করোনা প্রতিরোধে কার্যকর সামাজিক-পারস্পরিক দূরত্ব



ফাতিমা তুজ জোহরা, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে হলে প্রয়োজন ব্যক্তি সচেতনতা, সামাজিক ও পারস্পরিক দূরত্ব গড়ে তোলা। এখনও করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি, আর রোগটি ছোঁয়াচে হওয়ায় সংক্রমণ রোধে একমাত্র উপায় হলো দূরত্ব বজার রাখা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয়ত করোনা যে মহামারি আকার ধারণ করেছে তা একেবারে বন্ধ করা যাবে না। কিন্তু এর সংক্রমণের হার কমানো সম্ভব। আমরা যদি সামাজিক দূরত্ব বজার রাখি তাহলে এই সংক্রমণ আশানুরূপভাবে কমে আসবে।

আর এখন চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের কথা না বললেই নয়। কারণ কোনো প্রতিষেধক ছাড়া শুধুমাত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আজ করোনা জয় করতে সক্ষম হয়েছে চীন। অথচ মাস দুয়েক আগেও সবাই ভেবেছিল চীন হয়ত এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে না।

এমনকি বর্তমানে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও জার্মানিও একই পথ অবলম্বন করছে। যেহেতু এসব দেশে ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে এজন্য এই দূরত্ব বজায় রাখার পর ১০-১৫ দিন সময়ের প্রয়োজন। আর এই দূরত্ব বজায় রাখতেই আক্রান্ত দেশগুলো লক ডাউন ঘোষণা করছে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, এসব দেশে সংক্রমণের হার আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে।

এখন প্রশ্ন হলো সামাজিক দূরত্ব কী?

এক কথায় বলতে গেলে যেকোনো ধরনের জনসমাগম স্থল এড়িয়ে চলা, একে অপরের থেকে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকেই সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। কারণ রোগটি সম্পর্কে তারা বেশি কিছু জানেন না। যেমন- কীভাবে করোনাভাইরাস ছড়ায়, কেন দূরত্ব রেখে চলতে হবে এগুলো জানেন না অনেকেই। প্রথমত করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে রোগ। হাঁচি- কাশি, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ অথবা ব্যবহার্য জিনিসের মাধ্যমে এই ভাইরাস অন্য দেহে সংক্রমণ ঘটায়। যেহেতু ভাইরাসটি ভারি হওয়ায় বাতাসে বেশিক্ষণ ভাসতে বা বেশি দূরে যেতে পারে না। এমনকি মানুষের দেহের বাইরেও বেশিক্ষণ বেঁচে থাকে না এ ভাইরাস এজন্য আমাদের সবাইকে কমপক্ষে একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এর মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচা সম্ভব।

বাড়িতে কীভাবে পরস্পর থেকে দূরত্ব বজায় রাখব—

এখন গোটা বিশ্বে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সবাইকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে প্রায় সবারই ছোট বাচ্চা ও বয়স্ক বাবা-মা আছেন। এজন্য আমাদের প্রত্যেককে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিভিন্ন দেশের মানুষ লকডাউনের সময় অন-লাইন মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য কেনাকাটা করছেন। এক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞরা সচেতন হতে বলছেন। এমন সময় যিনি গৃহকর্ত্রী তাকে বেশি সচেতন হতে বলছেন। উদাহরণস্বরূপ- বাইরে থেকে আসা সকল পণ্য ধরে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। শুকনো খাদ্যদ্রব্য হলে প্যাকেটটি জীবাণুনাশ (ডিটারজেন্ট/ব্লিচিং মিশ্রিত পানি) দিয়ে মুছে নিতে হবে।

গবেষকরা বলছেন, পরিবারের সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে। কারণ আক্রান্ত অনেকেই আছেন যাদের কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। যেমন হাঁচি-কাশি কিংবা জ্বর থাকে না শরীরে। সেক্ষেত্রে বয়স্ক ও বাচ্চারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এজন্য খেতে বসেও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলার কথা বলা হচ্ছে।

