খুলনায় শুদ্ধি অভিযান আতঙ্কে প্রভাবশালীরা!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খুলনা
ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্যাসিনো-জুয়ার আসর, চাঁদাবাজ, অবৈধভাবে সম্পদের মালিক, মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, ভূমিদস্যু ও শীর্ষ টেন্ডারবাজদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে খুলনার প্রভাবশালী মহলে।

অভিযান শুরুর পর পরই গ্রেফতার এড়াতে অনেক গডফাদারই পর্দার আড়ালে চলে গেছেন। আতঙ্কে আছেন চুনোপুঁটিরাও। তবে শুদ্ধি অভিযানের প্রশংসা করেছেন সুশীল সমাজ।

সবশেষ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে খুলনার সাংবাদিক পাড়ায় একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে। যুবলীগের একজন শীর্ষ নেতার বাড়িতে অভিযান চলছে- এমন খবরে মুহূর্তের মধ্যে সংবাদকর্মীরা সেখানে ছুটে গিয়ে সংবাদের সত্যতা পাননি। মূলত আতঙ্ক থেকেই এমন খবর ছড়িয়েছে বলে জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা মহানগরী ও জেলায় অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে নানা উপায়ে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এমন প্রভাবশালীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। এদের অনেকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যুতার মাধ্যমে গত কয়েক বছরে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। খুলনাসহ দেশ-বিদেশে স্ত্রী, সন্তানের নামে-বেনামেও করেছেন সম্পদ।

এছাড়া জুয়া ও মাদকব্যবসায়ীসহ সন্ত্রাসীদের লালন পালনের অভিযোগও রয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে। খুলনায় গোয়েন্দা নজরদারিতেও আছেন এমন একাধিক শীর্ষ নেতা।

সম্প্রতি শুদ্ধি অভিযান শুরু হবার পর থেকে খুলনার বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক শীর্ষ নেতা গাঁ ঢাকা দিতে দেশের বাইরে চলে গেছেন বলে খবর পাওয়া যায়। তবে কৌশল অবলম্বন করে তারা বলছেন, এটা বিদেশ ভ্রমণ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজনৈতিক দলের এক নেতা বলেন, রাজধানীতে অভিযান হবার পর খুলনায় এর তেমন প্রভাব পড়বেনা, এমনটা মনে করেছিলো অনেকে। কিন্তু ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম ও বগুড়ায় অভিযান হওয়ার খবরে নড়েচড়ে বসেছেন খুলনা নেতারা। অনেক দুর্নীতিবাজ নেতারা বিদেশে চলে গেছেন, আবার অনেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে লবিং করছেন। সবার মনেই আতঙ্ক, শুদ্ধি অভিযানে তার নাম তালিকায় আছেন কিনা। যারা বাইরে গেছেন, তাদের অনেকেই অপেক্ষা করছেন কবে অবস্থা শিথিল হবে সেসময়ের।

তবে শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন খুলনার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। নিয়মিত শুদ্ধি অভিযান চললে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এমনটাই মনে করছেন তারা। শুদ্ধি অভিযানের সুফল মিলবে প্রতিটি সেক্টরে এমনটাই আশা তাদের।

নাগরিক প্রতিনিধি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) -এর খুলনার সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত ই খুদা বার্তাটোয়েন্টিফোর. কমকে বলেন, ‘দেশের সর্বত্রই শুদ্ধি অভিযান চলুক, এটা আমরা চাই। এটা যেন প্রকৃত শুদ্ধি অভিযান হয়, লোক দেখানো অভিযান না হয়।’

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি দমন, অপরাধ দমনের জন্য শুদ্ধি প্রয়োজন। একটি সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে অপসংস্কৃতি দুর্নীতি প্রভাব বিস্তার করে। এজন্য একটা সময় পর পর শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা উচিত। দলকে শুদ্ধ করার জন্য, রাষ্ট্রের দুর্নীতিকে শুদ্ধ করার জন্য শুদ্ধি অভিযান চালানো উচিত। অন্যন্য স্থানের চেয়ে খুলনা কিছুটা ভালো হলেও, এখানে একেবারে দুর্নীতি নেই এটা বলা যাবে না। যে কারণে খুলনায়ও শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা উচিত।’

