হায়দার আকবর খান ছিলেন খাঁটি দেশপ্রেমিক: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনো’র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

শনিবার (১১ মে) এক শোকবার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।

শোকবার্তায় বলেন, হায়দার আকবর খান রনো ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক। গণমানুষের দাবি আদায়ে সোচ্চার ছিলেন আজীবন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহসাই পূরণ হওয়ার নয়।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনো’র মৃত্যুতে একইভাবে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।

   

আ. লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল নির্বাচন করতে পারবে না: রিজভী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট সরকার গঠন করেছেন। উনার ভোট লাগে না, নির্বাচন লাগে না। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে এমপি নির্বাচন পর্যন্ত বঙ্গ ভবন থেকে শেখ হাসিনা যে তালিকা দেন, সেটাই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দিন প্রকাশ করবেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এটাই হচ্ছে বিধান, এটাই শেখ হাসিনা তৈরি করেছেন। এর বাইরে অন্য কিছু হয় না। তাই প্রধানমন্ত্রীর জনগণের দরকার পড়ে না, বেনজির আজিজদের মত কিছু লোকদের দরকার পড়ে ।

সোমবার (৩ জুন) বিকেলে যশোর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম সভাপতিত্বে শহরের বিডি হল মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম- এর ৪৩ শাহাদাৎ বার্ষিকীতে জেলা বিএনপি আয়োজিত রাষ্ট্রনায়ক জিয়া শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন ।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারকে নিয়ে শয়নে স্বপনে প্রতিনিয়ত অপ্রচার বিষাদাগার করেন। তাতে জনগণের কিছু আসে যায় না। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা আপনি প্রধানমন্ত্রী অস্বীকার করতে পারেন, আপনার স্বামী তো অস্বীকার করেননি। আপনার সরকারের মন্ত্রী মেজর রফিকুল ইসলাম, এ কে খন্দকার, আপনার সরকারের এমপি মেজর জেনারেল সুবেদ আলী ভুইয়া তিনিও অস্বীকার করেননি। তারা তো ঠিকই তাদের বইয়ে লিখেছেন, জিয়াউর রহমান মহান স্বাধীনতার ঘোষক। সুতরাং আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) না বললে কি হবে, আপনি তো মুক্তিযুদ্ধে যাননি। এমনকি আপনার স্বামী তখন বয়সে তরুণ তাকেও মুক্তিযুদ্ধে যেতে দেননি।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, আপনি মুক্তিযুদ্ধকে একটা মার্কেটিং হিসেবে ধরেছেন। আপনি মার্কেটিং করার জন্য এবং নিজে মুক্তিযুদ্ধের লোক এটাকে প্রচার করার জন্য আপনি মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ করেন। পারিবারিক ভাবে রাজাকারের দুর্নাম ঘোচাতে আপনার দলের অনেকে ছাত্রলীগ করে, এখন তারা জাতীয় পর্বে গুরুত্বপূর্ণ পদেও আছে। সুতারাং শেখ হাসিনাও একই, ৭১-এ উনার কোন ভূমিকা নেই। উনি স্বামীকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্পে যেতে পারতেন। বরং এটা শুনেছি সেদিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আপনার পরিবার ভাতা পেত। এজন্য ক্ষোভ বিদ্বেষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক, সেক্টর কমান্ডার, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রথম প্রতিরোধকারী জিয়াউর রহামনের বিরুদ্ধে আপনার এতো অপ্রচার।


জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে কোন রাজনৈতিক দল বন্ধ করেননি উল্লে করে রিজভী বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন, যে আপনার পিতা (প্রধানমন্ত্রীর পিতা) দেননি, আপনি দিচ্ছেন না। হেরে যাওয়ার ভয়ে আপনি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিচ্ছেন না। আজকে পুলিশের অনুমতি নিয়ে রাজনৈতিক দলকে কথা বলতে হয়। আবার সংবাদপত্র গুলো সব কথা ছাপাতে পারে না, ছাপাতে ভয় পায়। বিশ্বের ভিন্ন দেশ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপর যে ইনডেক্স তৈরি করে। সেখানে তারা তুলে ধরছে বাংলাদেশে গণমাধ্যমে স্বাধীনতা কতটা নিচে অবস্থান করছে। অনেক মুক্ত মনের সাংবাদিক আজ সরকারের তৈরি ডিজিটার নিরাপত্ত আইনের বেড়াজালে কারাবন্দী আছেন। কেবলমাত্র সত্য কিংবা মুক্ত মনে লেখার কারণে।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ( খুলনা বিভাগ) জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ- ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সহ- স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা সিদ্দিকী, অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, আবুল হোসেন আজাদ , সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি প্রমুখ।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন আলোচনা সভা পরিচালনা করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য মো. মুসা,অ্যাড. মো. ইসহক, মিজানুর রহমান খান, আব্দুস সালাম আজাদ, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, কাজী আজম, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

