স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ১৪টি দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করল দুদক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ

  • Font increase
  • Font Decrease

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ১৪টি দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পাশাপাশি এসব দুর্নীতি রোধে ২৮টি সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।

বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধরীর হাতে এ সুপারিশমালা তুলে দেন দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক।

দুর্নীতির ১৪টি উৎসগুলো হলো:

১. অধিকাংশ স্থলবন্দরের বিদ্যমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপ্রতুল। অপ্রতুল নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে বন্দর ও কাস্টমসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় প্রায়শই বিনা শুল্কে আমদানিকৃত মালামাল বের করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

২. স্থলবন্দরগুলোর কেনাকাটায় সর্বদা সরকারি ক্রয় আইন ও বিধির যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় স্থানীয় ব্যক্তিরা নানাভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে থাকেন। ক্ষেত্র বিশেষে জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে দরপত্র প্রক্রিয়া অংশগ্রহণ করে থাকেন, যার ফলে দুর্নীতি ও আত্মসাতের নানা অপরাধ সংঘটিত হয়।

৩. আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোকবল নিয়োগ ও বেতনাদি প্রদানের ক্ষেত্রে যথাযথ তদারকি ও স্বচ্ছতা না থাকায় কর্মী উপস্থিত বা অনুপস্থিত সকল শ্রমিকের নামে বিল উত্তোলন করার অভিযোগ রয়েছে।

৪. দীর্ঘদিন ধরে একই স্টেশনে কর্মরত থাকায় বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে বন্দর কেন্দ্রিক সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের এক ধরনের সখ্যতা গড়ে ওঠার অভিযোগ পাওয়া যায়। এরফলে কর্তৃপক্ষের পক্ষে বন্দর কেন্দ্রিক দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে।

৫. মালামাল হ্যান্ডলিংয়ের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বক্ষেত্রে সরকারি ক্রয় আইন ও বিধিমালার যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় কাজ পাওয়ার অযোগ্য ঠিকাদাররা দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে কাজ সম্পাদনের চেষ্টা করে থাকে।

৬. কাস্টমস কর্মকর্তাদের দ্রুত পণ্য ছাড়করণের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করা মুখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু পণ্য ছাড়করণের ক্ষেত্রে দেশের ট্রেড পলিসিতে বর্ণিত উচ্চ ট্যারিফ-নিম্ন ট্যারিফ, কোটা সিস্টেম, বিভিন্ন প্রণোদনা, ফ্রি-ইমপোর্ট, আমদানি নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকাসহ পণ্য আমদানি-রফতানির অন্যান্য ডকুমেন্টস সঠিকভাবে এবং নির্ধারিত সময়ে যথাযথ যাচাই না করে পণ্য ছাড়করণের মাধ্যমে দুর্নীতির পথ প্রশস্ত করা হয়।

৭. বন্দরের কাস্টমস বিভাগকে বলা হয় গেটকিপার অফ দ্য ন্যাশন। কাস্টমস বিভাগকেই দেশের বাণিজ্য নীতি বাস্তবায়ন, রফতানি উন্নয়ন, নিষিদ্ধ এবং ক্ষতিকর পণ্যের ছাড় করতে না দেয়াসহ পণ্য ছাড়করণে মূখ্য দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সিএন্ডএফ এজেন্টদের মধ্যে পারস্পারিক সমন্বয়ের অভাবেও কোনো কোনো সময় দুর্নীতির উদ্ভব ঘটে।

৮. আমদানিকারক ও কাস্টমস বিভাগসূত্রে প্রায়শই বন্দরের শেড বা গুদাম থেকে মালামাল চুরির অভিযোগ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে বন্দরের একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী যোগসাজশে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এসকল চুরির ঘটনা ঘটিয়ে থাকে মর্মে জনশ্রুতি রয়েছে।

৯. স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রাধীন বিভিন্ন বড় কাজকে ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত কোটেশনের মাধ্যমে কাজ সম্পাদনের অভিযোগ রয়েছে। এতে প্রতিযোগিতামূলক দরের পরিবর্তে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে কার্যাদেশ প্রদানের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে।

