সরকার সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি: জিএম কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
সরকার সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি: জিএম কাদের

সরকার সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি: জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, সরকার সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। দ্রব্যমূল্য কমাতে ব্যর্থ। দেশের বেশিরভাগ দ্রব্য আমদানি নির্ভর।

সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে চারদিনের সফরে এসে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জি এম কাদের বলেন, আমদানি করতে যে সক্ষমতা দরকার তা দেশের অনেক ব্যবসায়ীর মধ্যেই নেই। যাদের বৈধ-অবৈধ টাকা আছে, তারাই আমদানির সুযোগটা নিচ্ছেন। বাইরে থেকে যারা আমদানির সঙ্গে জড়িত তারা সবাই প্রায় সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের। এমনিতেই সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। যে কারণে সরকার সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভালো নেই। জিনিসপত্রের দামে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সরকার চাইলেই এখন পণ্যের দাম কমা-বাড়া করতে পারবে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকা দরকার। এ প্রতিযোগিতা না থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতি প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, সংসদের সমাপনী ভাষণে আমি বলেছি, নির্বাচন আইনগতভাবে হয়েছে, তবে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। নির্বাচনে জনগণের চাওয়া পাওয়া প্রতিফলিত হয়নি। নির্বাচনটা ফ্রি স্টাইলে হয়েছে। তিন ধরনের নির্বাচন হয়েছে। কোথাও পূর্ব নির্ধারিত ছিল, আবার কোথাও সরকারের ইচ্ছের প্রতিফলন হয়েছে। সবমিলিয়ে বলা যায়, নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হয়নি।

সম্প্রতি রওশন এরশাদের কাউন্সিল প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, যারা এসব করছেন, তারা বেশিরভাগই জাতীয় পার্টির কেউ না। তাছাড়া এসব আইনি কোনো কাঠামোর মধ্যে থেকে হচ্ছে না। যারা জাতীয় পার্টির নামে বেআইনি কিছু করছেন, সরকার তাদের কিছুটা পৃষ্ঠপোষকতা করছে। বেআইনি কাজে পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ না হলে দেশে স্বাভাবিক রাজনীতি বাধাগ্রস্ত হবে।

উপজেলা নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রংপুরে জাতীয় পার্টির অবস্থান ভালো। দেশের অন্যান্য স্থানে সেই তুলনায় কম। তবে জাতীয় পার্টি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে। জাতীয় পার্টি এখন পর্যন্ত সব ধরনের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনের সমস্যাগুলো জানা যাচ্ছে।

এসময় জেলা জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

   

জনগণকে নয় প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছল করছেন: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে চলছে তামাশা। চারদিকে চলছে লুটপাটের সংস্কৃতি। এই দুঃশাসন জনগণ বেশি দিন মানবে না। তিনি বলেন গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি দেশের জনগণকে স্বচ্ছল করছেন আসলে তিনি জনগণকে নয় তাঁর ঘনিষ্ট আত্মীয় স্বজন ও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছল করছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন এখন বৈশ্বিক ধনীদের তালিকায় রয়েছেন।

শুক্রবার (১০ মে) বিকাল ৪টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ডামি সরকার বাংলাদেশের প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছে না, ভারতের ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছে। এক আদানি গ্রুপকে বিদ্যুৎ খাতকে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ লোকজনকে লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। তারা আগে ছিল সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী এখন তারা বৈশিক ধনীদের তালিকায় রয়েছেন। তিনি ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর ডামি উপজেলা ভোট বর্জন করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি বর্তমান ভয়াবহ দুঃশাসনের চিত্রও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন ‌এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সকল রাজবন্দীর দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারসহ সকল বন্দীদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মহানগরের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সমাবেশ শেষে নয়াপল্টন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ফকিরাপুল ঘুরে মিছিলটি আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।

;

