শিশু জায়েদকে দত্তক পেতে ১০ আবেদন, দুটি বিবেচনায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক দুর্ঘটায় মা জায়েদা খাতুনের মৃত্যুর পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসানকে দত্তক দেওয়ার বিষয়ে সভা করেছে শিশু কল্যান বোর্ড। সভায় দাখিল হওয়া ১০টি আবেদনের মধ্যে ২টি আবেদনকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

শিশুটিকে দত্তক দেয়ার বিষয়টি উচ্চ-আদালতকে জানানো হয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিশুটির বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

রবিবার (১৯ মে) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা করেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিশুকল্যাণ বোর্ড।

জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আ. কাইয়ুম বলেন, সভায় শিশু জায়েদকে দত্তক দেওয়ার বিষয়ে আবেদনকারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা দিক গুরুত্ব দিয়ে দুইটি আবেদন বিবেচনায় রাখা হয়েছে। শিশু জাহিদের বিষয়ে হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা রয়েছে। আজকের সভার বিষয়ে উচ্চ-আদালতকে জানানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, তার মামা রবিন মিয়ার আর্থিক সঙ্কট রয়েছে। তিনি একজন ভ্যান চালক। তার আরও তিনটি সন্তান রয়েছে। এ কারণে তিনি সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জাহিদকে নিজের কাছে রাখতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সেই মর্মে ইতোমধ্যে তিনি লিখিত একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছেন। এরপর শিশু কল্যান বোর্ডের আহবানে দশটি পরিবার জায়েদকে দত্তক নিতে আবেদন করেছিল। এর মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা দিক গুরুত্ব দিয়ে দুইটি আবেদন বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

সভায় ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

দত্তক দেয়ার বিষয়ে শিশুটির মামা রবিন মিয়া বলেন, জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি চাই আল্লাহ তাকে ভালো রাখুন।

সূত্রমতে, গত ৯ মে রাতে ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন জায়েদা খাতুন (৩০) ও তার দেড় বছর বয়সী শিশুপুত্র জায়েদ হাসান। সেখানে গত ১০ মে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জায়েদা। তবে তখনও জায়েদার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

জায়েদার মৃত্যুর পর হাসপাতালের বিছানায় দেড় বছরের স্বজনহীন অজ্ঞাত শিশুর কান্নাকাটি ও চিৎকারের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এমন খবর জানতে পেরে গত ১১মে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান নিহত জায়েদার ভাই রবিন মিয়া।

পরে রবিন মিয়া ওইদিন বোনের মরদেহ বুঝে পেলেও শিশুটি সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। কিন্তু হাসপাতালে এসে রবিন মিয়া শিশুটিকে লালন পালন করতে প্রথমে সম্মতি জানালেও পরে তিনি অসম্মতি জানান। এরপর জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড শিশুটিকে দত্তক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, সড়কে নিহত জায়েদা খাতুনের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দোররাবাজার উপজেলায়। তিনি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন। গত ৯ মে দিবাগত রাত তিনটার দিকে মাস্টাবাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় তারা আহত হলে পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়ে তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

   

চট্টগ্রামে অভিজাত রেস্তোরাঁয় খাওয়ানো হচ্ছিল বাসি খাবার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকায় অবস্থিত চারটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে প্রতিটিতেই অনিয়ম পেয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোববার (২ জুন) লা মেনসা, দ্য গোল্ডেন স্পুন, দ্য পিৎজা কো এবং ক্রিমসন কাপ রেস্তোরাঁয় এই অভিযান পরিচালনা করেন নগরীর কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, অভিযান পরিচালনার সময় লা মেনসা রেস্তোরাঁর কিচেনে অস্বাস্থ্যকর ও বাসি খাবার পাওয়া যায়। রেস্তোরাঁটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইভাবে দ্য গোল্ডেন স্পুন রেস্তোরাঁয়া অবৈধভাবে কেক ও দই উৎপাদন করার অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে নিবন্ধন না থাকায় দ্য পিৎজা কো রেস্তোরাঁকে ৩০ হাজার এবং ক্রিমসন কাপ রেস্তোরাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ৪ মামলায় চারটি রেস্তোরাঁকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন খুলশী থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য এবং কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসের কর্মচারীরা।

;

‘সঠিক নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বে এখন রোল মডেল’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সঠিক নেতৃত্ব যদি না থাকতো এই বাংলাদেশ আমরা পেতাম না। এক সময় যাদের কাছে আমরা ভিক্ষুক মিসকিনের জাতি হিসেবে সংজ্ঞায়িত ছিলাম, তারাই আজ বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে এখন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ৷ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বে এখন রোল মডেল।

তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশে এখন কেউ না খেয়ে নেই৷ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি আমাদের উল্লেখযোগ্য অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে৷ পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, কমিউনিটি ক্লিনিক এসব উন্নয়ন দৃশ্যমান। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো আমাদের অপূর্ণতা আছে। কিন্তু, যে উন্নয়ন শেখ হাসিনার বিগত পনের বছর শাসনামলে হয়েছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই৷

রোববার (২ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ পৌরসভা সমিতির উদ্যোগে গুলশানের হোটেল আমারি'তে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

উপস্থিত পৌরসভার মেয়রদের অনুপ্রেরণা দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আপনারা পৌর এলাকার জনপ্রতিনিধি। বাংলাদেশের পৌর এলাকায় বাস করা অধিকাংশ মানুষই সভ্য। মার্জিত জনগণের ভোটেই আপনারা নির্বাচিত। আপনারা চাইলেই নিজেদের নির্বাচিত এলাকায় আমূল পরিবর্তন সাধন করতে পারেন।

