কুষ্টিয়ায় ফুডপান্ডাকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় ফুডপান্ডাকে জরিমানা

কুষ্টিয়ায় ফুডপান্ডাকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ফুডপান্ডাকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (৮ এপ্রিল) রাতে শহরের ছয় রাস্তা মোড়ে মিনি চাইনিজে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত।

তিনি জানান, সরকারি আদেশ অমান্য করে শহরের ছয় রাস্তা মোড়ে একটি ভ্রাম্যমাণ মিনি চাইনিজ খোলা রেখে খাবার তৈরি ও ফুডপান্ডার মাধ্যমে সরবরাহ করছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে গিয়ে আমরা দেখতে পায়, সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুত করা হচ্ছিলো। রং, কেমিক্যাল, পোড়া তেল দিয়ে খাদ্যসামগ্রী তৈরি করছিলো। এবং সেগুলো কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করার কথা ছিলো।

পরে এসব অপরাধ স্বীকার করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ফুডপান্ডা প্রতিষ্ঠানের একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও আদায় করা হয়।

এসময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

   

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ক্যাম্প থেকে প্রশাসনের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত রোহিঙ্গা মাঝি হলো উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের বাসিন্দা আবুল কাশেমের ছেলে মোহাম্মদ ইলিয়াস (৪৩)। তিনি ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সোমবার (১৩ মে) ভোর রাতে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের সি ব্লক সংলগ্ন হ্যান্ডিক্যাফ অফিসের পেছনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

জানা যায়, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনে গতরাতে অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ইলিয়াসকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়।

পরে বসতবাড়ি সংলগ্ন হ্যান্ডি ক্যাফ অফিসের পেছনে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করেন। এ ঘটনার পর উখিয়া থানার উপ পরিদর্শক অরুপ তালুকদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি।

;

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ জন চেয়ারম্যান, ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।

সোমবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী- আনারস প্রতীক, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু- কাপ পিরিচ প্রতীক, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ নেতা রহমত উল্যা বিপ্লব- ঘোড়া প্রতীক, মো. আবুল কাশেম- দোয়াত কলম প্রতীক ও মো. নিজাম উদ্দিন- মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাফিজ উল্যা- মাইক প্রতীক, সাবেক শ্রমিক লীগ নেতা মামুনুর রশিদ- উড়োজাহাজ প্রতীক, জেলা শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক ইউসুফ পাটওয়ারী-বই প্রতীক, মো. ইয়াছিন আরাফাত- তালা প্রতীক ও মো. মাসুদুর রহমান- চশমা প্রতীক পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন লিকা- ফুটবল প্রতীক, বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদা আক্তার- হাঁস প্রতীক ও সেলিনা খানম- পদ্মফুল প্রতীক পেয়েছেন।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং অফিসার আতিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৯৮ হাজার ২৩৭ জন, পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৪০৩ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ৫ জন ভোটার। মোট ভোট কেন্দ্র ১৯২ টি।

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপের নির্বাচন আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে।

;

নরসিংদীতে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মানহীন প্রসাধনী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর হাটবাজারে এবং ছোট বড় মেলাগুলোতে প্রকাশ্যেই অবাধে বিক্রি হচ্ছে মানহীন প্রসাধনী। আর এসব প্রসাধনী ব্যবহারে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। 

বিএসটিআই ছাড়া এসব প্রসাধনী ব্যবহারে স্কীনের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই এগুলো পরিহার করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবুও নিজেদের শ্রীবৃদ্ধি ও রুপ লাবন্য তৈরীর চেষ্টায় অনেকেই এসব প্রসাধনী ব্যবহার করেন। 

নিন্মমানের এসব প্রসাধনী ব্যবহারে হিতের বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে। নরসিংদীর বিভিন্ন হাটবাজার ও রাস্তাঘাটে, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের মেলায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে মানহীন প্রসাধনী। কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ বা বিষয়ভিত্তিক লেখাপড়া ছাড়াই বাসায় বসে নিজেরাই তৈরী করেন এসব প্রসাধনী। এর কোনটা বোতলজাত, আবার কোনটা প্যাকেটজাত করে বিক্রি হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্যোক্তাদের তৈরী প্রসাধনীর মধ্যে রয়েছে মাথার তৈল, মুখের ব্রন পরিস্কার করার ক্রীম, মাথা ঠান্ডার তৈল, বিভিন্ন রকমের মেহেদী ও গোসলের সাবানসহ হরেক রকম প্রসাধনী। এসব পণ্যের গায়ে নেই কোনো উৎপাদন বা মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ। প্রকাশ্যে বিক্রি হওয়া এসব প্রসাধনীতে নেই কোনো পণ্যের মূল্যও।

তবে উদ্যোক্তাদের দাবি, এসব পণ্য কোন ক্ষতি করেনা। আবার অনেকেই বলছেন, এগুলো মানসম্মত প্রসাধনী এবং অবশ্যই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত।

নরসিংদী সিভিল সার্জন ফারহানা আহমেদ জানান, বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া কোন প্রধান প্রসাধনী বা ক্যামিকেল পরীক্ষা ছাড়া ব্যবহার ঠিক নয়। আর অনুমোদন এসব পণ্য ছাড়া বাজারে বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। এসব পণ্য ব্যবহারে স্কিন ক্যন্সার, এলার্জিসহ চর্মজাতীয় রোগে আক্রান্ত হয়ে বড়ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। তাই বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া এসব প্রসাধনী ব্যবহার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের এই কর্মকর্তা।

;

ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাসে কাউন্সিলরদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতি মাসে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (১৩ মে) সকালে রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে নগর ভবনে ডিএনসিসি’র চার বছর পূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডিএনসিসির ৭২টি ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। কাউন্সিলররা এই টাকা ওয়ার্ডে সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, র‍্যালি, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করার জন্য ব্যয় করবেন।

এ ছাড়াও ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিটি ওয়ার্ডে যেসব বর্জ্য-পানি জমে এডিস মশার লার্ভা জন্মে, ওইসব পণ্য কেনার জন্য কাউন্সিলদের আলাদা করে এ টাকা দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রধান ওষুধ বিটিআই সরাসরি সিটি কর্পোরেশন আমদানি করবে।

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা তুলে ধরে মেয়র আতিক বলেন, ডেঙ্গু ভয়াবহতায় ২০২৩ সাল অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। মোট ১ হাজার ৬শ ৯৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মশার ওষুধ ছিটানো এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মতো নানান পদক্ষেপ নেওয়ার কথা থাকলেও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসছে না। ফলে, প্রতি বছরই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে।

;