বাংলাদেশটা আজ কাঁটাতারে ঝুলছে: গয়েশ্বর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বাংলাদেশটা আজ কাটাতারে ঝুলছে। যেমনটি ফোলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো, তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাও আজ কাটাতারে ঝুলছে। দেশটাকে নিয়ে, স্বাধীনতাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে, এ থেকে রক্ষা পেতে হলে ৭১-এর মত জেগে উঠতে হবে।

'আমেরিকার মত দমনের জন্য পুলিশের প্রতি আমি যদি নির্দেশ দেই কেমন হবে' প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, তাদের এই নির্দেশের পর কিন্তু আমেরিকার এই পুলিশই হাটু ঘেড়ে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

শুক্রবার (১০ মে) বিকালে বিএনপির নয়াপল্টনে বিশ্ব মা দিবসে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ। বিকাল তিনটায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১১টা থেকেই ঢাকা মহানগর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা নেতারা ব্যানার সহকারে নয়াপল্টনে আসতে শুরু করেন। দুপুর দুইটার মধ্যেই লোকারণ্য হয়ে ওঠে পুরো নয়াপল্টন। সমাবেশ শেষে মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটি নয়াপল্টন থেকে পল্টন মোড়ের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশী বাঁধার কারণে বিজয়নগর মোড় ঘুরে ফকিরাপুল হয়ে পুনরায় নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

'বিএনপি চলছে রিমোট কনট্রোলের মাধ্যামে' ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, বিএনপির রিমোটতো তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার হাতে। আপনাদের রিমোট কনট্রোল কি মোদির কাছে। আপনি ওবায়দুল কাদের নিজেই বলেছেন ভারত না থাকলে আপনারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচন করতে পারতেন না। ভারতই আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার বিএনপি ও তারেক রহমানের নাম শুনলেই ভয় পায়। তাই দুদিন পরপর তারেক রহমানকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আমাদের কর্মীরা কর্মীরা কাম্ত, হতশ নয়। আজকে মামলা চালাতে চালাতে কর্মীরা সংসার চালাতে পারে না, নিজের চিকিৎসা চালাতে পারে না। তারপরও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বুক ফুলিয়ে দাড়িয়ে আছে। যত জুলুৃম, যত উৎপাত আসুক তা মোকাবিলা করে দাঁড়ানো শক্তি তাদের আছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, অনেকে বলেন উনার (প্রধানমন্ত্রী) পায়ে মাটি নেই। থাকবে কি করে? জনগণ বা মাটির সাথেতো তার কোনো সম্পর্ক নেই। জনগণেরতো উনার দরকার নেই। গতকাল উপজেলা নির্বাচনে গোপালগঞ্জেও শেখ সেলিমের প্রার্থী এগিয়ে থাকলেও পরে রেহানার প্রার্থীকে জয়ী করা হয়। ভোটকেন্দ্রে ভোটার না থাকলেও কেন্দ্রের ভিতরে ঠিকই চলেছে ভোট ডাকাতি। ৩ পার্সেন্ট ভোটকে ৪০ পার্সেন্ট দেখানোর জন্যই ফিরি লাইসেন্স নিয়ে সরকার সমর্থকরাই এসব সীল মেরেছে।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা সাবেক আইজিপি বেনজির প্রসঙ্গে বলেন, ব্যারিস্টার সুৃমন কে? উনি চিঠি কেনো তার অবৈধ সম্পদ বের করার জন্য চিঠি দিলেন? মানুষে বলে প্রধানমন্ত্রী এ চিঠি দেওয়াছেন। ভাগে নাকি কম পড়েছে। আজকে এসব চিহ্নিত দূর্নীতিবাজদের পুলিশ ধরে না, তাদের নামে মামলা হয় না, আর আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যে আচরণ করেছেন ক্ষমতার পরিবর্তন হলে তার ১০ ভাগের একভাগ করলে আপনাদের সাথে করলে তা সহ্য করগে পারবেন? তাই সীমা লঙ্ঘন করবেন না। তাই বলছি জনগণের সাথে থাকুন, ন্যায়ের পথে থাকুন।

;

