রংপুরে লোকসান গুনছে ফুল চাষিরা



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ফুল চাষি সাজু আহমেদ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত/ছবি: বার্তা২৪.কম

ফুল চাষি সাজু আহমেদ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাটসহ প্রায় সবকিছুই এখন বন্ধ। এতে মুখ থুবড়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষের আয়-রোজগারের পথ। বিপাকে পড়েছেন রংপুরের ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীরাও। ফুল বিক্রির মৌসুমে দোকানপাট বন্ধ থাকায় প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।

দুই সপ্তাহ আগেও সূর্য ওঠার আগেই ঘুম থেকে উঠতেন ফুল চাষি সাজু আহমেদ। ছুটে যেতেন বাগানে। নিবিড় পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকতেন। কাঁচি চালাতেন ফুলের ডালে ডালে। এখন আর ব্যস্ততা নেই। চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ নেই। নেই ভোর বেলা জেগে ওঠার তাড়া। ব্যবসায়ীরা আসছেন না ফুল কিনতে। দিন শেষে ফুলে ভরা বাগানের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলছেন কেবল। কষছেন লোকসানের অঙ্ক আর প্রার্থনা করোনা মুক্তির।

গোলাপের বাগান

রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের কোল ঘেঁষে উত্তর হাজিরহাট মুচির মোড়। এই এলাকা থেকে গ্রামের একটু ভিতরে ঢুকতেই চোখে পড়বে নানা ধরনের ফুল বাগান। বিশাল মাঠে গোলাপের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ হচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে ফুল কিনতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা আসতেন এই এলাকাতে।

উত্তম হাজিরহাট মুচির মোড় এলাকার ফুল চাষি সাজুর মতো রংপুরসহ আশপাশের জেলার চাষিরাও এখন ফুল ভরা বাগান নিয়ে চিন্তিত। তাদের সঙ্গে বাগান নির্ভর শ্রমিকরাও বিপাকে পড়েছেন। হাত গুটিয়ে থাকলেও দুশ্চিন্তায় কারো অলস সময় কাটছে না। বরং দিনকে দিন চাষি, পাইকার আর ব্যবসায়ীর লোকসান বাড়ছে।

স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে এখানকার বাগান মালিকরা ফুল পাঠাতেন দেশের বিভিন্ন এলাকায়। রংপুরের বাহিরে বড় শহরে ট্রাক-পিকআপ ও ভ্যান ভরে ফুল যেত। কিন্তু এখন ভিন্ন চিত্র ফুলের এই গ্রামে। পরিবহন ও দোকানপাট বন্ধ থাকায় ভালোবাসার ফুল এখন অনাদরে ঝরছে। ফুলের ভ্রমর গুনগুন করলেও কেনাবেচা নেই। নেই আগের মতো কদর। ফুল হয়েছে এখন গো-খাদ্য।

একই এলাকার ফুল বাগান মালিক ও ব্যবসায়ী আবু সাঈদ। যার ফুলের দোকান রয়েছে রাজধানী ঢাকায়। সিলেটের বিয়ানী বাজারেও দুটি দোকান রয়েছে। সপ্তাহে তিন রংপুর থেকে সেখানে ফুল পাঠানো হতো। এখন সাঈদ দোকান বন্ধ রেখে রংপুরে এসেছেন। বিকেল বেলা বাগান ঘুরে অলস সময় কাটছে তার।

বার্তা২৪.কমকে আবু সাঈদ জানান, তিনি এ বছর প্রায় ৭ একর জমিতে গোলাপ, জবা, রজনীগন্ধা, গ্ল্যাডিওলাস, দেশি বেলিসহ সময় উপযোগী নানা জাতের ফুল চাষ করেছেন। কিন্তু করোনার কারণে ব্যবসা বন্ধ থাকায় গাছের ফুল কেটে ফেলে দিচ্ছেন তিনি।

সাঈদের নার্সারির তত্ত্বাবধায়ক রহমত উল্লাহ্ বার্তা২৪.কমকে জানান, করোনাভাইরাস ফুল চাষিদের স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে। ১৭ দিন ধরে বাগানের ফুল বেচাকেনা বন্ধ। বাগানেই পচে নষ্ট হচ্ছে। এখন তো বিয়ে, জন্মদিন, গায়ে হলুদসহ সকল জাতীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ। কারো ফুলের প্রয়োজন নেই। এ কারণে ব্যবসা নেই। কিন্তু এভাবে চললেও তো জমানো টাকা ফুরিয়ে গেলে পথে বসতে হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চোখে-মুখে বিষণ্নতার ছাপ নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন ফুল ব্যবসায়ী ফিরোজ শাহ্। রংপুরের ফুল ব্যবসায়ী সমিতির এই নেতা বার্তা২৪.কমকে জানান, ‘বছরের শুরু থেকে মে মাস পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ফুল বিক্রি হয়ে থাকে। এই সময়টাতে প্রতি মাসে রংপুরের স্থানীয় বাজারে প্রতিদিন লাখ টাকার ফুল বেচাকেনা হয়। বিশেষ দিনগুলোতে তা ১০ লাখও ছাড়ায়। আর রংপুরসহ আশপাশের জেলাতে প্রতি মাসে অন্তত অর্ধ কোটি টাকার বেশি ফুল বেচা-কেনা হয়।’

এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, সরকারি বিধি-নিষেধে সবকিছু বন্ধ থাকায় দিশেহারা পথিকের মতো দিন কাটাচ্ছেন ফুল চাষি, বাগান মালিক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। একুশে ফেব্রুয়ারিতে ব্যবসার পর আর তেমন বিক্রি হয়নি। আর এ লোকসানের অঙ্ক শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা এখনই বলা মুশকিল।

   

বিটিভির জেলা প্রতিনিধি নিয়োগে এমপির সুপারিশে প্রাধান্য!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ টেলিভিশন-এর জেলা প্রতিনিধি নিয়োগের ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের সুপারিশকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সেইসঙ্গে বিটিভির প্রতিনিধিদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ডিসি অফিসে চিঠি পাঠানো এবং তাদের জন্য ক্যামেরা সরবরাহ করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে সংসদ ভবনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩য় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

কাজী কেরামত আলী, এমপি-এর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, এমপি, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, এমপি, আলী আজম, এমপি,আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, এমপি এবং মো. আবদুচ ছালাম, এমপি বৈঠকে অংশগ্রহণ নেন।

এসময় বাংলাদেশ বেতার-এর চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত পর্যালোচনা এবং ভালোমানের অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য নির্দেশনাও দেওয়া হয়।

বৈঠকে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদ, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনসহ সর্বস্তরের স্বাধিকার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সিচিব, অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, বিটিভির কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

অবৈধভাবে ঋণ দেয়ায় ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নিজ ও পরিবারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান প্যাকেজেস করপোরেশন লিমিটেডকে অবৈধভাবে সাড়ে ৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া, ঋণ মওকুফ করা ও কার্যাদেশ দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি অভিযোগও দায়ের করেছে।

রোববার (২৬ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর কাছে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ( ডিএমডি) প্রদীপ কুমার কুমার সাহা এ অভিযোগ করেন। এ সময় আইন উপদেষ্টা মাসুদ আখতারসহ ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে প্রদীপ কুমার কুমার সাহা বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রায়শই বলে থাকেন তিনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে কখনও ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুবিধা গ্রহণ করেননি। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে নিজ পারিবারিক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামে অবস্থিত প্যাকেজেস করপোরেশন লিমিটেডকে দাতা সংস্থার শর্ত লঙ্ঘনপূর্বক গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় আনা এবং ওই প্রতিষ্ঠানকে অর্থায়ন করার বিষয়ে আপত্তি উত্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক তার বাবা দুলা মিয়া, তিনি নিজে এবং তার অপর দুই ভাই আব্দুস সালাম ও মুহাম্মদ ইব্রাহীম।

এছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্তৃক গঠিত উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন রিভিউ কমিটির প্রতিবেদন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত স্বনামধন্য নিরীক্ষা ফার্ম কর্তৃক ১৯৮৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৪০ বছরের কম্প্রিহেনসিভ নিরীক্ষা রিপোর্টে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নিজ ও পরিবারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান প্যাকেজেস করপোরেশনকে বেআইনিভাবে ঋণ প্রদান, ঋণ মওকুফ ও কোটি কোটি টাকার কার্যাদেশ প্রদান সম্পর্কিত ব্যাপক দুর্নীতির দালিলিক তথ্য পাওয়া গেছে। যেখানে অরিজিনাল ভাউচার, এ্যাডভাইস, ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক ঋণ ও বিলের অনুমোদন পত্রের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ডিএমডি প্রদীপ বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি থাকাকালীন সময়ে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে আইন ভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্বের চূড়ান্ত অবমাননা করে ১৯৯০ সাল থেকে নিজের পারিবারিক ছাপাখানা প্রতিষ্ঠান প্যাকেজেস করপোরেশনকে সাড়ে ৯ কোটি টাকা অবৈধ সুবিধা প্রদান করেছেন। গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ-১৯৮৩ অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ সুবিধা শুধুমাত্র ভূমিহীন দরিদ্র ঋণগ্রহীতাদের জন্য সীমাবদ্ধ থাকলেও তিনি আইন ভঙ্গ করে তার পরিবারিক রুগ্ন ও লোকসানি প্রতিষ্ঠান প্যাকেজেস করপোরেশনকে বিপুল অঙ্কের ঋণ প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সুদ, এমনকি আসলেরও কিছু অংশ সুকৌশলে মওকুফ করিয়ে নিয়েছেন।