মন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়ার পার্ক চুং হি এবং সিঙ্গাপুরের লি হুয়ানের উদাহরণ উল্লেখ করে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক অবস্থা এমন ছিল না। দক্ষিণ কোরিয়ায় পার্ক এবং সিঙ্গাপুরে লি হুয়ান যখন ক্ষমতায় আসেন তারা জনগণের সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। সাহসিকতার সাথে নিজেদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যান। আপনাদেরকেও একই লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। তবেই, বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবেন। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হবেন।

বাংলাদেশ পৌরসভা সমিতির সভাপতি এবং নীলফামারী পৌরসভার মেয়র মো. দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতি অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম কামরুজ্জামান, যুগ্মসচিব মো. কামাল হুসেইন, বাংলাদেশ পৌরসভা সমিতির মহাসচিব এবং মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র মো. খালিদ হুসেইনসহ আরও অনেকে৷

;

লালমনিরহাটে ঝড়ে ভেঙে পড়লো ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বটগাছ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটে ২০০ বছরের পুরোনো একটি বটগাছ ঝড়ে ভেঙে পড়েছে। এ-বটগাছটিকে বলা হয় ‘হালা বটের তল’।

শনিবার (১ জুন) রাতে প্রচণ্ড ঝড়ে বিকট শব্দে বটগাছটি ভেঙে পড়ে। এসময় আতিক, উজ্জ্বল ও মেহেদি নামে স্থানীয় তিনজন আহত হন। তারা লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

লালমনিরহাটের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে দুই শতাধিক বছরের পুরোনো বটগাছটি। এর নামে এলাকার নাম দেওয়া হয় হালাবটের তল। যা এখন শুধুই স্মৃতি। এটি লালমনিরহাট পৌরসভার উত্তর সাপ্টানা এলাকায় অবস্থিত।

স্থানীয়রা জানান, ২০০ বছরেরও বেশি সময় আগে উত্তর সাপ্টানা এলাকায় গড়ে ওঠা মাঠটিতে বটগাছটির জন্ম হয়। কালের পরিক্রমায় বটগাছটি প্রায় দেড় একর জমিজুড়ে বিস্তৃতি লাভ করে। মানত পূরণের জনশ্রুতি থেকে ধীরে ধীরে হালা বটতল হয়ে ওঠে মানতের আস্তানা ও দর্শনার্থীদের বিনোদনের স্থান।

বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বটগাছের ডাল পালা বিস্তৃত হলেও গাছটি হেলে ছিল। পথচারীদের বিশ্রামেরও জায়গা এটি। ছুটির দিনসহ বিশেষ দিনগুলোতে বিনোদন প্রেমীরা হালা বটতলে ঘুরতে যেতেন। সেজন্য লালমনিরহাটের ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায় উত্তর সাপ্টানা এলাকার হালা বটতল।

দুই শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী বটগাছটি শনিবার রাতের ঝড়ে দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে পড়েছে। বটগাছের পাশে ঈদগাঁ মাঠের মিনারের পাশে ঝড়ের সময় আশ্রয় নেওয়া তিন যুবক ভেঙে পড়া গাছের ডালের নিচে চাপা পড়ে আহত হন।

হালা বটতলের খাদেম আকবর আলী বলেন, আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে আমি এ গাছের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। আমার অনেক কান্না পাচ্ছে।

ঐতিহ্যবাহী হালা বটগাছটি ভেঙে পড়েছে শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন। তিনি বলেন, জেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী হালা বটগাছটি ভেঙে পড়েছে।

;

সিলেটে নগরীতে কমছে বন্যার পানি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নয়টি উপজেলাসহ সিলেট নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। দুইদিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সিলেট নগরীর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

রোববার (২ জুন) সকাল থেকে নগরীর বন্যা কবলিত এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, সন্ধ্যায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে কুশিয়ারা পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর জকিগঞ্জ অমলসিদ পয়েন্টে ৮৭ ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানান, সিটি করপোরেশন এলাকার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বন্যা দেখা দেয়। বন্যা হওয়ার পর থেকে সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশনায় নানাভাবে কর্মতৎপরতা চালানো হয়। ভারপ্রাপ্ত মেয়র মখলিছুর রহমান কামরানসহ কর্মকর্তাগণ বন্যা কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর ছিলেন।

তিনি বলেন, নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডের কিশোরী মোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী একটি ৫ তলা খালি ভবনে দুটি আশ্রয় কেন্দ্রে শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিসিকের স্বাস্থ্য শাখার একটি চিকিৎসক দল সেখানে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন।

তাছাড়াও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এই দুটি আশ্রয় কেন্দ্রসহ বন্যা কবলিত ওয়ার্ডগুলোতে শুকনা খাবার, চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিশুদ্ধ পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওরস্যালাইন ও কিছু কিছু ওয়ার্ডে মোমবাতি সরবরাহ করা হয়েছে। শনিবার বিকেল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে রান্না করা খিচুড়ি দেওয়া হয়েছে।

সিসিকের এই কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় কাউন্সিলর ও আমাদের নিজস্ব তথ্যমতে আনুমানিক চার হাজার পরিবার বন্যাকবলিত আছে। আজও আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার মজুদ আছে।

;