অধ্যাপককে ঘুষি-লাথি, ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপককে মারধরের অভিযোগ উঠায় এক ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এই বহিষ্কারাদেশ জানানো হয়।

অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম সাফাতুন নূর চৌধুরী। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে মোঃ সাফাতুন নুর চৌধুরী (যুগ্ম-আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা, চন্দনাইশ) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার কক্ষে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফরম পূরণের কাজ করছিলেন সহযোগী অধ্যাপক কে এম আতিকুর রহমান। এ সময় সেমিনার কক্ষে ঢুকে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাফাতুন নুর একটি নষ্ট পাখা দেখিয়ে তা মেরামত করে দিতে বলেন। শিক্ষক আতিকুর রহমান ফ্যানটি নতুন করে লাগানো হবে বলে জবাব দেন। এনিয়ে দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

এক পর্যায়ে সাফাতুন নূর জানালার পর্দার পাইপ খুলে ফ্যানে আঘাত করলে অফিস সহায়ক প্রযুক্ত পালের মাথায় সজোরে লাগে। তাকে উদ্ধার করে অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সাফাতুন নূর অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে অন্য শিক্ষকদের সঙ্গেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং শিক্ষক আতিকুর রহমানকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে কিলঘুষি মারতে থাকেন। এতে ওই শিক্ষক আহত হন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবদুল খালেক বলেন, আমরা এ বিষয়ে অধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছি। আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল ইসলাম জানান, কলেজের সেমিনার কক্ষে নষ্ট পাখা নিয়ে এক ছাত্রের সঙ্গে শিক্ষকের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে ওই ছাত্র শিক্ষককে মারধর করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।

   

বড় ভাইয়ের রডের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের গোয়াইনঘাটে দুই শতক জমিজমা নিয়ে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে বড় ভাইয়ের রডের আঘাতে মো.ইব্রাহিম (৪২) নামের ছোট ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার(১৫জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় গোয়াইনঘাট উপজেলার লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের নিয়াগুল গ্রামে ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মো. ইব্রাহিম (৪২) তিনি নিয়াগুল গ্রামের হোসেন আহমদ ওরফে হুরু হুনার ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সালুটিকর গোয়াইনঘাট সড়ক সংলগ্ন নিয়াগুল গ্রামের হোসেন আহমদের ছেলেদ্বয় রুহুল আমিন ওরফে জলাই ও নিহত ইব্রাহিমের মধ্যে দুই শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে শনিবার (১৫ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টায় বিরোধপূর্ণ জমিতে দুই ভাই কথা কাটাকাটি ও তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তর্কের এক পর্যায়ে রুহুল আমিন ওরফে জলাইয়ের হাতে থাকা একটি রডের টুকরো দিয়ে ইব্রাহীমের গলায় সজোরে আঘাত করেন রুহুল আমিন। এতে ইব্রাহীম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।

পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনার সাথে সাথে মূল ঘাতক রুহুল আমিন ওরফে জলাই তার স্ত্রী রাবেয়া বেগমসহ আসামীরা পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান শুরু করেছে।

এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম পিপিএম তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ প্রেরণ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম পিপিএম বলেন, নিয়াগুল গ্রামে জমি সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে দুই ভাইয়ের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ ও হামলার ঘটনায় নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মূল ঘাতকসহ জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

;

ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ডুবি

নিখোঁজ অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মোঃ আজিজুল হকের (৬৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

শনিবার (১৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে তেঁতুলিয়া খেয়াঘাট এলাকা থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে শুক্রবার (১৪ জুন) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার গফরগাঁও ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদে তিনি নিখোঁজ হন।

