২৮ ঘণ্টা ধরে জ্বলতে থাকা সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। তবে আগামী কয়েক দিন এখানে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম চলমান রাখা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
রোববার (৫ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার দীপংকর বরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানা যায়।
এতে বলা হয়, বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় সুন্দরবন-পূর্ব বন বিভাগের আওতাধীন চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ক্যাম্পের বনাঞ্চলের আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুন গাছের উপরে বা ডালপালায় বিস্তৃত হয়নি, শুধু মাটির উপরে বিক্ষিপ্তভাবে বিস্তৃত হয়েছে। ঘটনাস্থলে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট, নৌবাহিনী, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সিপিজি, স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনগণ অগ্নিনির্বাপণে সহায়তা করছেন। এছাড়া বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও অগ্নিনির্বাপণে উপর থেকে পানি ছিটিয়ে সহায়তা করেছে।
এদিকে, পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধার স্টেশন অফিসার মো. ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন অফিসার মো. রবিউল ইসলাম।
সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম জানান, সুন্দরবনকে আগুনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচাতে আমাদের আধুনিক প্রযুক্তি নেই। প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হতো। সুন্দরবনে আগুন লাগলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও আসল কারণ অজানা থেকে যায়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বাগেরহাট জেলা সদস্য এমএ সবুর রানা বলেন, বার বার সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনা উদ্বেগজনক। এমন ঘটনা বার বার ঘটার কারণও বিগত সময়ে বন বিভাগ চিহ্নিত করেছে। বন বিভাগ যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় এমনটি ঘটছে
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও ,বাগেরহাট) কাজী নুরুল করিম বলেন, শনিবার নানা প্রতিকূলতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। আজ রোববার সকাল থেকে কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগ দেয়। স্থানীয় এলাকাবাসীরাও সব রকমের সহযোগিতা করেছেন।