কুমিল্লা কারাগারে ইয়াবাসহ সহকারী প্রধান কারারক্ষী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
সহকারী প্রধান কারারক্ষী তরিকুল ইসলাম

সহকারী প্রধান কারারক্ষী তরিকুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী প্রধান কারারক্ষী তরিকুল ইসলাম ওরফে শাহিনকে ইয়াবাসহ আটক করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। ১০৪ পিস ইয়াবা নিয়ে কারাগারের ভিতর প্রবেশ করার আগ মুহূর্তে সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ তাকে আটক করেন। পরে কারা ব্যারাকে তার রুমে তল্লাশি চালিয়ে কারাগার কর্তৃপক্ষ শাহিনের বিছানার নিচ থেকে আরও ৪১৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।

সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো.শাহজাহান এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আমি কুমিল্লা কারাগারে যোগ দেওয়ার পরে বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারি সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. তরিকুল ইসলাম শাহিন কারাগারের ভিতর বন্দীদের কাছে মাদক বিক্রি করেন। এ খবর শুনে তাকে হাতে নাতে ধরার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেই। গোপন সংবাদে জানতে পেরেছি আজ (সোমবার) সে ইয়াবা নিয়ে ডিউটিতে আসছে। তাই আমরাও সতর্ক থাকি। এদিন দুপুরের দিকে তিনি যখন ভিতরে প্রবেশ করছিলেন এমন সময় কারা সিপাহী দিয়ে তাকে আমার রুমে ডেকে আনি। এ সময় জেলার মো.আসাদুর রহমানসহ অন্যান্য ডেপুটি জেলারদের আগেই উপস্থিত রাখি। সবার সামনে সহকারী প্রধান কারারক্ষী তারিকুল ইসলাম শাহিনের দেহ তল্লাশি করলে তার পকেটে থাকা সিগারেটের প্যাকেটের ভিতর ১০৪ পিস ইয়াবা খুঁজে পাই। পরে কারাগারের অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে ব্যারাকে তার রুমে তল্লাশি চালিয়ে বিছানার নিচ থেকে আরও ৪১৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করি। এনিয়ে মোট ৫২২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারের ভিতর বন্দীদের মাঝে মাদক বিক্রি করত বলে স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

কুমিল্লা কারাগার সূত্র জানায়, আটককৃত তরিকুল ইসলাম শাহিন চট্রগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার ইয়াকুব নগরের ফুল মিয়ার ছেলে। তিনি ১৯৯৬ সালের ১৫ জুন চাকরিতে যোগদান করে।

   

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি

  • Font increase
  • Font Decrease

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পোঁছেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সংসদীয় কমিটি।

রোববার (১২ মে) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনে তাঁদের গাড়ি বহর প্রবেশ করে। সেখানে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) এর একটি ই-ভাউচার আউটলেট পরিদর্শন করে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রোহিঙ্গাদের রেশন এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও আছেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, নাহিম রাজ্জাক এমপি, হাবিবুর রহমান এমপি, জারা জাবীন মাহবুব এমপি। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ মিজানুর রহমান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী এ পরিদর্শনে সংসদীয় কমিটি আরো কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ট্রানজিট পয়েন্ট পরিদর্শন করবেন।

বিকেলে ক্যাম্প থেকে ফিরে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাB ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করবেন।যাতে সীমান্ত পরিস্থিতি, মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে জানা গেছে।

সংসদীয় কমিটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর বিকেলে খুরুস্কুল আশ্রয়ন প্রকল্প, বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করবেন এবং বিকেলে শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যোগ দেবেন। বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ উপস্থিত থাকবেন।

;

সিলেটে পাসের হার ৮৩.৮৮%, কমেছে জিপিএ ৫



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছেন ৮৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৯২০ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে। গতবছর পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮ হাজার ৫০৫ জন।

সিলেট শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা যায়। তবে সিলেট বোর্ড কর্তৃপক্ষ দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবে।

এবছর সিলেট বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল মোট ১ লাখ ৯ হাজার ৭৩ জন। এরমধ্যে পাস করেছে ৮০ হজার জন। এবছর পাসের হার ৮৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

গত বছর পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ০৫ শতাংশ। গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ।

এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৯২০ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮ হাজার ৫০৫জন। এবছর জিপিএ-৫ কমেছে ৫৮৫টি।

;

কুমিল্লায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার একশত শিক্ষার্থী।

রোববার (১২ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। এরপর মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

 

;

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৮৩.০৪%



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাশ করেছেন ৮৩ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

রোববার (১২ মে) সকাল দশটার পর প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ পরামর্শ দেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহারসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডগুলো কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ফেল করেছে তাদের মন খারাপ করার কিছু নেই। ভালোভাবে পড়াশোনা করে আগামীতে পাস করবে। অভিভাবকদের বলবো, যে ফেল করেছে তার মনেই তো কষ্ট। বাবা-মা তাকে কেনো আরো কষ্ট দেবে। মনের  কষ্টে অনেক সময় তারা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। কেনো ফেল করলো, সেটা খুঁজে বের করে পড়াশোনায় মনোযোগী করাতে হবে। সবাইকে মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে। যদি কেউ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে আমাদের দায়িত্ব তাদের লেখাপড়ার মধ্যে আনা। বিশ্ব পরিমণ্ডলে টিকে থাকার মতো শিক্ষা ব্যবস্থা আমরা প্রবর্তন করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, এমনও সময় গেছে, যখন মাসের পর মাস চলে  গেছে, রেজাল্ট হয়নি। এখন ৬০ দিনের মধ্যে রেজাল্ট হয়। আমরা মনে করি গত পনেরো বছরের মধ্যে এটা আমাদের বড় অর্জন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। আগে মাত্র ৫৪ শতাংশ ছাত্রী স্কুলে যেতো। এখন ৯৮ শতাংশ যায়। আমরা বিনামূল্যে বই দিচ্ছি। বৃত্তি, উপবৃত্তি দিচ্ছি। এখন ক্লাস থেকে শুরু করে সবকিছু ডিজিটালি করা হয়। যাতে করে ছেলেমেয়েরা কোনোমতেই শিক্ষার বাইরে চলে যায় না।

;