খুলনায় কৃষিজমিতে উন্নয়ন প্রকল্প না করার সিদ্ধান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খুলনা
জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত, ছবি: সংগৃহীত

জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোনো অবস্থাতেই কৃষিজমি ব্যবহার করে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি।

রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে তার সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত মাসিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভাপতি তার বক্তৃতায় বলেন, ‘কৃষি জমিতে কোনো কারণে যদি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদের অনুমতি সাপেক্ষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জমির খাত পরিবর্তন করতে হবে। এ সময় তিনি আগামী চার মাসের মধ্যে খুলনার সকল উপজেলার ভূমি ব্যবহারের মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।’

সভায় আরও জানানো হয়, খুলনার তেরখাদা ও বাটিয়াঘাটা উপজেলাতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর ভাই শেখ আবু নাসেরের নামে দুটি পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। শেখ কামাল হাইটেক পার্কের কাজ শিগগিরি শুরু হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য হিসেবে খুলনাতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মাসের মধ্যে চার হাজার সাতশ মেডিকেল অফিসার সারাদেশে পদায়ন করা হবে। ফলে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান সহজ হবে।

সভায় সভাপতি উপস্থিত সকল কর্মকর্তাকে টেকসই ভিত্তিতে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং গতানুগতিক কাজের বাইরে এসে জনকল্যাণমুখী প্রকল্প গ্রহণের অনুরোধ করেন।

সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ এএসএম আব্দুর রাজ্জাক, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান, সকল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

   

‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত

‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) সর্বসম্মতিক্রমে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার সাধারণ পরিষদের হলে প্রস্তাবটি উন্থাপন করেন।

শুক্রবার (৩ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবটি প্রথম গৃহীত হয়েছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর ইউএনজিএ-তে এই রেজুলেশনটি সহজতর করে আসছে এবং সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ওপর একটি উচ্চ-স্তরের ফোরামও আহ্বান করছে।

সাম্প্রতিক উচ্চ-স্তরের ফোরাম, যা ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, শান্তির সংস্কৃতির রূপান্তরমূলক ভূমিকার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যাতে শান্তি, সমতা এবং শান্তি বিনির্মাণকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায়।

এই বছর রেজোলিউশনটি জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে। এটি প্রতিরোধমূলক কূটনীতি, সংলাপ এবং সবস্তরে সুস্থ বিতর্ক জোরদার করার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।

সংঘাত প্রতিরোধ এবং সমাধানে নারীর অমূল্য ভূমিকার পুনর্নিশ্চিত করার সময় এটি এই জাতীয় প্রক্রিয়াগুলোতে মহিলাদের পূর্ণ সমান এবং অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদের মধ্যে প্রস্তাবটি সহিংসতা এবং সংঘাতের অন্তর্নিহিত চালকদের মোকাবেলা করার এবং চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।

রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, শান্তির সংস্কৃতির প্রস্তাব সময়ের সাথে সাথে প্রাসঙ্গিকভাবে বেড়েছে এবং একটি প্রভাবশালী থিমে বিকশিত হয়েছে যা জাতিসংঘের সকল প্রধান বক্তৃতায় বৃহত্তর পদচিহ্ন এবং স্বীকৃতি খুঁজে পেয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এটি বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের সনদের বাধ্যবাধকতা পরিপূরক করার একটি কার্যকর উপায় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।’

এই বছরের প্রস্তাবটি ১শ’ ১২টির দেশ সমর্থন করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতি বছর এই প্রস্তাবটি বাংলাদেশের অব্যাহত সহজলভ্যতা বৈশ্বিক শান্তির জন্য অটল প্রবক্তা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর আস্থার প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র: বাসস

;

গুলশানে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ পার্ক দখলমুক্তের দাবিতে মানববন্ধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর গুলশানে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ পার্ক মাঠ দখল হওয়া থেকে উদ্ধারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্মৃতি পরিষদ।

শুক্রবার (০৩ মে) সকালে গুলশান-২ এ অবস্থিত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ পার্কের মূল ফটকের সামনে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় পার্ক ও মাঠ দখলমুক্ত রাখার ব্যপারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে প্রধানমন্ত্রীর করা মন্তব্যের প্লে-কার্ড হাতে মানব বন্ধনে এই দাবি করে সংগঠনটি।

