাতিসংঘের ৬ উন্নয়ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে পৃথক চার বৈঠকে সরকারি দায়িত্বে যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিসকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০১৭ সালে যখন প্রায় ১০ লাখ মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের মানুষ তাদেরকে মমতা দিয়ে গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ক্রমেই রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন স্থানে কর্মসংস্থান করছে আর ক্যাম্পগুলো মানুষ পাচার, মাদক চোরাচালান, জঙ্গি নিয়োগসহ নানা অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ফলে স্থানীয়দের জীবন অতিষ্ঠপ্রায়।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সাথে বৈঠকে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের পাশাপাশি গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রায় ৭৫০ সদস্য বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের বেশিরভাগকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে, বাকিরাও ফেরত প্রক্রিয়ায় আছে। শুধু তাই নয়, মিয়ানমারে বিবদমান গোষ্ঠির শেল বাংলাদেশ অংশে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এসবের পুনরাবৃত্তি রোধ একান্ত প্রয়োজন।

মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপের সাথে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, মিয়ানমারে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতি কোনো নতুন ঘটনা নয় এবং এটিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিপক্ষে ব্যবহারের অজুহাত তৈরির সুযোগ দেওয়া অনুচিত।

এর আগে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দফতরে 'ক্রাইসিস, কনফ্লিক্টস এন্ড ইন্টার-এজেন্সি কোলাবরেশন: নেক্সাস এপ্রোচ' শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন। জাতিসংঘের ৬ সংস্থা- ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ, ইউএনওপিএস, ইউএন উইমেন প্রধান এবং ইউনিসেফ ও ডব্লিউএফপি-এর উপপ্রধান এতে অংশ নেন।

মন্ত্রী ড. হাছান বিশেষ করে বিশ্বে সংঘাত প্রভাবিত অঞ্চলগুলোতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর নেক্সাস বা সম্মিলিত উদ্যোগের সুবিধাগুলো তুলে ধরেন। তিনি রাখাইন ও কক্সবাজারের পরিস্থিতির কথা করেন এবং উদ্বাস্তু সংকট নিরসন ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উন্নতির লক্ষ্যে জাতিসংঘের সব সংস্থা, তহবিল এবং কর্মসূচিকে সুসংহতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ এ মুহিত, মন্ত্রণালয় ও মিশনের অন্যান্য সদস্যরা বৈঠকগুলোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

;

'খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

শনিবার (১ জুন) রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে 'বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৪' ও 'ডেইরি আইকন সেলিব্রেশন' উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কতৃর্ক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বান্ধব বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো সমৃদ্ধ, আত্মনির্ভরশীল এবং মেধাসম্পন্ন জাতি গঠন। এলক্ষ্যে সরকার দেশে দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনসাধারণের প্রয়োজনীয় প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ এবং এ খাতকে রপ্তানিমুখী করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ ও উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে লাইভস্টক এন্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (এলডিপিপি) উল্লেখযোগ্য যা ডেইরি সেক্টরের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে।

পুরস্কার প্রাপ্ত খামারিদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে যেমন দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছেন তেমনি আপনারা নিজেদেরকেও সমৃদ্ধ করেছেন। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি এসময় খামারিদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বড় গবেষক খামারি হিসেবে অভিহিত করে তিনি এসময় বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্র পরিচালনা, মানুষের কথা ভাবা ও দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এসব কাজের বাইরে যখনই একটু সময় পান তখনই গণভবনে এধরণের কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। এটি খামারিদের প্রতি তার মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ।

তিনি বলেন, দুধ শুধু একটি আদর্শ খাবারই কেবল নয় বরং মেধাবী জাতি গঠনে দুধ পান অপরিহার্য। তাই নিয়মিত দুধ পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। দুধ যেমন পুষ্টির জন্য অপরিহার্য তেমনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলার জন্য শেখ হাসিনাও তেমনি অপরিহার্য বলে তিনি এসময় মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, পরবর্তীতে এ ধরণের অনুষ্ঠান পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় করা হবে এবং সে অনুষ্ঠানে খামারিরা প্রধান স্টেকহোল্ডার হবেন। তিনি গুড়াদুধ আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য অধিকহারে শুল্ক আরোপের বিষয়ে খামারিদের দাবিকে সাধুবাদ জানান এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে খামারিদের আশ্বস্ত করেন।

উল্লেখ্য, দেশে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে এবছর ডেইরি খামার ক্যাটাগরিতে ২৬টি, পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে ৯টি, দুধ/মাংস প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে ১১টি এবং খামার যান্ত্রিকীকরণ ক্যাটাগরিতে ৫টিসহ মোট ৫১টি পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিটি পুরষ্কারের মূল্যমান এক লক্ষ টাকা।

