বরিশালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে বাধা দেওয়ায় পথচারীর কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
জেলার মানচিত্র

জেলার মানচিত্র

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ কাজে বাধা প্রদান ও উস্কানিমূলক মন্তব্য করায় অলিউর রহমান চিশতী (৪৫) নামে এক পথচারীকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে৷

সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট তাকে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে।

দণ্ডপ্রাপ্ত অলিউর বাংলা বাজার এলাকার বাসিন্দা।

কারাদণ্ডের বিষয়টি বার্তা২৪.কম নিশ্চিত করে বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালনাকারী মো. জিয়াউর রহমান জানান, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও জনসমাগমের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে বাংলাবাজার এলাকায় অলিউর রহমান চিশতি নামে এক পথচারী পেছন থেকে জনসমাগমকে উস্কানি দিয়ে বলে মোবাইল কোর্ট অভিযানের নামে মানুষকে হয়রানি করছে। এছাড়াও তিনি সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত কাজে বাধা প্রদান করে। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করে এ দণ্ডাদেশ প্রদান করে।

জনস্বার্থে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে গণসচেতনতা ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই ম্যাজিস্ট্রেট।

   

মাদকের টাকা যোগাতেই খুন হয়েছিলেন শহিদুল, গ্রেফতার ১



স্টাফ করেমপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
মাদকের টাকা যোগাতেই খুন হয়েছিলেন শহিদুল, গ্রেফতার ১

মাদকের টাকা যোগাতেই খুন হয়েছিলেন শহিদুল, গ্রেফতার ১

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা জেলার সাভারে দিনে দুপুরে ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন ডেন্টাল কর্মচারী শহিদুল। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের কারণ না পেয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছিলেন নিহতের পরিবার। প্রায় দেড় মাস পর ঘটনার সাথে জড়িত ১ আসামিকে গ্রেফতার করলে বেরিয়ে আসে রহস্য। মূলত নেশার টাকা যোগাতেই শহিদুলকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে পালিয়েছিল আসামিরা।

রোববার (১২ মে) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাব-৪। এর আগে গতকাল (১১ মে) রাতে ঢাকার রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত ১ জনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামি নূর আলম (২৪) কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। তিনি সাভারের ছিনতাই ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত।

গত ২৮ মার্চ দুপুরে সাভার মডেল থানাধীন ছায়াবীথি আমতলা মোড় এলাকায় স্থানীয় ডেন্টাল কর্মচারী শহিদুল ইসলাম (২৪) কে ছুরিকাঘাত করে অজ্ঞাতরা। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই। এরপরেই ছায়া তদন্তে নামে র‍্যাব-৪।

নিহত শহিদুল ইসলাম (২৪) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার চরধরমপুর গ্রামের সাইদুলের ছেলে। তিনি সাভারের সোবহানবাগ আমতলা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। পেশায় ছিলেন ডেন্টাল চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফিউচার ডেন্টালের সহকারী।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে নূর আলম। র‍্যাব জানায়, মূলত মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্যই সেদিন শহিদুল ইসলাম (২৪)’কে ছুরিকাঘাত করে। টাকার প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে পথচারীদের গতিরোধ করে তাদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নিত নূর আলম ও তার সহযোগীরা। ঘটনাস্থলের আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে র‍্যাব জানতে পারে রিকশাযোগে দুই ব্যক্তি শহিদুলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে ওই রিকশা ও আসামিদের শনাক্ত করে র‍্যাব। তাদের মধ্য একজন হলেন নূর আলম।

র‍্যাব ৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, আসামি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে ছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত বাকি আসামিকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

;

এসএসসি পরিক্ষা: রাজশাহী বোর্ডে বেড়েছে জিপিএ-৫ ও পাসের হার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এ বছর এসএসসিতে জিপিএ-৫ ও পাসের হার বেড়েছে। এবার পাসের হার ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। গেল বছর পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে পাসের হার বেড়েছে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮ হাজার ৭৪ জন শিক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৬ হাজার ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী।

রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এ বছরে এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৮ জন। ২০২৩ সালে পাসের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৫৮ জন।

এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় এবার বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮ হাজার ৭৪ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৪৯৫ জন ছাত্রী এবং ১২ হাজার ৫৭৯ জন ছাত্র রয়েছে। ছাত্র পাসের হার ৮৬ দশমিক ৭৮ এবং ছাত্রী ৯১ দশমিক ৯০ শতাংশ। পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে এ বছর ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো ফল করেছে।

২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৮৫৩ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত ছিল ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৯ জন শিক্ষার্থী। অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ৯২৪ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে উপস্থিত ছাত্রী ছিলেন ৯৬ হাজার ২১৭ জন। উপস্থিত ছাত্র ছিলেন ১ লাখ ২ হাজার ৭১২ জন।

এ বোর্ডের অধীনে মোট ২৬৬টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৬৮৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা এসএসসিতে অংশ নেয়। শতভাগ পাস করেছে ২৮৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দুটি স্কুলের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেন। এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বহিষ্কার হয়েছেন ছয়জন শিক্ষার্থী।

