‘গুছিয়ে মিথ্যা বলার জন্য পুরস্কার থাকলে মির্জা ফখরুল পেতেন’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বঙ্গবন্ধুর সারাজীবন গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হাছান মাহমুদ, ছবি: বার্তা২৪.কম

বঙ্গবন্ধুর সারাজীবন গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হাছান মাহমুদ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ফখরুল ইসলাম সাহেব প্রতিনিয়ত সুন্দরভাবে গুছিয়ে মিথ্যাকে সত্য হিসেবে পরিবেশন করে যাচ্ছেন। গুছিয়ে মিথ্যা বলার যদি কোনো পুরস্কার থাকত, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথম পুরস্কার পেতেন।’

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিক শাবান মাহমুদ রচিত 'বঙ্গবন্ধুর সারাজীবন' গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম বিএনপি বলেছে, দেশের মানুষকে নাকি সরকার জিম্মি করে রেখেছে। যে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলার, সেই আয় এখন ২০০০ ডলারে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষকে বিএনপি-জামায়াত জিম্মি করেছে। দেশের মানুষকে তারা জিম্মি করে দিনের পর দিন অবরোধ ডেকেছে, মানুষের ওপর আবার পেট্রোল বোমাও মেরেছে। রাজনীতির নামে এমন সহিংসতা সম্প্রতি কোনো দেশে হয়নি।’

‘এ কথা সত্য, পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগে সুযোগ সন্ধানী এবং অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশ ঘটেছে। যারা রাজনীতিকে ব্যবহার করে ফায়দা লুটতে চায়, ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চায়, এসব সুযোগ সন্ধানীদের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ কে কোন দলের, পথের এবং মতের, তা না দেখেই তিনি দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। ভবিষ্যতেও এমন অভিযান চলমান থাকবে,’ যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের বাংলাদেশ কল্পনা করেছিলেন, আমরা বাংলাদেশকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। দেশকে গঠন করতে হলে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতভেদ থাকবে। ক্ষমতায় থাকলে সমালোচনাও হবে, ভুল ত্রুটিও হতে পারে। পৃথিবীর কোনো সরকার শতভাগ নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারেনি। বিরোধী দল অবশ্যই আমাদের সমালোচনা সংসদে করবে এবং বাইরেও করবে। আমি অনুরোধ করব, আপনারা মূর্খের মতো সমালোচনা করবেন না। গঠনমূলক সমালোচনা করে আসুন সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।’

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, 'বঙ্গবন্ধুর সারাজীবন' বইয়ের লেখক সাংবাদিক নেতা শাবান মাহমুদ প্রমুখ।

   

বগুড়ার তিন উপজেলায় নির্বাচিত হলেন যারা 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

বগুড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বুধবার (৮ মে) রাত ১০ টায় বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।

যারা নির্বাচিত হলেন তারা হচ্ছেন-গাবতলী উপজেলায় অরুন কান্তি রায় সিটন ঘোড়া প্রতীকে ৪১ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান রবিন আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৭৫২।

ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন ডিলু এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান শামিমা আকতার শিমু নির্বাচিত হয়েছেন।

সারিয়াকান্দি উপজেলায় (বগুড়া-১) আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজল আনারস প্রতিকে ৩৭ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মন্টু কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ১৫৩। ভাইস চেয়ারম্যান পদে লিখন মিয়া এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে কুলসুমা বেগম শাপলা নির্বাচিত হয়েছেন।

সোনাতলা উপজেলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছোট ভাই ও বর্তমান চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটন আনারস প্রতিকে ২০ হাজার ৮৩৭ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটততম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসেন মটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ২৪৫। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফিদা হাসান টিটো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ওয়াসিয়া আকতার রুনা নির্বাচিত হয়েছেন।

;

মেহেরপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরের মুজিবনগরের বল্লভপুর নামক স্থানে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবুজ হোসেন (২৪) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৮ মে) রাত পৌনে দশটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের আরেক আরোহী তোফিক উমর (২০) গুরুতর আহত হন।

