চসিক নির্বাচন

আধিপত্যের লড়াইয়ে প্রার্থীদের অনুসারী-সমর্থকরা



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, চট্টগ্রাম থেকে
সংঘর্ষে আহত এক যুবক, ছবি: বার্তা২৪.কম

সংঘর্ষে আহত এক যুবক, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে উত্তাপ বাড়ছে বন্দর নগরীতে। আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থক বা অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। বেশিরভাগ ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও তাদের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের অনুসারী এবং সমর্থকরা।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের প্রচারণা শুরুর পর ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ড, ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ড এবং ২৮ নম্বর দক্ষিণ পাঠানটুলী ওয়ার্ডে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সরকারি দল সমর্থিত ও সমর্থন বঞ্চিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত শনিবার (১৪ মার্চ) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় নাগরিক কমিটির ব্যানারে স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ হাসান মুরাদ ও তার সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাসান মুরাদ ও তার ছেলেসহ মোট ছয়জন আহত হন। আহতদের মধ্যে চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এর আগে, গত ১৩ মার্চ বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নগরীর সদরঘাট বাংলাবাজার এলাকায় ২৮ নম্বর দক্ষিণ পাঠানটুলী ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদেরের সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় ২৮ নম্বর দক্ষিণ পাঠানটুলী ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি বাবুল দাশ তনয় মাথায় গুরুতর আঘাত পান। এছাড়া, একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, নগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ২৮ নম্বর দক্ষিণ পাঠানটুলী ওয়ার্ড শাখার সভাপতি আব্দুল গণি রিপনসহ পাঁচজন আহত হন। হামলার জন্য সরকারি দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের সমর্থকদের দায়ী করা হয়।

নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ডে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এসব সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। তবে, যে কোনো ধরনের নির্বাচনী সহিংসতা ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছেন তারা। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডকে অপেক্ষাকৃত সংঘাতপ্রবণ হিসেবে বিবেচনায় রেখে, সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশন থেকে এরই মধ্যে সিএমপি কমিশনারকে বলা হয়েছে। নির্বাচনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এবং বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার যাতে কেউ করতে না পারেন, সে ব্যাপারেও সময়মত পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংঘর্ষে আহত এক যুবক, ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম মেট্রো পলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ছোটখাট যেসব সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে, সেসব ক্ষেত্রে পুলিশ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা বৈধ অস্ত্রধারীদের গতিবিধির ওপরও নজর রাখছি। প্রত্যেক ওয়ার্ডে দল সমর্থিত বা স্বতন্ত্র প্রার্থী যারা রয়েছেন, তাদের পূর্বের রেকর্ডপত্র আমরা যাচাই করে দেখছি। পাশাপাশি তালিকা ধরে অবৈধ অস্ত্রধারী বা সন্ত্রাসীদের কে কোথায় অবস্থান করছেন বা এলাকায় কেউ চলাফেরা করছেন কিনা, সেসব খোঁজ রাখছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী রিটার্নিং অফিসার বার্তা২৪.কমকে বলেন, নির্বাচনের আগে নির্ধারিত সময়ে আমরা বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা নেয়ার নির্দেশনা প্রচার করব। নির্বাচন শেষে সেগুলো পুনরায় থানা থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন লাইসেন্সধারীরা। কিন্তু সাত থেকে আটটি ওয়ার্ড চিহ্নিত করা হয়েছে। যেগুলো সংঘাতপ্রবণ এলাকা। এসব ওয়ার্ড নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

তবে, ভোটগ্রহণের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের সংঘাত আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে সাধারণ ভোটার ও নির্বাচন বিশ্লেষকরা।

উল্লেখ্য, আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হচ্ছে চসিক নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৬১ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে ১০৭ জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। মূলত এসব বিদ্রোহী প্রার্থীর অনুসারী ও সমর্থকরাই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে।

   

আজ হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (৮ মে) বেলা ১১টায় হিজরি ১৪৪৫ সালের হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অনুষ্ঠানে হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করবেন প্রধানমন্ত্রী।