এর আগে ২০১৮ সালে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ছিল- ৮৬ দশমিক ০৭ শতাংশ, ২০১৯ সালে পাসের হার ছিল- ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ২০২০ সালে পাসের হার ছিল- ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ২০২১ সালে পাসের হার ছিল- ৯৪ দশমিক ৭১ শতাংশ, ২০২২ সালে পাসের হার ছিল- ৮৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ২০২৩ সালে পাসের হার ছিল- ৮৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

;

লালমনিরহাটে ক্লাস চলাকালীন স্কুলে আগুন!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে ক্লাস চলাকালীন হঠাৎ আগুন লেগে দুইটি শ্রেণিকক্ষ পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

রোববার (১২ মে) দুপুরে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারীতে কেবি বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের একটি শ্রেণিকক্ষে আগুনের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে টিফিন শুরুর সময়ে আকস্মিকভাবে ৬ষ্ঠ শ্রেণির দুটি ক্লাসরুমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় ওই কক্ষ দুটিতে থাকা ১০টি ফ্যান, দরজা জানালাসহ আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। তবে আগুনের খবর পেয়ে আদিতমারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে টিফিন শুরুর সময়ে আকস্মিকভাবে ৬ষ্ঠ শ্রেণির দুটি ক্লাসরুমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় ওই কক্ষ দুটিতে থাকা ১০টি ফ্যান, দরজা জানালাসহ আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। তবে আগুনের খবর পেয়ে আদিতমারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

কেবি বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে জানান, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ দুটির সবকিছু পুড়ে গেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মফিজুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বিষয়টি জানার পর প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

;

সন্তানের মাঝেই বেঁচে আছে মা বিলকিসের স্বপ্ন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
সন্তানের মাঝেই বেঁচে আছে মা বিলকিসের স্বপ্ন

সন্তানের মাঝেই বেঁচে আছে মা বিলকিসের স্বপ্ন

  • Font increase
  • Font Decrease

"মা " মধুর এই শব্দে পৃথিবীর সমস্ত ভালোবাসা জড়িয়ে থাকে। হাজারো দুঃখ, কষ্ট,ত্যাগ তিতিক্ষা আর নিজের সুখকে বিসর্জন দিয়ে সন্তানদের বুকে আগলে রাখে মা। গুটি গুটি পায়ে সংগ্রামী পথ পারি দিয়ে অসংখ্য অসহায় মা তার সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করে থাকেন । এমন দৃশ্য চারদিকেই চোখে পড়ার মতো। ঠিক তেমনি একজন মা বিলকিস বেগম (২৭)।

রংপুর নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডের লালবাগ রেলস্টেশনের বস্তিতে তার বসবাস। স্বামী পেশায় একজন হকার। দ্বিতীয় বিয়ের কারনেই অবহেলিত বিলকিসের স্বামী থেকেও যেন নেই । নেই নিজস্ব কোন মাথা গোঁজার ঠাঁই। দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে দুই বছর বয়সের বেলাল,ছোট মেয়ে তিন মাস বয়সের বৃষ্টি। দুই সন্তান নিয়ে অভাবের সঙ্গে সংগ্রাম করে দিনাতিপাত করছেন তিনি৷ কখনো বাসাবাড়িতে কাজ, কাঁথা সেলাই, কখনো দিনমজুরের হাজিরায় চলে তার সংসার। প্রায় সময় সন্তানদের দেখাশোনায় সহযোগিতা করেন তার মা। তবে বেশিরভাগ সময় নিজের কাছেই রেখে সামলাতে হয় তাদের। খেয়ে না খেয়ে সন্তানদের বুকে আগলে রেখেছেন তিনি।

বিলকিস বেগম বলেন, ছোটবেলায় বাবা মারা গেছে। তখন থাইকা মা কষ্ট কইরা মানুষ করছে আমার তিন ভাই বোনরে। নিজের জমিজমা কিছুই নাই। রেলেরধারে মাথা রাখার ঠাঁই।  স্বামী হকারি করে টুকটাক সংসার চলতো। পরে বিয়া করার পরে আমার কপাল পুরছে। হকারির টাকা দিয়াতো দুই সংসার চলে না।  তাও মাঝে মাঝে খরচপাতি দেয়৷  দুই সন্তান আমার সোনার চাঁদ।  যত কষ্টই হোক নিজের জীবন থাকতে তাদের গায়ে কষ্টের আচর লাগবার দিমু না। সন্তানদের বাপ ছাইড়া গেলেও আমিতো আর পামু না।  দুই সন্তানের মুখের দিকে দেখলে পরে আমার আর কোন কষ্টই কষ্ট মনে হয় না।  দুই সন্তানকে লেখাপড়া করামু, ভালো চাকরি যেন করতে পারে। তখনই আমার আত্মা শান্তি পাবো।

হৃদয়ে লালিত স্বপ্ন সব নারীর হয়ত পূরণ করা হয় না। তবে সন্তানের সফলতার মধ্য দিয়ে অনেক মা খুঁজে পায় আত্মতৃপ্তি। সন্তানদের সফলতার দ্বারে পৌঁছাতে জীবন সংগ্রাম করে থাকেন মায়েরা। এমন কিছু মায়ের মতই বিলকিস বেগমের ব্যতিক্রমী গল্প।

;