নিহত সবুজ হোসেন মেহেরপুর সদর উপজেলার বাড়িবাকা গ্রামের পাখি শেখের ছেলে।

জানা গেছে, মুজিবনর উপজেলার বাগোয়ান গ্রাম থেকে মোটরসাইকেলযোগেবাড়ি ফিরছিলেন সবুজ ও তার বন্ধু তৌফিক উমর। মুজিবনগর-দর্শনা সড়কের বল্লভপুর নামক স্থানে পৌঁছুলে দ্রুত গতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ সময় মোটরসাইকেলসহ আরোহীরা রাস্তার পাশের এক সাইনবোর্ডের সাথে সজোরে ধাক্কা খান। এতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই সবুজের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তৌফিক উমরকে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন।

তৌফিকের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল করেজ হাসপাতালে রেফার করেছেন চিকিৎসকরা।

দুর্ঘটনার বিষয়ে মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জল দত্ত বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

;

বসুন্ধরায় আইএসডি স্কুলের সামনে গুলি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বসুন্ধরায় আইএসডি স্কুলের সামনে গুলি

বসুন্ধরায় আইএসডি স্কুলের সামনে গুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে(আইএসডি) গুলির ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (০৮ মে) দুপুর ২টার দিকে স্কুল প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে। এতে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আহসান গ্রুপের মালিকের সন্তানের দেহরক্ষীদের বন্দুক থেকে গুলি করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে আইএসডি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জোর প্রচেষ্টাও চলছে। কিন্তু এ ঘটনায় অন্য ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকগণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে আইএসডি স্কুলের এক ছাত্রের অভিভাবক জানান, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন বন্দুকধারী দেহরক্ষীদের প্রবেশাধিকার থাকবে? এটা তো দেশের আইন বহির্ভূত। গুলিটা আমার সন্তানের শরীরেও আঘাত হানতে পারতো। অথবা অন্য কোনো ছাত্রছাত্রী আহত-নিহত হলে, এর দায় কে নিতো? আইএসডি স্কুল এবং বসুন্ধরা আবাসিক কর্তৃপক্ষের উচিত, ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ভিআইপি'র দেহরক্ষীকে স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা।

গুলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের ভাটারা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা।

তিনি বলেন, দুইটা গাড়িতে বাচ্চাদের নিতে এসেছিল। একটা গাড়িতে গানম্যান/বডিগার্ড ছিল। তাদের বন্দুক থেকে বের হওয়া অপ্রত্যাশিত গুলিতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।

;

ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে বিল পাসের সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে বিল পাসের সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এসংক্রান্ত সুপারিশসহ বিলের উপর প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৮মে) রাতে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিল উপর প্রতিবেদন উত্থাপন করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম।

সংসদে উপস্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬১ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলে উল্লিখিত, এর সর্বত্র উল্লিখিত ‘সচিব’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ শব্দসমূহ এবং ‘সচিবের’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তার’ শব্দসমূহ প্রতিস্থাপিত হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে আর্থিকভাবে শক্তিশালীকরণ, সরকার প্রদত্ত বরাদ্দের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর উপায় নির্ধারণ এবং ইউনিয়ন পরিষদ আইনকে আরো যুগোপযোগী ও সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) আইন-২০২৪’ সংশোধনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সম্মানী প্রদানের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ইহার মাধ্যমে কোনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বরখাস্তকালীন সময়ে ভাতা প্রদানের বিষয়ে কোনো আইনগত জটিলতা থাকিবে না।

এতে আরো বলা হয়েছে, কোনো এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণা বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে। গ্রাম আদালত পরিচালনা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালন ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলে গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে আরো বিস্তৃত ও কার্যকর হবে। এছাড়া বিলে ‘ইউনিয়ন পরিষদ সচিব’ নাম পরিবর্তন করে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

;