শুদ্ধি অভিযান সম্পর্কে র‌্যাব-৬ অধিনায়ক সৈয়দ মোহাম্মদ নুরুস সালেহীন ইউসুফ বার্তাটোয়েন্টিফোর. কমকে বলেন, ‘র‌্যাবের সম্পূর্ণ কার্যক্রমই একটু ভিন্ন। আমরা তো কমিউনিটি পুলিশিং ভিত্তিক কার্যক্রম করি না। কোনো কার্যক্রম পরিচালিত হলে গণমাধ্যমে জানানো হবে, এখন কিছু বলতে পারছি না। আগে থেকে জানালে আমরা কাজ করতে পারি না। কিছু হলে জানতে পারবেন।’

উল্লেখ্য, খুলনায় অবৈধভাবে বিপুল সম্পদের মালিক, সরকারি-বেসরকারি কাজে টেন্ডারবাজি, ভূমিদস্যুতা, জুয়া-মদের আসরের নিয়ন্ত্রক ও মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয়দাতা, নির্বাচিত কাউন্সিলর, বর্তমান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ একাধিক রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা, মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায় আছেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে তাদের তালিকা তৈরি করে স্ব-স্ব গোয়েন্দা সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। নজরদারি এড়াতে সবাই চলাফেরা করছেন সতর্কতার সঙ্গে।

   

রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসে বাঘাইছড়ির সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাঙামাটি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা দিঘিনালা সড়কের দুই টিলা এলাকায় পাহাড় ধসে সারাদেশের সাথে বাঘাইছড়ির যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) সকালে পাহাড় ধসে যান চলাচল বন্ধ থাকার খবর পাওয়া গেছে।

৩ মে রাতে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মারিশ্যা দিঘিনালা সড়কের দুই টিলা এলাকায় পাহাড়ের বড় একটি অংশ সড়কের উপর ধসে পরে। এই ঘটনায় কোন ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও সকাল থেকে সকল ধরনের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

সড়কের দুই পাশে আটকে পড়েছে বহু যানবাহন। পাহাড় ধসের সংবাদ পাওয়ার পরপরই ভোর থেকে মাটি সড়কের মাটি সরানোর কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনীর সিক্স বেঙ্গল বাঘাইহাট জোন। বাঘাইহাট জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল খায়রুল আমিন পিএসসি, নিজেই মাটি সরানোর কাজ তদারকি করছেন বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার পাহাড় ধসের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা সংবাদ পাওয়ার পরপরই সেনাবাহিনী ও সড়ক যোগাযোগ বিভাগের লোকজনকে মাটি সরানোর অনুরোধ করেছি। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে। ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে সড়ক ও জনপদের লোকজনও রওনা হয়েছে। তারা পৌছালে আমরা আশাবাদী ৩-৪ ঘন্টার মধ্যে যানচলাচল স্বাভাবিক হবে।

এদিকে তীব্র তাপদাহের পর গতকাল দুপুরে বাঘাইছড়িতে হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বজ্রপাতে এখন পর্যন্ত দুই নারী নিহত ও সাতজন পুরুষ আহত হয়েছে, মারা গেছে ৩ টি গবাদিপশু। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারকে ১০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

;

গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে একটি মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ মে) বেলা পৌনে ১১টার দিকে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

বিস্তারিত আসছে...

;

কমেছে ব্রয়লারের দাম, শাক সবজিতে অস্বস্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমে অস্বস্তিতে থাকা নগরবাসীকে বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি এনে দিলেও বাজারে এসে আবারও অস্বস্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। রোদ হোক বা বৃষ্টি ব্যবসায়ীদের সারাবছর অজুহাত লেগেই থাকে। সরবরাহের ঘাটতি না থাকলেও গরমের অজুহাতে দাম বেড়েছে প্রায় সব নিত্য পণ্যের বাজারে। তবে সুখের সংবাদ এই যে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে যে মুরগি বিক্রি হচ্ছিলো ২২০/২৩০ টাকা কেজি তা আজ বিক্রি হচ্ছে ১৯০/২০০ টাকা কেজি।

