নরসিংদীতে বজ্রপাতে প্রাণ গেল মা-ছেলেসহ ৪ জনের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীতে বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালী উত্তরপাড়া ও শহরতলীর হাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- চরাঞ্চল আলোকবালী উত্তরপাড়ার কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৫০), তার ছেলে ইকবাল হোসেন (১২) এবং করম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২২)। এ ঘটনায় কামাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। তারা সকলেই আলোকবালী উত্তরপাড়ার বাসিন্দা।

এছাড়া সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়ায় মোছলেহউদ্দিন (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ জানান, নিহতরা সকলেই ধান কাটার জন্য কৃষিজমিতে অবস্থান করছিলেন। এসময় বিকট শব্দে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে শরিফা বেগম ও তার ছেলে ইকবাল ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে আনার পথে মারা যায় কাইয়ুম নামের একজন। কামাল হোসেন নামে আহত আরেকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তাছাড়া হাজীপুরে বজ্রপাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।

   

ফাঁকা মেট্রোরেল, নেই ঈদ ভ্রমণপিপাসু যাত্রীদের উপস্থিতি



অভিজিত রায় (কৌশিক), স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে একযোগে উদযাপিত হয়েছে ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে সরকারি ছুটিতে রয়েছে দেশবাসী। ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর দ্রতগামী যান মেট্রোরেলে ভ্রমণ পিপাসুদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

তবে অফিস আদালতসহ রাজধানীর অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যাত্রীর উপস্থিতি না থাকার কারণ হিসেবে দেখছেন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে ভ্রমণ পিপাসুদের আগমন না থাকার কারণ হিসেবে সকালের শুরুকে দায়ী করছেন তারা। স্টেশনে উপস্থিত কর্মকর্তাদের দাবি বেলা বাড়লে ভ্রমণ পিপাসুদের উপস্থিতি বাড়তে পারে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে রাজধানী আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার মেট্রো স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।


সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, স্টেশন গুলোতে যাত্রীর আগমন নেই বললেই চলে। দায়িত্বরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা অবসরে সময় পার করছেন। নেই টিকিট বিক্রির দীর্ঘ লাইন। হাতে গোনা যেসব যাত্রী আসছেন তাদেরও অপেক্ষা ছাড়াই মেশিনের সাহায্যে টিকিট কাটতে হচ্ছে। কাউন্টারগুলোতে টিকিট বিক্রেতাকেও দেখা যায়নি। তবে দায়িত্বরত আনসার সদস্য, এমআরটি পাস চেকার এবং পরিছন্নতা কর্মীর কাজে নিয়োজিতদের উপস্থিতি দেখা গেছে।

এছাড়া ট্রেনের ভেতরে কিছু যাত্রী লক্ষ্য করা গেছে। যাদের অধিকাংশই এসেছেন উত্তরা স্টেশন থেকে।

যাত্রী না থাকার কারণ জানতে চাইলে দায়িত্বগত আনসার সদস্য জিয়াউর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় যাত্রীর কোনো চাপ নেই। ঢাকার সব অফিস আদালত বন্ধ রয়েছে এর মধ্যে মানুষ বের হচ্ছে না।


টিকিট বিক্রেতাদের না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, অধিকাংশই ঈদের ছুটিতে আছেন।

অন্য এক আনসার সদস্য আমিন বলেন, ছুটির কারণে মানুষ নাই। কেউ এত সকালে ঘুরতেও বের হয়নি। তবে দুপুরের দিকে সবাই ঘুরতে বের হতে পারে, তখন যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে।

উত্তরায় স্টেশন থেকে শাহবাগ স্টেশনগামী যাত্রী রফিকুল বলেন, নিজস্ব একটি প্রয়োজনের কারণে বের হয়েছি। উত্তরা থেকে শাহবাগে যাবো।

আগারগাঁ স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে ট্রেনে উঠেছেন হানিফ। তিনি বলেন, বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়েছি। মতিঝিল নামবো। মতিঝিল থেকে সায়েদাবাদ গিয়ে গাড়িতে উঠবো।


তিনি বলেন, রাস্তায় গাড়ি খুব কম। আবার ঈদ উপলক্ষে ভাড়াও কিছুটা বেশি নিচ্ছে। তাছাড়া বাসে যেতে গেলে যে সময় লাগবে মেট্রোতে গেলে তার অর্ধেক সময়ে আমি জায়গামতো পৌঁছে যেতে পারবো। এইজন্য মেট্রোরেলে উঠে পড়লাম।

পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর আগারগাঁও স্টেশন থেকে উত্তরা ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছেন মাহমুদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে ভাইয়ের বাসাতে দাওয়াত দিয়েছে। সোমবার কোরবানি থাকায় ব্যস্ততার কারণে যেতে পারি নাই। তাই পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভাইয়ের বাসায় ঘুরতে যাচ্ছি।

;

চার অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের চার অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্র বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এমনটি জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও এলাকার জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। ফলে আগামী পাঁচ দিনে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং যেসব এলাকায় তাপপ্রবাহ চলছে তাও প্রশমিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;

পশু কোরবানিতে পিছিয়ে ময়মনসিংহ এগিয়ে আছে ঢাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পশু কোরবানিতে পিছিয়ে ময়মনসিংহ এগিয়ে আছে ঢাকা

