জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে জাপার ১০ম জাতীয় সম্মেলন শুরু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টির একাংশের ডাকা (রওশন এরশাদ) ১০ম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (মার্চ ৯) দুপুর ১২টায় এ সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়।

এর আগে এরশাদকে নিয়ে নকুল কুমার বিশ্বাসের গান আইইবি (দ্য ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ) চত্বরে উৎসব ও আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করে।

পার্টির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় কৃষক পার্টির সভাপতি সাইদুর রহমান টেপা, ঢাকা উত্তরের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টুসহ অনেকেই উপস্থিত হয়েছেন কাউন্সিলে। এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম ও কৃষক শ্রমিক জনতা পার্টির সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায় রায় বার্তা২৪কমকে বলেছেন, সারাদেশ থেকে ৫ হাজার কাউন্সিলর ও ডেলিগেটসরা সম্মেলনে যোগ দেবেন। ইতোমধ্যে অনেকেই সম্মেলন স্থলে এসে উপস্থিত হয়েছেন।


এরশাদের মৃত্যুর পর থেকেই নানা রকম টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেবর-ভাবির (জিএম কাদের ও রওশন এরশাদ) সম্পর্ক। এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া বিরোধীদলীয় নেতার পদ নিয়ে প্রথম বিরোধ দেখা দেয়। দেবর-ভাবি পৃথকভাবে নিজেকে বিরোধীদলীয় নেতা করার জন্য স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেন বিগত সংসদে। শেষপর্যন্ত রওশন এরশাদকে বহাল করেন স্পিকার। আরও কতগুলো ইস্যুতে তাদের মধ্যে টানাপোড়েন ছিল।

কিন্ত গত সংসদ নির্বাচনে রওশন এরশাদ এবং তার সন্তানকে পার্টি থেকে মনোনয়ন না দেওয়া অম্লমধুর সম্পর্ক এখন সাপে-নেউলে রূপান্তরিত হয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেন। একইসঙ্গে নিজেকে তিনি জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। রওশন এরশাদ দাবি করেছেন, তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধে এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। দলটির সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে না পারায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে একাধিক দফায় সময় চেয়ে নিয়েছিল জাপা। সেই সময়ও গত হয়েছে কয়েক মাস আগেই। কিন্তু কাউন্সিল করতে পারেনি জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদলের আসনে থাকা দলটি।


আর এই সুযোগটি কাজে লাগাতে চাচ্ছেন রওশন এরশাদ। হঠাৎ করেই একতরফাভাবে জাতীয় পার্টির কাউন্সিল ডাকেন রওশন এরশাদ। এরপর তাকে সামনে রেখে বর্ধিতসভাসহ নানান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রওশন এরশাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সিনিয়র বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাকে ইতিমধ্যেই বহিষ্কার করেছেন জিএম কাদের।

রওশনপন্থীরা জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির অন্য অংশের চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবকে মানতে চাইছেন না। আর অন্যান্য সব কমিটিকে তাদের কমিটি বলে দাবি করে আসছেন। তারা বলতে চাইছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ সব জেলা-উপজেলা কমিটি তাদের সঙ্গে রয়েছে। তারা কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।

   

আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই কারাগারে থাকতে হচ্ছে: শামীম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই কারাগারে থাকতে হচ্ছে: শামীম

আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই কারাগারে থাকতে হচ্ছে: শামীম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান শামীম বলেছেন, আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। জনগণের শক্তির কাছে অচিরেই এই সরকারকে মাথানত করতে হবে।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি বারৈয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন

এসময় শামীম বলেন, দেশের ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিএনপির বলিষ্ঠ নেতাকর্মীদের টার্গেট করে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছিল আওয়ামী লীগ। তার অন্যতম শিকার হচ্ছে বারৈয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী। তিনি মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন করতে গিয়ে আজকে দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি। এই অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য অসংখ্য গণতন্ত্রকামী মানুষকে গ্রেফতার করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে জনগণকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। সারাদেশকে বদ্ধ কারাগারে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা দেশের জন্য যে আত্মত্যাগ করে গেছেন, তা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। রাজনীতি করলে গ্রেফতার হবে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু নির্যাতন ও অত্যাচার যেভাবে সীমা ছাড়িয়ে গেছে এটা সহ্য করা যায় না। তারপরও আমাদের নেতাকর্মীদের মনোবল হারায়নি। তারা আশায় আছে, আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে।

তিনি অবিলম্বে বিএনপি নেতা দিদারুল আলম মিয়াজীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

এর আগে, বিএনপি নেতা মিয়াজীর বাস ভবনে গিয়ে তার স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে দেখা করে তাদের সার্বিক খোঁজ খবর নেন। মামলা পরিচালনার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন।

