রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি (পর্ব-৩)

‘লাইফ সাপোর্টে’ ১৬৫ বছরের লাইব্রেরি



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি/ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রিটিশ শাসন, পাকিস্তানি শোষণ আর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সাক্ষী রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি। ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা সংগ্রাম ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও সরগরম ছিল এই লাইব্রেরি। বহু বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক, কবি-সাহিত্যিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সংগঠক মনা মানুষের ওঠা-বসা ছিল এখানে। বই-পত্রিকার সমারোহে ছিল হাজার হাজার পাঠকও।

প্রতিষ্ঠার ১৬৫ বছর পর এখন কিছুই নেই ঐতিহাসিক রংপুর পাবলিক লাইব্রেরিতে। দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন, অবহেলা আর অব্যবস্থাপনায় এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। স্বাধীনতা পরবর্তী জেলায় জেলায় সরকারি গণগ্রন্থাগার হওয়াতে কমে গেছে এ লাইব্রেরির কদর। বই, লাইব্রেরিয়ান, জনবল, সংস্কার, বরাদ্দ সংকটে তেলহীন বাতির মতো জ্বলছে এই জ্ঞানগৃহ।

লাইব্রেরির ভেতরে ঝুলছে মাকড়সার জাল

সরেজমিনে দেখা গেছে, এক সময়ের চার কক্ষ বিশিষ্ট লাইব্রেরি এখন অস্তিত্ব সংকটে। একটা অন্ধকার কক্ষে মাকড়সার জালে আলমারিতে আটকে আছে বহু নামীদামি লেখকের বই। ২০টি আলমারির আটটি নষ্ট। বই-পত্রিকা সংরক্ষণে নেই পর্যাপ্ত আলমারি। মেঝেতে, চেয়ারে আর কিছু আলমারির উপরে বস্তাবন্দী বই-পত্রিকার স্তূপ। নতুনত্ব না থাকায় পুরাতন এসব বই-পত্রিকার স্তূপ কাছে টানছে না পাঠকদের।

আরও পড়ুন: বই নেই শুধু পত্রিকা দিয়ে চলছে লাইব্রেরি!

লাইব্রেরির গায়ে ফাটল ধরেছে। দেয়ালে জমেছে শেওলা। পাঁচ বছর ধরে নেই কোনো শৌচাগার। চারটি কক্ষের একটা নির্মাণাধীন বিভাগীয় শিল্পকলা একাডেমির পেটে চলে গেছে। বাকি তিনটির মধ্যে একটি পরিত্যক্ত। লাইব্রেরি হিসেবে ব্যবহৃত কক্ষে পাঠকের বসার জন্য রয়েছে ১৫-২০টি প্লাস্টিক চেয়ার। আছে বহু পুরাতন একটি টেবিল।

আলমারির উপর পুরোনো পত্রিকা স্তূপ

দীর্ঘদিন বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় আছে আলো স্বল্পতা। আগের মতো পত্রিকাও নেই। অর্থ সংকটে সাতটি পত্রিকার তালিকার এখন পাঠকের খোরাক মাত্র চারটি। এই লাইব্রেরির প্রতিদিন নতুন সংযোজন বলতে শুধু চারটি পত্রিকাই। আর তেমন কিছুই নেই এখানে।

কম্পিউটার, ইন্টারনেট, তথ্য-প্রযুক্তির সেবা তো দূরের কথা লাইব্রেরির সেবার জন্য কেউ নেই। একজন বৃদ্ধ কেয়ারটেকার আর এক পরিচ্ছন্নতা কর্মীই এখানকার সব। পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক এর অভিভাবক হলেও মাথা ব্যথা নেই তার। এ কারণে লাইফ সাপোর্টে বেঁচে থাকা রোগীর মতো ধুকে ধুকে চলছে দেড়শ বছরের পুরনো এই লাইব্রেরিটি।

