অক্টোবরে চট্টগ্রাম মহানগর আ.লীগের সম্মেলন: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী অক্টোবর মাসে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।

রোববার (১৯ মে) নগরীর কাজীর দেউড়ি একটি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় তিনি এ কথা জানান।

মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ও তার আওতাধীন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কমিটি আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই এগুলোর সম্মেলন ও কমিটি গঠন অবশ্যই করে ফেলতে হবে। আগস্ট মাস যেহেতু শোকের মাস, এসময় আওয়ামী লীগের কোনো স্তরের সম্মেলন ও কমিটি গঠনের অবকাশ নেই। সেপ্টেম্বর মাসকে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পর্ব হিসেবে ধরে নিয়ে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী অক্টোবর মাসে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে আড়ম্বরপূর্ণভাবে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস যেমন জনগণ। আওয়ামী লীগের ভিত্তি ও অস্তিত্ব নির্ভরশীল শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তির উপরই। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে সম্মেলনের মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামোর ভিত্তিকে সুদৃঢ় ও বিস্তৃত করার প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করে দিতে হবে। নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে ব্যক্তির সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা ও দক্ষতাকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাই ব্যক্তির পছন্দ ও অপছন্দের বিষয়টি কখনো মুখ্য হতে পারে না। নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতেই পারে। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা সাংগঠনিক শৃঙ্খলার মধ্যেই হওয়া উচিত। সবচেয়ে বড় কথা- সংগঠনের বিভিন্ন ধাপ ও স্তরগুলোতে নেতৃত্ব যদি সমঝোতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে দলীয় ঐক্য, শৃঙ্খলা ও শক্তির পরিমাপ ও ঘনত্ব ভারি হয়। নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোটের বিষয়টি থাকলে কেনা-বেচা হওয়ার সুযোগ থাকে এবং পারস্পরিক বিভক্তি সৃষ্টিরও আশঙ্কা দেখা দেয়।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, আওয়ামী লীগ টানা চারবার ক্ষমতায় আছে- এ নিয়ে আত্মতুষ্টির কোনো কারণ নেই। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ধস নামানোর বিজয় অর্জিত হয়েছিল প্রবল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এই প্রতিপক্ষ ছিল নেতৃত্বহীন বিএনপি নামক একটি প্লাটফর্ম এবং স্বাধীনতা ও দেশ বিরোধী রেজিমেন্টাল জামায়াতে ইসলামী ও প্রতিক্রিয়াশীল ডান ও অতিবাম শক্তির মোর্চা। কিন্তু পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনগুলোতে আমাদের কোনো প্রবল প্রতিপক্ষ না থাকলেও দলীয় সাংগঠনিক ভিত্তি খুব একটা শক্তিশালী হয়নি। বরং নিজেদের মধ্যে কলহ, বিবাদ ও বিভক্তি বেড়েছে। আরও বেড়েছে দলের মধ্যে হাইব্রীডের প্রবল স্রোত। প্রধানমন্ত্রী বার বার বলেছেন, নিজস্ব গ্রুপ ও প্রভাব বলয় বৃদ্ধির জন্য বাইরে থেকে ভিন্ন মতের মানুষ দলে ঢুকানোর কোনো প্রয়োজন নেই।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির আওতাধীন ২৭টি ইউনিট ও ২৯টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়নি এবং ১৫টি থানার মধ্যে একটি থানা আওয়ামী লীগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা আওয়ামী লীগের যে সকল কমিটির সম্মেলন হয়নি, সেগুলো মূলত পরিস্থিতিগত কারণে নয়, স্থানীয় নেতৃত্বের অনীহা ও আন্তরিকতার অভাবের কারণে। আমরা মহানগর আওয়ামী লীগ কমিটি থেকে এ সকল ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সম্মেলন কেন হয়নি এ ব্যাপারে তারা অবগত আছেন। তবে এটাও ঠিক সম্মেলন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে স্থানীয় নেতৃত্ব যদি ঐকমত্যে না পৌঁছে সেখানে কিছুতেই জোর করে সম্মেলন করতে হবে এমন মনোভাব চাপিয়ে দেয়া যায় না।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, অ্যাডভোকেট মো. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য একেএম বেলায়েত হোসেন, শফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম এমপি, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাবেক এমপি নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান ও মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু এমপি প্রমুখ।

   