১০. স্থলবন্দরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ বদলি ও পদায়ন এবং বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য কর্মকর্তা নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রায় আঞ্চলিকতা, এলাকাপ্রীতি ও স্বজনপ্রীতির আশ্রয় গ্রহণ করে পছন্দ অনুযায়ী ব্যক্তিকে অনৈতিক সুবিধা প্রদানের অভিযোগ রয়েছে।

১১. এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন বা সিবিএ'র পদাধিকারী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে কমিশন বাণিজ্য পরিচালনা ও চোরাই সিন্ডিকেটের সাথে আঁতাত করে অযোগ্য ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিয়ে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।

১২. স্থলবন্দরগুলোর বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ঘুষ দাবি, হয়রানি, পেশাদারিত্বের অভাব এবং বন্দরের ভেতরে নানা অসামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।

১৩. বিভিন্ন স্থলবন্দরের অফিস ভবন, সেড ইয়ার্ড ও ওয়েব্রিজ স্কেলে বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্থানীয়ভাবে টেন্ডুল নামীয় ভাড়া করা বহিরাগতদের দিয়ে দাফতরিক কাজ করিয়ে থাকেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং এসকল টেন্ডুলদের মাধ্যমে অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারকদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করে থাকেন।

১৪. একই ব্যক্তিকে বারবার বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালনা বোর্ডের খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এতে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির নানাবিধ অনিয়ম সংগঠিত হওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়।

এসব অনিয়ম বন্ধে স্থলবন্দরে অটোমেশন সিস্টেম চালু করা, নিয়মিত কার্যক্রম মনিটরিং ও রিপোর্ট প্রধান, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, সকল কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাসহ ২৮টি সুপারিশ করে দুদক।

   

৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের আশুলিয়ায় খেলার ছলে ৪ বছরের কন্যা শিশুকে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিশুকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) সকালে গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠিয়েছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার (৭ মে) বিকালে আশুলিয়ার কাঠগড়া ডুকাটি গার্মেন্টসের পার্শ্ববর্তী এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেয়। পরে ৯৯৯ এ খবর পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়ে আসামিকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলেন, ওই এলাকার একই বাড়ির অন্য কক্ষের ভাড়াটিয়া মো. নূর ইসলাম (৩৭)। তিনি গাইবান্ধা সদর থানার খামার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আহসান আলীর ছেলে। মঙ্গলবার রাতেই এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন শিশুর মা। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আশুলিয়া থানায় মামলা নং-৩৪।

ভুক্তভোগী শিশুটি (৪) বাবা-মায়ের সাথে থাকে। তাদের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার চকমোহন গ্রামে।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ঘরের বাইরে খেলা করার সময় কৌশলে শিশুকে (৪) ডেকে নিজের ঘরে নিয়ে যায় নূর ইসলাম। শিশুটির মা প্রায় ডাকাডাকি করেও তাকে খুঁজে পায়নি। প্রায় ৪০ মিনিট পর শিশুটি ঘর থেকে বের হয়ে আসে। শিশুটির হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে দেখে মা শিশুর কাছে জানতে চায় কি হয়েছে। পরে মাকে সব খুলে বলে মেয়ে। ঘটনা জানতে পেরে ওই বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়ারা উত্তেজিত হয়ে আসামিকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে শিশুর বাবা আসামিকে উদ্ধার করে নিজের হেফাজতে নিয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

আশুলিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন্স) নির্মল কুমার দাস বলেন, আসামিকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার কথা রয়েছে তার। শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

;

বাংলাদেশে করোনা টিকা চলবে, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করলেও বাংলাদেশে কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি অ্যাস্ট্রাজেনেকা এ বিষয়টি স্বীকার করে বাজারে সব করোনা টিকা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ডা. সামন্ত লাল সেন জানালেন, বাংলাদেশে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। এই ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো চোখে পড়েনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, অ্যাসট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে দেশে অনুসন্ধান করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষতিকর কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তবে তৎপর রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তাই বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার কর্যক্রম চলবে।

