অরক্ষিতই থাকছে সুন্দরবন!



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
নিরাপত্তাহীনতায় দুই যুগে অন্তত ১২ জন বনরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন/ছবি: বার্তা২৪.কম

নিরাপত্তাহীনতায় দুই যুগে অন্তত ১২ জন বনরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব সৌন্দর্যের লীলাভূমি নৈসর্গিক সুন্দরবন। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৩ লাখ মানুষের রুটি-রুজির উৎস এ বন বছরের অধিকাংশ সময়েই থাকে অরক্ষিত ও অনিরাপদ। দেশের অর্থনীতিতে সুন্দরবনের অবদান প্রতিবছর প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা হলেও জনবল সংকটের মধ্য দিয়ে চলে সুন্দরবনের বন বিভাগ। রক্ষকরাই থাকেন অরক্ষিত অবস্থায়।

চোরা-শিকারির কবলে বনের পশু-পাখিরা

বনবিভাগের সূত্র থেকে জানা যায়, বনে ব্যবহারের জন্য নেই আধুনিক নৌযান, আধুনিক অস্ত্র, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, যানবাহনের অভাব, বনরক্ষীদের রেশন, ঝুঁকিভাতা ও চিকিৎসা সেবার কোনো সুবিধাই নেই। একইসঙ্গে নতুন করে নিয়োগ না দেয়া এবং বয়সের কারণে অবসরে যাওয়ায় শূন্য পদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সব মিলিয়ে সুন্দরবনে লোকবল সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অপ্রতুল জনবল নিয়ে দস্যু, চোরা-শিকারি, বনজীবী ও মৎস্যজীবীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে বনবিভাগ। জীবন ঝুঁকিতে আছেন বনরক্ষীরা। প্রতিনিয়তই যেন মৃত্যু ঝুঁকি, মৃত্যু হলেও তাদের পরিবারকে দেয়া হয়না কোনো বেতন-ভাতা। আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত সুন্দরবনের বনরক্ষীরা। নিরাপত্তাহীনতায় দুই যুগে অন্তত ১২ জন বনরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন।

বনের ভেতরে রয়েছে শতাধিক খাল।

বনবিভাগ খুলনা সার্কেলের তথ্যমতে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের মোট আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। বনের দুটি বিভাগ পূর্ব ও পশ্চিম। বিভাগ দুটির আওতায় রয়েছে চারটি রেঞ্জ। এর মধ্যে বাগেরহাট অংশের তিন উপজেলা শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মংলাসংলগ্ন। পূর্বসুন্দরবনকে শরণখোলা ও চাঁদপাই দুটি রেঞ্জে ভাগ করা হয়েছে। এ রেঞ্জের অধীনে আটটি স্টেশন ও ৩০টি ফাঁড়ি। এখানে প্রতি আট বর্গকিলোমিটারে বনরক্ষী মাত্র একজন। পশ্চিম বিভাগে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার কয়রা, দাকোপ, শ্যামনগরসংলগ্ন খুলনা ও সাতক্ষীরা দুটি রেঞ্জে বিভক্ত। এ দুটি রেঞ্জের অধীন নয়টি স্টেশন। বনের ভেতরে রয়েছে শতাধিক খাল। এসব খাল-নদী দেখভালের জন্য ক্যাম্প আছে ৭৬টি।

দেখভালের জন্য ক্যাম্প আছে ৭৬টি

বন বিভাগ খুলনা সার্কেলের সূত্র মতে, বন বিভাগ খুলনা সার্কেলে ১ হাজার ১৭৩টি মঞ্জুরিকৃত বিভিন্ন পদ রয়েছে। যার মধ্যে শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় ৩ শতাধিকের বেশি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপ বন সংরক্ষক থেকে সহকারী বন সংরক্ষক ৭টি পদের মধ্যে ৩টি, ফরেস্টার রেঞ্জার ৩০টি পদের ৪টি, ফোরম্যান ২টি পদের মধ্যে ১টি, ইঞ্জিন ড্রাইভার ৩১টি পদের ১৮টি, প্রধান সহকারী ৩টি পদের ১টি শূন্য রয়েছে। স্টোনো টাইপিস্ট ২টি পদের ১টি, হিসাব রক্ষক ৩টি পদের ১টি, ডেপুটি রেঞ্জার ৪৫টি পদের ৪৩টি, বেতারযন্ত্র চালক ৮টি পদের মধ্যে ৩টি, ফরেস্টার ১০৫টি পদের মধ্যে ২১টি, সারেং ১৭টি পদের ৯টি, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ২টি পদের ১টি, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ১৪টি পদের ১টি, কার্পেন্টার ৩টি পদের ১টি, ড্রাইভার ৫টি পদের ২টি, স্পিডবোট ড্রাইভার ১৪টি পদের ১টি, সুকানি ৬টি পদের ৩টি, বন প্রহরী ১৯১টি পদের মধ্যে ৮৩টি খালি রয়েছে।