বিকেলে কিছু মানুষ আসেন পত্রিকা পড়তে

এখনকার কেয়ারটেকার আজিজুল ইসলাম সানু। দীর্ঘ এক যুগ ধরে এখানে চাকরি করছেন। বেতন ভাতা হিসেবে তার প্রতিদিনের হাজিরা ১০০ টাকারও কম। মাস শেষে জোটে মাত্র ২ হাজার ৫০০ টাকা। বার্তা২৪.কম-কে সানু বলেন, ‘লাইব্রেরি পরিচালনার জন্য কোন বরাদ্দ নেই। এর কোনো দাতা নেই। ২০১৫ সালে জেলা প্রশাসক লাইব্রেরির সংস্কারের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হলেও কোনো ব্যবস্থা হয়নি। একজন লাইব্রেরিয়ান ছিল, বেতন ঠিক মতো না পাওয়া তিনিও চাকরি ছেড়েছেন। এখন জনবল নেই। পড়ার মতো বই নেই। চারটি পত্রিকা ছাড়া এখানে নতুন বলতে কিছুই নেই। যারা পাঠক তারাও পুরাতন। বই না থাকায় নতুন পাঠক সৃষ্টি হচ্ছে না।’

আরও পড়ুন: রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি: জ্ঞানের ঘরে অন্ধকার

ছয় বছর পূর্বে একুশ সদস্যের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটির অনেকে এখন বেঁচে নেই। কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়াতে এখন কেউ খোঁজখবরও নেন না। লাইব্রেরিকে বাঁচিয়ে রাখতে এর অবকাঠামো ঠিক রেখে নতুন করে সংস্কার করা জরুরি বলে মনে করেন মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন।

ভেঙে গেছে আলমারির গ্লাস

তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘পাবলিক লাইব্রেরি অনেক পুরোনো পাঠাগার। এখানে কত বছর ধরে নতুন বই নেই, কেউ বলতে পারবে না। এ লাইব্রেরি পরিচালনার জন্য লোকজন নেই। এখানে নির্বাচন নেই। এর গ্রাহক বা দাতা নেই। এখন কোনোরকম খোঁড়ায় খোঁড়ায় চলছে।’

এই লাইব্রেরির এক সময়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কাজী জুননুন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘রংপুর পাবলিক লাইব্রেরিকে নতুন প্রজন্মের জন্য বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। এর সঙ্গে অনেক ইতিহাস ও ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। এটাকে এভাবে অবহেলিত রাখতে দেওয়া ঠিক হবে না। আধুনিক পাঠাগার করে রংপুরের অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে লাইব্রেরি মুখি করার জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।’

   

‘রবীন্দ্র সঙ্গীত শুধু শিল্প-সংস্কৃতির অংশ নয়, এটি জঙ্গিবাদের বিপক্ষে আন্দোলন’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে যে উৎসব বা আয়োজন তা শুধু শিল্প সংস্কৃতির অংশ নয় এটি একটি আন্দোলন যা উগ্রবাদ জঙ্গিবাদের বিপক্ষে। রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্র সঙ্গীত ও বাংলাদেশের অস্তিত্ব একই সুরে বাঁধা। রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্র সঙ্গীতকে ঘিরে এই আয়োজন এবং এই আন্দোলন আরো সামনে এগিয়ে নিতে হবে। 

শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত উৎসবের আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঙালিরা স্বাধীন জাতিসত্ত্বার কথা চিন্তা করে প্রথমে। ভাষা ও রবীন্দ্র সঙ্গীত চর্চায় যখন বাঁধা আসে তখন প্রতিবাদের শুরু হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে উন্নয়নের জায়গা থেকে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। সামনে আমাদের দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের অনেক বেশি বিনিয়োগ দরকার। তবে সেই বিনিয়োগ শুধু অর্থের নয়, আমাদের আরো বেশি প্রচেষ্টা, সময়, শ্রম ও মেধা এখানে বিনিয়োগ করতে হবে।

এসময় তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং আমাদের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার যত আয়োজন তা গোটা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সরকারিভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন।

তিন দিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয় শিল্পী ইফফাত আরা দেওয়ানকে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি সাজেদ আক্তার, সাধারণ সম্পাদক ড. মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে দেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে মনোজ্ঞ রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা।

;