;

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের প্রতিটি লক্ষ্যের সঙ্গেও নিরাপদ খাদ্য গভীরভাবে জড়িত। কিন্তু এসডিজি অর্জনের অন্তরায় অনিরাপদ খাদ্য। তাই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত পারলেই উন্নয়ন টেকসই হবে।

সোমবার (৩ জুন) সকালে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ অয়োজিত বিভাগীয় পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, আইন কিংবা চাপ দিয়ে খাদ্যে ভেজাল নির্মূল করা কঠিন। এ জন্য জনসচেতনতামূলক বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে সবার মাঝে, যাতে নিরাপদ খাদ্যের মৌলিক অধিকারের দাবি সামাজিক আন্দোলনে রূপ নেয়।

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মুল উল্লেখ করে হানিফ আরও বলেন, স্বাস্থ্যই জীবনের সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনে নিরাপদ খাদ্যের কোনও বিকল্প নেই। কারণ একটি জাতি শুধু অর্থনীতির মানদণ্ডে উন্নত জাতিতে পরিণত হয় না। সেখানে নিরাপদ খাবার এবং সুস্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। টেকসই উন্নয়নের জন্য তাই সবার জন্য নিরাপদ খাবারের সংস্থান করতে হবে। তাই নিজেকে সুস্থ থাকতে হলে ভালো খাবারের পাশাপাশি শরীর চর্চাতেও বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) জাকারিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধুরী, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কামারুল আরেফীন, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ, জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জোবায়ের প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রকল্প পরিচালক আবু নুর মো. শাসুজ্জামান।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) জাকারিয়া বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে দরকার আন্তঃসংস্থা সমন্বয়। খাদ্যব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারের অনেকগুলো সংস্থা কোনো না কোনোভাবে জড়িত। সবগুলো সংস্থাকে এক টেবিলে বসিয়ে কোনো বিষয়ে রাজি করানো খুব জটিল ও সময়সাপেক্ষ কাজ। তাই ধীরে ধীরে সবার সহযোগিতার মাধ্যমে দেশে নিরাপদ খাদ্যের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প আয়োজিত এ কর্মশালায় জনপ্রতিনিধি, হোটেল-রেস্তোরা ব্যবসায়ী, খাদ্য ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী ও সরকারি কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

;

সেনাবাহিনী-পুলিশের সম্মান ইজ্জত কোথায় প্রশ্ন ফখরুলের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাহিনী হিসেবে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের সম্মান-ইজ্জত কোথায় রইলো, এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, পুলিশের সাবেক প্রধান বেনজীর আহমেদ নজিরবিহীন দুর্নীতি করেছেন। অপরদিকে, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজকেও যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিয়েছে। সংসদ সদস্য আনারকে কলকাতায় নিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়েছে।

একটা ইনস্টিটিউশন হিসেবে এখন সেনাবাহিনীর অবস্থা কী! সেনাবাহিনীর সম্মান-ইজ্জত কোথায় থাকে, যখন তার সাবেক সেনাপ্রধানকে স্যাংশন দেওয়া হয়! পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা কোথায় থাকে, যার সাবেক প্রধানকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়! এরা (আওয়ামী লীগ সরকার) দেশটাকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে।

সোমবার (৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ সব কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল সরকারের সমালোচনা করে বলেন, আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি। এই সময়টা তৈরি করেছে বর্তমান সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর ধরে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে, জোর করে রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে।

এ সরকার ভোট না দেওয়ার কারণ হলো, ভোট দিলে তারা ১০টার বেশি আসন পাবে না। এসরকার বলে, আমরা নাকি ভালো জিনিস দেখতে পারি না! ভালো জিনিস হচ্ছে, তোমাদের (আওয়ামী লীগ) জন্য! তোমরা মেগা প্রজেক্টের নাম দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করেছো! আজকে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের নামে দুর্নীতি করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার দলীয় সরকারের অধীনে যে তিনটা নির্বাচন করেছে, এ সব প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, এভাবে বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এর মানে হলো, আওয়ামী লীগ যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, তাতে কোনো দলই নির্বাচনে আসে না। ৬৩টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যায়নি। আজকে নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে! আজকে এই সরকার শুধু রাজনীতিকেই ধ্বংস করেনি বরং পুরো দেশটাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে!