বেনজির কিভাবে দেশান্তরী হলেন প্রশ্ন জাপা মহাসচিবের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সাবেক আইজিপি কিভাবে ৭০-৮০ কোটি টাকা ব্যাংক থেকে তুলে দেশান্তরী হলেন তাও আবার সপরিবারে প্রকাশ্যে ইমিগ্রেশন দিয়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিভাবে বলেন আমরা জানি না।

রোববার (২ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির ফরম বিতরণের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, শাসক দলের টাকা, নেতাকর্মীদের দুর্বৃত্তায়ন ও প্রশাসনের দৌরাত্মে অন্য কোন দল টিকে থাকতে পারছে না। উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা এত টাকা খরচ করছে তার সামনে অন্য কোন প্রার্থী দাড়ানোর মত সাহস ও ক্ষমতা নেই বলে বলে মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, ব্যাংকের টাকা লুটপাট হয়ে গেছে ব্যাংক খালি। সাবেক অর্থমন্ত্রীসহ ৪ জন এমপি স্ত্রী কন্যাদের নামে রিক্রুটিং এজেন্সি করে ম্যানপাওয়ার লাইসেন্স করেছেন। মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য সরকার ৭০-৮০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে, রিক্রুটিং এজেন্সি ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা নেওয়ার পরও ভুক্তভোগীদের মালয়েশিয়া পাঠাতে পারে নাই। এই সব রিক্রুটিং এজেন্সি নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন বিদ্যুৎ খাতে হরিলুট হচ্ছে উৎপাদন ৮ হাজার মেগাওয়াট, প্রয়োজন ১৪ হাজার মেগাওয়াট। ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জরিমানা দেন ৪৬ হাজার কোটি টাকা, জরিমানা দেওয়ার টাকা আছে কিন্তু বিদ্যুৎ কেনার টাকা নাই।

মহাসচিব আরও বলেন, কোন সেন্ডিকেট সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। মানুষ এখন যাবে কোথায়? মানুষ এত কষ্ট সহ্য করতে পারছে না। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারে নি। তাই বিকল্প একটি দল দেশ পরিচালনার জন্য খুজছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর উন্নয়নের কথা স্মরণ করে জিএম কাদের এর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির কথা ভাবছে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহ্বায়ক আলমগীর সিকদার লোটনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব এ্যাড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঞা। জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সদস্য সচিব মোঃ হেলাল উদ্দিনের উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল আলম রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাস, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, মোঃ হুমায়ুন খান, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, এম এ রাজ্জাক খান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু প্রমুখ।

;

প্লাটিনাম জয়ন্তী স্মরণীয় করে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছর প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তিতে পা দিতে চলেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আগামী ২৩ জুন মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এই দলটি ৭৫ বছরে পা রাখবে।

দিনটিকে জাঁকজমকপূর্ণ ও উৎসবমুখর উদযাপনের মধ্য দিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে চায় ক্ষমতাসীন দলটি। আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন করা হবে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত। সে জন্য ইতোমধ্যে গঠন করা হয়েছে, বিভিন্ন উপকমিটি। দফায় দফায় সভা করে নির্ধারণ করা হচ্ছে কর্মসূচি।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার প্লাটিনাম জয়ন্তী স্মরণীয় করে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। সেজন্য নেওয়া হচ্ছে, তিনদিনব্যাপী মূল অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। তিনদিনের মূল্য অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দেশব্যাপীও আয়োজন করা হবে নানা অনুষ্ঠানের।

এসময় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে তরুণ প্রজন্মের প্রতি। তরুণদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু এবং দল সম্পর্কে জানাতে থাকবে বিশেষ আয়োজন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা, ছবি- সংগৃহীত

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তার ৭৫ বছর পূর্তিতে প্লাটিনাম জয়ন্তী জাঁকজমকভাবে উদযাপনের ব্যাপারে গত ৩০ এপ্রিল দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পরে ৬ মে সম্পাদকমণ্ডলির সভা করে এবং ১০ মে এক যৌথসভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর ও সব সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে এবিষয়ে আলোচনা করা হয়। সর্বশেষ, গত ২২ মে দিবসটি উদযাপনে দলের সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটি ‘সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যসমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আমাদের অভিনিবেশ ও কর্মস্পৃহা’ শীর্ষক সভা করে।

এছাড়াও বিভিন্ন উপকমিটি গঠনের মাধ্যমে সেরে নিচ্ছে দিনটি উদযাপনের পূর্বপ্রস্তুতি।

আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী নিয়ে দলটির এক সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৩ জুন ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবের মধ্য দিয়ে প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপিত হবে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