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিয়ে হজ ফ্লাইট চালু হওয়ার কথা রয়েছে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওইদিন প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি-৩৩০১ বিমানটি ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। একই দিন দুপুর ১টায় সৌদি আরবের ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশ্যে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। ২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজারের বেশি হাজী হজ পালন করবেন।

;

নরসিংদীতে নির্বাচনে হলফনামায় জাল সনদ দাখিলের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ সংযুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জোসনা বেগম নামের এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

বিষয়টি নিয়ে গত মঙ্গলবার (৭ মে) সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: মোশারফ হোসেন এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম বরাবর পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাহমিনা মানিক।

জানা যায়, ১৯৯৬ সালে রায়পুরা কলেজ থেকে মানবিক বিভাগের ৩৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা থাকলে ৪ জন পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকায় ৩৩৪ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই সালে কলেজ রেজিস্টারে পরীক্ষার্থীদের যেসব তথ্য রয়েছে, সেখানে জোসনা বেগম নামের কোনো শিক্ষার্থীর নাম নেই। সনদপত্রটি অন্যদের সাথেও কোনো মিল নেই। এ ছাড়া সনদে পরীক্ষার রোল নম্বরও কলেজের রোল নম্বরের সাথে কোনো মিল নেই। রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত পরীক্ষার্থীদের সনদ ক্রমিক নম্বর এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সাথে কোনো সামঞ্জষ্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে নারাজ অভিযুক্ত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জোসনা বেগম।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: মোশারফ হোসেন জানান, ৫ মে প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে জোসনা বেগমের মনোনয়ন বৈধ করা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। প্রার্থী বৈধ করার পর অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবর আপিল করারও পরামর্শ দেন তিনি।

;

প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় আজ ভোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

ইসি সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। এই ধাপে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন করে মোট ২৮ জন প্রার্থী ইতোমধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিজয়ী হয়েছেন।

ইসি জানায়, বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাঁচ উপজেলার তিন পদে সবাই নির্বাচিত হয়েছে। তাই ওই পাঁচ উপজেলায় নির্বাচনের প্রয়োজন হবে না। উপজেলাগুলো হলো- নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা ,বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলা, ফেনী জেলার পরশুরাম ও মাদারীপুর জেলার শিবচর। যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবনের তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রেখেছে ইসি।

ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা

গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ও সাধারণ কেন্দ্র বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইসি। সেই হিসেবে সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ বা ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ বা ২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবেন।

উপকূলীয় এলাকার দ্বীপাঞ্চলে কোস্টগার্ড মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। ভোটারদের নিরাপত্তায় পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি'র ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোট গ্রহণের আগের দুই দিন, ভোট গ্রহণের দিন ও ভোট গ্রহণের পরের দুইদিন মোট পাঁচদিন নিয়োজিত থাকবেন।

ইসি জানায়, ভোটারের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে ১৪ হাজার ৬১০ জন বিজিবি সদস্য, ৪১ হাজার ৫৩০ জন পুলিশ এবং পুলিশের ১১ হাজার ৮৮৩ জন ভ্রাম্যমাণ টিম রয়েছে। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স ও অন্যান্য দায়িত্বে রয়েছে পুলিশের ২৯ হাজার ২২০ জন সদস্য। অন্যদিকে র‌্যাবের দুই হাজার ৬৪৮ জন ও আনসারের এক লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।

এদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ৪০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন ১৩৯ জন।

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যবস্থা

নির্বাচনের দিন ভোট হওয়া উপজেলাগুলোতে যান চলাচলে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই অনুযায়ী, আজ রাত ১২টা থেকে আগামীকাল বুধবার অর্থাৎ ভোট গ্রহণের দিন রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত বোটসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট গ্রহণের তিন দিন পূর্ব পর্যন্ত আচরণ বিধি প্রতিপালন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও প্রতিরোধে প্রতি উপজেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোট গ্রহণের তিনদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ভোট গ্রহণের দুইদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের দুইদিন পর পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

মোট ভোট কেন্দ্র

প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ এবং ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল জানান, দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচনের সুযোগ থাকলেও দলীয় মনোনয়ন না থাকায় স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন প্রার্থীরা। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। স্থানীয় সরকারের ভোট হওয়ায় মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু অ্যাকশন নিয়েছি।

