সুবিধাভোগীরা ছাড়া সবাই সরকারের বিপক্ষে কথা বলছে: আমীর খসরু



স্টাফ কসেপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা ছাড়া সবাই সরকারের বিপক্ষে কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার (০১ এপ্রিল) বিকালে ২ নম্বর গেইটস্থ নাসিরাবাদ কনভেনশন হলে (সমাবেশ ক্লাব) মাহে রমজান উপলক্ষে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রাম শাখার চিকিৎসক সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়েজুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সি. সহ সভাপতি ডা. আবদুল সেলিম, সহ সভাপতি ডা. মোসাদ্দেক হোসেন ডাম্বেল।

আমীর খসরু বলেন, একটি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ আজকে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। দেশে বিদেশে সবার মধ্যে একটি প্রশ্ন বাংলাদেশ কোথায় আছে? এটি নিয়ে একটি বড় সংশয় কাজ করছে। আমি বলতে চাই, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। ৭ জানুয়ারি তো কোনো নির্বাচন হয়নি, হয়েছে গণভোট। বিএনপির পক্ষ থেকে ডাক দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ যাতে নির্বাচনে না যায়। সেদিন বাংলাদেশের ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ নির্বাচনে না গিয়ে গণভোটে শেখ হাসিনার নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রত্যাখান করেছে। আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা ছাড়া সবাই সরকারের বিপক্ষে কথা বলছে। সুতরাং এ গণভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান আবার পরিষ্কার করেছে। তারা এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে চায়। তারা তাদের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। গণমাধ্যমের অধিকার ফিরে পেতে চায়। ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ সেদিন জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। পাঁচ শতাংশেরও কম মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশে শুধু রাজনৈতিক দলের ঐক্য ঘটেনি, ৯৫ শতাংশ বাংলাদেশের মানুষের ঐক্য ঘটেছে। সুশীল সমাজ, যারা আগে মুখ খুলত না, তারাও পরিষ্কার ভাষায় এ অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে, তারা আজ গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে। পেশাজীবীরা বলছে, এমনকি গণমাধ্যম যারা আছে, যারা যারা শুধু শেখ হাসিনার সুবিধাপ্রাপ্ত গণমাধ্যম, তার বাইরের গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যমের কর্মীরাও প্রত্যাখান করেছে। তারাও আজ গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দিয়েছে। তারাও এই রেজিমের বিপক্ষে কথা বলছে। তারাও আজ বাংলাদেশে মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য এ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে। আগামীদিনে মুক্ত গণমাধ্যমের অপেক্ষায় তারা আছে।

প্রধান বক্তা ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, বাংলাদেশ কঠিন এক ক্রান্তি কাল অতিক্রম করছে। দেশে আইনের শাসন নেই। মানুষের ভোটের অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। পবিত্র রমজান মাসে ইফতার আয়োজন করতে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। সামনে হয়তো এমন দিন আসবে যেদিন মসজিদে আজান দিতে সরকারের অনুমতি নিতে হবে।

বিশেষ অতিথি আবুল হাশেম বক্কর বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় না। সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে কিন্তু সার্বিকভাবে কখনোই ব্যর্থ হয় নাই। জনগণের আন্দোলনের মুখে কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে থাকতে পারে নাই। এই সরকারকেও যেতে হবে।

এতে বক্তব্য রাখেন- মেডিকেল কলেজ ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, মহানগর ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দীন, ড্যাবের উপদেষ্টা ডা. আবদুল আলিম, ডা. আবুল কালাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, কেন্দ্রীয় ড্যাবের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সরোয়ার আলম, ড্যাব নেতা ডা. নুরুল করিম চৌধুরী, ডা. মিনহাজুল আলম, ডা. মঈনউদ্দীন, ডা. জোনায়েদ রায়হান, ডা. মেহেদী হাসান, ডা. সাদ্দাম হোসেন, ডা. গিয়াস উদ্দিন নয়ন প্রমুখ।

   

বাইডেনের চিঠির ফলোআপ করতে আসছেন ডোনাল্ড লু: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে পাঠানো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠির ফলোআপ করতে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১২ মে) বিকেলে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব বলেন।

ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসা স্বাভাবিক হলেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কথা বলে উত্তাপ ছড়াচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কোন উত্তাপ ছড়াতে চাইনি। বিএনপির হাসিখুশি ভাব দেখলাম, হঠাৎ চাঙ্গা হয়ে গেছে দলটি। সামনে তো কিছু নেই। ডোনাল্ড লু আসছে তাদের কিছু করার অভিসন্ধি আছে কি না সেটা বিএনপিই ভালো জানে।

