সিলেটের গুদামে জায়গা সংকট



নাবিল চৌধুরী,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,সিলেট
সিলেটের গুদামে জায়গা সংকট/ছবি: বার্তা২৪.কম

সিলেটের গুদামে জায়গা সংকট/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে গুদামে জায়গা সংকটে সময়মতো ধান কিনতে পারেনি খাদ্য অধিদপ্তর। ফলে বাধ্য হয়ে সিলেটে সরকারিভাবে আমন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে তারা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সিলেটের কৃষকেরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছরের মতো গতবছরও আমন মৌসুমে সারাদেশে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজিতে ধান কেনার উদ্যোগ নেয় সরকার। গত বছরের ২০ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ধান সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হয়।

শুরুতে সিলেট জেলায় ১৬ হাজার ৩৪৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও পরে তা ১৮ হাজার ১০৪ মেট্রিক টন করা হয়। তবে গুদামে জায়গা না থাকায় গত সপ্তাহে সিলেটে প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন ধান কম কেনার সিদ্ধান্ত নেয় খাদ্য বিভাগ। এছাড়া সিলেটের কয়েকটি গুদাম থেকে চাল চট্টগাম পাঠিয়েও গুদামের জায়গা খালির চেষ্টা করা হচ্ছে।

খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সিলেটে ১ টি গুদামের ধারণক্ষমতা ১৭ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন। আর আমন মৌসুমে সিলেটে শুধু ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৮ হাজার ১০৪ মেট্রিক টন, সেদ্ধ ও আতপ চাল প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন। এছাড়া গুদাম গুলোতে আগে থেকেই আরও প্রায় ১১ হাজার ধান, চাল ছিলো। ফলে গুদাম গুলোতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান সংরক্ষণ সম্ভব হয়নি। তাই ধান সংগ্রহ কমানোর পাশাপাশি কিছু চাল চট্টগামের দেওয়ানহাট ও হালিশহরে পাঠিয়ে দিয়েছে খাদ্য বিভাগ।

জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলায় গুদামের ধারণক্ষমতা ৫শ মেট্রিক টন। আর ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৫৭৪ মেট্রিক টন। সেখানে এখন সাড়ে তিনশো মেট্রিক টন ধান কম কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যদিও ধান কেনা হয়েছে ৮৫৫ মেট্রিক টন। এছাড়া ১৩০ মেট্রিক টন চাল বিশ্বনাথ থেকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।

কানাইঘাটে গুদামের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৫শ মেট্রিক টন। সেখানে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৩৮৬ মেট্রিক টন। পরে তা কমিয়ে করা হয়েছে ১ হাজার ৮৮৬ মেট্রিক টন। আর ধান কেনা হয়েছে ১ হাজার ১১৫ মেট্রিক টন। কানাইঘাট থেকে ২শ মেট্রিক টন চাল চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা খাদ্যগুদামের ধারণক্ষমতা ১ হাজার মেট্রিক টন। সেখানে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৫৪৩ মেট্রিক টন। এই উপজেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়নি। তবে গুদাম খালি করতে ১৮০ মেট্রিক টন চাল চট্টগ্রামের হালিশহরে পাঠানো হয়েছে।

জৈন্তাপুর উপজেলায় গুদামের ধারণক্ষমতা মাত্র ৫শ মেট্রিক টন। সেখানে প্রায় ৪ গুনের বেশি ২ হাজার ২৮৮ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।

এখন ১ হাজার মেট্রিক টন কমিয়ে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৮৮ মেট্রিক টন। এরপরও মাত্র ৬৩২ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। এই গুদাম থেকে ১৩০ মেট্রিক টন চাল চট্টগ্রামের হালিশহরে পাঠানো হয়েছে। নতুন করে ধান কিনে রাখার জায়গা নেই এই গুদামে।

সিলেট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোজ কান্তি দাস চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, গুদামে জায়গা না থাকায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে। আমরা কিছু চাল চট্টগ্রামে পাঠিয়েছি। আর ২ হাজার মেট্রিক টন চাল পাঠাবো। আশা করি নির্ধারিত ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

