নতুন ইসি সচিব হলেন শফিউল আজিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিমান বাংলাদেশ এয়ারল্যাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব শফিউল আজিমকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এখন থেকে তিনি নির্বাচন কমিশনের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিমকে (অতিরিক্ত সচিব) নির্বাচন কমিশনের সচিব হিসেবে পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ ২০২৪ সালের ৩০ জুন থেকে কার্যকর হবে।

   

রাঙামাটিতে ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা: তিন মেম্বারসহ গ্রেফতার ৪



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলাধীন বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতোমং মারমা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত চারজনের মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ তিনজন স্থানীয় ইউপি মেম্বার রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো, বড়থলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার সত্য চন্দ্র ত্রিপুরা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার ওয়াইভার ত্রিপুরা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাধু চন্দ্র ত্রিপুরা ও আ. লীগের সদস্য সুজন ত্রিপুরা। গ্রেফতারকৃতরা যথাক্রমে ৭নং, ৪নং, ৬নং ও ৮নং এজাহারনামীয় আসামি বলে জানা গেছে।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বিপিএম(বার) গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানিয়েছেন, রোববার মধ্যরাতে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারের আবাসিক হোটেল শুকতারা বোর্ডিংয়ে অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ২১ মে রাত আনুমানিক ১১টা ৩০ মিনিটে বড়থলি পাড়া গ্রামে নিহত আতোমং মারমার স্ত্রীর ভাই চিংহ্লা অং মারমার (৫০) মাচাং ঘরে ভাত খাওয়ার সময় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আতোমং মারমাকে গুলি করে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত আতোমংকে উদ্ধার করে প্রথমে বান্দরবানের রুমায় পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত চেয়ারম্যানের শরীর থেকে চারটি গুলি বের করে চিকিৎসকরা। এরপর থেকে তিনি সেখানে লাইফ-সাপোর্টে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার অবনতি হয়ে গত ৩০ মে, রাত ১১টা ৩৮ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

এই ঘটনায় ৩১ মে, রাত ৮ টার দিকে নিহত চেয়ারম্যানের বড় ভাই ক্যসিংমং মারমা (৬১) বাদী হয়ে বিলাইছড়ি থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে দণ্ডবিধি ৩০২/৩৪ পেনাল কোডে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিলাইছড়িতে দায়েরকৃত মামলায় আসামিদের গ্রেফতারে বিভিন্নভাবে কাজ করছে পুলিশ। তারই ধারাবাহিকতায় আসামিদের কয়েকজন রাঙামাটি শহরে অবস্থান করছে এমন খবর সোর্সের মাধ্যমে অবহিত হন রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ-বিপিএম(বার)। পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় আমি ও কোতয়ালী থানা পুলিশ ও ওসি ডিবির নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন হোটেলে অভিযান পরিচালনা করি। সোমবার ভোররাতে রিজার্ভ বাজারের শুকতারা আবাসিক হোটেল থেকে এজাহারনামীয় চার আসামিকে গ্রেফতার করি। আসামিদের বিলাইছড়ি থানার মাধ্যমে আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে বলেও প্রতিবেদক জানিয়েছেন সদর সার্কেল অফিসার জাহেদুল ইসলাম।

;

রংপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত সাড়ে তিন লাখ গবাদি পশু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আযহা উপলক্ষে রংপুর জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ গবাদি পশু। এ মাসের শুরুতেই জেলার প্রতিটি হাটে আনুষ্ঠানিকভাবে পশু কেনা-বেচা শুরু হবে বলে জানিয়েছে রংপুর প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মকর্তারা।

তবে খামারিরা আশঙ্কা করছেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ করলে তাদেরকে পথে বসতে হবে। এজন্য তারা চোরাচালান ঠেকাতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রাখার দাবি জানিয়েছেন। বিশেষ করে রংপুর বিভাগের সীমান্তবর্তী দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্তগুলোকে কঠোর নজরদারির মধ্যে নিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন।

রংপুর প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির জন্য রংপুরে ২৫ হাজারের বেশি খামারি প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার পশু লালন পালন করেছেন। জেলার চাহিদা মেটানোর পরেও প্রায় এক লাখ ৩৯ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।

খামারিরা জানান, ভালো দামের আশায় কোরবানির পশু লালন পালন করেছেন তারা। বাজারে গো-খাদ্যের অতিরিক্ত দাম। হাটে ভালো দামে গরু বিক্রি করে হাতে বাড়তি টাকা আসলে নিজেকে সফল মনে হয়। এছাড়া যদি ভারতীয় গরু সীমান্ত পেরিয়ে দেশে প্রবেশ না করে তাহলে যে বাজার দর আছে তাতে সব খামারিরা লাভবান হবেন। আর দেশীয় খামারিদের রক্ষায় ভারতীয় গরু যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত পেরিয়ে দেশে প্রবেশ না করে সে বিষয়ে কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।

