চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এস আলম গ্রুপের উন্নতমানের পিপিই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, ঢাকা
চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এস আলম গ্রুপের উন্নতমানের পিপিই

চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এস আলম গ্রুপের উন্নতমানের পিপিই

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলার স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য চীন থেকে আমদানিকৃত ২ হাজার উন্নতমানের পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই)  বিতরণ করেছে দেশের অন্যতম বড় শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ ।

শুক্রবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পিপিইগুলো হস্তান্তর করা হয়।

এসময় এসআলম গ্রুপের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের পিএস আকিজ উদ্দিন এবং জেলা প্রশাসক মো ইলিয়াস হোসেন।

এস আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে জানা যায়, এই ২ হাজার উন্নতমানের পিপিই চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে।  চট্টগ্রাম জেলার ১৫ টি উপজেলার স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য এগুলো দেওয়া হলো। যাতে করে সর্দি ও জ্বর নিয়ে কেউ হাসপাতালে গেলে স্বাস্থ্যকর্মীরা যেন তাদের চিকিৎসা দেয়। পিপিইগুলো পেলে এখন থেকে সাধারণ মানুষের চিকিৎসার দুর্ভোগ দূর হবে।

জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বড় ইস্যু ছিল পিপিই। সেই সংকট দূর হয়েছে। আপনারা জানেন চীন থেকে উন্নতমানের পিপিই আসছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গ্রুপ এগিয়ে আসছে। তার ধারাবাহিকতায় আজকে এস আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম জেলা চীন থেকে আনা উন্নতমানের পিপিই পেল। প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত করেছে, আগামী সপ্তাহে তারা পিপিই দেবে। পিপিইগুলো আমরা চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যকর্মীদের দেব, তারা ব্যবহার করবে।

এস আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে পিপিইগুলো হস্তান্তর করা হয়

 

পিএস আকিজ উদ্দিন বলেন, পিপিইগুলো চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে।  উন্নতমানের পিপিইগুলো দ্বারা স্বাস্থ্যকর্মীরা সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে পারবে। এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান পুরো বিষয়টি মনিটরিং করছেন।

এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী করোনার সংক্রমণ থেকে জনগণকে রক্ষা করতে আমাদের গ্রুপ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিনামূল্যে পিপিই বিতরণ তারই একটি অন্যতম উদ্যোগ। পর্যায়ক্রমে আমরা আরও নানা ধরনের উদ্যোগ নেব প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক।  

   

ঘূর্ণিঝড় রিমাল’র প্রভাবে সিলেটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমাল’র প্রভাবে সিলেটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। রোববার (২৭ মে) বিকেল থেকে সিলেটে নগরী এবং এর আশেপাশের উপজেলা সমূহে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়।

জানা যায়, গত ২ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। শুক্রবার ও শনিবার দিবাগত রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও কমেনি তাপমাত্রা। এছাড়াও মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে সিলেটে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪ বার রেকর্ড করা হয়েছে। গত ১৬ মে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। পরে ২৩ মে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ৩৭ দশমিক ৫ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়।

শুক্রবার (২৪ মে) বিকাল ৩টায় ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও চলতি বছরের পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙে শনিবার (২৬ মে) বিকাল ৩টায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে রোববার বিকেলে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিন বিকেল থেকে সিলেটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও হালকা বাতাস থাকার ফলে জনমনে অনেকটা স্বস্তি দেখা যায়। এই রিপোর্ট রাত সাড়ে ১২টায় লেখার সময়েও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে দেখা যায়।

এ ব্যাপারে সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক বিপ্লব দাস বলেন, ‌বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রিমামে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সিলেট কিছু উপজেলায় ও নগরীতে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, রাত নয়টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সিলেটে ১৫ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সিলেটে খুব একটা পড়বে না।

এদিকে সন্ধ্যায় আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো.মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিমি) থেকে অতিভারী (৮৯ মিমির বেশি) বর্ষণ হতে পারে। চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস হতে পারে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

;

৬ ঘণ্টার মধ্যে উপকুল অতিক্রম করবে রিমাল

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রিমাল

রিমাল

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোংলার দক্ষিণপশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম অব্যাহত রেখেছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে পরবর্তী ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

