সাভারে ওসির চেষ্টায় অন্তিম ঠিকানা পেলেন নুরুন্নাহার



জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ওসির চেষ্টায় দাফন হয় নুরুন্নাহারের, ছবি: বার্তা২৪.কম

ওসির চেষ্টায় দাফন হয় নুরুন্নাহারের, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাণঘাতী নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হলেও সাভারে দাফন করা যাচ্ছিল না সম্ভ্রান্ত পরিবারের গৃহবধূ নুরুন্নাহার বেগমকে (৬৫)।

চিকিৎসা শেষে পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের জামসিং সোসাইটিতে বোনের বাড়িতে উঠেছিলেন তিনি। ছিলেন ক্যান্সারের রোগী। হঠাৎ করেই শ্বাসকষ্ট। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দিনগত রাত দেড়টার দিকে মারা যান তিনি।

তারপর শুরু হয় নানা নাটকীয়তা। নিঃসন্তান নূরুন্নাহারের স্বামী পেশায় চিকিৎসক। থাকেন বরিশালে। শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়া নুরুন্নাহারকে কোভিড-১৯ রোগী বলে সন্দেহ করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গোটা এলাকার বাসিন্দারা। পরিবারটিকে এক রকম একঘরেই করে ফেলেন তারা।

এ পরিস্থিতিতে নুরুন্নাহারের মরদেহ বরিশালে বহন করে নিতে অস্বীকৃতি জানান অ্যাম্বুলেন্স চালকরাও। স্থানীয়ভাবে দাফনের চেষ্টা করা হলেও এগিয়ে আসা দূরের কথা, প্রতিরোধ গড়ে তোলেন প্রতিবেশীরা।

ওসির চেষ্টায় দাফন হয় নুরুন্নাহারের, ছবি: বার্তা২৪.কম

বোনের মৃত্যুতে এমন পরিস্থিতির মুখে দীর্ঘদিন এক সাথে চলা প্রতিবেশীদের ভিন্ন চেহারা দেখে বিমর্ষ হয়ে পড়েন সেতারা বেগম।

অঘোষিত লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে বরিশাল থেকে মোবাইল ফোনে স্ত্রীকে সাভারে দাফনের সম্মতি দেন স্বামী মফিজুল ইসলাম।

তবে ওই নারীকে দাফনের উদ্যোগ নিতে গেলেই শুরু হয় বিপত্তি। ফজর নামাজের পর থেকে জোহরের ওয়াক্ত পেরিয়ে গেলেও স্থানীয়দের সঙ্গে পরিবারটির চলতে থাকে টানাপোড়েন।

পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যকে হারিয়ে একদিকে শোকাতুর প্রিয় স্বজনরা। অন্যদিকে স্থানীয়দের বাধার মুখে দাফন করতে না পেরে ক্রমেই হতাশ হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।

দীর্ঘ সময় এভাবে মরদেহটি পড়ে থাকায় শেষমেষ পরিবারটি শরণাপন্ন হয় সাভার মডেল থানায়।

ওসি এএফএম সায়দ, ছবি: বার্তা২৪.কম

সব শুনে মানবতার টানে এগিয়ে আসেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়দ। নিরাপত্তার কারণে প্রথমে নিজেই যাচাই করে নেন, ওই নারীর মৃত্যুর কারণ।

ছুটে যান সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদার কাছে।

রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত সব কাগজ দেখে নিশ্চিত হন, করোনাভাইরাস নয়, প্রকৃতপক্ষে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে ভোগা ক্যান্সারেই।

তাৎক্ষণিক তিনি পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক মর্যাদায় ও যথাযথ সম্মানের সঙ্গে ওই নারীকে দাফনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লোকমান হোসেনকে।

প্রয়োজনীয় ফোর্স নিয়ে এসআই লোকমান রওনা হন সাভারের জামসিং সোসাইটি এলাকায়।সেখানে সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও এগিয়ে আসেননি স্থানীয়রা। কোনোক্রমেই স্থানীয় কবরস্থানে ওই নারীকে দাফন করা যাবে না বলে জানান তারা।

লোকজনকে সচেতন করছেন ওসি এএফএম সায়দ, ছবি: বার্তা২৪.কম

স্থানীয়দের বাধা উপেক্ষা করে শেষমেষ ওসির নির্দেশে এসআই লোকমান হোসেনের নেতৃত্বে চারজন পুলিশ সদস্য শুরু করেন জানাজার আনুষ্ঠানিকতা।

পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় কাউন্সিলর মিনহাজ উদ্দিন মোল্লা। এভাবে দু- একজন লোক আর পরিবারের সদস্যরা যোগ দিলেও ওই মহল্লার অন্য কেউ সামিল হননি ওই জানাজায়। এরপর বিকেলে দাফন করা হয় ওই নারীকে।

নুরনাহারের ভাগ্নি জামাতা শফিকুল ইসলাম জানান, এমন পরিস্থিতিতে আমরা পড়বো তা কল্পনাও করিনি। ক্যান্সারে মারা গেলেও আমার খালা শাশুড়ি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন - এমন সন্দেহে আমাদের প্রতি বিরূপ আচরণ করা হয়। সাভার মডেল থানার ওসি সাহেব উদ্যোগ না নিলে হয়তো বা মরদেহতে পচন ধরত।