রংপুর ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লতিফুর রহমান মিলন বলেন, খামারিদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে না চাইলে ভারতীয় গরু আনা বন্ধ করতে হবে। দেশের খামারিরা এখন পশুপালন করতে সক্ষম। জেলায় অনেক আধুনিক খামার রয়েছে। এই খামারগুলোতে উন্নত জাতের গরু লালন পালন করছে খামারিরা। অনেক খামার মালিক দেশের বাইরে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। আমরা চাই, এবার যাতে কোনো ধরনের পশু সীমান্ত পেরিয়ে দেশে প্রবেশ করতে না পারে। তাহলে আমরা লাভবান হতে পারবো। হাসি ফুটবে সকল খামারিদের। 

এ বিষয়ে পশুরহাট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানায় প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. জোবাইদুল কবীর জানান, খামারিদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। উন্নয়নের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে তারা যেন গরু উৎপাদন করতে পারেন। এবার কোরবানির ঈদে রংপুর জেলায় এক লাখ ৫১ হাজার ৪৫৭টি গরু ও মহিষ এবং ২ লাখ ৮ হাজার ছাগল ও ভেড়া লালনপালন করা হয়েছে।

;

বায়ু দূষণ রোধে মেয়র আতিকের ৫ নির্দেশনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতি সপ্তাহে বায়ু দূষণে শীর্ষে থাকে রাজধানী ঢাকা। অস্বাস্থ্যকর শহরের দিক থেকেও ঢাকার নাম তালিকার শীর্ষে। তবে এবার ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে ৫ নির্দেশনা দিয়েছেন উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে শক্তি ফাউন্ডেশন ও ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “সেভ ইয়োর ব্রেথ- ক্লিন এয়ার ইম্পারেটিভস” শীর্ষক নীতিনির্ধারণী সংলাপে এ ঘোষণা দেন তিনি।

নির্দেশনা গুলো হলো:

১. ধুলাবাহিত বায়ুদূষণ রোধকল্পে নির্মাণস্থলে আচ্ছাদন ব্যবহার করা।

২. বায়ুবাহিত সূক্ষ্ম কণা ছড়িয়ে দেয় এমন উপকরণ বহনকারী যানবাহনের জন্য উপযুক্ত আচ্ছাদন ব্যবহার নিশ্চিত করা।

৩. কালো ধোঁয়া নির্গমন হয় এমন অনুপযুক্ত যানবাহন নিষিদ্ধ করা।

৪. অপ্রয়োজনীয় পাতা এবং বর্জ্য পোড়ানো পরিহার করা।

৫. নালা ও খালের অবৈধ পয়ঃনিষ্কাশন লাইন বন্ধ করা।

মেয়র আতিক আরও ঘোষণা দেন, আনোয়ারা পার্ক আবার সুন্দর করা হবে। এটি কোনো কনস্ট্রাকশনের কাজে ব্যবহার হবে না। এছাড়া হিল টাউন হোটেল হবে না, মিরপুর ডিওএইচ এস এর পাশে বালুর মাঠে যে বিল্ডিং করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নিজে সে নির্দেশনা বাতিল করেছেন পরিবেশের ক্ষতি করে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, রাজউক, সিটি কর্পোরেশন, বেলা সবাই আমরা পরিবেশ রক্ষায় একসাথে কাজ করছি।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'শহরের পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। বিভিন্ন সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। গুলশান ও বারিধারা এলাকায় একটি সার্ভে করেছিলাম। বেশিরভাগ ভবনে সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই। অভিজাত এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ সিটি কর্পোরেশনের সারফেস ড্রেনে দিয়ে দূষণ করছে। গুলশান ও বারিধারা খালের পানি দূষিত, মাছের চাষ করা যায় না। সেখানে মশার চাষ হচ্ছে।'

মেয়র আরও বলেন, 'শহরের প্রায় সকল ভবনেই এয়ার কন্ডিশন (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) লাগানো আছে। সবাই হাজার হাজার টাকা খরচ করে ঘর ঠান্ডা করার জন্য এসি লাগাচ্ছে সবাই কিন্তু অনসাইটে সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা করার বিষয়ে কেউ চিন্তা করছে না। নির্বিচারে শহরের খালে, ড্রেনে সুয়ারেজের সংযোগ দিয়ে পানি, বায়ু দূষণ করছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। এসব অবৈধ সংযোগ বন্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিব।'

সংলাপে শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাকের সঞ্চালনায় আরও অংশ নেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকার, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক মো. লোকমান হোসেন মোল্লা প্রমুখ।

;

