ঝিকরগাছায় যৌতুকবিহীন ৫০ বিয়ে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের ঝিকরগাছায় জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যৌতুকবিহীন ৫০ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। 

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে এসসিআই বাংলাদেশ-এর তত্ত্বাবধানে ও এসসিআই আরব আমিরাতের অর্থায়নে যশোরের ঝিকরগাছা গাজীরদরগাহ কুয়েত ইসলামিক ইয়াতিম কমপ্লেক্সে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।

খুলনা বিভাগের অসহায়, এতিম ও আর্থিক সংকটে বিবাহ হচ্ছে না, এমন ৫০ জোড়া পাত্র-পাত্রীকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের জন্য বরকে একটি করে ভ্যানগাড়ি ও কনেকে একটি করে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে সংসার করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও দেওয়া হয়েছে।

গণবিয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কুয়েত ইসলামিক ইয়াতিম কমপ্লেক্স গাজীরদরগাহ ঝিকরগাছার পরিচালক মুফতি নাসিরুল্লাহ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার।

গণবিয়ের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান বলেন, যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। সমাজ থেকে যৌতুক উচ্ছেদের সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করতে হবে। যৌতুকমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে হবে। ইসলামের প্রকৃত আদর্শিক শিক্ষার মাধ্যমে সমাজকে কলুষমুক্ত করতে হবে।

এসময় যৌতুকমুক্ত সমাজ গঠনে নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি।

   

ঈদে বান্দরবানে নেই পর্যটক, হতাশ ব্যবসায়ীরা



আমিনুল ইসলাম খন্দকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ঈদে বান্দরবানে নেই পর্যটক, হতাশ ব্যবসায়ীরা

ঈদে বান্দরবানে নেই পর্যটক, হতাশ ব্যবসায়ীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ মানে খুশি। কিন্তু বান্দরবানের ব্যবসায়ীদের কাছে এবারের ঈদ মানে হতাশা। ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্র, হোটেল-মোটেল ও অবকাশযাপন কেন্দ্রগুলো। তবে গত ঈদের তুলনায় এবার পর্যটক তেমন নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

প্রতিবছর ঈদ ও সরকারি ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকতো পাহাড়ি কন্যা খ্যাত পার্বত্য জেলা বান্দরবান। সরকারী যেকোন বন্ধে তাই বান্দরবানের হোটেল-মোটেল আর পর্যটকবাহী যানবাহনগুলো বুকিং হয়ে যেত কয়েকদিন আগে থেকে। তবে এবারে ভিন্ন চিত্র বান্দরবানে।

এবারের ঈদে আশানুরূপ পর্যটকের দেখা মিলছে না কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ও পরবর্তী পরিস্থিতিতে। নিরাপত্তা নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা ।

সাধারণত ঈদের ছুটিতে বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও এ বছর জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র, হোটেল, মোটেল, রিসোর্টগুলো প্রায় ফাঁকা বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও পর্যটন খাতের ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা নেই।

বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচিতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় ওইসব পর্যটনকেন্দ্র এড়িয়ে চলার কথা বলেছে প্রশাসন। তবে বান্দরবান সদরে নীলাচল, মেঘলা, স্বর্ণ মন্দির, নীলগিরি, শৈলপ্রপাত ও প্রান্তিক লেক ভ্রমণে সমস্যা নেই। এ ছাড়া আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় রয়েছে বেশ কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্র। এসব পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণে  বাধানিষেধ নেই। তারপরও ঈদের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক সাড়া না পাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কায় হোটেল মোটেল আর রিসোর্টের ব্যবসায়ীরা।

পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, পাহাড়ের নানা সমস্যার কারণে হোটেল-মোটেল প্রায় শূন্য। গত বছর কিছুটা বুকিং থাকলেও এবার ঈদে তেমন অগ্রীম বুকিং নেই। অর্থ উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মচারীদের ছাঁটাই করেছেন হোটেল মালিকরা। বিপাকে পড়েছেন টুরিস্ট গাইড, চাঁদের গাড়ির চালক, আবাসিক হোটেলের কর্মচারীসহ অনেকেই। তারা পাহাড়ে সন্ত্রাস নির্মূল করে দ্রুত জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন।

বান্দরবান আবাসিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসীম

উদ্দিন বলেন, গতবছর থেকে পর্যটক কমে গেছে। পর্যটক কমে যাওয়ায় আমাদের আবাসিক হোটেলগুলো ক্ষতির মুখে পড়ে গেছে। আমরা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়েও পর্যটক পাচ্ছি না।