নিহত আজিজুল হক ওই এলাকার মৃত কেরামত আলীর ছেলে।

জানা যায়, শুক্রবার সকালে বৃষ্টির মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদ পার হওয়ার সময় নৌকা ডুবে অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মোঃ আজিজুল হক নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দিনভর উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেও আজিজুল হকের কোনো সন্ধান পাননি। পরে শনিবার সকাল থেকে পুনরায় ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে বিকেলে মরদেহ স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি দলের দলনেতা ফজলুল হক বলেন, ঘটনাস্থলের ৫ শত গজ দূরে তেঁতুলিয়া খেয়াঘাট এলাকা হতে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

;

২০ লাখ টাকার লোকসানেও থামেননি সালমা, এবার হাটে তার ১৪ গরু



সীরাত মঞ্জুর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি:  আনিসুজ্জামান দুলাল, বার্তা২৪.কম

ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গরুর প্রতি ভালোবাসার শুরুটা সেই শৈশবেই। জীবনের ৩৪টি বছর পেরিয়ে এলেও সেই ভালোবাসা একটুও কমেনি সালমা খাতুনের। সেই ভালোবাসা থেকেই ২০২০ সালের দিকে বেসরকারি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে কেনন একটি গাভী। শখের বসে পোষা সেই গরুটি কয়েকবছরের মধ্যে জন্ম দেয় দুটি বাছুর। চোখের সামনে দুই বাছুরকে বড় হতে দেখে সালমার মনের মধ্যেও বড় হতে থাকে একটা স্বপ্ন। সেই স্বপ্নটি উদ্যোক্তা হওয়ার। মনের মধ্যে বুনে রাখা সালমার সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন শুরু হলো খামার দিয়ে। সেই খামারে বড় করে তোলা ১৪ গরু নিয়ে এবার অদম্য এই নারী ৫৬৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বহুদূরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছুঁটে এসেছেন চট্টগ্রাম নগরীর বিবিরহাট প্রাণীর হাটে।

এক গরু দিয়ে পথ চলা শুরু হওয়া সালমাকে এই পর্যন্ত আসতে নানা ঘাত প্রতিঘাত সইতে হয়েছে। খামার শুরুর পর ২০ লাখ টাকা লোকসান গুনলেও সাহস আর গরুর প্রতি ভালোবাসা তাকে খামার থেকে দূরে সরাতে পারেনি। এবার সেই লোকসান পোষাতে চান সালমা। নিজের হাতে বড় করা ১৪টি গরু তুলে দিতে চান অন্যের হাতে।

ছবি:  আনিসুজ্জামান দুলাল, বার্তা২৪.কম

গত বুধবার সালমা ১৪ গরু নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর এই শতবর্ষী হাটে আসেন। শুক্রবার (১৪ জনু) বিকেলে বিবিরহাটে গিয়ে সালমার দেখা মিলে। দেখা যায়, হাটের মাঝামাঝি একটি সারিতে পুরুষদের পাশাপাশি গরুকে পানি ও ঘাস খাওয়াচ্ছেন সালমা। শুরুতে অনেকেই সালমাকে ক্রেতা মনে করেন। কিন্তু যখন দেখেন সালমা বিক্রেতা, তখন অনেকেই বিস্মিত হন।

গরুর বিক্রির ফাঁকে ফাঁকে সালমা নিজের উদ্যোক্তা হওয়ার সেই গল্প শোনান বার্তা২৪.কমকে।

কীভাবে, কোথায় থেকে এলেন, কীভাবে এত সাহসী হলেন? এমন সব প্রশ্নে প্রথমে মুখ লুকাতে চাইলেও পরে তিনি খোলেন তার গল্পের ঝুড়ি। বলেন, ‘ছোটকাল থেকেই আমার গরুর প্রতি ভালোবাসা ছিল। সেই ভালোবাসা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে ২০২০ সালের দিকে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটি গরু কিনি। পরে সেটি থেকে আরও দুইটি গরু হয়। এসময় আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম। পরে করোনার সময় সেটি ছেড়ে দিই। মাথায় চিন্তা আসে কীভাবে একটি খামার করতে পারি। সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় একটি শাখা থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আরও ১০ টি গরু নিয়ে খামার শুরু করি। এরপর ২০২২ সালে প্রথম গরুগুলো নিয়ে চট্টগ্রামের এই হাটটিতে এসেছিলাম। তখন সব গরুই ভালো দামে বিক্রি করতে পেরেছি। কিন্তু মাঝখানে আমার ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কারণ খামারে তেমন সময় দিতে পারিনি। তাই সেসময় আমার ২০ লাখ টাকা মত লোকসান দিতে হয়েছে।’