বেনজীরের সুরক্ষাকারীদের আইনের আওতায় আনা হোক: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অবৈধভাবে বিপুল অর্থ ও সম্পদ অর্জন এবং তা অর্জন করতে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারের যে চিত্র উঠে আসছে তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটি বলছে, উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের ক্ষমতার লাগামহীন অপব্যবহার বেনজীরদের মতো ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন (দানব) তৈরি করছে যা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার জবাবদিহি কাঠামোকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। একইসঙ্গে এসব ক্ষমতার অপব্যবহারের সাথে জড়িত সহযোগী এবং সুরক্ষা প্রদানকারীদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি জোরপূর্বক জমি দখলে ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।

সাবেক পুলিশ প্রধানের বিপুল পরিমাণ অর্থ ও জমির মালিকানার নতুন নতুন তথ্য প্রতিনিয়ত সামনে আসছে। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, যার প্রায় সবক্ষেত্রেই তিনি ভয় দেখিয়ে দখল করেছেন কিংবা প্রকৃত মালিককে জিম্মি করে জমি বিক্রয়ে বাধ্য করেছেন। অনেক ক্ষেত্রেই এসব জমির মালিক ছিলেন সংখ্যালঘুরা। আর এই কাজে নিজ বাহিনীর পাশাপাশি অন্যান্য সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় সংস্থার সদস্যদের যথেচ্ছ ব্যবহারও করেছেন। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের এমন দৃষ্টান্তকে ন্যাক্কারজনক আখ্যা দিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেন, সাবেক পুলিশ প্রধান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ভয় দেখিয়ে, জোর প্রয়োগ করে জমি কিনে নেওয়া এবং তা করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী ও সরকারের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সদস্যদের যোগসাজসের যে সব অভিযোগ জানা যাচ্ছে তা সত্যিই ভয়ংকর। তার এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের কোথাও বিচারপ্রাপ্তির সুযোগও বলপূর্বক প্রতিরুদ্ধ করা হয়েছে। এমন অবস্থায় মূল অপরাধী ও যোগসাজসকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিতের পাশাপাশি ভয়ে বা জিম্মি হয়ে জমি বিক্রয়ে বাধ্য হওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।

সাবেক পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ যখন তদন্তাধীন রয়েছে এবং প্রতিনিয়ত নামে-বেনামে নতুন নতুন সম্পদের হদিস পাওয়া যাচ্ছে, তখন সাবেক পুলিশ প্রধানের পরিবারসহ দেশত্যাগ কীভাবে সম্ভব- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ড. জামান বলেন, গণমাধ্যমরে খবর অনুযায়ী, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ প্রধান দেশ ছেড়েছেন এবং দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও তুলে নিয়েছেন। এমন বাস্তবতায় তার মতো আলোচিত ব্যক্তির সবার অজান্তে দেশ ছেড়ে যাওয়া সত্যিই অবাক হওয়ার মতো। তার এই বিদেশে চলে যাওয়ার ঘটনা যোগসাজসের মাধ্যমে হয়েছে কি-না, ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন ও তা বিদেশে পাচারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজস ছিলো কি-না, কিংবা তার বিরুদ্ধে তদন্ত বাস্তবে শুধুই লোক দেখানো কি-না-এমন প্রশ্ন ওঠা মোটেও অমূলক নয়।

এক্ষেত্রে এটি সুস্পষ্ট যে, ক্ষমতা কাঠামোর একটি নির্দিষ্ট অংশ তাকে সুরক্ষা প্রদান আগেও করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে। ফলে সাবেক পুলিশ প্রধানকেই দুর্নীতির দায়ে আইনের আওতায় আনলেই হবে না, তাকে সুরক্ষা বা সহযোগিতা প্রদান করা সকল ব্যক্তিরই যথাযথ বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, সাবেক পুলিশ প্রধান হিসেবে আইনের ভক্ষকের উৎকট দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, এতো দিন ধরে দুর্নীতি করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন, অথচ বিষয়টি সরকারের নজরে আসেনি- এমন দাবি মানার সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে, এমন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে, এমন অপরাধ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীনদের একাংশ শুধু তাকে সুরক্ষা দেয়নি, সহযোগিতাও করেছে, ক্ষেত্রবিশেষে উৎসাহও দিয়েছে, যা প্রশাসনযন্ত্রে রাজনৈতিক অঙ্গনের ভেতরে ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন তৈরিতে অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দাবি অনুযায়ী, যারা দুর্নীতি করেছে তাদের সবার তথ্য সরকারের কাছে আছে। বিরল হলেও বাস্তবতার এমন স্বীকৃতির যথার্থতার স্বার্থে সরকারকে জবাব দিতে হবে- তাহলে একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতির এমন বিপুল নজির সৃষ্টি কীভাবে সম্ভব হলো? একইভাবে সেক্ষেত্রে সেই তালিকা প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের শূন্য সহনশীলতার অঙ্গীকারের যথার্থতার প্রমাণ দিতে হবে, অন্যথায় এমন অঙ্গীকার প্রহসনে পরিণত হবে বলে যে ধারনা জনমনে রয়েছে তাই প্রমাণিত হবে, বলেন তিনি।

;