এতে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, কাজী সালাউদ্দিনসহ বিএনপি নেতারা।

;

জনগণকে নয় প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছল করছেন: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে চলছে তামাশা। চারদিকে চলছে লুটপাটের সংস্কৃতি। এই দুঃশাসন জনগণ বেশি দিন মানবে না। তিনি বলেন গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি দেশের জনগণকে স্বচ্ছল করছেন আসলে তিনি জনগণকে নয় তাঁর ঘনিষ্ট আত্মীয় স্বজন ও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছল করছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন এখন বৈশ্বিক ধনীদের তালিকায় রয়েছেন।

শুক্রবার (১০ মে) বিকাল ৪টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ডামি সরকার বাংলাদেশের প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছে না, ভারতের ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছে। এক আদানি গ্রুপকে বিদ্যুৎ খাতকে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ লোকজনকে লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। তারা আগে ছিল সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী এখন তারা বৈশিক ধনীদের তালিকায় রয়েছেন। তিনি ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর ডামি উপজেলা ভোট বর্জন করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি বর্তমান ভয়াবহ দুঃশাসনের চিত্রও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন ‌এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সকল রাজবন্দীর দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারসহ সকল বন্দীদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মহানগরের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সমাবেশ শেষে নয়াপল্টন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ফকিরাপুল ঘুরে মিছিলটি আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।

;

বাংলাদেশটা আজ কাঁটাতারে ঝুলছে: গয়েশ্বর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বাংলাদেশটা আজ কাটাতারে ঝুলছে। যেমনটি ফোলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো, তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাও আজ কাটাতারে ঝুলছে। দেশটাকে নিয়ে, স্বাধীনতাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে, এ থেকে রক্ষা পেতে হলে ৭১-এর মত জেগে উঠতে হবে।

'আমেরিকার মত দমনের জন্য পুলিশের প্রতি আমি যদি নির্দেশ দেই কেমন হবে' প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, তাদের এই নির্দেশের পর কিন্তু আমেরিকার এই পুলিশই হাটু ঘেড়ে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

শুক্রবার (১০ মে) বিকালে বিএনপির নয়াপল্টনে বিশ্ব মা দিবসে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ। বিকাল তিনটায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১১টা থেকেই ঢাকা মহানগর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা নেতারা ব্যানার সহকারে নয়াপল্টনে আসতে শুরু করেন। দুপুর দুইটার মধ্যেই লোকারণ্য হয়ে ওঠে পুরো নয়াপল্টন। সমাবেশ শেষে মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটি নয়াপল্টন থেকে পল্টন মোড়ের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশী বাঁধার কারণে বিজয়নগর মোড় ঘুরে ফকিরাপুল হয়ে পুনরায় নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

'বিএনপি চলছে রিমোট কনট্রোলের মাধ্যামে' ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, বিএনপির রিমোটতো তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার হাতে। আপনাদের রিমোট কনট্রোল কি মোদির কাছে। আপনি ওবায়দুল কাদের নিজেই বলেছেন ভারত না থাকলে আপনারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচন করতে পারতেন না। ভারতই আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার বিএনপি ও তারেক রহমানের নাম শুনলেই ভয় পায়। তাই দুদিন পরপর তারেক রহমানকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আমাদের কর্মীরা কর্মীরা কাম্ত, হতশ নয়। আজকে মামলা চালাতে চালাতে কর্মীরা সংসার চালাতে পারে না, নিজের চিকিৎসা চালাতে পারে না। তারপরও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বুক ফুলিয়ে দাড়িয়ে আছে। যত জুলুৃম, যত উৎপাত আসুক তা মোকাবিলা করে দাঁড়ানো শক্তি তাদের আছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, অনেকে বলেন উনার (প্রধানমন্ত্রী) পায়ে মাটি নেই। থাকবে কি করে? জনগণ বা মাটির সাথেতো তার কোনো সম্পর্ক নেই। জনগণেরতো উনার দরকার নেই। গতকাল উপজেলা নির্বাচনে গোপালগঞ্জেও শেখ সেলিমের প্রার্থী এগিয়ে থাকলেও পরে রেহানার প্রার্থীকে জয়ী করা হয়। ভোটকেন্দ্রে ভোটার না থাকলেও কেন্দ্রের ভিতরে ঠিকই চলেছে ভোট ডাকাতি। ৩ পার্সেন্ট ভোটকে ৪০ পার্সেন্ট দেখানোর জন্যই ফিরি লাইসেন্স নিয়ে সরকার সমর্থকরাই এসব সীল মেরেছে।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা সাবেক আইজিপি বেনজির প্রসঙ্গে বলেন, ব্যারিস্টার সুৃমন কে? উনি চিঠি কেনো তার অবৈধ সম্পদ বের করার জন্য চিঠি দিলেন? মানুষে বলে প্রধানমন্ত্রী এ চিঠি দেওয়াছেন। ভাগে নাকি কম পড়েছে। আজকে এসব চিহ্নিত দূর্নীতিবাজদের পুলিশ ধরে না, তাদের নামে মামলা হয় না, আর আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যে আচরণ করেছেন ক্ষমতার পরিবর্তন হলে তার ১০ ভাগের একভাগ করলে আপনাদের সাথে করলে তা সহ্য করগে পারবেন? তাই সীমা লঙ্ঘন করবেন না। তাই বলছি জনগণের সাথে থাকুন, ন্যায়ের পথে থাকুন।