তিনি বলেন, পরিচালানা পর্ষদের কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটিতে গ্রামীণ ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রেষণে নিয়োগ দেন এবং নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষে গ্রামীণ ব্যাংকের অফিস বিনা ভাড়ায় ব্যবহার করেন। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ব্যতিরেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই দর নির্ধারণী কমিটি গঠন পূর্বক নিজের প্রণীত ও স্বাক্ষরিত গ্রামীণ ব্যাংক ক্রয় নীতিমালা লঙ্ঘন করে নিজের মালিকানাধীন পারিবারিক প্রতিষ্ঠানকে কোনো প্রকার প্রতিযোগিতামূলক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান ছাড়াই উচ্চদরে গ্রামীণ ব্যাংকের কোটি কোটি টাকার প্রিন্টিং সামগ্রী ছাপানোর কার্যাদেশ প্রদান করে নিজে ও পরিবারিকভাবে বিপুল অঙ্কের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন। আজ এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করে ন্যায়বিচার দাবি করছি।

২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।

চার্জশিটভুক্ত ১৪ আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দফতর সম্পাদক কামরুল হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

ওই বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।

;

ফেনীতে প্রস্তুত ৪৩ আশ্রয়কেন্দ্র, ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ে ফেনী উপকূলীয় এলাকায় ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। রিমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ফেনীর উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। চারটি ইউনিয়ন, বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়ের জন্য ৪৩টি স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র এবং ১৪টি মেডিকেল টিম ও ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এতে সোনাগাজী উপজেলার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ঘূর্নিঝড় মোকাবিলায় সোনাগাজীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, প্রাণিসম্পদ বিভাগ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সিপিপি সদস্য এবং রোভার রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. আবদুর রহমান বলেন, ক্ষতি মোকাবিলায় ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও চিড়া, মুড়ি, গুড়, চিনিসহ পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুদ রাখা হয়েছে। স্যানিটেশন ও সুপেয় পানির জন্য বিশুদ্ধকরণ ৫০ হাজার ট্যাবলেট রয়েছে। খাবারের বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারণ না থাকলেও চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিপৎসীমা ও সংকেত অনুযায়ী উপকূল ও চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম (মোবাইল নম্বর-০১৭৬৬৫৯৮২৫৯) খোলা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পন কর্মকর্তা ডা. উৎপল দাস জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপজেলায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য ১৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সহকারী পরিচালক মুনীর চৌধুরী বলেন, প্রতিটি এলাকায় সিপিপির সদস্যদের সহায়তায় ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করে জানমাল ও গবাদিপশুর নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া বিষয়ে বলা হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে। জেলেদের দুর্যোগকালীন নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, ইতোমধ্যে ডিসি স্যার আমাদের সকল বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী উপজেলার ৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ৪টি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করে। পাশাপাশি সিপিপি সদস্য ও আনসার সদস্যদের সক্রিয় রাখা আছে এবং মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার জন্য কাজ চলেছে। এছাড়াও রাতে যারা আশ্রয়কেন্দ্রে থাকবে তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার মজুত করা আছে বলে জানান তিনি।

জেলা আবহাওয়া অধিদফতরের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল ধীরে ধীরে উপকূলের দিক অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমানে ফেনীর উপকূলীয় এলাকায় ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যার পর থেকে উপকূলে এর প্রভাব শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

;

‘প্রধানমন্ত্রী রাতে না ঘুমিয়ে গরীব ও মেহনতি মানুষের কথা ভাবেন’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাতে না ঘুমিয়ে শুয়ে শুয়ে গরীব ও মেহনতি মানুষের কল্যাণে কী কী কাজ করা যায় সেগুলো ভাবতে থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী

শিশুশ্রম বন্ধ করতে না পারলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিশু শ্রম নিরসনে আমরা ইতোমধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ শুরু করেছি। সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থা সহায়তা করছে। সকলের সহযোগিতা ছাড়া শিশু শ্রম বন্ধ করা সম্ভব হবে না। একার পক্ষে আমরা কাজ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদফতরের বাস্তবায়নে এবং সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সহযোগিতায় ও বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিশু শ্রম নিরসন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরো দেশের শিশুশ্রমের সংখ্যা নিয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করেছে, তা মনগড়া। গত ৫ বছরে দেশে শিশু শ্রম কমেছে। ভবিষ্যতে সমস্যা ধরে শিশুশ্রম বন্ধে সরকার আরও কার্যকরী উদ্যোগ নেবে।

তিনি আরও বলেন, যে সব পরিবার শিশুদের শ্রমে নিয়োজিত করে, তাদেরকে অনুৎসাহিত করতে, সেই অসহায় শ্রমিক পরিবারকে কর্মক্ষম ব্যক্তির শ্রমের শর্তে আর্থিক সহায়তা করবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। কেননা বিগত ১৫ বছর থেকে সরকার অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী রাতে না ঘুমিয়ে শুয়ে শুয়ে গরীব ও মেহনতি মানুষের কল্যাণে কী কী কাজ করা যায় সেগুলো ভাবতে থাকেন। শিশুশ্রম বন্ধে সরকার আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

;