সিইসি জানান, মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি প্রতিদিনই সব সময় খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। এটা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচনটা যেন অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেনো ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং সেখানে যেন অনিয়ম না হয়-সে বার্তাটি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে কিছু উপজেলায় তফসিল ঘোষণার মামলা জটিলতা ও বৈধ প্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে জানিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

এদিকে ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ৮ মে ভোট অনুষ্ঠিত হবে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন: রাজবাড়ীর দুটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে আজ বুধবার (৮ মে) রাজবাড়ী জেলার পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু করতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। একটানা বিরতহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

পাংশা: পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ হাসান ওদুদ (আনারস) ও মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো (মোটর সাইকেল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

এছাড়াও,ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সহ মোট ৫ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।এদের মধ্যে খান মোঃ ওবায়দুল হক(চশমা), এ কে এম সাইফুল মোর্শেদ (তালা),রফিকুর ইসলাম (টিউবওয়েল), মোঃ হোসেন আলী সরদার (টিয়া পাখি) ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন বিশ্বাস (উড়োজাহাজ) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন।

অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন অংশগ্রহণ করছেন। এদের মধ্যে দিলরুবা পারভীন ইতি (ফুটবল),আসমা খাতুন (হাসঁ) ও সাবরিনা পারভিন (কলস) প্রতিকে নির্বাচন করছেন।

পাংশা উপজেলা ১ টি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৭৫ টি। মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৫৪৫ টি।এর মধ্যে স্থায়ী ৫২২ ও অস্থায়ী ২৩টি। মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১৬ হাজার ১০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১০ হাজার ১৮৭ ও মহিলা ১ লাখ ৫ হাজার ৯১১ জন।

কালুখালী: কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে অলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু (আনারস), এবিএম রোকনুজ্জামান (কাপ-পিরিচ),মোঃ এনায়েত হোসেন (মোটর সাইকেল) ও মোঃ মাসুদুর রহমান (দোয়াত-কলম) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

এছাড়াও, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।এদের মধ্যে মোঃ রিপন শেখ (টিউবওয়েল), রেজাউল করিম (টিয়া পাখি),মাহমুদ হাসান সুমন (তালা) ও মুহাম্মদ ফজলুল হক (মাইক) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এদের মধ্যে মোছাঃ শিল্পী আক্তার (কলস),মোছাঃ ডলি পারভীন (ফুটবল) ও মোছাঃ শারমিন আক্তার (হাঁস) প্রতীক নিয়ে।

কালুখালী উপজেলা ৭ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৫০ টি। মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৩২১টি। এর মধ্যে স্থায়ী ৩০৬ ও অস্থায়ী ১৫ টি। মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩৭ হাজার ২০০। এর মধ্যে পুরুষ ৭০ হাজার ২৮৪ ও মহিলা ৬৬ হাজার ৯১৫ জন।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের রিটার্নিং অফিসার ও রাজবাড়ী জেলা নির্বাচন অফিসার মো: অলিউল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রথম ধাপের নির্বাচনে পাংশা ও কালুখালী দুই উপজেলার মোট ১২৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পাংশা উপজেলায় ৫৭টি ও কালুখালী উপজেলায় ৩১টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বা গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ ও ১৪ জন আনসার সদস্য থাকবেন। এছাড়াও পাংশা উপজেলায় ১১ জন ম্যাজিস্ট্রেট ১১টি পুলিশের টহল টিম ও ১ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও কালুখালী উপজেলায় ৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট ৭টি পুলিশের টহল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।

এছাড়াও পাংশা ও কালুখালী উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও র‍্যাবের ৪টি টহল টিম মোতায়েন থাকবে।

রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার জি.এম আবুল কালাম আজাদ পিপিএম (সেবা) বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে জেলা পুলিশ সবসময় বদ্ধপরিকর।নির্বাচনের দিন জেলা পুলিশের পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রে আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে।পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ৬৫০ জন পুলিশ ও ১৮০০ জন আনসার সদস্য কাজ করবে।পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে ও গোয়েন্দা পুলিশও মাঠে কাজ করবে।

;