কর্মক্ষেত্রে কীভাবে দূরত্ব রেখে চলবেন—

এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশে জরুরি প্রশাসনিক ও দাফতরিক কাজ চলমান। এক্ষেত্রে সরকারি দফতরে মেনে চলা হচ্ছে কিছু নিয়ম। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এ অবস্থায় হোয়াইট হাউজের প্রশাসনিক কাজ অব্যাহত আছে। এজন্য সম্ভব হলে বাড়ি থেকে কাজ করা, বাইরের খাদ্য এড়িয়ে চলা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বলা হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, ১০ জনের বেশি সমাবেত নিষিদ্ধ করছেন। পরস্পর থেকে কমপক্ষে ৬ ফুট দূরত্ব রাখা, হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার, মুখে মাস্ক পরা, হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু ও রুমাল ব্যবহার করা, নির্দিষ্ট সময় বাদে হাত ধোঁয়া, হ্যান্ডশেক ও কোলাকুলি থেকে বিরত থাকা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যক্তি সচেতনতার বিকল্প নেই—

এই মহামারি প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ব্যক্তি সচেতনতা। অর্থাৎ নিজেকে নিজের সুরক্ষা দেওয়া। এই ছোঁয়াচে রোগে ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিবর্গ আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করেছেন। এতে বিষয়টি পরিষ্কার যে, এই রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে ও আক্রান্তের পর নিজেকে সচেতন থাকতে হবে। প্রথমত হাত ধোঁয়া, জনসমাগম স্থলে যাওয়া থেকে বিরত ও শারীরিক পরিচ্ছন্নতা আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে। আর দ্বিতীয় ধাপ হলো- আক্রান্ত হওয়ার পর আপনার করণীয় কী হতে পারে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যদি আক্রান্ত হন সেক্ষেত্রেও এই সচেতনতার বিকল্প নেই। জ্বর, কাশি কিংবা করোনার সামান্য লক্ষণ পাওয়া মাত্রই নিজেকে সবার থেকে আলাদা করে নিতে হবে। যাতে পরিবারের কাছের মানুষটি আক্রান্ত না হতে পারে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না গিয়ে ফোনে স্বাস্থ্য সেবা নেওয়া। লক্ষণ বেশি খারাপ হলে হাসপাতালে যোগাযোগ করা। তবে এসব কাজই ঘরে বসে করতে হবে। না হলে আপনার থেকে আরও অনেকে আক্রান্ত হতে পারে। একইসঙ্গে সবার আগে এটি জানা যে, করোনায় আক্রান্ত মানেই মৃত্যু নয়। খাবার-ঘুম এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চললে এ রোগ থেকে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এজন্য আতঙ্ক নয় প্রয়োজন সচেতনতার।

সারাবিশ্বে করোনায় আঠারো লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮৮ হাজার মানুষ মারা গেছেন এবং সুস্থ হয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ।

আরও পড়ুন- করোনাভাইরাস: ‘প্লিজ, উহানের ভুল থেকে শিক্ষা নিন’

করোনা লড়াইয়ে চলচ্চিত্রকার যখন ওষুধ সরবরাহকারী

ক্লোরোকুইন ওষুধে কি করোনা নিরাময় সম্ভব?

গরমে কমবে করোনার সংক্রমণ, দাবি মার্কিন গবেষকদের

করোনার চিকিৎসায় চার ওষুধ নিয়ে কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বন্যপ্রাণীর অবাধ বাণিজ্য, ভয়াবহ মহামারির দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব

নীল আকাশ বলে দিচ্ছে, ভারত কতটা দূষণমুক্ত

পৃথিবীর যেসব অঞ্চল এখনো করোনামুক্ত

ক্ষমতার অন্দরমহলে করোনার আধিপত্য!

বাতাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সম্ভব?

লকডাউনের শেষ কবে?

   

স্নাতকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিটি ইউনিভার্সিটির স্নাতকদের আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

শনিবার (১১ মে) রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না এক্সিবিশন সেন্টারে সিটি ইউনিভার্সিটির ৪র্থ সমাবর্তনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সময়ে মেনিফেস্টোতে (ইশতেহার) কর্মসংস্থানের কথা বলেছিলেন। সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করতে পারে সেভাবে প্রত্যেক গ্রাজুয়েটকে শিক্ষিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের আহবান জানাচ্ছি আগামীতে শিক্ষার্থীদের কর্মের ব্যবস্থা করতে স্টার্টআপসহ বিভিন্ন উদ্যোগ যেনো নেওয়া হয়।

গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বিশেষ করে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা আগামীদিনে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারবে। নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবনী চিন্তার মাধ্যমে একটি উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, প্রযুক্তির শুধু ব্যবহারকারী না হয়ে প্রযুক্তির উদ্ভাবক হতে।অতিমাত্রায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় না কাটিয়ে, গেমিং না করে, গেইমের উদ্ভাবক হতে হবে। পৃথিবীতে এখন এপ্রেন্টিশিপ, আর্টিকেলশিপ ও ওয়ার্ক এক্সপেরিন্স এই বিষয়গুলির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কারণ এর মাধ্যমে মানুষের মাঝে প্রায়োগিক দক্ষতা তৈরি হয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, সিটি ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর বিগ্রে.জেনারেল (অব.) ইঞ্জি. প্রফেসর লুৎফুর রহমান প্রমুখ।

