মেয়রের ত্রাণ তহবিলে দু’টন চাল-ডাল দিলেন রুয়েট উপাচার্য



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ত্রাণ তহবিলে রুয়েট উপাচার্যের চাল, আলু ও ডাল প্রদান, ছবি: বার্তা২৪.কম

ত্রাণ তহবিলে রুয়েট উপাচার্যের চাল, আলু ও ডাল প্রদান, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ত্রাণ তহবিলে দু’টন চাল, এক টন আলু ও হাফ টন ডাল দিয়েছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহা. রফিকুল ইসলাম।

সোমবার (৬ এপ্রিল) ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি এসব খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেন। সংকটময় মুহূর্তে খাদ্যসামগ্রী প্রদানের জন্য মেয়র লিটন রুয়েট উপাচার্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সচ্ছল মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে রুয়েট বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে কর্মরত ডাইনিং বয়, বুয়া, মালী, সুইপারসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। স্থায়ী বেতনভুক্ত না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

তাদের সহযোগিতায়ও নিজ উদ্যোগে এগিয়ে এসেছেন উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখ। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি অসহায় এমন শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আলু, লবণ, তেল, চিড়া, পেঁয়াজ।

রুয়েটের অসহায় কর্মচারীদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন উপাচার্য

সমপরিমাণ এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী প্যাকেট আকারে সোমবার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সেখ বলেন, ‘আবাসিক হলসহ বিভিন্ন পদে কর্মরত এসব কর্মচারীরা রুয়েট পরিবারেরই অংশ। তারা স্থায়ী বেতনভুক্ত না হওয়ায় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় প্রশাসনিকভাবে তাদের সহযোগিতা করার সুযোগ নেই। তাই ব্যক্তিগত উদ্যোগে সাধ্যমতো শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারিভাবে দুস্থ, অসহায় মানুষদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। রাজশাহীতে সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। সংকটময় এই মুহূর্তে বিত্তবান সকলকে অসচ্ছল মানুষদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান উপাচার্য।’

   

এসএসসি পরীক্ষা: যশোর বোর্ডে প্রথম সাতক্ষীরা, তলানিতে মেহেরপুর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় সারাদেশের মধ্যে পাসের হারের শীর্ষে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর। যশোর বোর্ডে এ বছর মোট উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালো ফলাফলে সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। চলতি বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ২৩ শতাংশ।

রোববার (১২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রেসক্লাবে যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহীন আহম্মদ।

তিনি জানান, ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯২৬ জন পরিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৭ জন। উর্ত্তিন হওয়া পরিক্ষার্থীদের মধ্যে সবথেকে ভলো ফলাফল করেছে মেয়েরা।

এ বছর পাস করা ছাত্রদের সংখ্যা ছিল ৭১ হাজার ৭৯১ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৭৬ হাজার ৭৮৬ জন।

তিনি আরও জানান, এবছর যশোর বোর্ডে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৭৬১ জন। এর আগে গত বছর ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২০ হাজার ৬১৭ জন। জিপিএ-৫ এর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি। এছাড়া গত বছর পাসের হার ছিল ৮৬ দশমিক ১৭ শতাংশ।

এদিকে যশোর শিক্ষা বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার মধ্যে প্রথম হয়েছে সাতক্ষীরা। সাতক্ষীরা জেলায় পাসের হার ৯৬ দশমিক ১২ শতাংশ। এবং সবচেয়ে কম পাসের হার মেহেরপুর ৮৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। যশোর জেলায় পাসের হার ৯৪ দশমিক ২২ শতাংশ, খুলনা জেলায় পাসের হার ৯৪ দশমিক ৬০, বাগেরহাট জেলায় পাসের হার ৯১ দশমিক ২৭, কুষ্টিয়া জেলায় পাসের হার ৯১ দশমিক ৩৫, চুয়াডাঙ্গা জেলায় পাসের হার ৯০ দশমিক ৮২, ঝিনাইদহ জেলায় পাশের হার ৮৯ দশমিক ৫৯, মাগুরা জেলায় পাসের হার ৯১ দশমিক ০৯ শতাংশ।

যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক হাসান পারভেজ বলেন,আমরা শিক্ষকেরা সবসময় অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ রেখেছি। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি। সব মিলিয়ে আমাদের শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদের অবদানের কারণে আজ আমরা সেরা, এবং যশোর বোর্ড সারাদেশে সেরা।

;

রাজশাহীর আম বাজারে আসবে ১৫ মে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

১৫ মে থেকে বাজারে পাওয়া যাবে রাজশাহীর প্রসিদ্ধ আম। তবে গোপালভোগ, রাণীপছন্দ ও লক্ষণভোগ দিয়ে মিষ্টি জাতের আম বাজারে আসবে ২৫ মে। এরপর ১০ জুলাই আশ্বিনা ও ২০ আগস্ট গৌরমতি আম বাজারে আসবে।

রোববার (১২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে আম পরিবহন বাজারজাতকরণ ও সংগ্রহ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এ তারিখ নির্ধারণ করেন।

জেলা প্রশাসক জানান, রাজশাহী আমের রাজ্য হিসেবে পরিচিত। বাজারে যাতে অপরিপক্ব এবং ভেজাল মিশ্রিত আম বিক্রি করতে না পারে, সেজন্যেই কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে আম পাড়া, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ের সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভায় ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী গাছে সকল ধরনের গুটি জাতীয় আম ১৫ মে থেকে পাড়া যাবে। এর আগে আম বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

তিনি বলেন, ২৫ মে থেকে গোপালভোগ, রাণীপছন্দ ও লক্ষণভোগ, ক্ষিরসাপাত/হিমসাগর ৩০ মে, ল্যাংড়া ১০ জুন, আম্রপালি ১৫ জুন, ফজলি ১৫ জুন, আশ্বিনা ১০ জুলাই, বারি-৪ জাতের আম ৫ জুলাই, গৌড়মতি জাতের আম ১৫ জুলাই, ইলামতি ২০ আগস্ট থেকে পাড়া ও বাজারজাতকরণ করতে পারবেন আমচাষি, বাগান মালিক, আড়ত মালিক এবং ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও কাটিমন ও বারি আম-১১ সারা বছর আম সংগ্রহ করা যাবে।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, আরএমপি ‘র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) সাবিনা ইয়াসমিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রাজশাহীর প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোছা. উম্মে ছালমা, পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম নূর হোসেন নির্ঝর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার, রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. তসিকুল ইসলাম রাজাসহ বাগান মালিকসহ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

‘ঢাকার স্যাটেলাইট ইমেজ তৈরি করে গাছ লাগানোর স্থান নির্ধারণ হবে’



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তাপপ্রবাহ কমাতে ঢাকার স্যাটেলাইট ইমেজ তৈরি করে গাছ লাগানোর স্থান নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

রোববার (১২ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের 'ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকাকে বসবাসযোগ্য রাখতে আমাদের অন্তত কিছু স্থানকে সবুজায়ন করতে হবে। আপনারা দেখবেন আমরা যখন রমনায় যাই অথবা বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাই সেখানে অন্যান্য জায়গার চেয়ে ৩-৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কম থাকে। সেজন্যেই আমাদেরকে স্যাটেলাইট ইমেজ তৈরি করে গাছ লাগানোর স্থান নির্ধারণ করতে হচ্ছে।

উন্নত বিশ্বের দেশগুলোকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণ ০.৪৬ শতাংশ। সারা বিশ্বে যে কার্বণ নিঃসরণ সেটাতো আমরা তৈরি করিনি। এটার দায় তো আমাদের নেওয়ার কথা না। কিন্তু কি করবো? আমরা স্বল্পোন্নত দেশ হওয়ায় আমাদের ওপর যা খুশি তা চাপিয়ে দিতে পারে। আজকে যদি জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ কোনভাবে বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলো হতো তাহলে একটার পর একটা নিষেধাজ্ঞা দিতো।