স্টেশন-টহলফাঁড়িও নিরাপদ নয়

আবার অফিস সহায়ক ২৭টি পদের মধ্যে খালি রয়েছে ১টি, নৌকা চালক ৫৪৬টি পদের ৫৫টি, টেন্ডল ৫টি পদের ২টি, ডেক ক্যাশব ৩টি পদের ২টি, ওয়েলম্যান ৩টি পদের ১টি, খালাসী ৪৩টি পদের ৯টি, হেডমালি ১০টি পদের ২টি শূন্য রয়েছে। জনবল সংকট থাকায় অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন ও অরক্ষিত হয়ে পড়েছে সুন্দরবন।

সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বনরক্ষী আব্দুল্লাহ আকবর বলেন, বনে তো ২৪ ঘণ্টা ডিউটি দিতে হয়। এখানে বিশুদ্ধ পানির সংকট, চাহিদামতো খাদ্য সরবরাহ আর অসুস্থতায় চিকিৎসার অভাব। নেই বনরক্ষীদের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থাও। সুন্দরবনে সম্পদ রক্ষায় ১৬ স্টেশন ও যে ৬৩টি টহলফাঁড়ি রয়েছে সেগুলোও নিরাপদ নয়। ঝড় জলোচ্ছ্বাস থেকে বনরক্ষীদের রক্ষায় সামান্য ঝুঁকি ভাতা মিললেও মেলেনা রেশনসহ অন্য সুবিধা। এমনই নানা প্রতিকূলতায় জীবন কাটছে সুন্দরবন রক্ষার দায়িত্বে থাকা বনরক্ষীদের।

পর্যটকরা সঠিক ও প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত

সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন বলেন, সুন্দরবনে প্রয়োজনের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ জনবল ঘাটতি রয়েছে। তারপরও ইকোপার্ক এলাকায় প্রয়োজনীয় জনবল রাখা হয়। কারণ, সেখানে জনবল কম থাকলে পর্যটকরা সঠিক ও প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। ইকোপার্কে জনবল দিতে গিয়ে বনের ভেতরে টহল ও পাহারায় ঘাটতি পড়ে। জনবল সংকটের এ প্রকট সমস্যা সমাধান করা না হলে বিস্তীর্ণ বনভূমির সম্পদ রক্ষা করা কষ্টসাধ্য।

সুরক্ষায় দায়িত্বে লোকবল সংকট থাকায় শিকার রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবন সুরক্ষায় দায়িত্বে থাকা বনবিভাগের লোকবল সংকট প্রচুর। এছাড়া নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবসরে যাচ্ছেন। সে অনুপাতে আবার নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। এজন্য জনবল সংকটের ফলে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে সম্পদ চুরি, অবৈধ মৎস্য শিকার রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। শিগগিরই শূন্য পদে দ্রুত জনবল নিয়োগ হওয়া দরকার। বন সুরক্ষায় এটা এখন অবশ্যই প্রয়োজন।

দেখভালের জন্য জনবল সংকটে সুন্দরবন

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মঈনুদ্দিন খান বলেন, বনবিভাগের স্টাফ, বনরক্ষী দাবি ও জনবল সংকটের কথা একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিলে এ সংকটের সমাধান হবে। বর্তমানে সুন্দরবন রক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অপেক্ষায় মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।

   

সুন্দরবনের আগুন নেভাতে ৫ বাহিনী, জোয়ারের অপেক্ষা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার ছিলা এলাকায় লাগা আগুন নেভাতে কাজ শুরু করেছে পাঁচ বাহিনী।

রোববার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে বনরক্ষী ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি এ কাজে যোগ দিয়েছে নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার।

শুরুতেই নৌ বাহিনীর মোংলা ঘাঁটির লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরফাতুল আরেফিনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি ফায়ার ফাইটিং টিম আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাশের ভোলা নদী থেকে পানি উঠানোর জন্য পাইপ সংযোগ দেয়। তবে নদীতে জোয়ার না থাকায় পানি সরবরাহে বিলম্ব হচ্ছে।

ফয়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাটের উপ পরিচালক মামুন আহমেদ জানান, রোববার (৫ মে) সকালেই সুন্দরবনের আগুন নেভাতে তাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসেছে। এর মধ্যে মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরনখোলার তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। বাকি দুটি ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। তবে বনের পাশে ভোলা নদীতে এখন ভাটা থাকায় আগুন নেভানোর কাজে পাইপসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নেওয়া যাচ্ছে না। জোয়ার হলে এগুলো পার করা হবে। তবে আগুন অল্প অল্প করে জ্বলছে। শুকনো পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করার সম্ভাবনা নাই বলেও জানান তিনি।

সুন্দরবনের আগুন নেভানোর কাজে বনরক্ষীদের পাশাপাশি অন্যরা কাজ করছে জানিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম বলেন, গতকাল নানা প্রতিকূলতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। তবে রোববার (৫ মে) সকাল থেকে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগ দিয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরাও সব রকমের সহযোগিতা করছেন।