পশু কোরবানিতে পিছিয়ে ময়মনসিংহ এগিয়ে আছে ঢাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের ঈদুল আজহায় পশু কোরবানিতে এগিয়ে ঢাকা বিভাগ, পিছিয়ে রয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ। অর্থাৎ ঢাকা বিভাগের মানুষ সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি দিয়েছে। সবচেয়ে কম কোরবানি দিয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগের মানুষ।

মঙ্গলবার (১৮জুন) সকালে সারাদেশের কোরবানি পশুর তথ্য বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া যায়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, সদ্য শেষ হওয়া ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮ টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছ।

তিনি জানান, গতবছরের তুলনায় এবার প্রায় ৪ লাখ কোরবানি বেশি হয়েছে। যা গত বছরের কোরবানিকৃত গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২ টি। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি। গত বছরের তুলনায় এবার ৩ লাখ ৬৭ হাজার ১০৬ টি গবাদিপশু বেশি কোরবানি হয়েছে।

মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ঢাকা বিভাগে ২৫ লাখ ২৯ হাজার ১৮২ টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৫২০ টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪ লাখ ২৬ হাজার ১১১টি, খুলনা বিভাগে ১০ লাখ ৮ হাজার ৮৫৫ টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৩৮টি, সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৪২টি, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৩ টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৫১৭ টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।

কোরবানি হওয়া গবাদিপশুর মধ্যে ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৯টি গরু, ১ লাখ ১২ হাজার ৯১৮ টি মহিষ, ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৭১৯টি ছাগল, ৪ লাখ ৭১ হাজার ১৪৯ টি ভেড়া এবং ১ হাজার ২৭৩ টি অন্যান্য পশু।

এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৫৪ টি গরু, ৬ হাজার ৪৬৫ টি মহিষ, ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭২ টি ছাগল, ৮৯ হাজার ৯১ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮০০ টি পশু, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ লাখ ১৭ হাজার ৭৪৭ টি গরু, ৯১ হাজার ৮১০টি মহিষ, ৬ লাখ ৫২ হাজার ১৩০ টি ছাগল, ৯৫ হাজার ৪৮৩টি ভেড়া ও অন্যান্য ৩৫০ টি পশু। রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ২০ হাজার ৪৭২টি গরু, ৯ হাজার ৫৬৮ টি মহিষ, ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮৬টি ছাগল ও ১ লাখ ১২ হাজার ৫৭৭টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৮টি, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৬৭টি গরু, ১ হাজার ৫০৬ টি মহিষ, ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৭৩৫ টি ছাগল, ৫৭ হাজার ৫৫৯ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮৮টি পশু। বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৮০ হাজার ৩৭৭ টি গরু, ১হাজার ১ টি মহিষ, ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৩ টি ছাগল ও ২০ হাজার ১৯০ টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৭ টি। সিলেট বিভাগে ২ লাখ ১ হাজার ১৪৩ টি গরু, ১ হাজার ৩৫৮ টি মহিষ, ১ লাখ ৭৩ হাজার ২২৩টি ছাগল ও ১৮ হাজার ১৪ টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৪ টি। রংপুর বিভাগে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৪ টি গরু, ৩০৪ টি মহিষ, ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬১৬ টি ছাগল, ৬০ হাজার ২২৮ টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ১১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৯০ হাজার ৮০৫ টি গরু, ৯০৬ টি মহিষ, ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৯৪ টি ছাগল ও ১৮ হাজার ৭ টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ০৫ টি কোরবানি হয়েছে।

উল্লেখ্য, এ বছর সারাদেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭ টি।

;

বগুড়ায় ঈদের রাতে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
বগুড়ায় ঈদের রাতে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা

বগুড়ায় ঈদের রাতে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় ঈদের রাতে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় আরেক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৭ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহরের নিশিন্দারা চকর পাড়া এলাকায় এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন নিশিন্দারা চকরপাড়ার দুদু মিয়ার  ছেলে শরীফ (১৮) ও একই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে রোমান ওরফে রুম্মান(১৭)।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মেয়েকে উত্যক্ত করার জের ধরে এই খুনের ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, ঈদের দিবাগত রাত একটার দিকে চকরপাড়া এলাকার একটি ইউক্যালিপটাস বাগানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির শব্দ শোনেন তারা।

শব্দ থেমে গেলে স্থানীয়রা বের হয়ে ইউ ক্যালিপটাস বাগান সংলগ্ন গলির মধ্যে পাশাপাশি রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে শরিফ ও রোমানের মরদেহ উদ্ধার করে এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয় হোসেন (১৮) নামের এক যুবককে।

নিহত শরীফের বাবা দুদু মিয়া জানান, বাসায় রাতের খাবার খাওয়ার পর এক বন্ধুর ফোন পেয়ে রাত ১২টার দিকে বের হয় শরিফ। পরে এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনে তারা বাইরে এসে দেখেন ১৫/২০ জনের একটি দল এলাকায় দৌড়াদৌড়ি করে পালাচ্ছেন।

পুলিশের একটি সুত্র জানায়, স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের নেতার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মেয়ে সোমবার রাতে রিকশাযোগে নিশিন্দারা উপশহর যাওয়ার পথে মোস্তফাবিয়া মাদ্রাসার সামনে কয়েকজন যুবক রিকশা আটকিয়ে তাকে কটুক্তি করে। এর জের ধরেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার জানান, মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড গুলির খোসা পাওয়া গেছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, একজন প্রবাসী নারীকে উত্যক্তের জের হতে খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

তিনি বলেন পুলিশের একাধিক টিম জড়িতদের শনাক্ত করতে রাত থেকেই কাজ শুরু করেছে।

;