আমার এলাকায় একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না: খন্দকার মোশাররফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর
বক্তব্য দিচ্ছেন খন্দকার মোশাররফ, ছবি: বার্তা২৪.কম

বক্তব্য দিচ্ছেন খন্দকার মোশাররফ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার এলাকায় একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ঘরে না থাকার কোনো বিকল্প নেই। ঘরে না থাকলে অথবা ঘরে না রাখতে পারলে কিন্তু এ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সরকারে পক্ষে সম্ভব হবে না। আমরা জানি, ঘরে থাকলে অনেকেরই খাদ্যের অভাব হবে। তাই আমরা আপনাদের যাদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রত্যেকের ঘরে খাদ্য পৌঁছে দেব, দয়া করে ঘরে থাকুন। আমার গায়ে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আমার এলাকায় একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুর শহরের বদরপুরে আফসানা মঞ্জিল প্রাঙ্গণে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় ফরিদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ এ আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, আমরা এক অদৃশ্য অজানা শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি। এ কারণ সঠিক কাজটিও করতে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগছে। আল্লাহর অশেষ রহমত গত ১০ দিনে আমাদের মত এত ঘনবসতির দেশে ব্যাপক সংক্রমণ দেখা যায়নি। এমনও জেলা আছে যে এখনও একজন লোকও আক্রান্ত হয়নি। এর কারণ হচ্ছে আমরা স্বাস্থ্য সম্মতভাবে চলছি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে ৩১ নির্দেশনা আছে, আমরা তা পালন করছি। এজন্য অন্যান্য দেশের থেকে সংক্রমণ অনেক কম আছে।

ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভীর সভাপতিত্বে এ সময় জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্না হাসান, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এএইচএম ফোয়াদ, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

ত্রাণ দিচ্ছেন খন্দকার মোশাররফ, ছবি: বার্তা২৪.কম

খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, আমি আমার নেতকর্মীদের আহ্বান করছি, আপনারা একে অপরকে সহযোগিতা করেন। বিনা প্রয়োজনে কোনো ক্রমেই ঘরের বাইরে আসবেন না। নিজে সংক্রমণ মুক্ত থাকুন, পরিবারকে রক্ষা করুন।

শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম সহয়তা বিতরণ বিষয়ে জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় কোনো পণ্যের ঘাটতি যাতে না থাকে, সেজন্য ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগ প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে তিনটি করে পিকআপ ভ্যান ভর্তি খাদ্য সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে শুরু করেছে। প্রথম দফায় ২৭টি ওয়ার্ডে ৮১টি পিকআপ ভ্যান ভর্তি খাদ্য সামগ্রী ১৫ হাজার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রতিটি পরিবারকে পাঁচ কেজি করে চাল, ৩ কেজি করে আটা, ২ কেজি করে আলু, এক কেজি করে লবণ, আধা লিটার করে তেল ও একটি করে সাবান দেওয়া হচ্ছে।

শহর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিন বাপ্পি জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে সহায়তা দিতে হেল্প ডেস্ক চালু রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকলে ১৫ দিন পর পর এ কার্যক্রম চালানো হবে।

 

   

ফেনীর ডাক্তার পাড়ায় বহুতল ভবনে আগুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনী শহরের ডাক্তার পাড়ায় জহিরিয়া মসজিদের বিপরীত এলাকায় নাথ ভবন নামে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে বহুতল ভবনটিতে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভবনের চার তলায় একটি চিলেকোঠা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে আধঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। এতে বেশকিছু মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. মিজান বলেন, ভবনের সিঁড়ি অত্যন্ত সরু ছিল। সাথে পানিরও কোনো উৎস নেই আশেপাশে। ফলে আগুন নেভানোর কাজে বেগ পেতে হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে পুলিশের একটি টিম সহযোগিতা করেছে।

ফেনী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আবদুল মজিদ বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক মিটারের শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখান বেশকিছু মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়-ক্ষতির চূড়ান্ত পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে বলে জানান তিনি।

;

বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত নতুন স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু করেছে ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

বুধবার (৭মে) দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বঙ্গভবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্রটি তার কাছে হস্তান্তর করেন।

