‌‘উত্তরাধিকারের রাজনীতি ভেঙে দিতে হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তরাধিকারের রাজনীতি ভেঙে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহআলম।

শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর পুরাতন রেলস্টেশন চত্বরে সিপিবির ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম জেলা সিপিবি এ গণসমাবেশের আয়োজন করে।

শাহআলম বলেন, লুটেরা-টাকা পাচারকারী, বিএমডব্লিউওয়ালাদের সিন্ডিকেট দেশের পার্লামেন্ট দখল করে ফেলেছে। এ লুটেরাদের লালন-পালন করছে অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী সরকার। লুটেরাদের রাজনীতি থেকে হটাতে হবে। লুটেরাদের সরকারকে ক্ষমতার গদি থেকে টেনে নামাতে হবে। এজন্য সর্বস্তরের মানুষকে রাস্তায় নেমে এসে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন ও গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি এদেশে একটি তথাকথিত নির্বাচন হয়েছে। ক্ষমতায় থাকা সরকারই আবার সরকার গঠন করেছে। আমরা ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচন দেখেছি। ২০১৮ সালের নৈশভোটের নির্বাচন দেখেছি, রাতের আঁধারে ভোটচুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল আওয়ামী লীগ। ২০২৪ সালে দেশের জনগণের মতামত উপেক্ষা করে অবৈধ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতা দখল করেছে।

‌'১৯৭৩ সালের নির্বাচনে ২২টি আসনে কারচুপি হয়েছিল। জিয়াউর রহমান আমলে হ্যাঁ-না ভোট দেখেছি, মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এরশাদের আমলে গুণ্ডারা ভোট দিয়েছে। মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আমরা স্লোগান দিয়েছিলাম- আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। মানুষ সেটা লুফে নিয়েছিল। স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে নূর হোসেন রক্ত দিয়েছিল, তাজুল রক্ত দিয়েছিল। এদেশের মানুষ বুকের রক্ত দিয়ে স্বৈরাচার হটিয়েছিল। এখন আবার স্বৈরাচারদের নিয়ে আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রের পতাকা খামচে ধরেছে। তাদের হটাতে হবে।'

দেশের মানুষ উত্তরাধিকারের রাজনীতির কাছে বন্দি হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, একদিকে সজীব ওয়াজেদ জয়, আরেকদিকে তারেক রহমান। এ উত্তরাধিকারের রাজনীতি ভেঙে দিতে হবে। বংশের রাজনীতি ভেঙে দিতে হবে। রাজনীতিকে উত্তরাধিকারের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে।

দেশের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে শাহআলম বলেন, দেশে আজ কী চলছে, আমাদের চেয়ে মানুষ ভালো জানে। মানুষকে আজ বোঝাতে হয় না, তারাই উল্টো আমাদের বোঝাচ্ছে। মানুষ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। বাজারে গিয়ে জিনিসপত্রে হাত দেওয়া যাচ্ছে না, হাত পুড়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন পর রমজান, মানুষ চিন্তায় আছে। দেশের ব্যাংকে টাকা নেই। ডলার সংকট চলছে। হাজার-হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। পাচারকারীদের সরকার লালন-পালন করছে।

টাকা পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবছর দেশ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। সরকারের কাছে সব তথ্য আছে। সরকারকে বলব- পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনেন। টাকা পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশ করুন, ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করুন।

তিনি বলেন, এ সরকার পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, তাদের সে ক্ষমতা নেই। সরকার চালায় সিন্ডিকেটওয়ালারা। মতিঝিলে-খাতুনগঞ্জে বসে আছে টাকা পাচারকারীদের সিন্ডিকেট। একেকজনের গাড়ির কী বাহার! বিএমডব্লিউ ছাড়া চলে না ! লুটেরা, টাকা পাচারকারী আর বিএমডব্লিউওয়ালারা আজ দেশের পার্লামেন্ট দখল করেছে। পার্লামেন্টে ১৯৯ জন ব্যবসায়ী। যে সিন্ডিকেট জিনিসপত্রের দাম বাড়ায়, তারা পার্লামেন্টে গিয়ে বসে আছে। আর সরকার অভিযানের নামে মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের হয়রানি করছে। সবার আগে এ মুনাফাখোরি বাজার ব্যবস্থাকে লাথি দিতে হবে। গ্রাম-শহরে রেশন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। সিন্ডিকেটওয়ালাদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। টাকা পাচারকারী-বিএমডব্লিউওয়ালাদের দখল থেকে পার্লামেন্টকে মুক্ত করতে হবে। তাদের পার্লামেন্ট থেকে বের করে দিতে হবে।’

সিপিবি সভাপতি বলেন, লুটেরা সিন্ডিকেট, টাকা পাচারকারী আর তাদের লালন-পালনকারী সরকারের বিরুদ্ধে কমিউনিস্ট পার্টি লড়াই করছে। এ লড়াই চলবে। এ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে জনগণের রাজনীতি গড়ে তুলতে হবে। এ দেশ আমরা লুটেরাদের হতে দেব না। লুটেরাদের সরকারকে ক্ষমতার গদি থেকে নামাতে হবে। লুটেরাদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হবে। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, গণআন্দোলন গড়ে তুলি, গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলি। সিপিবির নেতৃত্বে জনগণের পক্ষের লুটেরাদের বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।