নৈরাজ্য করলে ডাবল শিক্ষা পাবে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নৈরাজ্য করবে? (বিএনপি) একবার তো একটা শিক্ষা পেয়েছে, এবার ডাবল শিক্ষা পাবে। আমরা বসে নেই। আমরা সর্বাত্মক ভাবে প্রস্তুত আছি। সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস নৈরাজ্য মোকাবেলায় আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করবো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

শুক্রবার (১০ মে) বিকালে গুলিস্তানের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভার সূচনা বক্তব্যে সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র আছে, সতর্ক থাকতে হবে। কোন সংঘাতে আমরা জড়াবো না। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবো। বাংলাদেশের যে গণতন্ত্র, শেখ হাসিনা যে গণতন্ত্র কে শৃঙ্খল মুক্ত করেছেন, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন যার অবদান তিনি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। এতো চক্রান্তের মধ্যেও ৪২ শতাংশ ভোটার টার্ন আউট। আপনারা (বিএনপি), আপনাদের সমমনারা ভোটে জাননি তাহলে এতো ভোটার কিভাবে এলো। উপজেলা নির্বাচনে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে একথা বলেছে নির্বাচন কমিশন।

তিনি আরও বলেন, ধান কাটার মৌসুম চলছে, সেদিন (উপজেলা ভোটের দিন) অনেক জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও সেখানে ভোট কম হতে পারে কিন্তু নেত্রীর নির্বাচনি এলাকায় গোপালগঞ্জে ভোট পড়ে ৬৮ শতাংশ। কিন্তু কোথাও কোথাও একেবারেই স্বাভাবিক না একটু কমই পড়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপি ও কিছু সাম্প্রদায়িক দলের ভোট বর্জনের মধ্যে যে ভোট পড়েছে সেখানে আমি একটা কথা বলতে চাই, বিএনপির সরকারের সময়ে হওয়া কোন স্থানীয় নির্বাচন এতো শান্তিপূর্ণ হয়েছে?

আমাদের নেত্রী স্থানীয় ব্যবস্থাকে উন্নত করেছেন, শক্তিশালী করেছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতি অতীতের তুলনায় আরও গতিশীল হয়েছে, সমৃদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে স্থানীয় নির্বাচনগুলো সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। নির্বাচনের রুটিন ওয়ার্ক, সময় মতো নির্বাচন। এতো বিরোধীতা, ষড়যন্ত্রের মধ্যেও শেখ হাসিনা নির্বাচনের ধারাবাহিকতা বাস্তবে বজায় রেখেছেন। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে আমরা সেটাই দেখলাম।

বিএনপির সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভুল ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে বিএনপি কোন কিছু আদায় করতে পারবে না। তারা মুখে চৌকস কথার ফুলঝুড়ি ছড়াবে ভিতরে ভিতরে চরম হতাশায় আচ্ছন্ন। হাস্যকর কথা বলে জনগণকে চেষ্টা করছে চাজ্ঞা করার কিন্তু হালে পানি পাচ্ছে না। যতদিন রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারায় ফিরে না আসবে ততদিন আরও জনবিচ্ছিন্ন হবে।

আগামী ১৭ মে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এ দিবসটি উদযাপনের জন্য যথাযথ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ঢাকা মহানগর ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে তাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অনুকরণে কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। এ কর্মসূচি ইউনিয়ন পর্যন্ত আমরা পালন করবো।

পার্শ্ববর্তী দেশকে খুশি করতে রাজনীতি করে আওয়ামী লীগ। ভারত সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের দয়ায় ক্ষমতায় বসিনি। ইলেকশনের সময় আমেরিকা সহ আরও কিছু কিছু দেশ যে ভূমিকা নিয়েছিলো ভারত কিন্তু একেবারেই কথা বলেনি। একেবারেই নিরপেক্ষ ছিলো। নিজের দেশকে খাটো করা এটা বলা গয়েশ্বরদের পক্ষেই সম্ভব।

;

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ শনিবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ শনিবার (১১ মে) অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১০ মে) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় তিনি এ কথা জানান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোন সমাবেশ করছি না। আজকে আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে আজকের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

;