রোববার (২৬ মে) দিবাগত রাত ১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।

তিনি বলেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে আগামীকাল সারাদেশে মৃদু ও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে কোন কোন জেলায় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী

বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝড়ো হাওয়া সহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি,

খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধ্বস হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পারে।

;

ঘূর্ণিঝড়ে দক্ষিণের ৪০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমাল-এর প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গাছ পড়ে, লাইন ছিঁড়ে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আবার দুর্ঘটনা এড়াতে অনেক এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

বিদ্যুৎ না থাকায় অনেক এলাকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। মোবাইল কোম্পানিগুলো বিকল্প উপায়ে নেটওয়ার্ক চালু রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুৎ ও ফোন জরুরি সেবার অন্তর্গত। দুর্যোগের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখতে বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) এক কর্মকর্তা জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২৫ লাখ ৬৯ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎহীন এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে পটুয়াখালী, বাগেরহাট, ভোলা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও ঝালকাঠি। পটুয়াখালীতে ৬ লাখ, বাগেরহাটে সাড়ে ৪ লাখ ও ভোলায় সোয়া ৪ লাখ, পিরোজপুরে ৩ লাখ, বরিশালে ১ লাখ ৮০ হাজার, সাতক্ষীরায় ১ লাখ ৭০ হাজার এবং ঝালকাঠিতে ১ লাখ ৩৫ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। রাতে আরও ৮-১০ লাখ গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।

দক্ষিণাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ওজোপাডিকোরও ২-৩ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে যথাসময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি প্রয়োজনে বাতিল এবং অতিরিক্ত জনবল প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ-সংক্রান্ত যে কোনো প্রয়োজনে ১৬৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গভীর সমুদ্রে তেল খালাস কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে বলে বিপিসি সূত্রে জানা গেছে। নিরাপত্তার কারণে জ্বালানি তেলবাহী দুটি জাহাজকে গভীর সমুদ্রে পাঠানো হয়েছে।

একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নৌরুটে তেল পরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে রিমালের কারণে এলএনজি সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না বলে পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা জানান।

ওই কর্মকর্তা জানান, দুটি ভাসমান টার্মিনাল থেকে (এফএসআরইউ) এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে। রাতের মধ্যে ১০০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার জানান, সাগরের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় শুক্রবার এলএনজি সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে শনিবার সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। কারণ এফএসআরইউ যেদিকে, রিমাল সেদিক দিয়ে যাচ্ছে না। তাই ক্ষতির আশঙ্কা কম।

একটি বিতরণ কোম্পানির সাবেক একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হবে, এটা স্বাভাবিক। তবে তা যতটা কমানো যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এখন নিয়মিত ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে। তাই বিতরণ ব্যবস্থাপনা এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তা ঝড়েও টিকে থাকে। এ ছাড়া কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জেনারেটরের পাশাপাশি ব্যাটারির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে, যাতে দুর্যোগকালীন জরুরি প্রয়োজনে তা বিকল্প উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বিটিআরসি) জানায়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের সময় উপকূলে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য মোবাইল কোম্পানিগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

একটি মোবাইল ফোন কোম্পানির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, উপকূলে ঝড় শুরুর আগে সন্ধ্যা বেলাতেই অনেক এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। টাওয়ারগুলোতে চার ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাটারির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেক এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে চলে গেছে। ঝড় থেমে যাওয়ার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হলে আবার নেটওয়ার্ক সচল হবে।

;

বান্দরবানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আসেনি কেউ, পাহাড় ধসের শঙ্কা

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবা‌ন
বান্দরবানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আসেনি কেউ

বান্দরবানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আসেনি কেউ

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় বান্দরবানে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। বান্দরবান ও লামা পৌরসভা, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলার ৭ উপজেলায় ২১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে এ সকল ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলোতে ধসের সৃষ্টি হলে ব্যাপক জানমালের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার ঝুঁকিপূর্ণস্থানে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে বলা হলেও এখন পর্যন্ত কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়নি।

বান্দরবান পৌরসভার মেয়র শামসুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা মাঠে কাজ করছি। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে জেলার সাত উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ২১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনা খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি যেকোন ধরনের দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস ও রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত ও জরুরি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

;