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের এখন সময় এসেছে, আমাদের নিজেদেরকে সংগঠিত করার। আমরা চেষ্টা করছি, জেল খাটছি, আমরা বারবার জেলে যাচ্ছি কিন্তু আমরা এখনো চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে পারিনি।

এই চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের জন্য আমাদের সংগঠনকে আরো দৃঢ় করতে হবে। নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি থাকলে দূর করে ফেলতে হবে। সবাই মিলে একসঙ্গে এক জোটে নামতে হবে। কারণ, এটা বিএনপির সমস্যা না, এটা বাংলাদেশের সমস্যা! এটা জাতির সমস্যা!

এই জাতি ভবিষ্যতে টিকবে কি টিকবে না, আপনার ছেলেরা ভবিষ্যতে চাকরি পাবে কি পাবে না, তারা স্বাধীনভাবে চলতে পারবে কি পারবে না, তার পুরোটাই নির্ভর করছে, এই সরকারকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পরাজিত করতে না পারা পর্যন্ত!

বিএনপির মহাসচিব ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশে বলেন, তারা চুরি করতে করতে এমন অবস্থা তৈরি করেছে, এখন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ছাড়া কোনো উপায় নেই।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন। জিয়ার আহ্বানেই দ্বিধাবিভক্ত জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এটা সরকার মুছে ফেলতে চায়। আমরা শেখ মুজিবের অবদানকে কখনো অস্বীকার করি না। ৪৩ বছর পরেও জিয়াকে এদেশের মানুষ ভোলেনি। যারা তার অবদানকে অস্বীকার করে, তারা তো দেশের স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করে। কারণ, তিনি তো স্বাধীনতার ঘোষক।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল ড. শাহিদা রফিক প্রমুখ।

;

সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে বিএনপির গভীর বন্ধন রয়েছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জামায়াত সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে এ কথা আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা যেখানেই যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে বিএনপির গভীর বন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৩ জুন) দুপুরে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী-স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অযৌক্তিক ও দ্বিচারিতাপূর্ণ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান এদেশে স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। ঐতিহাসিকভাবেই বিএনপির সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী এই অপশক্তির গভীর আঁতাত ও সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা তাদের প্রতি এক ধরনের দায়বদ্ধতা অনুভব করে এবং সর্বদা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকে। স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির রাজনীতির সামাজিক বৈধতা ও স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বরাবরই প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। বিএনপির রাজনীতি এই চক্রেই আবর্তিত। তারা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নিজেদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জামায়াত সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে এ কথা আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা যেখানেই যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে বিএনপির গভীর বন্ধন রয়েছে। জামায়াত নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা সুস্পষ্টভাবে অবৈজ্ঞানিক ও অযৌক্তিক। জামায়াতের রাজনীতি বাংলাদেশের মূল চেতনা, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধের পরিপন্থি। রাজনীতির এ ধারা বার বার দেশবিরোধী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক কখনোই ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের আখরে রচিত পবিত্র সংবিধান ও রাষ্ট্রের মৌলিক চেতনাবিরোধী এই রাজনীতিকে কোনোভাবেই স্বীকৃতি দিতে পারে না। যাদের রাজনীতি দেশের ভিত্তিমূলে আঘাত হানে তাদের কৌশলও কখনো বিজ্ঞানসম্মত বা যৌক্তিক হতে পারে না। মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে প্রগতিশীলতার মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রাখা তার আসল চেহারা উন্মোচিত হয়েছে। একই সঙ্গে তার বক্তব্যে উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়ার দুরভিসন্ধি প্রকাশিত হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি পরিচালিত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের ভিত্তিতে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শবিরোধী কোনো রাজনৈতিক অপশক্তিকে আওয়ামী লীগ কখনো স্বীকৃতি দেয়নি— ভবিষ্যতেও দেবে না।

;