করোনা পরীক্ষায় খুমেক হাসপাতালে পৌঁছেছে পিসিআর মেশিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ছবি: বার্তা২৪.কম

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের পিসিআর মেশিন খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পৌঁছেছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে এ মেশিন দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে ঢাকা থেকে পিসিআর মেশিন খুমেক হাসপাতালে পৌঁছায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ।

তিনি জানান, পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে রোগীর রক্ত, ঘাম ও কফ পরীক্ষা করা হবে। এজন্য মেডিকেলে একটি টিম গঠন করা হয়েছে।

খুমেকের উপাধ্যক্ষ আরও জানান, করোনা পরীক্ষার কিট, পিসিআর মেশিনের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে অধিদফতরে। এগুলো এলেই কার্যক্রম শুরু হবে। খুলনায় এখন পর্যন্ত কোন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হননি।

খুমেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তুষার বলেন, ‘হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে কোভিড-১৯ পরীক্ষার পিসিআর স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আশা করছি আগামী বৃহস্পতিবার বা শনিবার থেকে খুমেকে করোনা পরীক্ষা শুরু হবে। আগামী এক সপ্তাহ জরুরি কোনো স্যাম্পল কালেক্ট করা হলে তা ঢাকায় পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হবে।

এদিকে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) বাইরে কিছু লোকজন থাকলেও ভেতরে রোগী নেই। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়ে গেছে সবাই। বেশিরভাগ ওয়ার্ডের শয্যাগুলো এখন খালি পড়ে আছে। কোথাও নেই রোগীর চাপ। যে ক'জন রোগী আছেন, তারা নিতান্তই বাধ্য হয়ে সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালজুড়ে বিরাজ করছে ভুতুড়ে পরিবেশ।

অথচ সপ্তাহখানেক আগেও এই হাসপাতালে ছিল মাত্রাতিরিক্ত রোগীর কোলাহল, ছিল বহির্বিভাগের সামনে রোগী ও স্বজনদের জটলা। অথচ সেখানে এখন বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা।

   

রাজধানীতে ছিনতাই চক্রের ৪ সদস্য আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধারালো দেশিয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই চক্রের ৪ ছিনতাইকারীকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব ১০)। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে রোববার তাদের আটক করা হয়।

সোমবার (১৩ মে) র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ১০-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল এ তথ্য জানান।

আটকরা হলেন, মো. সজল (৩০), মো. শান্ত হোসেন (২২), মো. ওয়াশিম (২৪) এবং মো.শাকিল হোসেন (২৪)।

এম. জে. সোহেল বলেন, রোববার (১২ মে) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-১০। অভিযানে ৪ ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ৪টি চাকু জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে জানা গেছে, আটক ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন ধরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় পথচারীদের ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ ছিনতাই করে আসছিল। এ ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু কতে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

;

বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার মেয়র সাময়িক বরখাস্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার মেয়র ও বিএনপির সাবেক নেতা আলহাজ্ব জানে আলম খোকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রোববার (১২মে) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব জানে আলম খোকা বিধি বহির্ভূতভাবে বাসটার্মিনালের ২০২০ এবং ২০২১ সালে ইজারা মওকুফ, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে মাস্টাররোলে কর্মচারী নিয়োগ, জিপ গাড়ি মেরামতের নামে অতিরিক্ত বিল প্রদান, ২২৮টি দোকান বরাদ্দ প্রদান না করা, পৌরসভার বিভিন্ন ক্রয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম, পৌরসভার গৃহ কর এ্যাসেসমেন্টে দুর্নীতি, ইমারত ও ভূমির ওপর অতিরিক্ত কর আদায় সংক্রান্ত আনীত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। অভিযোগসমূহ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ (১) (খ) (ঘ) এবং (২) অনুযায়ী তাকে মেয়র পদ হতে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সরকার ( পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী কোনো পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হলে অথবা ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র বিজ্ঞ আদালতে গৃহিত হলে, সেক্ষেত্রে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় মেয়র কর্তৃক ক্ষমতা প্রয়োগ পৌরসভার স্বার্থের পরিপন্থী অথবা প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। সেতুতে স্থানীয় সরকার ( পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব জানে আলম খোকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে মর্মে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে একইদিনে অপর আরেক প্রজ্ঞাপনে পৌরসভার প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের সুবিধার্থে ‘মেয়রের আর্থিক ক্ষমতা’ পৌরসভার প্যানেল-১ মেয়র নাজমুল আলম খোকনকে অর্পন করা হয়।

শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব জানে আলম খোকা বলেন, অনলাইনে জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বরখাস্তের বিষয়টি জেনেছি। অভিযোগগুলো সঠিক নয়। তিনি আরো বলেন, আমি শেরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ছিলাম। দল থেকে আমাকে বহিস্কার করা হলেও আমি এখনও বিএনপিতে আছি। রাজনৈতিক কারণে আমাকে মেয়র পদ থেকে অপসারণ করা হচ্ছে।

;

ফটিকছড়িতে নসিমন খাদে পড়ে চালকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে মোহাম্মদ তারেক (২৫) নামে এক নসিমন চালকের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১৩ মে) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের বেড়াজালি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবক মোহাম্মদ তারেক ওই ইউনিয়নের করবলা টিলা এলাকার বাদশা আলমের ছেলে।

জানা যায়, নসিমন ও ট্রলি গাড়ি একটি অন্যটিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় নসিমনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এসময় চালক তারেক গাড়িটির নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গাড়ির হেলপার মো. জিহান বলেন, আমাদের নসিমন গাড়িটি ছোট, বড় একটি ট্রলিকে পাশ দিতে গিয়ে আমাদের গাড়ি বিলে পড়ে যায়। এসময় চালকের তারেকের মাথার উপর গাড়িটি পড়ে গুরুতর আহত হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরেফিন আজিম বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় নসিমন চালককে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে তার আগেই তিন মারা যান।

;

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ক্যাম্প থেকে প্রশাসনের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত রোহিঙ্গা মাঝি হলো উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের বাসিন্দা আবুল কাশেমের ছেলে মোহাম্মদ ইলিয়াস (৪৩)। তিনি ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সোমবার (১৩ মে) ভোর রাতে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের সি ব্লক সংলগ্ন হ্যান্ডিক্যাফ অফিসের পেছনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

জানা যায়, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনে গতরাতে অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ইলিয়াসকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়।

পরে বসতবাড়ি সংলগ্ন হ্যান্ডি ক্যাফ অফিসের পেছনে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করেন। এ ঘটনার পর উখিয়া থানার উপ পরিদর্শক অরুপ তালুকদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি।

;