মজুরি কমিশনের স্লিপ না, টাকা চান পাটকল শ্রমিকরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে কাজ করছেন শ্রমিক

খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে কাজ করছেন শ্রমিক

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মাসের ১৬ জানুয়ারি নতুন মজুরি কমিশনের পে-স্লিপ দেওয়া হয় খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের। নতুন মজুরি কমিশনের পে-স্লিপ দেওয়ার প্রায় দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোনো টাকা পায়নি পাটকল শ্রমিকরা। মজুরির অভাবে এখন চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে খুলনা শিল্পাঞ্চলে।

শিল্পাঞ্চল ঘুরে জানা যায়, মজুুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে খুলনাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা ২ দফায় আমরণ অনশন পালনের পরে পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন করে। এরপর এ মাসের ১৬ জানুয়ারি শ্রমিকদের মাঝে নতুন মজুরি কমিশনের পে-স্লিপ দেওয়া হয়। তবে মজুরি স্লিপ দেওয়ার দু’সপ্তাহ পরেও স্থায়ী শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ করা হয়নি। মজুরি না পেয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন পাটকলের শ্রমিক ও কর্মকর্তারা।

পাট দিয়ে রশি তৈরি করছে শ্রমিকরা

বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন মজুরি স্কেল অনুযায়ী ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ মজুরি বেড়েছে শ্রমিকদের। মজুরি স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী শ্রমিকদের মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের পরে খুলনাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলে মজুরি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। মজুরি কমিশন ঘোষণার আগে খুলনার ৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের ৯ হাজার ৩৯৭ জন স্থায়ী শ্রমিকের সাপ্তাহিক মজুরি ছিল ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। নতুন মজুরি স্কেল অনুযায়ী যা বেড়ে এখন সাপ্তাহিক মজুরি ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। শ্রমিকদের প্রতি সপ্তাহে মজুরি বেড়েছে সোয়া তিন কোটি টাকা।

শ্রমিকরা জানান, সবশেষ গত ১৬ জানুয়ারি স্থায়ী শ্রমিকদের নতুন মজুরি স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী মজুরি স্লিপ দেওয়া হয়। কিন্তু মজুরির টাকা মেলেনি। পাটকল শ্রমিকদের ১০ সপ্তাহের মজুরি বাবদ বকেয়া রয়েছে প্রায় ৩২ কোটি টাকা। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিন মাসের বেতন বাবদ বকেয়া রয়েছে প্রায় ৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সব মিলে মোট বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৪০ কোটি টাকা।

চট তৈরি করছে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা

পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক নেতা খলিলুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, শ্রমিকরা নতুন মজুরি স্কেলের স্লিপ হাতে পেয়েছে কিন্তু কেউই মজুরি পায়নি। শ্রমিকদের ১০ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া আছে। দরিদ্র শ্রমিকরা আর কতো কষ্ট করবে। তাদের মধ্যে একদিকে ক্ষোভ জন্মাচ্ছে, আরেকদিকে ক্ষুধা। ধার দেনা করে এতদিন কোনো রকমে চললেও আর তো সম্ভব হচ্ছে না। এতো আন্দোলন সংগ্রামের পরে দাবি পূরণের আশ্বাস ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন হলেও কার্যত কোনো সুফল পাচ্ছে না শ্রমিকরা।

শ্রমিক নেত্রী শাহানা শারমিন বলেন, প্রায় ১০ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া শ্রমিকদের। টাকা না পেয়ে আর্থিক সংকটে রয়েছেন শ্রমিক ও তাদের পরিবার। নতুন বছরে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া থেকে শুরু করে সবকিছু থমকে আছে। নতুন মজুরি কমিশন অনুযায়ী শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি দ্রুত প্রদানের দাবি জানান তিনি।

পাটের তৈরি পণ্য

এদিকে নতুন সংকট সৃষ্টি হয়েছে পাটকলের অস্থায়ী বদলি শ্রমিকদের মাঝে। মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের সাথেই বিজেএমসির নির্দেশনা অনুযায়ী বদলি শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত ৭টি পাটকলে ২ হাজার ৫১২ জন বদলি শ্রমিক কমর্রত ছিলেন। কাজ বন্ধ করায় বেকার হয়ে পড়েছেন সবাই। বিপাকে পড়েছেন বদলি শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

প্লাটিনাম জুটমিলের বদলি শ্রমিক হোসেন আনোয়ার বলেন, প্রায় ১২ বছর ধরে বদলি শ্রমিক হিসেবে জুটমিলে কাজ করি। হঠাৎই মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের পরে আমাদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছি। দিশেহারা হয়ে এখন চাকরি খুঁজছি অন্য কোনো পেশায়। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এমন বিপদে আগে কখনো পড়তে হয়নি।

