ত্রাণ নিয়ে বাড়ি বাড়ি ছুটছেন পৌর মেয়র মিজান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুৃমিল্লা
ত্রাণ নিয়ে বাড়ি বাড়ি ছুটছেন পৌর মেয়র মিজান

ত্রাণ নিয়ে বাড়ি বাড়ি ছুটছেন পৌর মেয়র মিজান

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষদের বাড়িতে ত্রাণ নিয়ে ছুটছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান। তিনি নিজেই মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।

সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার বিভিন্ন গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।

এদিকে, একই সময় পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের ২৬টি গ্রামের দুই হাজার পরিবারের মাঝে স্থানীয় কাউন্সিলর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমেও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।

স্থানীয় কাউন্সিলর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি

পৌর মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও সাবেক রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এমপির দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি ও আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দুই হাজার পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। এছাড়া গত ২৬ মার্চ থেকে পৌরসভা এলাকার সব রাস্তায় জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। যা এখনও চলমান রয়েছে।

   

‘ঢাকার স্যাটেলাইট ইমেজ তৈরি করে গাছ লাগানোর স্থান নির্ধারণ হবে’



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তাপপ্রবাহ কমাতে ঢাকার স্যাটেলাইট ইমেজ তৈরি করে গাছ লাগানোর স্থান নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

রোববার (১২ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের 'ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকাকে বসবাসযোগ্য রাখতে আমাদের অন্তত কিছু স্থানকে সবুজায়ন করতে হবে। আপনারা দেখবেন আমরা যখন রমনায় যাই অথবা বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাই সেখানে অন্যান্য জায়গার চেয়ে ৩-৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কম থাকে। সেজন্যেই আমাদেরকে স্যাটেলাইট ইমেজ তৈরি করে গাছ লাগানোর স্থান নির্ধারণ করতে হচ্ছে।

উন্নত বিশ্বের দেশগুলোকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণ ০.৪৬ শতাংশ। সারা বিশ্বে যে কার্বণ নিঃসরণ সেটাতো আমরা তৈরি করিনি। এটার দায় তো আমাদের নেওয়ার কথা না। কিন্তু কি করবো? আমরা স্বল্পোন্নত দেশ হওয়ায় আমাদের ওপর যা খুশি তা চাপিয়ে দিতে পারে। আজকে যদি জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ কোনভাবে বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলো হতো তাহলে একটার পর একটা নিষেধাজ্ঞা দিতো।

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বর্তমান অর্থবছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৫টি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। তবে এটি যথেষ্ট নয়, আমাদের সকলকে যুক্ত হয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে কাজ করতে হবে।

ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সি ফোরটি ও আইসিএলইআই এর আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং সি ফোরটি ও আইসিএলইআই এর প্রতিনিধিবৃন্দ।

;

কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়ে আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উল্লাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর ঢাক আর ঢোলের তালে বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। এর ব্যত্যয় ঘটেনি রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজেও। সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে ফলাফল পাওয়ার পরই শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে দুই হাজার ৪১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাসের সংখ্যা দুই হাজার ৪০২ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা এক হাজার ৯৫৬ জন।

রোববার (১২ মে) এসএসসি ও সমান পরীক্ষা- ২০২৪ এর ফলাফল প্রকাশের পর রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা যায় বাঁধভাঙা উল্লাস। অক্লান্ত পরিশ্রমের পর অভিভাবক ও নিজেদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল করতে পারায় আনন্দিত শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অভিভাবকদের পরিশ্রম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম ও নিজেদের আগ্রহে পরীক্ষায় প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জিত হয়েছে। যে কারনে তাদের এই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী আহনাফ আরিফ বলেন, আজকে বিশ্ব মা দিবস। মা দিবসে মায়ের আশা পূর্ণ করতে পেরেছি, এটাই আমার পক্ষ থেকে মায়ের জন্য উপহার। মা অনেক কষ্ট করেছে আমাকে নিয়ে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমার জন্য পরিশ্রম করেছে। মায়ের শ্রমের মূল্য মনে হয় কিছুটা দিতে পেরেছি।

জিপিএ-৫ পাওয়া আরেক শিক্ষার্থী ঈশিতা জাহান, কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়ে আনন্দে মায়ের গলা জড়িয়ে অনেকটা কান্নায় ভেঙে পড়ি। সেই ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত রাতে পড়া শেষে না ঘুমানো পর্যন্ত মা আমার সাথে জেগে থাকেন। যেন আমার পড়াশোনায় কোন অসুবিধা না হয়। আজকে আমি আমার মায়ের আশা পূর্ণ করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ।

কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়ে আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উল্লাস

সন্তানের সফলতায় অভিভাবকদের উচ্ছ্বাসেরও কোন কমতি ছিল না মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে। সন্তানদের বুকে জড়িয়ে অভিভাবকরা জানান দিচ্ছিল যে তাদের পরিশ্রম আর কষ্ট আজ সার্থক হয়েছে।

ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাই মিষ্টি নিয়েই ছেলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেছেন মিসেস নাসিমা বেগম। তিনি বলেন, আমি যতই কষ্ট করি অভিভাবক হিসেবে লাভ হত না যদি আমার ছেলে ঠিকমতো পড়াশোনা না করত। ছেলে ঠিকঠাকভাবে পড়াশোনা করেছে, কষ্ট করেছে আজকে ভালো রেজাল্ট পেয়েছি। এখন আমার আর কোন কষ্ট নেই।

সানজিদা পারভিন এক অভিভাবক বলেন, শুধু বাবা-মা ই জানে সন্তানদের মানুষ করতে কতটা কষ্ট করতে হয়। মেয়ের এই পড়াশোনার জন্য মেয়ের বাবা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাহিরে কষ্ট করেন আর আমি সারাদিন মেয়ের পেছনে। সকলের দোয়ায় আজ আমার মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আমার আর আমার স্বামীর সব কষ্ট আজ সার্থক হয়েছে।

এসএসসি পরীক্ষা-২০২৪ এ নিজের প্রতিষ্ঠানের ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন বলেন, ছেলে-মেয়েদের ফলাফলে আমি খুবই আনন্দিত। আমার প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রচেষ্টায় আর ছেলে-মেয়েদের আগ্রহে ভালো ফলাফল অর্জিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

;

এসএসসি পরীক্ষা: চট্টগ্রামে ৪৬ বিদ্যালয়ের সবাই পাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শতভাগ ফেল করেছে এমন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। তবে, শতভাগ পাশ ৪৬টি বিদ্যালয়ে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এ এম এম মুজিবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ বোর্ড থেকে এবার পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ হাজার ১২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫৩ জন। এরমধ্যে অংশ নিয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৪ জন।

শতভাগ পাশ করা বিদ্যালয়ের মধ্যে পরীক্ষার্থীর সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে সবার প্রথমে রয়েছে ’হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়’। যেখানে ২৪৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছেন।

দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ’সেন্ট প্ল্যাসিডস্ স্কুল এন্ড কলেজ’। তাদের পরীক্ষার্থী ছিল ২২৯ জন। তৃতীয় স্থানে আছে ’ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ’। এবার প্রতিষ্ঠানটি থেকে ২১৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। ২১১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ পাস করে ৪র্থ অবস্থানে রয়েছে হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ। ৫ম অবস্থানে রয়েছে জোরারগঞ্জ বৌদ্ধ উচ্চ বিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠান থেকে এবার ২০৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করে।

শিক্ষার্থীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে পাসের হারের ভিত্তিতে সেরা দশে থাকা নগরের বাকি পাঁচ বিদ্যালয়ের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে সিলভার বেলস গার্লস হাইস্কুল। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৭৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। সপ্তম স্থানে রয়েছে মির্জা আহমেদ ইস্পাহানী স্মৃতি বিদ্যালয়। এই স্কুল থেকে ১৬৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। অষ্টম স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে এবার ১৪৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। নবম স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। দশম স্থানে আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই কৃতকার্য হয়েছে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এ এম এম মুজিবুর রহমান বলেন, এবারের পরীক্ষা ও ফলাফল প্রদান খুবই সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এবছর শতভাগ ফেল করা কোন স্কুল আমাদের বোর্ডে আমরা পাইনি। তবে, গণিত ও উচ্চতর গণিতে শিক্ষার্থীরা আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করতে পারেনি। তাছাড়া কোন পরীক্ষা কেন্দ্রে বহিস্কারেরও কোন ঘটনা ঘটেনি।

;

চিকিৎসকের গাফিলতিতে হাসপাতাল কর্মচারীর মৃত্যুর অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের গাফিলতিতে ওই হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শহীদুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে সৈকতকে ভাসানচর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে।

রোববার (১২ মে) সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. হানিফ (৫৫) ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। তিনি নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হরিনারায়ণপুর এলাকার মসজিদ বাড়ির মান্নাছ মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, গত দুদিন ধরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হানিফ। আজ রোববার সকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি বেশি অসুস্থতা বোধ করলে তাকে পুনরায় সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক শহীদুল ইসলাম সৈকত ইমার্জেন্সিতে না থাকায় বিনা চিকিৎসায় মারা যান হানিফ। পরে অন্য আরেকজন ডাক্তার এসে তাকে মৃত ঘোষণা করে। তাৎক্ষণিক কর্তব্যরত চিকিৎসকের দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ এনে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা আধা ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করে।

নিহতের মেয়ে ঝুমুর অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় উপযুক্ত চিকিৎসা না পেয়ে আমার বাবা মারা যান।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, সকালে হানিফকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার অবস্থা খারাপ দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার ছিল না। এরপর তাকে দ্রুত ওয়ার্ডে নেওয়া হলে তিনি মারা যান।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, রোগীকে ঢাকা নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।পরে তাকে ঢাকা না নিয়ে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত ডাক্তার ছিলেন না।

তিনি আরও বলেন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর মৃত্যুর ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ডাক্তারকে হাতিয়ার ২০ শয্যা বিশিষ্ট ভাসানচর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;