প্লাটিনাম জয়ন্তী পালনে যত আয়োজন
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ তার প্লাটিনাম জয়ন্তীতে তিনদিনের মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে, যা ২৩ জুন শুরু হয়ে শেষ হবে ২৫ জুন। এর মধ্যে ২৩ জুন সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে কার্যক্রম।

দলীয় সূত্র বলছে, প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনদিনের কেন্দ্রীয় ও মূল অনুষ্ঠানমালা চলবে ২৩ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত। প্রথম দিন ২৩ জুন সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন দলের নেতাকর্মীরা।

একই দিন টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স, বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টে শহীদ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য ও ৩ নভেম্বরের শহীদ জাতীয় চার নেতার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচিও রাখা হয়েছে।

এদিন দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বর্ণাঢ্য সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ২৪ জুন আয়োজন করা হবে, আলোচনা সভা ও সেমিনারের। শেষদিন ২৫ জুন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এই তিনদিনের মূল কর্মসূচি ছাড়াও রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আনন্দ শোভাযাত্রা, কেন্দ্রীয় ও ধানমণ্ডি কার্যালয় ও বঙ্গবন্ধু ভবনসহ সারাদেশের সব দলীয় কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোকসজ্জা, সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।

এছাড়াও হাসপাতাল এবং কর্মজীবী, এতিমখানা, গরিব, অসহায় ও দুস্থ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে খাদ্যসামগ্রী। আন্দোলন-সংগ্রামে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের টানা চার মেয়াদের সাফল্য ও অর্জনের চিত্র তুলে ধরতে সারাদেশে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ, বিলবোর্ড ও প্ল্যাকার্ড সাঁটানো হবে।

আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তীতে বিশেষভাবে দলটির প্রতিষ্ঠার স্মারক রাজধানীর ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেনেও বর্ণাঢ্য সাজসজ্জা ও নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন স্থাপনের প্রস্তুতিও চলছে। তবে দেশে বিদ্যুৎতের সংকট থাকায় আলোকসজ্জা সীমিত রাখা বা পুরোপুরি বন্ধ রাখার কথাও জানিয়েছিল দলটি।

আমন্ত্রণ পাচ্ছেন যারা
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তাদের ৭৫ বছর পূর্তি কেন্দ্রীয় থেকে শুরু করে সারাদেশে জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে উদযাপন করবে। এক্ষেত্রে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধীদলগুলোকেও আমন্ত্রণ জানাবে আওয়ামী লীগ। এছাড়াও আওয়ামী লীগের এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দলকেও।

পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সাহায্য করা ও পাশে থাকা বিভিন্ন দেশের রাজনেতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগী বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকেও জানানো হতে পারে আমন্ত্রণ। তবে জানা যায়, এখনো কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। দলের পরবর্তী সভায় এসব বিষয় চূড়ান্ত করা হবে।

তরুণদের প্রতি থাকছে বাড়তি নজর
আওয়ামী লীগ প্লাটিনাম জয়ন্তীতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি বিশেষ নজর রাখবে বলে জানা গেছে। দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধ, আওয়ামী লীগের ইতিহাস সম্পর্কে তরুণদের জানাতে বিশেষ আয়োজন করা হবে। সে জন্য কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আয়োজন করা হবে রচনা প্রতিযোগিতার।

এছাড়াও আয়োজন করা হবে বিষয়ভিত্তিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার। জাতীয় পরিবেশ দিবস উপলক্ষে উদযাপন করা হবে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ। গঠন করা বিভিন্ন উপকমিটিগুলো থেকে প্রস্তাব থেকে আসা নতুন নতুন আরো কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এসব কর্মসূচি খসড়া আকারে প্রথমে ঠিক করা হবে। পরে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের ভিত্তিতে তা চূড়ান্ত করা হবে।

দিনটি উপলক্ষে তরুণদের উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোও নেবে নানান কর্মসূচি। ইতোমধ্যে, ছাত্রলীগ দেশব্যাপী ‘বাংলাদেশ-স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ’ শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করার কথা জানিয়েছে। প্রতিযোগীদের জন্য উপজেলা, জেলা এবং কেন্দ্রীয়ভাবেও থাকবে পুরস্কারের ব্যবস্থা।