পাট দিয়ে রশি তৈরি করছে শ্রমিকরা

এসব ব্যাপারে বিজেএমসি’র খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের সমন্বয়কারী বনিজ উদ্দিন মিঞা জানান, মিলের নিজস্ব ফান্ডে টাকা না থাকায় শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন, আলিম, জেজেআই ও কার্পেটিং জুটমিলে ২৮ হাজার ৪৩৩ টন পাটজাত পণ্য বিক্রির অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে। এসব পণ্যের বাজার মূল্য প্রায় ২২৭ কোটি টাকা। মজুদ পণ্য দ্রুত বিক্রি না হলে সরকারের ভর্তুকি ছাড়া এ অর্থ পরিশোধের সামর্থ্য নেই পাটকলগুলোর।

তিনি আরও বলেন, বদলি শ্রমিকরা স্থায়ী শ্রমিকের অবর্তমানে মিলে কাজ করতেন। কিন্তু বর্তমানে মিলগুলোতে উৎপাদন কম থাকায় সম্প্রতি বিজেএমসি থেকে চিঠি দিয়ে বদলি শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী বদলি শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

   

বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার সামনে শ্রমিকদের অবস্থান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা জেলার সাভারে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় সাভারের কলমা এলাকায় রেবেলা অ্যাপারেলস নামে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় তাদের।

শ্রমিকরা জানান, তিন বছর আগে কারখানাটি চালু হয়। তখন থেকেই বেতন, ওভার টাইম পরিশোধ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করে আসছিল কর্তৃপক্ষ। এ বছরও একইভাবে বেতন বকেয়া রাখছিল তারা। সম্প্রতি ঈদ-উল-ফিতরের দুই দিন আগে অর্ধেক বেতন পরিশোধ করা হয় শ্রমিকদের। ঈদের পরে পুরো বেতন পরিশোধের কথা থাকলেও তা কয়েকবার ঘুরিয়ে পরিশোধ করা হয়নি। সবশেষ ২৮ এপ্রিল বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। এরই জেরে বৃহস্পতিবার অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

কোলে শিশু সন্তানকে নিয়ে বসেছিলেন এক শ্রমিক। তিনি বলেন, দুই মাস হয়ে গেছে বেতন পাই না। বারবার ঘুরাচ্ছে। বাসার খরচ, বাসা ভাড়া মেটাতে পারছি না। সংসার চালাতে পারছি না। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। বেতন না দিলে বাসায়ও যেতে পারবো না।

আরেক শ্রমিক বলেন, বেতন দেয় না দুই মাস হলো। ওভারটাইম ডিউটি করালেও সেটার পুরো টাকা দেয় না। এখন ডেট দিয়েও ঘুরাচ্ছে। এজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি।

রেবেলা অ্যাপারেলস ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়হান আহমেদ বলেন, ঈদের আগে একটি শিপমেন্ট না পাওয়ায় বেতন দেরিতে দেওয়া হয়েছে। তবে ঈদের আগে অর্ধেক বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। বাকিটাও করা হবে। তবে সেজন্য বিক্ষোভ করা শ্রমিকদের ইস্তফা দিতে হবে।

শিল্প পুলিশ ১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, বিষয়টি জানা নেই। সম্ভবত কারখানাটি নিবন্ধিত নয়। সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করছে। শ্রমিকরা অভিযোগ করলে বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

;

তীব্র তাপদাহে সড়কের বিটুমিন গলে যাওয়া, উত্তর খুঁজতে ঘটনাস্থলে দুদক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
তীব্র তাপদাহে যশোরে বিটুমিন গলে যাওয়া, উত্তর খুঁজতে ঘটনাস্থলে দুদক

তীব্র তাপদাহে যশোরে বিটুমিন গলে যাওয়া, উত্তর খুঁজতে ঘটনাস্থলে দুদক

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমে এপ্রিল মাসে দেশজুড়ে ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ। এর ফলে যশোরে সড়কের বিটুমিন (পিচ) গলে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারই ধারাবাহিকতায় যশোর-নড়াইল মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গলা বিটুমিন (পিচ) পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখেন দুদকের কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুদকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের উপপরিচালক আল আমিন বলেন, বিটুমিন (পিচ) গলার ঘটনা পরিদর্শনে আমাদেরকে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে এসে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গলা পিচ পরীক্ষা করেছি। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত লিপিবদ্ধ করে আমরা প্রধান কার্যালয়ে পাঠাবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দুদক যশোরের সহকারী পরিচালক চিরঞ্জন নিয়োগী, সহকারী পরিদর্শক সাফিউল্লাহসহ সড়ক বিভাগের দুইজন সহকারী প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।