তিনি বলেন, আমেরিকার সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো প্রেসিডেন্ট বাইডেনের চিঠির ফলোআপ করার জন্যই আসছেন ডোনাল্ড লু। আমরা সেটাই মনে করি।

ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আসছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। এখন বিএনপি মনে করে আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিবে কি না এ ধরণের উদ্ভট চিন্তাও তাদের থাকতে পারে। তারা তো এমন অনেক উদ্ভট চিন্তা করে প্রলাপ বকেছিলো বার বার। জনগণ দ্বারা প্রত্যাখাত হয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছে দলটি। জয়ী হবার নিশ্চয়য়তা ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল সাহেব জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেছেন। তাদের সময় দেশের মানুষকে অর্ধাহারে, অনাহারে থাকতে হতো। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে শুধু খাদ্য নিরাপত্তায় নিশ্চিত করেনি বরং খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি দেশকে আবারও খাদ্য ঘাটতির দিকে নিয়ে যায়। চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ সরকার যথেষ্ট উন্নত করেছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এই কমিউনিটি সেবা জাতিসংঘ কর্তৃক শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগেই বলেছেন, নির্বাচনের পর দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির পায়তারা চলছে। নেতাকর্মীদের তিনি এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেন। কাজেই আপনারাও জানেন যে, কথাটা সত্য নয়। শেখ হাসিনা কিন্তু বলেননি নির্বাচন হলেই সংকট কেটে যাবে। তিনি বলেছেন দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হতে পারে। সে চেষ্টা অনেকেই করছেন আন্তর্জাতিকভাবে ও দেশের অভ্যন্তরে।

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

তিস্তা সেচ প্রকল্পে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জিএম কাদের

জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

তিস্তা সেচ প্রকল্প উন্নয়নের নামে বন বিভাগের ৪ লাখ গাছ কাটার সিদ্ধান্তে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

রোববার (১২ মে) এক বিবৃতিতে গাছ কাটা বন্ধ রেখে, নতুন করে বনায়নের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে দেশ এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এমন বাস্তবতায় দেদারছে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী ও ক্ষমার অযোগ্য। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ, তিস্তা সেচ প্রকল্পের প্রধান ক্যানেলসহ টারশিয়ারি এবং সেকেন্ডারি খাল সংস্কার ও সম্প্রসারণের নামে ৪ লাখ গাছ কাটছে বন বিভাগ।

ইতোমধ্যেই দিনাজপুরে খালের নীলফামারী সদরের চান্দের হাট বাহালীপাড়া এলাকায় অন্তত ২০টি গাছ কাটা হয়েছে। ঐ এলাকায় এর আগেও গাছ কাটা হলেও নতুন করে বনায়ন করা হয়নি। এর বিরুপ প্রভাবে তিস্তার অনেকাংশ মরুভূমি হতে চলেছে। আবার নীলফামারী সদর ও ডিমলা উপজেলার প্রকল্প এলাকায় ইতোমধ্যেই ৫০ শতাংশ গাছ কাটা হয়েছে।

প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে পরিবেশ রক্ষার বিষয়সমূহ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যেই অন্তর্ভূক্ত। তথাপি প্রকল্প বাস্তবায়নে এতো বিপুল সংখ্যক বৃক্ষ নিধন কেনো অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ালো এটা বোঝা মুশকিল। সমালোচকদের মতে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের অতিরিক্ত বৃক্ষ কর্তন করে বিক্রির মাধ্যমে আরো অধিক মুনাফা অর্জনই এধরণের প্রকল্প গ্রহণের উদ্দেশ্য কি না তা তদন্ত করা প্রয়োজন।

গাছের অভাবে দেশের প্রকৃতিক পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই গাছ কাটার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। দেশ ও পরিবেশের বিরুদ্ধে কাদের স্বার্থে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন তিনি।

;

জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহিতা নেই: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জনগণের কাছে বর্তমান সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তাদের মধ্যে এক প্রকার দাম্ভিকতা সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের তাদের কোন প্রয়োজন নাই। সেখানে দেশের অর্থনীতি, জনগণের স্বাস্থ্য, মানুষ মারা যাচ্ছে কিনা এগুলো নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই। আমরা তো বরাবর বলে আসছি আওয়ামী লীগ ব্যর্থ রাষ্ট্র করে ফেলেছে।

রোববার (১২ মে) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ঋণ খেলাপি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যেহেতু এই সরকারের কোনও স্তরেই কোনও জবাবদিহিতা নেই সেহেতু লাগামহীনভাবে ব্যাংক লুট, অর্থপাচার, জনগণের অর্থ লোপাটের মাধ্যমে একটি বিশেষ গোত্র তৈরি করা হচ্ছে। যারা এই অবৈধ সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে।