পরিকল্পনা রয়েছে, সারাদেশে গাছের চারা রোপন করার। নতুন করে সাজানো হবে ঢাকার প্রবেশ দ্বারগুলোও। তবে এসবই এখনো খসড়া পর্যায়ে আছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। সে জন্য শিগগিরই বিভিন্ন পেশাজীবী, সমাজের আলোকিত মানুষ ও দলীয় সিনিয়র নেতাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি।

উন্নয়ন ও অর্জনে আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর
ঢাকার রোজ গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠা হয়, আওয়ামী লীগের। সে সময় দলটির নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। পরে ১৯৫৫ সালের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে সব ধর্ম, বর্ণের প্রতিনিধি হিসেবে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয় আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শামসুল হক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সম্পাদক। পরে ১৯৫০ সালে তিনি সাধারণ সম্পাদক হন।

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। তৎকালীন একটি ছবিতে আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশে হওয়া ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে টানা চতুর্থবার ও মোট ষষ্ঠ দফায় ক্ষমতায় আছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ সময়ের মধ্যে দেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয় ও দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যার প্রায় ২৩ বছর পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সপ্তম, নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এসময় বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইটসহ নানান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছে দলটি।

দলটির ৭৫ বছর পূর্তিতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে ৭৫ বছর আমার জন্য একটি বড় প্রাপ্তি! বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন, তা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।

কামাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে আর তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁর কন্যার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমি এই দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে কাজ করতে পারছি, এটা আমার কাছে বিশাল পাওয়া! আমি এই কারণে মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি! বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে আমি কৃতজ্ঞ! তিনি আমাকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছেন এবং সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।

;

সমর্থন না করলেও জামায়াতের কৌশল বিজ্ঞানসম্মত: ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি সমর্থন করেন না জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তবে তাদের রাজনীতির যে কৌশল ও প্রক্রিয়া তা অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত। যা অনেকটাই কমিউনিস্ট পার্টির মতো।

রোববার (২ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শুধু স্লোগান দিয়ে রাজনীতি করতে চাই। শুধু স্লোগানের রাজনীতি করলে হবে না, জেনেশুনে রাজনীতি করতে হবে। আমি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি সমর্থন করি না। কিন্তু জামায়াতের রাজনীতির যে কৌশল ও প্রক্রিয়া তা অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত। তা অনেকটাই কমিউনিস্ট পার্টির মতো।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাদের (জামায়াতের) যে ছাত্রশিবির আছে, তাদের লেখাপড়া করতে হয়। তারা নিজেরা বই প্রকাশ করে, পত্রিকা প্রকাশ করে। তার মানে জ্ঞানের চর্চা ছাড়া আপনি কখনো সফল হতে পারবেন না।

সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ এখন কোথায়- এ প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি বেনজীরের হদিস না জানেন তাহলে কি এটাকে রাষ্ট্র বলা যায়?

লুটেরা সরকারকে ঠেকাতে না পারলে দেশের অস্তিত্ব টিকে থাকবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে যাদের রক্ষা করার কথা সেই সাবেক পুলিশপ্রধান ও সেনাপ্রধানের নামে লুটপাটের খবর বেরোচ্ছে। শুধু তারাই না, সরকারের লোকেরা সর্বত্র লুটপাট চালাচ্ছে। আর সেই লুটের টাকা বিদেশে পাচার করছে।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ঋণের কবলে পড়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পুরো রাষ্ট্র এখন ঋণের ফাঁদে জর্জরিত। রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো অনেক মেগা প্রকল্প আছে, যেগুলো ঋণ নিয়ে করা হলেও কাজ এখনো শেষ করতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, আজকে সরকার নির্বাচন কমিশনকে শেষ করে দিয়েছে। শুধু নির্বাচন কমিশন না, পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকেই শেষ করে দিয়েছে। মানুষ আজকে ভোট দিতে চায় না। কমিশনের প্রতি তাদের আস্থা নেই। কারণ, মানুষ জানে তাদের ভোট কাউন্টই হবে না।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক সামসুল আলম সেলিম ও সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

;

বেনজীর ইস্যুতে সাংবাদিকদের সৎ সাহস নিয়ে প্রশ্ন কাদেরের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