নিজ দায়িত্বের বাইরে এসে ওসি এএফএম সায়েদ যেভাবে আন্তরিকতা দিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমরা কোনো দিন তার এ ঋণ শোধ করতে পারব না- আবেগ জড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন শফিক।

এসআই লোকমান হোসেন জানান, সম্পূর্ণ বিষয়টি ওসি সাহেব নিজে তদারকি করেছেন। হাজার অনুরোধ করেও দাফনের জন্য যখন আমরা কাউকে পেলাম না, তখন ওসি সাহেবের নির্দেশনায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরাই দাফনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করি। আমাদের দেখে দু-একজন পরে সাহস করে এগিয়ে আসেন।

পেশাগত কাজের বাইরে ও মানবিক বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত থেকে এরই মধ্যে প্রশংসিত হয়েছেন সাভার মডেল থানার ওসি এএফএম সায়েদ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে নিজেও নেমে পড়েছেন মাঠে। ঝুঁকি নিয়েই মানুষকে সতর্কতার পাশাপাশি সমানতালে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের কাজটিও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নিজের পেশাগত কাজের দক্ষতায় সুনাম অর্জন করে হয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসি।

করোনাভাইরাস রোধে পুলিশের গাড়িতে করে জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণসহ তার নেওয়া নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ স্থানীয়দের মাঝেও ব্যাপক প্রশংসিত।

ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, আমি আমার দায়িত্বটুকু কেবল পালন করার চেষ্টা করেছি। সবাই যদি ভীতু হয়ে পিছটান দেন, তাহলে মানবতা রক্ষা করবে কে?

   

ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রতিবন্ধী স্কুল বাস্তবসম্মত নয়: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রতিবন্ধী স্কুল করা বাস্তবসম্মত নয়। প্রতিবন্ধীদের জন্য আমাদের চেষ্টা হলো মূলধারার বিদ্যালয় গুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করা। যারা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বা অটিজম বা যাদের এই ধরনের সমস্যা আছে তাদের মধ্যে যাদের সাধারণ স্কুলে যাওয়ার নুন্যতম সক্ষমতা আছে, তাদেরকে সেখানেই দিয়ে দেওয়া। সেই স্কুলের শিক্ষকদেরকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেন তারা একসাথে পড়াতে পারেন। এতে সাধারণ শিশুরাও সহমর্মী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। আর যাদের পক্ষে কোনভাবেই সাধারণ স্কুলে যাওয়া সম্ভব না, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ স্কুল শুধুমাত্র তাদের জন্য। সেজন্য শিক্ষক তৈরি করা বা কেয়ারগিভার তৈরি করা কিন্তু খুব সহজ কাজ নয়। কাজেই প্রতি ইউনিয়নে এরকম একটি করে স্কুল তৈরি করা খুব দুঃসাধ্য একটি ব্যাপার হবে।

শনিবার(১৮ মে) বিকেলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি কুড়িগ্রাম সদরের উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

দীপু মনি এব্যাপারে আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের কিছু বিশেষ স্কুল আছে। আমরা হুজুকে জাতি। একটা কিছু করা শুরু হলে আমরা সবাই মিলে সেটা করা শুরু করি। সারাদেশে এমন অনেক স্কুল গজিয়ে যাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে যে সবগুলোই খুব ভালো বা শিশুদের জন্য বিশেষ স্কুল তা নয়। আমরা সেটারও একটা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যেগুলো প্রকৃত অর্থেই বিশেষ স্কুল সেগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা আমরা নিশ্চয়ই দেব। কিন্তু আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে সাধারণ বিদ্যালয়ে যতদূর সম্ভব বিশেষ শিশুদেরকে আমরা যেন নিয়ে যেতে পারি।

সামনের অর্থবছরের জন্য আসন্ন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় থাকা নাগরিকদের ভাতার অর্থ বৃদ্ধি করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হবে না। ভাতার পরিমাণটা আসলে কোনও ভাতাভোগীর জন্য একমাত্র অবলম্বন নয়। অনেকগুলো কারণে ভাতা দেওয়া হয়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো তিনি (সুবিধাভোগী) যেন নিজেকে অসহায় মনে না করেন। যেন ভাবেন, সরকার তার পাশে আছে।’ অবশ্যই দেশ ও সরকারের সক্ষমতা বাড়ার সাপেক্ষে ভবিষ্যতে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তথ্য নিয়ে লুকোচুরি ও বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে সাংবাদিকদের অভিযোগের বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‘অবশ্যই এ ধরনের অভিযোগ গুরুতর। বিষয়টি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো।’ তবে ভাতাভোগীদের তালিকা প্রকাশ কিংবা তথ্যের সহজলভ্যতার বিষয়ে অধস্তন কার্যালয়কে তাৎক্ষণিক স্পষ্ট কোনও নির্দেশনা দেননি মন্ত্রী।

উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী জাদুঘরে রক্ষিত ১৯৭৩ সালে কুড়িগ্রামে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের লিখিত প্রতিলিপি দর্শনার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন। এরপর তিনি শেখ রাসেল পৌর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত কুড়িগ্রামের কৃতিসন্তান অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকনকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। পরে রাত ৯ টার দিকে মন্ত্রী কুড়িগ্রাম সরকারি শিশু পরিবার পরিদর্শন করেন।

;

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;