সমাবেশে সিপিবির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য পরেশ কর বলেন, ১৯৪৯ সালে যে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, সে আওয়ামী লীগ এখন আর নেই। এখন যে আওয়ামী লীগ সেটা জনগণের নয়, সেটা সালমান এফ রহমানের আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ এখন এক মহাবিপদে আছে। কমিউনিস্ট পার্টি সে মহাবিপদ অতিক্রমের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করছে।

সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি অশোক সাহার সভাপতিত্বে ও সহকারি সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর, সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য উত্তম চৌধুরী ও মো. মছিউদ্দৌলা এবং দক্ষিণ জেলার সভাপতি কানাই লাল দাশ ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী।

সিপিবি, চট্টগ্রাম জেলার সংস্কৃতি শাখার শিল্পীদের গণসঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ শেষে লাল-পতাকার মিছিল পুরাতন রেলস্টেশন থেকে নিউমার্কেট, কোতোয়ালী মোড়, লালদিঘীর পাড় হয়ে সিনেমা প্যালেস চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

   

বিএনপিকে ১৯ শর্তে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজধানীর নয়া পল্টনে ১৯টি শর্তে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ও দফতরের চলতি দায়িত্বে থাকা সাইদুর রহমান মিন্টু বরাবর ইস্যু করা এক চিঠিতে এ অনুমতি দেয় ডিএমপি।

চিঠিতে বলা হয়, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ শর্ত যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ১০ মে বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো।

শর্তগুলো হলো-

১) এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

(২) স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

(৩) অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

(৪) নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।

(৫) অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে মাইক/সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা যাবে না।

(৬) অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।

(৭ ) অনুমোদিত স্থানের বাইরে রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।

(৮) আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

(৯) ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আনতে পারে এমন কোন বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

(১০) অনুমোদিত স্থানের আশপাশসহ রাস্তায় কোনো অবস্থাতেই সমবেত হওয়াসহ যান ও জন চলাচলে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

(১১) সমাবেশস্থলে পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে কোন ধরণের লাঠি-সোটা, রড ব্যবহার করা যাবে না।

১২) আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

১৩) রাষ্ট্র বিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।

(১৪) উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

( ১৫) জন দুর্ভোগ সৃষ্টি করে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসা যাবে না।

১৬) পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।

(১৭) সমাবেশস্থলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।

(১৮) উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

(১৯) জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

;

ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দোয়া মাহফিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করেছে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) বাদ আছর কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু'র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু'র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল আলীম বেপারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ইসহাক মিয়া, দক্ষিণ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান রানা প্রমুখ।

;

বিএনপির সমাবেশে ইতিবাচক সাড়া ডিএমপির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপির সমাবেশে ইতিবাচক সাড়া ডিএমপির

বিএনপির সমাবেশে ইতিবাচক সাড়া ডিএমপির

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। তবে বিএনপিকে মানতে হবে কিছু শর্ত।

বিএনপি আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে কি-না জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কখনো বাধা দেই না। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি করবে এটিই স্বাভাবিক। তবে সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে সেজন্য আমরা কিছু শর্ত আরোপ করে থাকি। 

খ. মহিদ বলেন, বিএনপিকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি যাতে না হয় সে ব্যাপারে বলা হয়েছে। তাদের সমাবেশের ব্যাপারে ডিএমপি ইতিবাচকভাবে দেখছে।

বিএনপি সমাবেশ করলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে পারবে না। রাস্তার একপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে। কিছু শর্তসাপেক্ষে বিএনপি কাল সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে বলে জানান তিনি।

;

চট্টগ্রাম কলেজ: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আবারও সংঘর্ষে জড়াল ছাত্রলীগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রাম কলেজে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৭জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে কলেজের কাঠালতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। হামলার এক পর্যায়ে এক পক্ষ অপরপক্ষকে ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।

আহতদের সবার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের জনি নামের একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, কয়েক মাস ধরে কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে অস্থিরতা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমও বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছেন না। মাহমুদুল করিমের পক্ষের বেশিরভাগ নেতাকর্মী এখন সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম মনিরকে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন। তবে বিষয়টি সহজে মানতে পারেননি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ। তিনি মনিরকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে আগ্রহী নন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য ধরে রাখা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া লেগে আছে।

তবে জানতে চাইলে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তির সময় কাগজপত্র জমা দিতে শিক্ষার্থীদের খামের প্রয়োজন হয়। ২০ টাকার সেই খাম ১০০ টাকায় শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করছেন সুভাষ মল্লিক ও তার অনুসারীরা। প্রতিবাদ করায় কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীকেও তারা মারধর করেছেন। আমরা বেশি দামে খাম বিক্রির কারণ জানতে চাওয়ায় তারা গায়ে পড়ে বারবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, কলেজের সভাপতি মাহমুদুল করিম দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে নেই। এখন হঠাৎ করে এসে মনিরুল ইসলাম মনির নামের একজন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করে তার সঙ্গে রাজনীতি করতে বলছেন। কিন্তু আমাকে তো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কিংবা চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি এরকম কোনো নির্দেশনা দেয়নি। আমার পক্ষে তাই তাকে সঙ্গে নিয়ে কলেজে রাজনীতি করা সম্ভব না। সেজন্য বারবার এসে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

মারামারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক সারওয়ার আজম। তিনি বলেন, ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই পক্ষকেই ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

;