জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মঈন খান এতে বক্তব্য রাখবেন।

এছাড়াও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দও সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। তবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসা দলটির দাবি আদায় না হলেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর এ নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য জানাতেই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি।

   

বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য বেগম জিয়ার শাস্তি হয়েছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য বেগম জিয়ার শাস্তি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকার বাধা দিচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আওয়ামী লীগ করেনি। সেই মামলায় গ্রেফতার ও বন্দি হয়েছেন। আমি বলবো বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য, বেগম জিয়া আদালতের হাজিরা প্রলম্বিত করা, এক বছরের বিচার দশ বছরেও শেষ হয়নি এটার জন্য বিএনপির নেতারা দায়ী। রাজপথেও তারা মুক্তির দাবিতে দেখার মতাও বিক্ষোভ মিছিলও করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং শেখ হাসিনার উদারতার জন্য শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকা ও চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে চিকিৎসা করায় সহযোগীতা করেছে।

দেশি-বিদেশি চাপের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তিযুক্ত কতটা সেটা আমরা দেশ চালাচ্ছি, সেটা তো আমরা উপলব্ধি করি। কিভাবে আমাদের উপর চাপ দেয়া হয় সেটা আমরা দেশ শাসন করতে গিয়ে, দেশের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই চাপগুলো আমরা অনুভব করি। নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে হুমকি, ধমকি ছিলো, নিষেধাজ্ঞার ভয় ছিলো। এগুলো তো প্রকাশ্যেই দেয়া হয়েছিলো। এখানে কোনো গোপনীয়তার বিষয় ছিলো বলে আমার জানা নেই। এখানে তো কোনো সিক্রেট বিষয় ছিলো না। এই বিষয়ে আমাদের বক্তব্যও পরিষ্কার।

আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র কিভাবে মোকাবেলা করবে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সুসংগঠিত হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ১৪ দলীয় জোটকেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে কাছে টানতে হবে। সব কিছু মিলিয়ে আমাদের নিজেদের সাবজেক্টিভ প্রিপারেশন এর উপর নির্ভর করে আমরা বাস্তব কঠিন পরিস্থিতি কে মোকাবেলা করতে সক্ষম।

উপজেলা নির্বাচনে অনেকেই দলের নির্দেশনা মানেনি, তাদের বিষয়ে দল কি ব্যবস্থা নিবে এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, অনেকেই এর মধ্যে প্রত্যাহার করতে শুরু করেছেন। আমাদের কয়েকজন আগেই প্রত্যাহার করেছেন। আমাদের গোলাম দস্তগীরের ছেলে প্রত্যাহার করেছেন। আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আমার স্বজনও একজন উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে প্রশ্ন টা হচ্ছে, আমাদের সমর্থন আছে কি না। আমি তার পক্ষে প্রশাসন বা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে কি না সেটাই সেটাই দেখার বিষয়। পার্টির কারো এর সঙ্গে কোন সংযোগ নেই, নেতৃস্থানীয় কারো এর সঙ্গে কোন সমর্থন নেই। আমার সমর্থনের তো প্রশ্নই উঠে না। শেষ পর্যন্ত সরে যাবে না সেটাও বলা যায় না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে গাইডলাইন সেটা আমি মুখে বলবো একটা আর কাজে করবো আরেকটা এটাই আমি বিশ্বাসী নই। কোনো প্রকার স্বজনপ্রীতি আমি কোন অবস্থাতেই প্রশ্রয় দিবো না।

স্বজন বলতে প্রধানমন্ত্রীর যে সংজ্ঞা সে বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার কথা হচ্ছে, ভাই হউক, স্বজন হউক আমি তাকে দাঁড় করিয়েছি কি না। আমি তার পক্ষে সমর্থন দিচ্ছি কি না, আমার দল সমর্থন দিচ্ছে কি না সেটা হচ্ছে বড় কথা। আমি বা আমার দল যদি পক্ষে না থাকে তাহলে কেউ বিচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার বিষয়ে জড়িত নেই।

প্রধানমন্ত্রীর বলা পরিবারের মধ্যে যেনো সব কিছু কেন্দ্রীভূত না করে এমন বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বজনদের সব কিছু দেয়ার জন্য যদি সব কিছু কেন্দ্রীভূত করা হয় দলের দীর্ঘ দিনের ত্যাগী নেতারা যাবে কোথায়? একথা আমাদের সভাপতি বলেছেন। আমাদের সকলের বক্তব্য সেটাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাসায় ফিরছেন খালেদা

বাসায় ফিরছেন খালেদা

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়াকে। গতকাল এবং আজ তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।

এর আগে গতকাল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাকে। 

;

বিএনপি শ্রমিকদের বন্দুকের জোরে জিম্মি করে রেখেছিল: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয় সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককেও হত্যা করেছে তারা।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় সাধারণ মানুষকে বন্দুকের জোরে জিম্মি করে বাংলাদেশকে দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে মন্তব্য করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের অপশাসন-দুঃশাসনের ফলে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। আজ তারা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনো দিন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেনি।

তিনি বলেন, তারা আদমজী জুট মিলসহ বিভিন্ন কল-কারখানা বন্ধ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কয়েক ধাপে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে, চা-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। শ্রমজীবী মানুষসহ সকল মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সকল অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জনগণের মধ্য থেকে উত্থিত রাজনৈতিক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সর্বদা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। একবার তারা তাদের ক্ষমতায় আসার পথ নির্বিঘ্ন করতে অর্ধকোটি ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। আবার ১ লাখ ২৩ হাজার ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল।

তিনি আরও বলেন, যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহণ করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা মানায় না। বিএনপির রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাট-তন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশের ললাটে পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক লেপন করেছিল।

;

সস্ত্রীক ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আররের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তার একান্ত সহকারী ইউনুস আলী বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন করতে ম্যাডামসহ স্যার সৌদি আরব গেছেন। প্রথমে তারা সরাসরি মদিনায় যাচ্ছেন। সেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন এবং মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করবেন। এরপর মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের আনুষ্ঠানিক শুরু করবেন তারা। কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন, মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ মে বিএনপির মহাসচিব দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

;