ঘরে থাকলেই ভালো থাকবেন: সাদ এরশাদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রাতের অন্ধকারে অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন সাদ এরশাদ, ছবি: সংগৃহীত

রাতের অন্ধকারে অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন সাদ এরশাদ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকার ঘোষিত ১০ দিনের সাধারণ ছুটি আর সামাজিক দূরত্বে ঘরে থাকা নিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষদের চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এরশাদপুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ।

রংপুর-৩ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, রোগ, জীবাণু, মহামারি এসব ধনী গরিব বোঝে না। তাই নিজেদের ভালোর জন্য ঘরে থাকুন। ঘরে থাকলেই ভালো থাকবেন।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) রাতে রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় শ্রমজীবী ও অসহায় দুস্থ মানুষদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সাদ এরশাদ বলেন, এমপি বলে যে আমি সবকিছু করতে পারব, তা নয়। আমি ব্যক্তি উদ্যোগে এগিয়ে এসেছি। এই দুর্যোগময় মুহূর্তে সমাজের বৃত্তবানদের অসহায় দুস্থ মানুষদের পাশে এগিয়ে আসা উচিত। এতে করে গরিব, দিনমজুর শ্রমিকরা ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ হবে।

এদিকে ধীরে ধীরে সরকারি, বেসরকারি অফিস,  আদালত, হোটেল, রেস্তোরাঁ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সরকার ঘোষিত ছুটি আর সামাজিক দূরত্বে ঘরে থাকা নিয়ে চিন্তিত এসব শ্রমজীবী মানুষ।

অসহায় এসব মানুষদের জন্য চাল, ডাল, চিড়াসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে রাতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছেন সাদ এরশাদ। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, আলু ও চিড়া, আধা কেজি গুড় ও লবণ নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে এসব বিতরণ করেন। সোমবার মধ্যরাতেও তিনি একইভাবে বিভিন্ন স্থানে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন।

নগরীর এক হাজার মানুষের মাঝে এসব খাবার বিতরণ করবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব সাদ এরশাদ।

   

কটিয়াদীতে ব্রিটিশ আমলের ‘শিশু বাজার’ এখনো চলছে



ছাইদুর রহমান নাঈম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নে বৃটিশ আমলের প্রাচীন শিশু বাজারটি কালের সাক্ষী হয়ে এখনো টিকে আছে। নামে শিশু বাজার হলেও এটি মূলত দুধের বাজার। বছরের পর বছর ধরে চলে আসা ঐতিহ্যের এই দুধের হাটটি অত্র অঞ্চলে দুধের চাহিদা মিটাচ্ছে।

প্রতিদিন ভোরে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ক্রেতাদের হয় মিলন মেলা গরুর দুধের হাট। এখানে খামারিরা প্রতিদিন বিক্রি করেন প্রায় ৬-৭ হাজার লিটার দুধ। দুধ বিক্রি করে নগদ টাকা পান, তা নিয়ে খুশি খামারিরা।

স্থানীয় প্রবীন লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃটিশ আমলে আচমিতা এলাকায় বৃটিশদের আনাগোনা ছিলো৷ হোসেনপুর ও কটিয়াদীর জালালপুরে ছিলো নীল কুঠির৷ এরমধ্যে জালালপুর ছিলো এশিয়ার মধ্যে বৃহৎ চুল্লী। যা আজো টিকে আছে। ভৌগোলিক সুবিধা বিবেচনায় বর্তমান আচমিতা নামক এলাকায় তখন বৃটিশরা কয়েকটি প্রাসাদ স্থাপন করে বসবাস শুরু করেন। তাদের ছোট শিশুদের খাবারের জন্য দুধের প্রয়োজনীয়তায় দুধের জন্য শিশু হাট বসান বলে জনশ্রুতি আছে ৷ কালক্রমে আসে জমিদারি যুগ৷ তখন তারাও ভোরে দুধ নিতেন এই হাট থেকে৷ কাক ডাকা ভোর থেকেই এই হাট শুরু হতো৷ যা যুগের পর যুগ ধরে এখনো চলমান৷ আজো আচমিতার মানুষের কাছে শিশু হাট হিসেবে এটি পরিচিত৷