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বর্তমান অর্থবছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৫টি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। তবে এটি যথেষ্ট নয়, আমাদের সকলকে যুক্ত হয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে কাজ করতে হবে।

ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সি ফোরটি ও আইসিএলইআই এর আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং সি ফোরটি ও আইসিএলইআই এর প্রতিনিধিবৃন্দ।

;

কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়ে আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উল্লাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর ঢাক আর ঢোলের তালে বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। এর ব্যত্যয় ঘটেনি রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজেও। সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে ফলাফল পাওয়ার পরই শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে দুই হাজার ৪১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাসের সংখ্যা দুই হাজার ৪০২ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা এক হাজার ৯৫৬ জন।

রোববার (১২ মে) এসএসসি ও সমান পরীক্ষা- ২০২৪ এর ফলাফল প্রকাশের পর রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা যায় বাঁধভাঙা উল্লাস। অক্লান্ত পরিশ্রমের পর অভিভাবক ও নিজেদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল করতে পারায় আনন্দিত শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অভিভাবকদের পরিশ্রম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম ও নিজেদের আগ্রহে পরীক্ষায় প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জিত হয়েছে। যে কারনে তাদের এই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী আহনাফ আরিফ বলেন, আজকে বিশ্ব মা দিবস। মা দিবসে মায়ের আশা পূর্ণ করতে পেরেছি, এটাই আমার পক্ষ থেকে মায়ের জন্য উপহার। মা অনেক কষ্ট করেছে আমাকে নিয়ে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমার জন্য পরিশ্রম করেছে। মায়ের শ্রমের মূল্য মনে হয় কিছুটা দিতে পেরেছি।

জিপিএ-৫ পাওয়া আরেক শিক্ষার্থী ঈশিতা জাহান, কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়ে আনন্দে মায়ের গলা জড়িয়ে অনেকটা কান্নায় ভেঙে পড়ি। সেই ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত রাতে পড়া শেষে না ঘুমানো পর্যন্ত মা আমার সাথে জেগে থাকেন। যেন আমার পড়াশোনায় কোন অসুবিধা না হয়। আজকে আমি আমার মায়ের আশা পূর্ণ করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ।

কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়ে আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উল্লাস

সন্তানের সফলতায় অভিভাবকদের উচ্ছ্বাসেরও কোন কমতি ছিল না মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে। সন্তানদের বুকে জড়িয়ে অভিভাবকরা জানান দিচ্ছিল যে তাদের পরিশ্রম আর কষ্ট আজ সার্থক হয়েছে।

ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাই মিষ্টি নিয়েই ছেলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেছেন মিসেস নাসিমা বেগম। তিনি বলেন, আমি যতই কষ্ট করি অভিভাবক হিসেবে লাভ হত না যদি আমার ছেলে ঠিকমতো পড়াশোনা না করত। ছেলে ঠিকঠাকভাবে পড়াশোনা করেছে, কষ্ট করেছে আজকে ভালো রেজাল্ট পেয়েছি। এখন আমার আর কোন কষ্ট নেই।

সানজিদা পারভিন এক অভিভাবক বলেন, শুধু বাবা-মা ই জানে সন্তানদের মানুষ করতে কতটা কষ্ট করতে হয়। মেয়ের এই পড়াশোনার জন্য মেয়ের বাবা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাহিরে কষ্ট করেন আর আমি সারাদিন মেয়ের পেছনে। সকলের দোয়ায় আজ আমার মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আমার আর আমার স্বামীর সব কষ্ট আজ সার্থক হয়েছে।

এসএসসি পরীক্ষা-২০২৪ এ নিজের প্রতিষ্ঠানের ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন বলেন, ছেলে-মেয়েদের ফলাফলে আমি খুবই আনন্দিত। আমার প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রচেষ্টায় আর ছেলে-মেয়েদের আগ্রহে ভালো ফলাফল অর্জিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

;