তিনি বলেন, দেশের বিপর্যয়কর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক অবস্থা ব্যবস্থার সঙ্গে জনগণের জীবনমান উন্নয়নের বিষয়টিও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সড়ক ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ তথা অবকাঠামোগত উন্নয়ন এগুলো কোনো একটি দেশের যে কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের একটি রুটিন ওয়ার্ক। তবে অগণতান্ত্রিক সরকার এসব তথাকথিত উন্নয়ন হিসেবে প্রচার করে জনগণের অন্য সকল অধিকারকে অবজ্ঞা করে চলছে। কেবলমাত্র আর্থিক কিংবা অবকাঠামোগত ফাঁপা উন্নয়ন রাষ্ট্র বা সমাজের উন্নয়নের মাপকাঠি হতে পারে না। জীবনমান তথা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সামাজিক এবং নৈতিকতার মূল্যবোধের উন্নয়ন ছাড়া কোনো উন্নয়নই টেকসই নয়।

তিনি আরও বলেন, তথাকথিত উন্নয়নের দোহাই দিয়ে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নৈতিকতা এবং মূল্যবোধকে বিসর্জন দেওয়া হয়, জনগণের কাছে সেটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হয় না। মনে রাখা প্রয়োজন, জীবন এবং জীবিকার দ্বন্দ্বে জীবিকার কাছে যেন জীবন হেরে না যায়। তেমন একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যেই চলমান আন্দোলন এবং জনগণের এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি'র আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় আলোচিত বিষয় উপস্থাপন করে মির্জা ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত বিরোধী নেতা-কর্মীদের পূর্বে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় একতরফা শুনানি করে অফিযুক্ত নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করার প্রক্রিয়াকে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে অবৈধ সরকারের সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার লক্ষ্যে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের সাজা দিয়ে কারান্তরীণ করে বিরাজনীতি করণের প্রক্রিয়াকে বাস্তবায়িত করার জন্য বিচার প্রক্রিয়াকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। সম্পূর্ণ বানোয়াট মিথ্যা গায়েবি মামলায় প্রায় ২ হাজার নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে সাজা প্রদান করা হচ্ছে।

অবিলম্বে এ প্রক্রিয়া বন্ধ করে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং বিচার প্রক্রিয়াকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয় সভায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি মনে করে জনগণই সকল শক্তি। বাংলাদেশের মানুষেই আমাদের আস্থা। আর সেই আস্থার ওপর ভর করেই আমরা রাজনীতি করি।

;

প্রবৃদ্ধিতে চীনকে পেছনে ফেলবে বাংলাদেশ: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আইএমএফের কর্মকর্তারা সেদিন বলে গেছে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত খুব মজবুত। এই অবস্থা চলতে থাকলে প্রবৃদ্ধিতে এশিয়ার মধ্যে একমাত্র ভারত আমাদের চেয়ে একটু এগিয়ে থাকবে। এমনকি চীন, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশের কম প্রবৃদ্ধি হবে। আইএমএফ এটা ঘোষণা করে গেছে।

শনিবার (১১ মে) মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখুন। অনেকেই অপবাদ দেবে, মিথ্যাচার করবে, তাদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না, কান দেবেন না। এই সংকট কেটে যাবে। আবারও সুদিনের অপেক্ষায় আমরা থাকতে পারব।

বিএনপি এখন আবার চাঙা উল্লেখ করে কাদের বলেন, যখন টেলিভিশনে দেখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসছে, বিএনপি নেতারা আবার চাঙা হয়ে গেছেন। আবার ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর হয়ে গেছে। অথচ লু আসছেন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে। বিএনপির স্বপ্ন পূরণের জন্য আমেরিকাও আর আসবে না। কেউ আসবে না। লন্ডন থেকে ডাক দিয়ে কোন লাভ হবে না।

বিএনপি নাটক সাজায় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কত নাটক, জর্জ মিয়া নাটক, মিয়া আরেফি নাটক। বাইডেনের উপদেষ্টা বানিয়ে নয়া পল্টনে কি নাটকই না তারা বানিয়েছিল। মনে আছে? মিয়া আরেফি ইংরেজিতে কথা বলে, হঠাৎ পুলিশ দিল পিটুনি, পিটুনি খেয়ে বরিশালের স্থানীয় ভাষায় কথা বলে। আবারও নাটক শুরু করছেন, খেলা কিন্তু আবারও হবে, জনগণের জানমালের সুরক্ষায়, এ অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলা আবারও হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা (নেতাকর্মী) প্রস্তুত আছেন? প্রস্তুত থাকেন। জনগণ না থাকলে আন্দোলন হবে নাকি? বিএনপি হল ভুয়া দল, ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলন জনগণ বিশ্বাস করে না। ধৈর্য ধরুণ, অপেক্ষা করুন। 

;