বান্দরবান সদরের আবাসিক হোটেল হিলটন এর ম্যানেজার মো. আক্কাস বলেন, হোটেল হিলটন এর ৮৫টি রুমের মধ্যে এবারের ঈদে কোন রুম বুকিং হয়নি। প্রতিবছর ঈদ উল ফিতর ও ঈদ উল আযহার বন্ধে হোটেল মোটেলে রুম পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়তো তবে এবার চিত্র ভিন্ন, পাহাড়ের অবস্থা ভালো না থাকায় পর্যটকরা আসতে ভয় পাচ্ছে।

এদিকে হোটেল মোটেল আর রিসোর্টের পাশাপাশি বুকিং নেই পর্যটকবাহী যানবাহন গুলোতে। ঈদের বন্ধে এমন হাহাকার অবস্থায় হতাশ পর্যটকবাহী যানবাহনের মালিক আর শ্রমিকেরা।

বান্দরবানের চাঁদের গাড়ীর চালক মো. উসমান বলেন, বান্দরবানের রুমা,থানচি ও রোয়াংছড়িতে সন্ত্রাসীদের আনাগোনার সংবাদে অনেক পর্যটক বান্দরবানে আসতে চাইছে না। পর্যটক না থাকায় অনেকে পর্যটকবাহী গাড়িগুলো বিক্রি করে দিচ্ছে।

বান্দরবানের পরিবহন শ্রমিক নেতা মো. বাহাদুর বলেন, পর্যটক পরিবহনের জন্য চার শতাধিক চাঁদের গাড়ি রয়েছে। কিন্তু পর্যটক না আসায় গাড়িচালকরা সবাই বেকার হয়ে পড়েছেন। গত দুই ঈদের মতো এবারও তেমন একটা বুকিং নেই, পর্যটকও আসছে না। তাই বাধ্য হয়ে অনেকে পেশাও পরিবর্তন করেছেন।

বান্দরবান টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মঞ্জিল মোরশেদ বলেন, বান্দরবানের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে দুর্গম এলাকার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটক যেতে না পারলেও, জেলা সদরের আশপাশের মেঘলা, নীলাচল, শৈলপ্রপাত, প্রান্তিক লেক, চিম্বুক ও নীলগিরি ভ্রমণে যেতে কোনো বাধা নেই।

তিনি আরও বলেন,বান্দরবান টুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত। এছাড়া বিভিন্ন হোটেল, কটেজ ও রিসোর্টগুলোতে পর্যটকদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য জেলা টুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, পাহাড়ে যেসব এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান আছে, সেসব এলাকা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। তবে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি এ তিন উপজেলা ছাড়া অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তা স্বার্থে প্রত্যেকটি স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছেন।

বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায়  মামলায় অভিযুক্ত  ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র  সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানে  যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

;

১ কোটি ৪ লাখ পশু কোরবানি হয়েছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১ কোটি ৪ লাখ পশু কোরবানি হয়েছে

১ কোটি ৪ লাখ পশু কোরবানি হয়েছে

  • Font increase
  • Font Decrease

এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে। গত বছর কোরবানিকৃত গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি। গত বছরের তুলনায় এবার ৩ লাখ ৬৭ হাজার ১০৬ টি গবাদিপশু বেশি কোরবানি হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে মৎস ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বিষয়টি জানিয়েছে।

তিনি জানান, এ বছর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে।

মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ঢাকা বিভাগে ২৫ লাখ ২৯ হাজার ১৮২ টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৫২০ টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪ লাখ ২৬ হাজার ১১১টি, খুলনা বিভাগে ১০ লাখ ৮ হাজার ৮৫৫ টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৩৮টি, সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৪২টি, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৩ টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৫১৭ টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।

কোরবানি হওয়া গবাদিপশুর মধ্যে ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৯টি গরু, ১ লাখ ১২ হাজার ৯১৮ টি মহিষ, ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৭১৯টি ছাগল, ৪ লাখ ৭১ হাজার ১৪৯ টি ভেড়া এবং ১ হাজার ২৭৩ টি অন্যান্য পশু।

এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৫৪ টি গরু, ৬ হাজার ৪৬৫ টি মহিষ, ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭২ টি ছাগল, ৮৯ হাজার ৯১ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮০০ টি পশু, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ লাখ ১৭ হাজার ৭৪৭ টি গরু, ৯১ হাজার ৮১০টি মহিষ, ৬ লাখ ৫২ হাজার ১৩০ টি ছাগল, ৯৫ হাজার ৪৮৩টি ভেড়া ও অন্যান্য ৩৫০ টি পশু। রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ২০ হাজার ৪৭২টি গরু, ৯ হাজার ৫৬৮ টি মহিষ, ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮৬টি ছাগল ও ১ লাখ ১২ হাজার ৫৭৭টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৮টি, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৬৭টি গরু, ১ হাজার ৫০৬ টি মহিষ, ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৭৩৫ টি ছাগল, ৫৭ হাজার ৫৫৯ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮৮টি পশু। বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৮০ হাজার ৩৭৭ টি গরু, ১হাজার ১ টি মহিষ, ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৩ টি ছাগল ও ২০ হাজার ১৯০ টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৭ টি। সিলেট বিভাগে ২ লাখ ১ হাজার ১৪৩ টি গরু, ১ হাজার ৩৫৮ টি মহিষ, ১ লাখ ৭৩ হাজার ২২৩টি ছাগল ও ১৮ হাজার ১৪ টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৪ টি। রংপুর বিভাগে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৪ টি গরু, ৩০৪ টি মহিষ, ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬১৬ টি ছাগল, ৬০ হাজার ২২৮ টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ১১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৯০ হাজার ৮০৫ টি গরু, ৯০৬ টি মহিষ, ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৯৪ টি ছাগল ও ১৮ হাজার ৭ টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ০৫ টি কোরবানি হয়েছে।

উল্লেখ্য, এ বছর সারাদেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭ টি।
ok

;

আট দিনে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় ২৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আট দিনে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় ২৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা

আট দিনে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় ২৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

নাড়ির টানে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরে উত্তরাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এর ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুতে বাড়ে টোল আদায়ের হার।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (৯ জুন) রাত ১২টা থেকে রোববার (১৬ জুন) রাত ১২ টা পর্যন্ত গত আট দিনে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ২৩ কোটি ৮৩ লাখ ৭৮ হাজার ৪৫০টাকা। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৮৫টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ১২ কোটি ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার ২'শ টাকা। সিরাজগঞ্জে সেতুর পশ্চিম অংশে ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬১ টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১১ কোটি ৭৯ লাখ ২৮ হাজার ৪'শ টাকা।

আরও জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। প্রায় ২৬ বছরে সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছে গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত। এসময় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৫৩ হাজার ৭০৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪'শ টাকা। যা সেতু উদ্বোধনের পর টোল আদায়ে সর্বোচ্চ নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, স্বাভাবিক সময়ে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে মোট ২১টি জেলার প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে।

;

আইএসএজিও সার্টিফিকেট অর্জন করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আইএসএজিও সার্টিফিকেট অর্জন করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

আইএসএজিও সার্টিফিকেট অর্জন করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা, বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি এয়ারলাইন্স, সম্প্রতি অসামান্য গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার জন্য ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (IATA) থেকে মর্যাদাপূর্ণ সার্টিফিকেট পেয়েছে।

IATA সেফটি অডিট ফর গ্রাউন্ড অপারেশনস (ISAGO) বাংলাদেশে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবাগুলোর উন্নত মান বজায় রাখার পাশাপাশি যাত্রী, বিমান এবং পণ্যগুলির নিরাপত্তা ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির জন্য ইউএস-বাংলা স্বীকৃত।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে বেসরকারী বিমানসংস্থাগুলোর মধ্যে প্রথম আইএসএজিও সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। ইউএস-বাংলা সবসময় নিরাপত্তা এবং উন্নত সেবাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই স্বীকৃতি বিমান শিল্পে ইউএস-বাংলার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স লিমিটেড IATA সেফটি অডিট ফর গ্রাউন্ড অপারেশনস প্রোগ্রাম (ISAGO) এর অধীনে নিবন্ধিত হয়েছে, যা নিম্নলিখিত বিষয়গুলি কভার করে:
প্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থাপনা, লোড কন্ট্রোল, প্যাসেঞ্জার এবং ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং, এয়ারক্রাফ্ট হ্যান্ডলিং এবং লোডিং, এয়ারক্রাফ্ট গ্রাউন্ড মুভমেন্ট এবং কার্গো এবং মেইল হ্যান্ডলিং।

নিবন্ধনকৃত সার্টিফিকেটটি ইউএস-বাংলা সম্মানিত যাত্রীদের পূর্বের তুলনায় অধিক আস্থা প্রদান করবে। এই সার্টিফিকেট প্রাপ্তিতে ইউএস-বাংলার উপর যাত্রী নিরাপত্তা এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং মানসম্মত সেবার উপর নিয়ন্ত্রক সংস্থা আস্থা প্রদান করবে।

ইউএস-বাংলা ২০২৩ সাল থেকে একটি আইওএসএ (আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট) নিবন্ধিত বিমান সংস্থা; এখন এটি ISAGO নিবন্ধিত এয়ারলাইন্স। ইউএস-বাংলা সবসময় সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। ISAGO সার্টিফিকেট প্রাপ্তি ইউএস-বাংলার গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এর দক্ষতা প্রমাণ করে।

;