অনুষ্ঠানে চারটি ক্যাটাগরিতে দেশের দুগ্ধ খাতের ৫১ জন সফল খামারি ও উদ্যোক্তার হাতে এসময় মন্ত্রী ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন। বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ‍উপলক্ষে খামারিদের এ ধরণের সম্মাননা প্রদান তাদেরকে দুগ্ধ উৎপাদনে আরও উৎসাহিত করবে এবং ফলে এ সেক্টরের উন্নতি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে মন্ত্রী এসময় মন্তব্য করেন।

;

‘নৈতিকতার অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ঢাকা’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, দ্রুত নগরায়ান, নির্মাণ নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং নৈতিকতার অভাবজনিত কারণে ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলা শহর অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, নির্মাণের মান নিয়ন্ত্রণ, বিল্ডিং কোড এবং অন্যান্য স্ট্যান্ডার্টসমূহ মেনে চলার জন্য যে প্রক্রিয়া আবশ্যক বর্তমান বাস্তবতায় তা অপর্যাপ্ত বলে মনে করা হয়।

শনিবার (১ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে রাজউক আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার অন আরবান আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স’ শীর্ষক ২ দিনব্যাপী সেমিনারের প্রথম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী ও আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের পরিচালক ড. আবদুল লতিফ হেলালী।

মন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ছে। বিদ্যমান দুর্বলতাকে কাটিয়ে সরকার দুর্যোগ ঝুঁকি এড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। ভবনের তদারকির সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম চাপিয়ে না দিয়ে জনগণকে ভূমিকম্প/ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

তিনি বলেন, দ্রুত নগরায়ান, নির্মাণ নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং নৈতিকতার অভাবজনিত কারণে ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলা শহর অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে শহরের উন্মুক্ত স্থান বেদখল হয়ে যাচ্ছে। নির্মাণের মান নিয়ন্ত্রণ, বিল্ডিং কোড এবং অন্যান্য স্ট্যান্ডার্টসমূহ মেনে চলার জন্য যে প্রক্রিয়া আবশ্যক বর্তমান বাস্তবতায় তা অপর্যাপ্ত বলে মনে করা হয়।

ঢাকার দ্রুত বৃদ্ধি ও অভিবাসনের ফলে ভূমিকম্প এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদের ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে। ঝুঁকি-সংবেদনশীল ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন নীতি ও কৌশলসমূহ প্রয়োগের মাধ্যমে বিদ্যামান দুর্বলতাকে কাটিয়ে একটি স্থায়ী ও ঝুঁকিমুক্ত শহর গড়ে তোলা যেতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বড় কোনো ভূমিকম্পের ঘটনার অনুপস্থিতির কারণে শহরে ভূমিকম্পের ঝুঁকি এবং এই ধরণের ঘটনার প্রভাব প্রশমিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কৌশলসমূহের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবনের ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু এ কথা অনস্বীকার্য যে ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের আরও সমন্বিত পদ্ধতি প্রণয়ন প্রয়োজন।

বাংলাদেশের কোনো সংস্থায় ভবনসমূহের ঝুঁকি নিরূপণ করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন প্রক্রিয়ার কোনো অনুসন্ধান ও পরীক্ষার সুযোগ-সুবিধা নেই। বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন আনুযায়ী, রাজধানী ঢাকা ছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি শহর যেমন, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ইত্যাদি ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে। সুতরাং উক্ত নগরসমূহে ভূমিকম্প দুর্যোগ সক্ষমতার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা জরুরি। প্রস্তাবিত বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের সুফল পাওয়ার জন্য এর কার্যক্রম শুধুমাত্র ঢাকায় সীমাবদ্ধ না রেখে সমগ্র দেশব্যাপী বিশেষ করে উল্লেখিত বড় বড় শহরগুলোতে পরিচালনা করাই যুক্তিযুক্ত।

;

গাজীপুরে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরে পুকুরে গোসল করতে নেমে ৮ বছর বয়সী দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১ জুন) সকাল ১১টার দিকে জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার শ্রিফলতলী ইউনিয়নের গাবতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, গাবতলী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে তানজিম আহমেদ (৭) ও উপজেলার কান্দাপাড়া এলাকার মনির হোসেনের ছেলে বায়োজিদ হোসেন (৮)। তারা সম্পর্কে মামা ভাগিনা।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১১টার দিকে সহপাঠীরা একত্রে ওই পুকুরে গোসল করতে নামে। পরে জলকেলি করতে করতে হঠাৎ ওই দুজন পুকুরের গভীরে গিয়ে ডুবে যায়। এসময় সাথে থাকা অন্য শিশুরা চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে এর দুই ঘণ্টা পর দুই শিশুর মরদেহ পানিতে ভেসে উঠলে লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

শ্রিফলতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিবুর রহমান ঘটনাটি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়েছে।

;