সাভারের আশুলিয়ায় বারবার বেদখল হওয়া ফুটপাতকে দখলমুক্ত রাখতে ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে পুলিশ। ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা-দোকানপাট উচ্ছেদ করে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) দুপুরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় এ কর্মসূচির আয়োজন করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
‘দেশের বায়ু দেশের মাটি, গাছ লাগিয়ে করব খাটি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এদিন প্রথমে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে নিম, মেহগনিসহ বিভিন্ন গাছের চারা রোপণ করা হয়।
সুশৃঙ্খলভাবে দখলমুক্ত ফুটপাতে সাধারণ মানুষের অবাধ চলাচলের পাশাপাশি সৌন্দর্য্য বর্ধন ও পরিবেশ রক্ষায় এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও উদ্বোধন করেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প পুলিশ-১ এর এসপি মো. সারোয়ার আলম, ঢাকা জেলা উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জামান ও আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ।
ঢাকা জেলা এসপি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা অনেক আগেই সাভার, আশুলিয়ার মহাসড়কের পাশের ফুটপাত দখলমুক্ত করেছি। কিন্তু তারপরেও পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় প্রায়ই ফুটপাত দখল করে বাজার বসানো হত। বিভিন্ন হকাররা ব্যবসা করত। ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্যোগে অভিনব কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। বৃক্ষরোপণ করতে সরকারের নির্দেশনাও রয়েছে। আমরা ফুটপাত দখলমুক্ত করে গাছ রোপণ করে দিয়েছি। ধীরে ধীরে অন্যান্য স্থানেও এই কর্মসূচী পালন করা হবে। যেন অবৈধ দখলদারেরা আর ফুটপাত দখল করতে না পারে।
প্রধান অতিথি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, অনেকেই অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে রেখেছিলেন। অনেকে নাকি এখান থেকে ভাড়াও তুলতো। আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেককেই জিজ্ঞাসা করেছি কে ভাড়া তোলে? কেউ আমার কাছে কখনও স্বীকার করেননি। আমি জানি এই ফুটপাতে চলাচল করতে গিয়ে সাধারণ পথচারীরা ছিনতাই সহ বিভিন্ন বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। এখন আর এমন হওয়ার সুযোগ নেই। এলাকার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় পুলিশের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, আমি তাদের এ মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
বৃক্ষরোপণের এমন আয়োজনে সাধুবাদ জানিয়েছেন পথচারীসহ সাধারণ জনগণ। পথচারী পোশাক শ্রমিক আয়শা আক্তার বলেন, আগে এখান দিয়ে যাওয়া আশার সময় আর ভীড় লেগেই থাকত। ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে গেলে নারীদের শরীরে হাত দেয়ার ঘটনাও ঘটত। চুরির ঘটনাও ঘটত। এখন আমরা অনেক খুশি। নিরাপদে চলাচল করতে পারব। এমপি সাইফুল ইসলাম সহ পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা চাই দেশের অন্যান্য স্থানেও এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।