হাটে আগত খামারিরা জানায়, ইউনিয়নের প্রায় হাজারের মতো খামারি দুধেল গরু পালন করেন। তারা উৎপাদন করেন প্রায় ৭-৮ হাজার লিটার দুধ। মাঝারি ও ক্ষুদ্র খামারিরা আচমিতা বাজারে এনে খুচরা ও পাইকারদের কাছে দুধ বিক্রি করেন। এখানে ৮-১০ জন পাইকার দুধ সংগ্রহ করেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সাইকেল, রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে খামারিরা তরতাজা দুধ নিয়ে আসছেন। কারো হাতে বোতল, কলশি,জগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন৷ কেউ দুই লিটার, কেউ ১০ লিটার,কেউবা আরো বেশি দুধ এনেছেন। ৭০-৮০ টাকা লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে। আবার পাইকাররা দুধ কিনে ড্রামে ঢেলে রাখছেন। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে দুধের মিষ্টি ঘ্রাণ। খামারিরা দাম পেয়েছেন প্রতি লিটার ৬০-৭০ টাকা দরে। হাটের অধিকাংশ ক্রেতা মিষ্টির দোকানী। দুধ সংগ্রহ করে মিষ্টি তৈরির কাজে ব্যাবহার করেন৷

দুধ বিক্রেতা আচমিতা গ্রামের জমির উদ্দিন (৭৫) বলেন, 'আমাদের বাপ দাদারা এখানে দুধ বিক্রি করতেন৷ ছোট থেকেই দেখে আসছি৷ এই হাটের বয়স কতো আমিও জানিনা৷ তিন লিটার দুধ নিয়ে আসছি। বিক্রি করে নগদ টাকা পেয়ে ভালো লাগছে।'


বাজিতপুর থেকে আসা ক্রেতা মদন গোপাল বলেন, '৩০ বছর ধরে এই হাট থেকে ভোরে দুধ সংগ্রহ করি৷ পূর্বপুরুষরাও এখান থেকে নিতেন। ৭০ লিটার দুধ নিলাম মিষ্টির দোকানের জন্য৷'

কটিয়াদী-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশেই আচমিতা বাজারে ভোর থেকে শুরু হয়ে সকাল ৯ টা পর্যন্ত চলে এই হাট৷

;

পাওনা টাকার জন্য কুকুরের সঙ্গে শিকলে বেঁধে নির্যাতন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারে পাওনা তিন হাজার টাকার জন্য কুকুরের সাথে শিকলে বেঁধে রিকশা চালককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীয়ের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিকলের তালা খুলে রিকশা চালককে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত ভাঙ্গারি ব্যাবসায়ী।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ভরারী এলাকায় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মামুনের দোকান থেকে ভুক্তভোগীকে শিকলমুক্ত করে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে, সকালে ভুক্তভোগী রবিউলকে দোকানের খুঁটিতে কুকুরের সাথে শিকলে বেঁধে রাখে অভিযুক্ত মামুন।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম নিলফামারী জেলার বাসিন্দা। একসময় মামুনের সাথে ব্যবসা করলেও বর্তমানে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি আগে ভাঙ্গারি মালামাল বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে মামুনের কাছে বিক্রি করতাম। আমার কাছে ৩ হাজার টাকা পেতো মামুন। সেই টাকার জন্য আমাকে মঙ্গলবার মারধর করে পায়ে শিকল পরিয়ে বেধে রাখে মামুন।’

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ যাবার আগেই অভিযুক্ত মামুন পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 

;

৩০ এপ্রিল দেশের ইতিহাসে রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৩০ এপ্রিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে। এ সময় ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় বলে সংসদে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

লিখিত প্রশ্নের উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। জানুয়ারি ২০০৯ হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। এ বছর ৩০ এপ্রিল সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট।

তিনি আরও জানান, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তীতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কিছু কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে।

এছাড়া অত্যধিক গরম ও দেশের কোথাও কোথাও দাবদাহ থাকার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি, অচিরেই সবাইকে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে সক্ষম হবো।

;

প্রকল্প গ্রহণ করার আগে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলে দেশের অর্থনীতি কতটা চাঙ্গা হবে এবং স্থানীয়রা কতটা উপকৃত হবে তা বিবেচনায় নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমাদের প্রথমে ভাবতে হবে ফলাফল কি হবে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে একটি প্রকল্প নেওয়ার পরে জনগণ কতটা উপকৃত হবে। দেশের উন্নয়ন এমনভাবে করতে হবে যাতে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে এবং অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে সরকারি বাসভবন গণভবনে স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ বিনির্মাণে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের কার্যক্রমের রূপরেখা সংক্রান্ত উপস্থাপনা অবলোকনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

রূপরেখা প্রত্যক্ষ করার পর, প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়াতে এবং প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের কতটা উন্নয়ন হবে এবং মানুষ কতটা উপকৃত হবে তা আপনাদেরকে বিবেচনা করতে হবে। তিনি বলেন, দ্রুত কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে বলে দেশবাসী এর সুফল পাচ্ছে।

সরকার প্রধান বলেন, তারা একটি লক্ষ্য নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তার সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল জনগণের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, গবেষণার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির করে আমরা সফলভাবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিল এবং উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভের মধ্যদিয়ে সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেছে। তিনি বলেন, এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে রূপান্তর করা। আমরা সেই রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।

এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

;