শুক্রবার (৩ মে ) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। 


বাজার ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতার আনাগোনা কম থাকলেও গরুর মাংসের দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০/৮০০ টাকায় বিক্রি করছে দোকানিরা। আর ছাগল বা ভেড়ার মাংস ৯৫০-১০০০ টাকা কেজি। এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি দরে। বেলজিয়াম জাতের হাস ৫০০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি ৬৬০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি কক ৩৭০ টাকা কেজি তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে ১৯০/ ২০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গত রাতের সামান্য বৃষ্টিতে সরবরাহ কম হবার অজুহাত দেখিয়ে গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে শাক সবজির দাম। 

কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সুমন জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গরমের কারণে সবজির সরবরাহ কিছুটা কম। এছাড়া গত কাল দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ায় রাতে পাইকারি সবজি ব্যাপারিরাও মাল নিয়ে তেমন আসতে পারেন নি। তাই চাহিদার তুলনায় কম সবজি থাকায় একটু দাম বেশি। তবে আগামী কয়েক সপ্তাহ পরে মালের যোগান বৃদ্ধি পেলে দাম কিছুটা কমতে পারে বলে ধারণা তার। 

এদিকে খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া কেটে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, পেঁপে ৪০ টাকা, দেশি গাজর ৬০ টাকা। এছাড়া লাউ প্রতি পিছ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, দেশি পটল ১২০ টাকা আর হাইব্রিড পটল ৬০ টাকা, গোল বেগুন ১০০ টাকা আর লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, লেবুর হালি ৪০ টাকা তবে বরাবরের মতো মুলার দাম ছিলো একটু কম ৪০ টাকা কেজি। 

এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় খুব একটা বাড়েনি মাছের দাম। বাজারে ঘুরে দেখা গেছে ছোট আইড় মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি, বোয়াল ৭০০-৮০০ টাকা কেজি, এছাড়া বড় বাইম ১২০০-১৪০০ টাকা কেজি।


তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত এবং চাহিদার শীর্ষ থাকা মাছের দাম ছিলো অপরিবর্তিত। বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজি, পাঙ্গাশ আকারভেদে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, পাবদা ৫০০-৫৫০ টাকা, একটু ছোট জাতের রুই মাছ ৩০০ টাকা আর বড় সাইজের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪২০-৪৫০ টাকা কেজি, সিলভার কার্প ২৪০ এবং মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি।

মগবাজারের বাসিন্দা হোসেন আলী সাপ্তাহিক বাজার করতে এসে বার্তা ২৪ কে বলেন, মাছের দাম আগের মতোই আছে মনে হচ্ছে। তবে শাক সবজির দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাসায় বউ প্রত্যেক তরকারিতে আলু দেয়। আমরা আলু খেতে পছন্দ করি সেই আলু এখন ৫০/৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। একটু আলু ভর্তা খামু তারও কোন উপায় নেই।

;

ময়মনসিংহে পুকুরের ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার পরানগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীগলদি গ্রামের মো. কামাল মিয়ার শিশু দুই ছেলে ওমর ফারুক (১০) ও আবু বক্কর (৭)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৫টার দিকে নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের শিমুল তলি মোড় নামক স্থানের একটি পুকুরে এই ঘটনা ঘটে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মো. কামাল সদর উপজেলার পরানগঞ্জ শ্রীগলদি গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু মো. কামাল মিয়া গত ১০/১২ বছর যাবত স্বপরিবারে নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে গোদারাঘাট এলাকার বিল্লাল ডাক্তারের বাড়িতে বাসায় বসবাস করে আসছেন। কামাল মিয়া পেশায় ভ্যান চালক, তার স্ত্রী অন্যের বাসায় কাজ করেন।

ঘটনার দিন সকালে কামাল ও তার স্ত্রী সন্তানদের বাসায় রেখে কাজ করতে চলে যায়। দুপুরের দিকে দুই শিশু খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে যায়। কিন্তু কখন ঘুম থেকে উঠে বাইরে বেরিয়ে যায়, বিষয়টি বাড়ির অন্য কেউ টের পায়নি। এদিকে দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলেও বাড়িতে না ফেরায় প্রতিবেশিরা তাদের দেখতে না পেরে খোঁজাখুজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায় শিমুলতলি মোড়ের একটি পুকুরে ছোট ছেলে আবু বকরকে ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আবু বকরকে উদ্ধারের আধাঘণ্টা পর একই পুকুর থেকে ওমর ফারুককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এদিকে, আবু বকরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মাইন উদ্দিন বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;