পরিচয়পত্র প্রদানকালে নির্বাচন কমিশনের সচিব কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। পর্যায়ক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, এটি মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের অনন্য স্বীকৃতি। তিনি বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান জাতি সবসময়ই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।

মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের কল্যাণে সম্মানী ভাতা বৃদ্ধিসহ সরকারের নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং যে কোনো প্রয়োজনে সরকার সবসময় তাদের পাশে থাকবে।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

‘সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের দায়ভার বনবিভাগকেই নিতে হবে’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বার বার সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ফলে সামগ্রিকভাবে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। বড়গাছসহ লতাগুল্ম মারা যায়। প্রাণীকূলের আবাস ও প্রজননস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যপ্রাণীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বনের শৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রভাব পড়ে বনের প্রাণীকূলের খাদ্যচক্রে। চরম আঘাত আসে সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রের ওপরে। অসৎ বনকর্মকর্তাদের যোগসাজশে মুনাফালোভী মাছ ব্যবসায়ীরা বার বার সুন্দরবনে আগুন লাগাচ্ছে। কাজেই বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের দায়ভার বনবিভাগকেই নিতে হবে।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে বাগেরহাটের মোংলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘সুন্দরবন রক্ষায় আমরা আয়োজনে’ বার বার আগুনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন: দায় কার, করণীয় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী মো. নূর আলম শেখ। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর নেতা অধ্যক্ষ মো. সেলিম, কমলা সরকার, হাছিব সরদার, সুন্দরবনের জেলে সমিতির সভাপতি বিদুৎ মন্ডল, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার নাজমুল হক ও শেখ রাসেল।

সংবাদ সম্মেলনে জেলে সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎ মন্ডল বলেন, প্রকৃত জেলেরা সুন্দরবনে কখনো আগুন লাগাতে পারে না। কতিপয় মুনাফালোভী অসৎ মাছ ব্যবসায়ী ও অসাধু বনকর্মতারা মিলে সুন্দরবনে আগুন লাগিয়ে থাকে। অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুন না কেন আইনের আওতায় এনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক।

লিখিত বক্তব্যে সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী মো. নূর আলম শেখ বলেন, প্রতি হেক্টর সুন্দরবনের প্রতিবেশসেবার আর্থিকমূল্য ৪৫৬ থেকে ১ হাজার ৯২ মার্কিন ডলার। এই হিসাবে বছরে সুন্দরবন ২৭ কোটি থেকে ৭১ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ প্রতিবেশসেবা প্রদান করে চলেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), সুন্দরবন রক্ষায় আমরা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের পক্ষ থেকে অগ্নিকাণ্ড বন্ধে কিছু সুপারিশ করা হয়।

সুপারিশের মধ্যে রয়েছে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও বন্ধে বনবিভাগসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সুন্দরবন গবেষক ও বিশেষজ্ঞ, স্থানীয় জনগণ ও নাগরিক এবং পরিবেশ সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়। ওয়াচটাওয়ার নির্মাণ, বনের মধ্যে অবাধ যাতায়াত বন্ধ, সুন্দরবনে ইআইএ ব্যতীত অপরিকল্পিত খাল খনন বন্ধ, মৌয়ালদের প্রশিক্ষণ, সুন্দরবন রক্ষায় স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া সুন্দরবন রক্ষায় ড্রোন ক্যামেরা, সিসিটিভি ক্যামেরাসহ বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।

;

ভালুকায় ধান খেতে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় হাজেরা খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের গুজারভিটা এলাকায় ধান খেতে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত হাজেরা খাতুন উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের ভাটগাঁও এলাকার হাছেন আলীর মেয়ে।

ভালুকা মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাজেরা ও তার স্বামী সোহেলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিলো। কিছুদিন আগে পারিবারিক কলহে বাবার বাড়িতে চলে যান হাজেরা। পরে শাশুড়ি ও ননদ তাকে আবার ফিরিয়ে আনে। আজ সকালে নিহতের দেবর গাছ কাটতে গিয়ে ধান খেতে হাজেরা খাতুনের মরদেহ দেখতে পান।

নিহতের পরিবারের দাবি, স্বামী সোহেল ধারালো কোনো অস্ত্র দিয়ে হাজেরার গলাকেটে হত্যার পর ধান খেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

ভালুকা মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী সোহেল পলাতক রয়েছে।

;