;

আশুগঞ্জে বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আশুগঞ্জে বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু

আশুগঞ্জে বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চলতি বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে আশুগঞ্জ খাদ্যগুদামে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই সংগ্রহ অভিযান চলবে।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ, আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আব্দুর রউফ, খাদ্যগুমাদের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোলাইমান মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চাতাল কল মালিক সমিতির সভাপতি হাজী জহিরুল ইসলাম জারু, উপজেলা চাতালকল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি জোবায়ের হায়দার বুলু, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন, শাহ আলম, হাসান ইমরান, গোলজারসহ বিশেষ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

চলতি মৌসুমে আশুগঞ্জ উপজেলা থেকে ৪৬ হাজার ৩’শ ৯৭ মেট্রিক টন ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা দরে ৪৫ হাজার ৫’শ ৩১ মেট্রিক টন, আতব চাল ৪৪ টাকা কেজি দরে ৪’শ ৪৯ মেট্রিক টন ও ধান ৩২ টাকা দরে ৪’শ ১৭ মেট্রিক টন ক্রয় করবে খাদ্য বিভাগ।

;

‘কর্মদক্ষ যুবসমাজ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম পূর্বশর্ত’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী ও উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে যুগোপযোগী ও কর্মদক্ষ যুবসমাজের কোন বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সম্ভাবনাময় সময় পার করছে জানিয়ে তিনি বলেন, জনসংখ্যাগত এই সুবিধার সঠিক ব্যবহার করতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

শনিবার (১১ মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে ‘ইয়ুথ লিডারশিপ স্কিলস্ ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম একথা বলেন।

তিনি বলেন, এমডিজি, এসডিজিসহ, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ সহ নানা কর্মসূচি প্রমাণ করে সরকার যুবসমাজ ও দেশের নাগরিকদের নিয়ে নিয়ে দূরদর্শী পরিকল্পনা করছে।

মার্কেট ইকোনমি নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের পণ্য ও সেবার মান বিশ্বমানের হতে হবে। তাহলেই এই মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে আমরা অন্যান্য দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পারব। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হলে নিজেরদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলা অপরিহার্য।

ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন এক অবারিত সুযোগের দুয়ার খুলে দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, সাবমেরিন ক্যাবলের ফলে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এখন প্রযুক্তির ছোঁয়া। এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা তরুণ ও জনসাধারণের জন্য নানা রকমের সম্ভাবনা ও আয়ের মাধ্যম সৃষ্টি করছে। যুবসমাজ ফ্রিল্যান্সিংসহ রিমোট জবের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। যা অর্থনীতিকে করছে বেগবান।

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার বিকল্প নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ একটি বহুমাত্রিক ধারণা। সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতা ভিত্তিক সমাজ গঠনে এগিয়ে আসলে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে পারব।

একশনিস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ড. শারিন শাহাজাহান নাওমির সভাপতিত্বে সভায় সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ।

;

পল্টনে ককটেল বিস্ফোরণে পথশিশু আহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর নয়াপল্টনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পথশিশু আহত হয়েছে। আহত ওই শিশুর নাম সানি (১৬)। রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।

শনিবার (১১ মে) বেলা পৌনে ৩টার দিকে নয়াপল্টন হোটেল মিডওয়ের পেছনে এই ঘটনা ঘটে।

আহত সানি জানায়, তার বাবার নাম টিটু মিয়া। সে কাকরাইল এলাকায় থাকে। বিভিন্ন ভাঙ্গারি জিনিসপত্র কুড়িয়ে বিক্রি করে।

শনিবার দুপুরে ভাঙ্গারি কুড়ানোর সময় সে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ পায়। সেটিতে ককটেল ছিল। হাত দিয়ে ধরে সেটি নাড়াচাড়া করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তার দুই হাত ও দুই পায়ে আঘাত লাগে।

আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ।

পল্টন থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. সেন্টু মিয়া জানান, পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যাগের ভেতরে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে সানি নামে ওই পথশিশু আহত হয়েছে। ঘটনাটি বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।

;