   

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় জাহিদ হাসান (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর-প্রাগপুর সড়কের বাগোয়ান নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহিদ হাসান দৌলতপুর উপজেলার কোলদিয়াড় গ্রামের ক্লিকমোড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি কোমল পানীয় (কোক,স্প্রাইট)'র ডেলিভারি ম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর-প্রাগপুর সড়কের বাগোয়ান নামক স্থানে হঠাৎ সড়কের ওপর উঠে আসা (বাথানের) গরুর পালকে সাইড দিতে গেলে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত (পটাং) টি রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে যায়। এসময় পটাং এ থাকা দুই ডেলিভারিম্যান গুরুত্বর আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে জাহিদ হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

;

সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন লতিফের ছিলা নামক এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস।

রোববার (৫ মে) সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে এই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে কত সময় লাগবে তা জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস।

এর আগে, শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে শনিবার আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, ফায়ার ফাইটিংয়ের মেশিন ও যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো যায়নি। এ ছাড়া যেখানে আগুন লেগেছে, সেখান থেকে পানির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। যে কারণে আগুন নির্বাপণের কাজ শুরু করতে পারেনি তারা।

ফায়ার সার্ভিসের মোংলার স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়মুজ্জামান জানান, রোববার সকালে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হয়েছে।

এদিকে আগুন লাগার কারণ, কী পরিমাণ এলাকায় আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ। চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

;

খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে মা-ছেলের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বজ্রপাতে বাড়িতে লাগা আগুনে পুড়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ মে) ভোর ৫ টার দিকে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের মধ্য বেতছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাকী আক্তার।

নিহতরা হলেন- দীঘিনালার মধ্যবেতছড়ির পরিবহন শ্রমিক ছাদেক মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম ও তাদের ৮ বছরের ছেলে মো. হানিফ মিয়া।

স্থানীয়রা জানায়, ভোর রাতে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে ছাদেক মিয়ার মাটির ঘরের টিনের চালে আগুন লেগে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা তার স্ত্রী হাসিনা বেগম ও ছেলে হানিফ মিয়া আগুনে পুড়ে মারা যায়। খবর পেয়ে দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাকী আক্তার জানান, ভোর রাতে বজ্রপাতে বাড়ির চালে আগুন লেগে মা ও ছেলে পুড়ে মারা গেছে। নিহতের পরিবারকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধি মোতাবেক সহযোগিতা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

;

ঢাকায় আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামির সফরে অভিবাসন এবং রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ সফরে আসছেন তিনি। 

জানা গেছে, সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে দিয়ে শুরু হচ্ছে এই সফর।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। অ্যামি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে তার সফরের কর্মসূচী শুরু করবেন।

ঢাকার এক কূটনীতিক জানান, জাতিসংঘের সঙ্গে আমরা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছি। তারই অংশ হিসেবে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানকে বাংলাদেশে যতটা সম্ভব আনা যায় সেই প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। সংস্থাটির সব প্রধানকে হয়তো আনা সম্ভব হবে না। তবে যতটা আনা যায় বা তারা বাংলাদেশ সফর করেন (সেই চেষ্টা করা হচ্ছে)। আইওএম ডিজি (মহাপরিচালক) দিয়ে সফরটা শুরু হচ্ছে। এ মাসের মাঝামাঝি এবং শেষের দিকেও কারও কারও আসার কথা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করব, সারা বছর কাউকে না কাউকে আনতে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ঢাকা সফরে আসবেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম। এছাড়া এ মাসের শেষের দিকে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজের।

অভিবাসনের বাইরে অ্যামির সফরে রোহিঙ্গাদের অর্থায়ন প্রসঙ্গটি গুরত্ব পাবে জানিয়ে এক কূটনীতিক বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু তো তাদের ফোকাসে থাকবে। আইওএম ডিজি কক্সবাজার যাবেন। তিনি সঙ্গে করে কিছু দাতা নিয়ে আসার কথা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের তহবিলের ব্যাপারটা আছে।

;