;

নৈরাজ্য করলে ডাবল শিক্ষা পাবে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নৈরাজ্য করবে? (বিএনপি) একবার তো একটা শিক্ষা পেয়েছে, এবার ডাবল শিক্ষা পাবে। আমরা বসে নেই। আমরা সর্বাত্মক ভাবে প্রস্তুত আছি। সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস নৈরাজ্য মোকাবেলায় আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করবো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

শুক্রবার (১০ মে) বিকালে গুলিস্তানের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভার সূচনা বক্তব্যে সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র আছে, সতর্ক থাকতে হবে। কোন সংঘাতে আমরা জড়াবো না। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবো। বাংলাদেশের যে গণতন্ত্র, শেখ হাসিনা যে গণতন্ত্র কে শৃঙ্খল মুক্ত করেছেন, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন যার অবদান তিনি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। এতো চক্রান্তের মধ্যেও ৪২ শতাংশ ভোটার টার্ন আউট। আপনারা (বিএনপি), আপনাদের সমমনারা ভোটে জাননি তাহলে এতো ভোটার কিভাবে এলো। উপজেলা নির্বাচনে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে একথা বলেছে নির্বাচন কমিশন।

তিনি আরও বলেন, ধান কাটার মৌসুম চলছে, সেদিন (উপজেলা ভোটের দিন) অনেক জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও সেখানে ভোট কম হতে পারে কিন্তু নেত্রীর নির্বাচনি এলাকায় গোপালগঞ্জে ভোট পড়ে ৬৮ শতাংশ। কিন্তু কোথাও কোথাও একেবারেই স্বাভাবিক না একটু কমই পড়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপি ও কিছু সাম্প্রদায়িক দলের ভোট বর্জনের মধ্যে যে ভোট পড়েছে সেখানে আমি একটা কথা বলতে চাই, বিএনপির সরকারের সময়ে হওয়া কোন স্থানীয় নির্বাচন এতো শান্তিপূর্ণ হয়েছে?

আমাদের নেত্রী স্থানীয় ব্যবস্থাকে উন্নত করেছেন, শক্তিশালী করেছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতি অতীতের তুলনায় আরও গতিশীল হয়েছে, সমৃদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে স্থানীয় নির্বাচনগুলো সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। নির্বাচনের রুটিন ওয়ার্ক, সময় মতো নির্বাচন। এতো বিরোধীতা, ষড়যন্ত্রের মধ্যেও শেখ হাসিনা নির্বাচনের ধারাবাহিকতা বাস্তবে বজায় রেখেছেন। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে আমরা সেটাই দেখলাম।

বিএনপির সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভুল ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে বিএনপি কোন কিছু আদায় করতে পারবে না। তারা মুখে চৌকস কথার ফুলঝুড়ি ছড়াবে ভিতরে ভিতরে চরম হতাশায় আচ্ছন্ন। হাস্যকর কথা বলে জনগণকে চেষ্টা করছে চাজ্ঞা করার কিন্তু হালে পানি পাচ্ছে না। যতদিন রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারায় ফিরে না আসবে ততদিন আরও জনবিচ্ছিন্ন হবে।

আগামী ১৭ মে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এ দিবসটি উদযাপনের জন্য যথাযথ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ঢাকা মহানগর ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে তাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অনুকরণে কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। এ কর্মসূচি ইউনিয়ন পর্যন্ত আমরা পালন করবো।

পার্শ্ববর্তী দেশকে খুশি করতে রাজনীতি করে আওয়ামী লীগ। ভারত সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের দয়ায় ক্ষমতায় বসিনি। ইলেকশনের সময় আমেরিকা সহ আরও কিছু কিছু দেশ যে ভূমিকা নিয়েছিলো ভারত কিন্তু একেবারেই কথা বলেনি। একেবারেই নিরপেক্ষ ছিলো। নিজের দেশকে খাটো করা এটা বলা গয়েশ্বরদের পক্ষেই সম্ভব।

;