কীভাবে সেই ধকল সামলে উঠেছেন, সেটিও সালমা শুনিয়েছেন। বলেন,‘আমি হাল ছাড়তে চাইনি। নিজের ওপর অগাধ আত্মবিশ্বাস ছিল। সেই আত্মবিশ্বাসের জোরে লোকসানের পর আমি আবার স্থানীয় একটি ব্যাংকের শাখা থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ নিই। আবার গরু লালন-পালন করি। এর মধ্যে আমি ১৪টি গরু নিজের সন্তানের মতো দেখভাল করে এই কোরবানের ঈদের জন্য প্রস্তুত করেছি।’

ছবি:  আনিসুজ্জামান দুলাল, বার্তা২৪.কম

হাটে খুঁটিতে বাঁধা গরুগুলোকে খাবার তুলে দিতে দিতে সালমা তার জীবনের গল্প শোনান প্রতিবেদককে। জানান, জেলা শহরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজ স্নাতকে পড়ার সময় ২০১৩ সালে তার প্রথম মেয়ের জন্ম হয়। এর কিছুদিন পর সালমার সঙ্গে তার স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সালমা এসবের মধ্যেও হতাশ না হয়ে নেমে পড়েন জীবন সংগ্রামে। টিকিয়ে রাখেন পড়ালেখা। রাজশাহী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। পড়াশোনার পাট চুকিয়ে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি নেন। তবে করোনাকালে সেই চাকরিটা বাঁচানো যায়নি। চাকরিটা ছাড়তে হয়। এতেই সালমার মাথায় ঢুকে খামার করার চিন্তা।

এতদূর থেকে এসে নারী হয়ে গরু বিক্রি করছেন, অস্বস্তি লাগছে কিনা-এমন প্রশ্নে একেবারেই নির্ভার সালমা। বলেন, এখানে আমি আগেও এসেছি। তাছাড়া আমার এলাকার অনেক লোক এই হাটে (বিবিরহাট) গরু নিয়ে আসেন। তাই আমিও নিয়ে এসেছি।

নিজে উদ্যোক্তা হয়েছেন, অনেকের করেছেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও। সেটি ভেবে গর্বে ভরে যাচ্ছে সালমার মন। বলেন, ‘আমার সঙ্গে এখানে গরু দেখভাল করতে আরও দুইজন লোক রেখেছি। তাছাড়া আমার গ্রামে খামারে অনেক মহিলাদের কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ওই মহিলারা আমার খামারে কাজ করে সংসার চালাচ্ছে। এটা কি সবাই পারে! আমি নারী হয়ে অন্যে অসহায় নারীর পাশে দাঁড়াতে পেরেছি-এটা তো গর্বের।’

সালমা ১৪ টি গরু বিক্রি করে এবার ১৬-১৭ লাখ টাকা আয় করতে চান। সেই গরুগুলোকে লালন-পালন করার কথা তুলে ধরে বলেন, আমার দুজন লোক আছে, তারপরও গরুগুলোকে আমি নিজের হাতে খাওয়াই। ভালোবাসি বলেই তো এমন করি। এদের আমি একটু ব্যথা লাগতে দিই না, অসুখ হলে আমি নিজের হাতে অষুধ খাওয়াই। কষ্ট করে বড় করেছি, আশা করছি দামও ভালোই পাব।’

;

ঈদের দিন বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের দিন সোমবার (১৭ জুন) ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুই, এক জায়গায়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে ।

শনিবার (১৫ জুন) আবহাওয়া অধিদফতর থেকে এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরো জানানো হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তবে বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

রোববার (১৬ জুন)
রোববারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুই, এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

;