 

;

প্রতীকী মূল্যে বে-টার্মিনালের জন্য ৫০০ একর জমি পেল চট্টগ্রাম বন্দর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীকী মূল্যে বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ৫০০ একর সরকারি খাস জমি বরাদ্দ পেল চট্টগ্রাম বন্দর। বঙ্গোপসাগরের পাড়ে আউটার রিং রোড ঘেঁসে বাস্তবায়নাধীন প্রধানমন্ত্রীর এই অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ পাওয়া জমির দাম রাখা হয়েছে মাত্র তিন কোটি তিন টাকা। সরকার নির্ধারিত এই ফি জমা দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার (২ মে) বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) পান্না আকতারের সই করা চিঠিতে তিন মৌজায় ৫০০ দশমিক ৭০৬৩ একর জমির বিপরীতে পৃথক তিন চালানে এক কোটি এক টাকা করে তিন কোটি ৩ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন থেকে বন্দোবস্ত পাওয়া ৫০০ দশমিক ৭০৬৩ এর জমির মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণ কাট্টলী মৌজার ৬২ দশমিক ২২৫২ একর, উত্তর হালিশহর মৌজার ৩৩৯ দশমিক ২৬৭৫ একর এবং হালিশহর মৌজায় ৯৯ দশমিক ২১৩৬ একর খাস জমি। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে হালিশহর এলাকার সাগর উপকূলে মোট আড়াই হাজার একর জমিতে গড়ে উঠছে বে টার্মিানাল প্রকল্প।

চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) পান্না আকতার। তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী তিন মৌজায় ৫০০ একর জমির জন্য নির্ধারিত এক কোটি এক টাকা করে তিন কোটি তিন টাকা পৃথক তিন চালানে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ম্যানেজার (এস্টেট) মুহাম্মদ শিহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য প্রতীকী মূল্যে ৫০০ একর জমি জেলা প্রশাসন থেকে দীর্ঘমেয়াদে বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে সরকার নির্ধারিত মূল্য জমা দেওয়া জন্য জেলা প্রশাসন চিঠি দিয়েছে।’

চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৬ সাল থেকে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রায় জায়গা ভরাট করে ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রকল্পটির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছরই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে এবং ২০২৬ সালে আংশিকভাবে কার্যক্রম শুরু করারও লক্ষ্য রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

;

ওমরায় পাঠানোর কথা বলে টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওমরায় পাঠানোর প্রলোভনে প্রতারণা ও প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো গাজীপুর জেলার টঙ্গী পশ্চিম থানার দক্ষিণ আউচপাড়া মৃত আব্দুল মালেকের পুত্র তানভীর আব্দুল হান্নান (৪২) এবং আউচপাড়া সুর তরঙ্গ রোডের আবদার হোসেনের পুত্র শরীফ হোসাইন ঔরফে মাসুম বিল্লাহ (৪৬)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) তারাকান্দা থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে।

তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওয়াজেদ আলী ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আসামীদ্বয় ওমরা হজ্বে পাঠানোর প্রলোভনে মযমনসিংহের তারাকান্দা ফুলপুর, ময়মনসিংহ সদর, টাংগাইল, শেরপুর, নেত্রকোণা উপজেলা সহ সারাদেশের শত শত লোকের কাছ থেকে প্রায় দেড়/দুই কোটি টাকা নিয়ে গত এক বছর আগে লাপাত্তা হয়ে যায়।

মাসুম বিল্লাহ বিশ্বাস অর্জনের জন্য কিছু লোককে গত বছর ওমরা করান এবং তারাকান্দা থানার মাঝিয়ালি গ্রামে কয়েকটি পুকুর ভাড়া নিয়ে ফিশারির ব্যবসা শুরু করে। শত শত লোকের টাকা নিয়ে এক বছর আত্মগোপনে থাকে। হঠাৎ তিন চার দিন আগে আসামিরা তাদের ফিশারিতে এসে মাছ বিক্রি শুরু করলে সংবাদ পেয়ে তারাকান্দা থানা পুলিশ তাদের কে আটক করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পাওনাদার আরিফ হোসেন নামে বাদী হয়ে তারাকান্দা থানা মামলা দায়ের করেন।

তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওয়াজেদ আলী আরও বলেন পুলিশ যথাযথ ভাবে নিয়মিত মামলা দায়ের করে গ্রেফতারকৃত দুইজনকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

;