এ সময় ডেঙ্গু প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, স্যালাইন ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সংকট যেন না হয়, সেই ব্যাপারে সতর্ক আছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

এ ব্যপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা দরকার বলেও মনে করেন ডা. সামন্ত লাল সেন।

;

উপজেলা নির্বাচন

বৃষ্টির জন্য ভোটার উপস্থিতি কম, কক্সবাজারের অনেক কেন্দ্র ফাঁকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কক্সবাজারে তিনটি উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ চলছে। বৃষ্টির কারণে কক্সবাজার সদর, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া এই তিন উপজেলায় ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম।

বুধবার (০৮ মে) কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। বেশিরভাগ কেন্দ্র ফাঁকা।

কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী রহমানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩৯০৭ টি। কিন্তু সকাল ১০ টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ২১৫ টি।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন প্রিসাইডিং অফিসার কবির আহমদ। তিনি বলেন, খুবই শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কোনো ঝামেলা হয়নি।

বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ড. প্রান্তোষ রায় বলেন, আমার কেন্দ্রে ৭ টি বুথে ভোট নেওয়া হচ্ছে। এখানে ভোটার সংখ্যা ২৬৫৬। সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৫ টি।

এদিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কক্সবাজার সদর উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুরুল আবছারের সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রধান এজেন্ট পৌর মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, পৌর প্রিপারেটরি কেন্দ্রে সকাল সাড়ে আটটার দিকে মুজিবুর রহমানের আনারস প্রতীকের সমর্থকরা কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশকে মারধর করেছে। আশাকরি প্রশাসন তড়িৎ ব্যবস্থা নিবে।

পৌর প্রিপারেটরিতে দুটি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। একটি কক্সবাজার পৌর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র। কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার মঞ্জুর আলম বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে কিছু হয়নি। বাইরে ঝামেলা হলেও এখানে কোনো প্রভাব পড়েনি। এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২০০৩। এখানে ১ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৪০ টি।

আরেক কেন্দ্র কক্সবাজার পৌর প্রিপ্যর‍্যাটরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মোহাম্মদ শফিউল আজম জানান, সকাল ৯ টা পর্যন্ত ২২ টা ভোট পড়েছে। এখানে ভোটার সংখ্যা ২১১২।

এদিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাড়াও মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলায়ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সবখানে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ তিন উপজেলায় মোট ভোটার ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪৯৬ জন৷ যার মধ্যে সদর উপজেলায় ২ লক্ষ ২২ হাজার ৮শ ৬৮ জন। মহেশখালী উপজেলায় ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৪৫৮ জন এবং কুতুবদিয়া উপজেলায় ৯৭ হাজার ১৭০ জন ভোটার।

এ তিন উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র ২০৪ টি। যার মধ্যে সদরে ৮৬ টি, মহেশখালীতে ৮১ টি এবং কুতুবদিয়ায় ৩৭ টি কেন্দ্র।

;

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ট্রাক উল্টে হেলপার নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ট্রাক উল্টে হেলপার নিহত

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ট্রাক উল্টে হেলপার নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা দিঘিনালা সড়কের ৯ কিলোমিটার এলাকায় বালি বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পড়ে ট্রাকের হেলপার সাজ্জাদ হোসেন (২০) নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে ট্রাকের শ্রমিক শহিদুল ইসলাম (২৫) আহত হয়েছে।

বুধবার ( ৮ মে) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম থেকে বালি বোঝাই ট্রাকটি বাঘাইছড়ি সদরে আসার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত দুইজনকে উদ্ধার করে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন (২০) নামে এক জনকে মৃত্য ঘোষণা করেন।

নিহত সাজ্জাদ হোসেন ফটিকছড়ি রাবার বাগান গ্রামের মৃত মো. আজাদ উদ্দিনের ছেলে বলে নিশ্চিত করে পুলিশ। ঘটনার পরপরই ট্রাক চালক পালিয়ে যায়। বাঘাইছড়ি থানার ওসি ইশতিয়াক আহম্মেদ দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংবাদ পাওয়ার পরপরই ঘটনা স্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো ও মরদেহের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি।

;