রাঙামাটিতে পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের কোন্দল চরমে; সংঘর্ষের আশঙ্কা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটিতে ট্রাক চালক শ্রমিকদের বিবদমান দু’টি সংগঠনের নেতাদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো সময় শ্রমিক নেতাদের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা। পরপর দু’দিনে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনে নামার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) একপক্ষের সংবাদ সম্মেলনে অপর পক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও মারধরের অভিযোগ করার পর শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে শ্রমিক ইউনিয়নের অপর পক্ষ রাঙামাটি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি আদায় না হলে শ্রমিকদের নিয়ে রাজপথে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি জেলা ট্রাক-মিনি ট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এটিএম হাসমত উল্লাহ।

এসময় তিনি বলেন, রাঙামাটি পৌর ট্রাক টার্মিনালে স্বঘোষিত নামধারী নেতা মোঃ রুহুল আমিন বাহিনীর সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও জোর-জুলুম করে শ্রমিক নেতাকর্মীদের জিম্মি করে রেখেছে রুহুল আমিন বাহিনী। হাসমত বলেন, সম্প্রতি রুহুল আমিন রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসিন রোমানকে জড়িয়ে যে মিথ্যাচার করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মূলত একজন জনপ্রতিনিধি’র প্রত্যক্ষ ইন্ধনে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে একটি অস্থিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে রুহুল আমিন।

সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতারা বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা মার খাচ্ছে। এই নির্যাতন থেকে আমরা পরিত্রাণ পেতে চাই। আমরা বৈধভাবে নির্বাচিত হওয়ার পরও আমরা দায়িত্ব পালন করতে পারি নাই। তার কারন হলো রুহুল আমিন বাহিনীর হাতে পরিবহন সেক্টর জিম্মি হয়ে আছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শ্রমিক নেতা ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা শ্রমিকদের কোন কার্যক্রম বা গরিব অসহায় চালকদের সাহায্য সহযোগিতা করতে পারছিনা। সদস্যদের চাঁদা আদায় করতে দিচ্ছে না রুহুল আমিন। আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। এখন আমরা রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

এসময় শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা এটিএম হাসমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মোঃ সোলাইমান, সিনিয়র সদস্য আজিজুল হক ও শ্রমিক সদস্য মানিকুল ইসলাম মানিকসহ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি ট্রাক টার্মিনালে সংবাদ সম্মেলন করেছে রুহুল আমিনের নেতৃত্বাধীন রাঙামাটি ট্রাক-মিনি ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নসহ ৬টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, আমাকে ষড়যন্ত্র করে মেরে আহত করার পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

;

মানিকগঞ্জে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার খলসী এলাকা থেকে লায়লা বেগম (৩৯) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে মরদেহটি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

লায়লা বেগম দৌলতপুর উপজেলার খলসী এলাকার সিকান্দার আলীর স্ত্রী। রায়হান হোসেন (১৮) এবং সামী (১৩) নামে দুই সন্তানের জননী লায়লা বেগম বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলো।

লায়লার স্বামী সিকান্দার আলী বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে কিছু না বলেই বের হয় লায়লা। পরে বাড়ি না ফেরায় রাতে তাকে বহুবার ফোন দেওয়া হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে আজ সকালে স্থানীয়দের দেওয়া খবরের উপর ভিত্তি করে লায়লার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদেরকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারনা করা হচ্ছে।

হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনসহ এই ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেন ওসি।

;

মেট্রোরেলের পরের গন্তব্য টঙ্গী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সবচেয়ে দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা মেট্রোরেল বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রী আনা নেওয়া করছে। এ রুটের বর্ধিতাংশ গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে।

অন্যদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ সাভারের আশুলিয়া যাওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী আপাতত টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের ওই লাইন।

শুক্রবার (১০ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।

তিনি বলেন, ‘সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেওয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত এই যুক্ত করা হবে বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ।

তিনি বলেন, মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে সংযুক্ত করতে পারলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে। এ পথ চালু হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যাত্রা পথ হবে ৪৮ মিনিটের।

;