পদে থাকা অবস্থায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ না হওয়ায় সাংবাদিকদের সৎ সাহস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (২ জুন) দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বেনজীর র‍্যাবের ডিজি, আইজি ও আইজিপি থাকা অবস্থায়ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাহলে সরকার এখন কেন সে দায় নিবে না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের উলটো সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, আপনি কোন টিভিতে কাজ করেন? বেনজীর কখনো দুর্নীতি করেছে আপনি বলতে পেরেছেন? মিডিয়ায় কে বলেছে? সবশেষে বলেছে কালেরকণ্ঠ। আপনারা কেউ বলেননি। আপনারা এটা নিয়ে, মিডিয়ায় যদি বলতে পারতেন যে এই এই দুর্নীতি করছেন, অমুক। সে সাহসটা আপনারাও তো দেখাতে পারেননি। এখন সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। আপনি কি করে বলেন সরকার জেনেও এটা গোপন করেছে? হাউ ইউ কনক্লোড দিস। আপনি পারেন না এটা। আমি একটা কথায় বলেছি, সরকার এখানে কারো দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হবার পর ইম্পিউনিটি দিয়েছে কি না, সেটা হলো বড় কথা।

সরকার বেনজীরকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে তুলে দিয়েছে মির্জা ফখরুলের এমন অভিযগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনি কি দেখেছেন কে তুলে দিয়েছে? ফখরুলের অভিযোগ, সে তো সব দিকে ব্যর্থতার দগদগে খত। সে ব্যর্থ নেতা। সে ১৫ বছর ধরে আন্দোলন করলো, নির্বাচনেও ব্যর্থ, আন্দোলনেও ব্যর্থ। নিজের দলের লোক সংসদে পাঠায় কিন্তু নিজে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে। সে কি বললো, না বললো বাস্তবতা বিবর্জিত। সরকার তুলে দিয়েছে, আমি মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চায়, সরকারের কারা তাকে তুলে দিয়েছে। কোন অথরিটি তাকে তুলে দিয়েছেন বলুন। অন্ধকারে ঢিল ছুড়লে হবে না।

তদন্ত চলা অবস্থায় বেনজীর যে দেশের বাহিরে চলে গেলেন এটা কি অস্বাভাবিক না এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, না, এখন তিনি না থাকলে কি বিচার হবে না। এখন তারেক রহমান বাইরে আছে বলে কি ট্যাক্সিফিকেশন মামলা হয়নি, রায় হয়নি? এক সময় না এক সময় তাকে আসতে হবে। বেনজীর যদি মামলায় দুর্নীতিবাজ সাব্যস্ত হয়, দেশে তাকে আসতেই হবে। এখানে সরকার কোন আপস করবে না।

দুদকের প্রাথমিক তদন্তে বিপুল অর্থসম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমেও তা উঠে আসছে, সরকার কি তাকে দোষী মনে করছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার তো দুর্নীতি দমন কমিশনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেনি। এখানে সরকারের অবশ্যই সমর্থন আছে।

বেনজীর পদে থাকা অবস্থায় বিপুল দুর্নীতির সাথে যে জড়িত তা সরকারের না জানাটা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতা কী না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ব্যর্থতা থাকলে সে ব্যর্থতারও বিচার হবে।

অন্য আরেক প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই বিষয়টা দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছে। তদন্ত, গ্রেফতার, মামলা সব কছু একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। যেখানে দুর্নীতি দমন কমিশন একশনে আছে সরকার কেন আগ বাড়িয়ে কোন ব্যবস্থা নিবে? আমাদের দেশে দুর্নীতির যত মামলা হয়েছে, ওয়ান ইলেভেন থেকে দেখুন, তদন্ত করে মামলা যখন হয় তখন একটা স্টেপ আসে জেলে পাঠানোর। তারপর জেলে পাঠালে মামলা চলতে থাকে। মামলার রায়ে সে যদি দুর্নীতিবাজ সাব্যস্ত হয় তাহলে অবশ্যই তাকে আমি দুর্নীতিবাজ বলবো।

তিনি আরও বলেন, এই দেশে ৭৫ পরবর্তীকালে কোন শাসক, সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারেনি। শেখ হাসিনা সরকার সে সৎ সাহস দেখিয়েছে।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে ফখরুল সাহেবরা বড় বড় কথা বলেন, বিএনপি আমলে কি একটা দুর্নীতির মামলায় নিজেদের দলের লোক ধরেছেন? কেউ শাস্তি পেয়েছেন সেটা হচ্ছে বড় কথা। ব্যক্তি দুর্নীতি করতে পারেন, সে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের মনোভাবটা কি দেখতে হবে। সরকার বিচার করতে চায় কি না সেটা হলো বড় প্রশ্ন।

;