আগুন ব্যাপক এলাকা ছড়িয়ে যাওয়ার আগেই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে বলেও জানান বনবিভাগের এই কর্মকর্তা।

এক প্রশ্নে ডিএফও কাজী নুরুল করিম বলেন, কী কারণে, কীভাবে আগুন লেগেছে তার এখনও সঠিক কারণ বের করা যায়নি। তবে স্থানীয়রা একেকজন একেক তথ্য দিচ্ছে। সব তথ্যই আমলে নিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধার স্টেশন অফিসার মোঃ ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার সঠিক কারণের প্রতিবেদন জমা দেবেন এই কমিটি।

;

কটিয়াদীতে প্রশান্তির বৃষ্টিতে স্বস্তি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে শনিবার (৪ মে) রাত আটটার পর থেকে আকাশে মেঘের গর্জন। চাঁদনী রাতের নিভু নিভু ঝলমলে আলো মেঘের আবরণে ঢাকা পড়েছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে মানুষ অপেক্ষার প্রহর গুনছে কখন আকাশ থেকে নেমে আসবে শীতল বারিধারা৷

বহু প্রতীক্ষার পর নয়টা চল্লিশ মিনিটে স্বস্তির বৃষ্টি হলো কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে। থেমে থেমে চলছিল বৃষ্টির নিঝুম আওয়াজ৷ 

রোববার (৫ মে) সকাল থেকে আবহাওয়া ছিল মেঘলা৷ তাপমাত্রাও স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে এসেছে।

শনিবার রাতের স্বস্তির বৃষ্টিতে মানুষের মধ্যে নেমে এসেছে প্রশান্তি। জেলা সদর ও আশপাশের উপজেলায় শুরু হয় বৃষ্টি। থেমে থেমে কয়েকদফা বৃষ্টি নামতে থাকে। এদিকে, বৃষ্টিপাতের পর তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসে। দিনভর ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও সন্ধ্যায় তা ২৬ ডিগ্রিতে নেমে আসে।

সরজমিনে দেখা যায়, জালালপুর ইউনিয়নের নদীর বাঁধ এলাকায় বৃষ্টির মধ্যে চলাচল করছে যানবাহন, অনেকেই স্বেচ্ছায় ভিজছেন বৃষ্টিতে। চোখে মুখে তাদের আনন্দের ছাপ। অপরদিকে বৃষ্টি রপর থেকে সামজিক মাধ্যমে স্বস্তির কথা জানিয়ে পোস্ট করেন নেটিজেনরা।

পথচারী রবিউল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। গরমে প্রতিদিন ক্লান্ত হয়ে যেতাম। এলাকায় বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকা নামাজও পড়েছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে বৃষ্টি হলো। এখন ভালো লাগছে। এতোদিন দাঁড়িয়ে বসে থাকলেও ঘাম ঝরতো। রাতে বিদ্যুৎ গেলে ঘুমাতে পারতাম না। এখন ভালো লাগছে।

আশিকুল, হৃদয়, সজিব নামে কয়েকজন যুবক বলেন , বৃষ্টি নামার পরই ভিজেছি। শরীর জুড়িয়ে গেছে। এখন ঠান্ডা হাওয়া আরও ভালো মনে হচ্ছে। সড়কে সব ধুলাবালি সব পরিষ্কার হয়ে গেল।

উল্লেখ্য, বৃষ্টির জন্য টানা তিনদিন কটিয়াদী পাইলট স্কুল মাঠে নামাজ আদায় করেও দোয়া চাওয়া হয়েছে। বৃষ্টি আসায় সবার মনেই প্রশান্তি নেমে এসেছে।

;

খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে আরও এক জনের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ির রামগড়ে বজ্রপাতে গনজ মারমা (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। 

রোববার (৫ মে) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে রামগড়ের সদর ইউনিয়নের হাজা বৈদ্যপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গনজ মারমা (৫৫) ওই এলাকার মৃত কংজ মারমার ছেলে। এ সময় গনজ মারমার গোয়ালে তাকে দুইটি গরুও মারা যায়।

রামগড় সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম জানান, রোববার ভোরে বজ্রপাতে এক জনের মৃত্যুর খবর স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

এদিকে, রামগড়ে মৌসুমের প্রথম কাল বৈশাখে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বসতবাড়ি, গাছপালা ও বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন। রোববার ভোরে কাল বৈশাখীতে রামগড়-জালিয়াপাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ ছাড়া, দারগাপাড়া ও রামগড় বাজারে কালবৈশাখীতে বসতবাড়ির টিন, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ে। 

রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতা আফরিন জানান, বজ্রপাতে নিহতের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলমান আছে।

এর আগে, রোববার ভোরে জেলার দীঘিনালার মধ্যবেতছড়িতে বজ্রপাতে বসতবাড়িতে আগুন লেগে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়।

;

এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৫ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ভবনটির উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্বোধন শেষে প্যাথলজি ঘুরে ঘুরে দেখেন। এর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ‘আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম সেনা প্রাঙ্গণ’ ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি।

;