সংগঠনের সদস্যদের অভিযোগ, ইট-পাথরের শহরে সবুজে ঘেরা এই পার্কটি শিশুদের খেলাধুলা, সাধারন মানুষের বিনোদন, শরীরচর্চা ও পরিবেশ সংরক্ষণের কথা বিবেচনা করে উম্মুক্ত জায়গা হিসেবে রাখলেও পার্কটিতে ‘গুলশান ইয়ুথ ক্লাব’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করে মাঠের প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করার পাশাপাশি সকলের জন্য উন্মুক্ত পার্কটি সাধারণের চলাচলে সীমাবদ্ধতা তৈরি করছে। এতে করে খেলাধুলার সুযোগ হারাচ্ছে শিশুরা। 

পার্ক থাকবে সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য উন্মুক্ত উল্লেখ করে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘এই পার্কে অসংখ্য প্রজাতির পাখি আমি দেখতে পাই। এই পার্কটিকে আরও বেশি সবুজ করা দরকার যেন এই পাখিগুলো এখানে সবসময় থাকে। তবে এখানে হচ্ছে তার উল্টো। শিশুরা সবুজ মাঠে খেলাধুলা করবে, হাঁটবে, দৌঁড়াবে এমনটাই প্রত্যাশা। কিন্তু প্রাকৃতিক সবুজ মাঠ নষ্ট করে এখানে তৈরি করা হচ্ছে কংক্রিটের মাঠ। আবার মাঠের চারপাশে উঁচু তারের বেড়াও দেওয়া হয়েছে। এতে করে বোঝা যাচ্ছে যে এই মাঠ কতটুকু উন্মুক্ত থাকবে। পরিবেশ নষ্ট করে কৃত্রিম মাঠ আমাদের চাই না। আমরা চাই খোলামেলা সবুজ প্রকৃতিক পরিবেশ।‘ 

সবুজ মাঠ নষ্ট করে কংক্রিটের মাঠ বানিয়ে বাণিজ্যিকীকরণের চেষ্টা না করার আহ্বান জানিয়ে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ঢাকার মধ্যে এমনিতেই সবুজ জায়গা নেই। তার ওপর এই সবুজ উজার করে এইভাবে অবকাঠামো তৈরি করে কংক্রিটের জঞ্জাল বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী মাঠ হচ্ছে উন্মুক্ত জায়গা। এই জায়গাকে স্টেডিয়াম বানানো মানে মানুষের উপস্থিতি সীমাবদ্ধ করা। তখন আর সব শ্রেণির মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাবে না। সবাই তখন খেলতে পারবে না। কর্তৃপক্ষের কাজই হল সবার উপস্থিতি নিশ্চিত করা। এটা না করে কোনো একটা ক্লাবের কাছে মাঠটি দেওয়া হলে তারা নিজেদের কাজেই ব্যবহার করবে। তখন এখানে অন্যরা সুযোগ কিভাবে পাবে। তাই আমরা চাই মাঠটি পুরো কমিউনিটির জন্যই থাকুক। কোনও ক্লাবের দখলে না থাকুক।’

তবে পার্ক ও মাঠ দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ পার্কে আমরা কংক্রিটের যে মাঠ তৈরি করছি এটার নাম আর্টিফিশিয়াল ফুটবল টার্ফ। এলাকার শিশুদের আবদারের কারণে এ মাঠ তৈরি করে দেই। বৃষ্টির দিনে সেখানে পানি জমে কাঁদা হয়ে থাকে বলে শিশুরা খেলতে পারে না। তাই সেখানে একটি কৃত্রিম মাঠ তৈরি করা হয়েছে। পার্ক ও মাঠ দখলের মতো কিছু হয়নি।’

;

রাজধানীসহ তিন বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া
প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। 

শুক্রবার (৩ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যম এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলা সমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের কিছু কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।

এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

 

;

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: তদন্তে রেলওয়ের দুটি কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের কাজীবাড়ি এলাকায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে রেলওয়ের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানতে রেলের সিওপিএস মো. শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি আঞ্চলিক কমিটি করা হয়েছে। আর রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিগন্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন) সৌমিক শাওন কবিরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। নতুন গঠন করা কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মো. সফিকুল ইসলামের নির্দেশে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

;